It is an impressive fact that there have been improvements in 9 out of 10 parameters in Ease of Doing Business - such as Ease of Getting Electricity, Ease of Paying Taxes etc: PM
India will develop, will grow only when our states develop: PM Modi
We are creating a transparent eco-system for the creation of new India that minimizes the need for face to face interactions with Government agencies: PM
In the last 3 years we have abolished more than 1400 acts that had ceased to be relevant: PM Modi
Potential + Policy + Performance equals Progress: PM Modi
There are two factors that are the hallmark of the way this Government works – reform oriented budget and result oriented policies: PM
Our budget is not limited to outlay, our budget is not limited to outputs. Our budget is an outcome budget: PM Modi
The structural and policy changes that the Government has made are dedicated to the welfare of the poorest and most vulnerable of our society: PM
The Government will now provide, under Ayushman Bharat, health insurance for Rs. 5 lakh per annum to every poor family in the country: PM Modi
The Government will spend Rupees one lakh crore in the next 4 years to strengthen and improve the education system, says the PM

মহারাষ্ট্রেররাজ্যপাল শ্রীযুক্ত সি বিদ্যাসাগর রাও, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস,দেশ-বিদেশ থেকে সমাগত ব্যবসায়ী-শিল্পপতিগণ এবং অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ‘ ম্যাগনেটিক মহারাষ্ট্র ’ সমারোহে আপনাদের সবাইকে স্বাগতজানাই।

সমর্দ্ধঅণি সম্পন্ন মহারাষ্ট্রচা নির্মিতী করতা হোণারা ম্যাগনেটিক মহারাষ্ট্রালা মাঝাখুপ-খুপ শুভেচ্ছা !

বন্ধু ভগিনীনো সর্বানামাঝা নমস্কার।

বিজ্ঞান সম্পর্কে আমার জ্ঞান সীমিত। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছে যে,চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে গতিপ

থ এবং বিস্তার কিম্বাপ্রসার উভয়েরই অন্তর্ভুক্তিকরণ হয়।

এখানে আসার আগে আমি নবী মুম্বাই এয়ারপোর্টে এবং জেএনপিটিঅনুষ্ঠানে ছিলাম। এটাও বাস্তব যে আপনারা যত বেশি কেন্দ্রের কাছে থাকেন চৌম্বকীয়রেখাগুলির শক্তিও ততটাই অনুভূত হয়।

আজ এই আয়োজনে আপনাদের এই উ ৎ সাহ, এই সম্পূর্ণ প্রাণশক্তিতেভরপুর পরিবেশে একথা প্রমাণ করে যে চুম্বকীয় মহারাষ্ট্রের চৌম্বক রেখাগুলিও কতটাশক্তিশালী।

বন্ধুগণ, এই আয়োজন সহযোগিতামূলক প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয়তারপ্রকৃষ্ট উদাহরণ। আজ দেশের সকল রাজ্যের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা চলছে। পরিকাঠামো,কৃষি, বস্ত্রশিল্প, স্বাস্হ্য-পরিষেবা, শিক্ষা, সৌর শক্তির মতো যাবতীয় ক্ষেত্রেবিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য নানা রাজ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।রাজ্যগুলি নিজেদের প্রয়োজন অনুসারে যে ক্ষেত্রের বিনিয়োগ চায়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়েঅনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

সম্প্রতি আমার আসামে গিয়ে ‘ অ্যাডভান্টেজ আসাম ’ বিনিয়োগকারীদের শিখর সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্তকেউ ভাবতেও পারেনি যে উত্তরপূর্ব ভারতে বিনিয়োগ নিয়ে ভাল ব্র্যান্ডিং হতে পারে।

ঝাড়খন্ড,মধ্যপ্রদেশ, অনেক রাজ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে। গুজরাট এই ধরনেরঅনুষ্ঠান করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার পর থেকেই সারা দেশে এই জাতীয়অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,এই আয়োজনের জন্য মহারাষ্ট্