মহারাষ্ট্রেররাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ,মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী শ্রী বিনোদ তাওড়ে,
মুম্বাইবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্রী দেবানন্দ শিন্দে,
রমেশওয়াধওয়ানিজি, সুনীল ওয়াধওয়ানিজি,
ভদ্রমহিলা ওভদ্রমহোদয়গণ, ওয়াধওয়ানি ইনস্টিটিউট ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর উদ্বোধনঅনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুযোগ লাভ করে আমি আনন্দিত।
প্রথমেই এইপ্রতিষ্ঠানকে বাস্তবে মূর্ত করে তোলার লক্ষ্যে যৌথ প্রচেষ্টার জন্য আমি অভিনন্দনজানাই রমেশ ওয়াধওয়ানিজি ও সুনীল ওয়াধওয়ানিজি এবং মহারাষ্ট্র সরকার ও মুম্বাইবিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। দরিদ্র সাধারণ মানুষের কল্যাণের মতো একটি সদিচ্ছাকেসঙ্গে নিয়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কিভাবে একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান গড়েতোলা যায়, তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তাঁরা স্থাপন করেছেন এই বিশেষ প্রতিষ্ঠানটিরমধ্য দিয়ে।
বিশ্বেরবিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে আমি গত সাড়ে তিনবছর ধরে নানাভাবে আলোচনায় মিলিত হয়েছি। আমি অনুভব করেছি যে তাঁদের সকলের মধ্যেইরয়েছেভারতের জন্য কিছু করার এক অদম্য স্পৃহা ও বাসনা। এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলারমাধ্যমে রমেশজি এবং সুনীলজি এক উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভারতের ভবিষ্যতের স্বপ্নের সঙ্গেতাঁদের এই সদিচ্ছার এক বিশেষ মেলবন্ধন সম্ভব করে তুলেছেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়েতাঁরা এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যা বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে।
বন্ধুগণ,ভারত বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম গতিতে বিকাশশীল একটি অর্থনীতির দেশ। কৃষি থেকেআকাশপথ এবং মহাকাশ থেকে পরিষেবা – সবক’টি ক্ষেত্রেই আমরা প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্ভবকরে তুলছি এক অবিশ্বাস্য দক্ষতায়। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগ থেকে শুরু করে বড় বড়বিনিয়োগ – সর্বত্রই আমরা লক্ষ্য করেছি এক বিশেষ শিল্পোদ্যোগের জোয়ার। বিশ্বেরচতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসন্নপ্রায়। এর প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অবস্থান বর্তমানে কতটাউন্নত তা উপলব্ধি করার ক্ষেত্রে এই কয়েকটি উদাহরণ দৃষ্টান্ত মাত্র।
বন্ধুগণ,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং বোট্স ও রোবট্স-এরউদ্ভাবনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরউৎপাদনশীলতা সংশয়াতীতভাবেই বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে ভয়-ভীতি ওআশঙ্কাও বৃদ্ধি পেয়েছে নানাভাবে। মন ও মেশিন – এই দুইয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা মানবমনেদ্বন্দ্ব ও আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। এই ভয়-ভীতি কিন্তু নতুন বা নিতান্ত অমূলক নয়।
প্রযুক্তিউদ্ভাবন প্রচেষ্টার প্রতিটি পর্যায়ে এই ধরনের সংশয় ও প্রশ্নের আমরা সম্মুখীনহয়েছি। এর পথ ধরে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গড়ে উঠেছে দুটি পৃথকপৃথক চিন্তাভাবনা। প্রথমটিহল আশা-আকাঙ্ক্ষার এবং দ্বিতীয়টি বাধা-বিঘ্নের ভীতির।
বিকাশ বাউন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্রের দ্বার উন্মোচন করে প্রযুক্তি। একইসঙ্গে, তা খুলে দেয়নতুন সুযোগ-সুবিধার দ্বারগুলিও। নতুন প্রযুক্তির পথ ধরে সৃষ্টি হয় নতুন নতুনসুযোগ-সুবিধার। এই নতুন সুযোগ-সুবিধাগুলি সর্বদাই সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতারবিষয়টিকে পেছনে ঠেলে দেয়। মানুষের স্বকীয় উদ্ভাবন ক্ষমতা ছিল বরাবরই। এমনকি,ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। আমার এই আশাবাদের জন্ম সুপ্রাচীন ভারতীয় চিন্তাভাবনাও মতাদর্শের ওপর গভীর আস্থা ও বিশ্বাসের ফলে। বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার মিলন ওমিশ্রণ যে মানবজাতির বৃহত্তর কল্যাণে পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতির বাতাবরণ গড়ে তোলে,একথারই উল্লেখ রয়েছে প্রাচীন ভারতীয় চিন্তাদর্শে।
“সত্যেসর্বম প্রতিষ্ঠিতং” – যজুর্বেদ-এর তৈত্রেয় আরাণ্যকার জ্ঞান ও সুপ্তের কথা এইপ্রসঙ্গে আমার মনে আসছে। এর তাৎপর্য হল এই যে, সত্যানুসন্ধানের মধ্যেই নিহিত রয়েছেবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসার আগ্রহ।
সত্যেরঅনুসরণে আমাদের যে মানসিক গুণগুলি নানাভাবে সাহায্য করে তারও উল্লেখ রয়েছে আমাদেরপ্রাচীন পুঁথি ও শাস্ত্রগুলিতে। এই গুণগুলিকে বলা হয়েছে শ্রদ্ধা, মেধা, মণীষা,মনসা, শান্তি, চিত্ত, স্মৃতি, স্মরণ এবং বিজ্ঞান।
এইবৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা এবং সত্যানুসন্ধান থেকেই মানবজাতির বৃহত্তর স্বার্থেসৃজনশীলতার আশীর্বাদ লাভ সম্ভব।উন্নয়নের স্বার্থে প্রযুক্তিগত এই দার্শনিকতায় আমিঅনুপ্রাণিত এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির এই শক্তিই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমার মধ্যেআশাবাদের জন্ম দিয়েছে।
আর্টিফিশিয়ালইন্টেলিজেন্স-এর আগামীদিনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মানুষের ইচ্ছা ও আগ্রহের ওপর। আমাদেরলক্ষ্য বা উদ্দেশ্যই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ফলাফল নির্ধারণ করবে।প্রত্যেকটি শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে প্রযুক্তির স্থায়িত্ব ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিপেয়েছে বহুগুণে। উন্নয়ন সম্পর্কে এই মতাদর্শই সকল মানুষের মধ্যে সমতার জন্ম দিতেপারে। প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহার সম্পর্কে সমাজের মধ্যে বৈষম্য ও পার্থক্য কখনই প্রযুক্তিরঅগ্রগতি সম্ভব করে তুলতে পারে না। ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ – এই নীতি ওচিন্তাভাবনার মধ্যেই নিহিত রয়েছে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চাবিকাঠি।
বন্ধুগণ,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গড়ে তোলার বিষয়টিতে আমরা কি বিশ্বকে নেতৃত্বদান করতেপারি না? মানুষের অক্ষমতা নয়, বরং তাঁর ক্ষমতা ও দক্ষতার প্রসারের আরেক নামই হলআর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। যন্ত্র নয়, ভবিষ্যতে মানুষকে আরও উন্নততর করে তোলা এবংতাঁদের দুর্বলতাকে শক্তি ও ক্ষমতায় রূপান্তরিত করে তোলাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। মানবজাতিরবৃহত্তর স্বার্থেই আমরা তা সম্ভব করে তুলতে চাই।
বন্ধুগণ,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর সূত্র ধরেই বহু সমস্যারই সমাধান আমরা করে ফেলতে পারিবড় বড় পরিসংখ্যান এবং মানুষের বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে।
আমাদের এইভারতে এবং ভারতের জন্যই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গড়ে তোলার আমি আহ্বান জানাই।
ভারতেপ্রধান প্রধান সমস্যার সমাধানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোন কোন দিক দিয়ে আমাদেরসাহায্য করতে পারে তা চিহ্নিত করতে আমি আহ্বান জানাব আপনাদের সকলের কাছে। আমাদেরদেশ হল বিশেষভাবে বৈচিত্র্যময় যেখানে বহু ভাষা ও উপ-ভাষার সমাহার ঘটেছে। আমরা কিপারি না আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-কে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যেতে যেখানে এই ভাষাএবং উপ-ভাষার সাহায্যে আমরা পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ ও আলাপ-আলোচনাকে আরও সহজ করেতুলতে পারি? আমি বরাবরই বিশ্বাস করি যে দিব্যাঙ্গজনেরা হচ্ছেন আমাদের কাছেসম্পদবিশেষ। তাঁদের ক্ষমতায়নের দায়িত্ব সমগ্র জাতির।
আর্টিফিশিয়ালইন্টেলিজেন্স এবং রোবোটিক্স তাঁদের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে যাতে তাঁদেরপ্রকৃত সম্ভাবনার বিকাশ ঘটে বিভিন্ন কর্মপ্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে। শিক্ষক এবংআর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মিলিতভাবে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের মধ্যে যে ব্যবধানরয়েছে, তা ঘুচিয়ে ফেলতে পারে। আর এইভাবেই ছাত্রছাত্রীদের কাছে গুণগত শিক্ষাকে আমরাপৌঁছে দিতে পারি।
আর্টিফিশিয়ালইন্টেলিজেন্স-এর সাহায্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের দক্ষতা ওক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি প্রান্তে উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিচর্যারসুযোগ আমরা পৌঁছে দিতে পারি। এমনকি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয় সম্পর্কে আগামপূর্বাভাস দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর। মানব শরীরেরগুরুতর অসুস্থতা ও রোগ-ব্যাধি নির্ণয়ের জন্যও আমরা কি পারি না আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-কেব্যবহার করতে? জলহাওয়া, শস্যোৎপাদন এবং বীজ বপনের সঠিক সময় সম্পর্কে আর্টিফিশিয়ালইন্টেলিজেন্স কি তথ্য পৌঁছে দিতে পারে না দেশের কৃষিজীবী মানুষের কাছে?
বন্ধুগণ,আমাদের সরকার এমনই এক গভীর বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল যে একুশ শতকের এই বিশেষশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্র্য এবং রোগমুক্তির কাজে প্রযুক্তির ব্যবহারকে আমরাসম্ভব করে তুলতে পারি। এর মধ্য দিয়ে দেশের দরিদ্র এবং অবহেলিত মানুষদের জন্যসমৃদ্ধি আমরা সম্ভব করে তুলতে পারি। এই লক্ষ্য পূরণে আমরা কিন্তু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের লক্ষ্য হলভারতীয় সমাজ ব্যবস্থার ডিজিটাল ক্ষমতায়ন এবংতাকে একটি জ্ঞান-অর্থনীতি রূপে গড়ে তোলা। ভারত নেট-এর আওতায় দেশের গ্রামগুলিতেআমরা পৌঁছে দিচ্ছি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। এই ডিজিটাল পরিকাঠামোই হল পরিষেবাপ্রদান এবং উদ্ভাবন প্রচেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তিগত সমাধানের মূল স্তম্ভ। কেন্দ্রীয়সরকারের জাতীয় দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচির লক্ষ্য হল এমন এক দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলাযেখানে পরবর্তী কয়েক দশকের উপযোগী কর্মশক্তির যোগান দেওয়া সম্ভব। শিল্পোদ্যোগ ওউদ্ভাবন সংস্কৃতির প্রসারে আমরা সূচনা করেছি ‘অটল উদ্ভাবন মিশন’-এর। বিশেষভাবেপ্রযুক্তিচালিত ক্ষেত্রগুলিতে বিশ্বমানের উদ্ভাবনকেন্দ্র গড়ে তোলা, স্টার্ট আপবাণিজ্যিক প্রচেষ্টার প্রসার, স্বনির্ভর কর্মসংস্থান কর্মসূচিকে জোরদার করে তোলাসহ অন্যান্য প্রধান প্রধান সমস্যাগুলির সমাধানই হল এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ‘অটলউদ্ভাবন মিশন’-এর আওতায় বিভিন্ন স্কুলে স্থাপন করা হয়েছে ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব্স’।ভারতের অন্তত ১০ লক্ষ কিশোর ও তরুণকে ভবিষ্যতের তরুণ উদ্ভাবক রূপে গড়ে তোলাই এরউদ্দেশ্য। এই পদক্ষেপগুলির মধ্য দিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তিগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়েচলাই আমাদের লক্ষ্য যাতে তা দেশবাসীর কল্যাণে ব্যবহার করা যায়।
বন্ধুগণ,আমি নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাস করি যে এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, গবেষক এবং পথিকৃৎরাভারতের সাধারণ মানুষের স্বার্থকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেবেন তাঁদের কর্মপ্রচেষ্টারমধ্যে। তাঁদের এই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার সাফল্যের জন্য আমি শুভেচ্ছা জানাই। সাধারণমানুষের কল্যাণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-কে কিভাবে নিরাপদে এবং দায়িত্বশীলতারসঙ্গে ব্যবহার করা যায়, তা বিশ্ব সমক্ষে তুলে ধরার মতো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ভারতযে গিয়ে পৌঁছবে, এ সম্পর্কে আমি বিশেষভাবে আশাবাদী।
এইপ্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত। দেশবাসীর সেবায় এটি বরাবরই তারপ্রতিশ্রুতি পালন করে যাবে বলে আমি আশা করি।
ধন্যবাদ।
This institute is a prime example of how the public sector and the private sector, can combine with good intention, to build a world-class institute, aimed at benefiting the poor: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
With the arrival of Artificial Intelligence, Bots and Robots, there is no doubt that our productivity will further go up. But, there are also rising fears of human redundancy because there is a competition between the mind and the machine: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
Technology opens entirely new spheres and sectors for growth, It also opens up an entirely new paradigm of opportunities. With each wave of new technology, many new opportunities arise: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
New opportunities have always out-numbered the lost ones: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
The road ahead for Artificial Intelligence depends on and will be driven by Human Intentions. It is our intention that will determine the outcomes of artificial intelligence: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
The march of Technology cannot be at the expense of further increasing the difference between societies over access to technology. The evolution of Technology has to be rooted in the ethic of Sabka Saath, Sabka Vikas: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
Can we take the global lead on creating Artificial Intelligence that is less about making humans redundant and more about enhancing human abilities and expanding human capacities: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
Can we make the future less about machines displacing humans to a future about humans becoming better humans by converting their weaknesses into their strengths for the greater good of mankind: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
We need to Make Artificial Intelligence in India and Make Artificial Intelligence work for India! I would urge all of you to identify the grand challenges that Artificial Intelligence can solve for India: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
Can the combination of teachers and AI help us bridge the gap in teacher student ratio. This will help us deliver quality education to every student across India. Can AI help take quality healthcare to every corner of India by expanding capacities of healthcare workers: PM
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
Can Artificial Intelligence help us predict natural calamities?
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018
Can Artificial Intelligence help us detect serious health conditions before they manifest physically? Can Artificial Intelligence help our farmers/ make the right decisions regarding weather, crop & sowing cycle: PM
Our Government is of the firm belief, that we can use this power of twenty-first century technology to eradicate poverty and disease. In doing so we can bring prosperity to our poor and under-privileged sections: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 18, 2018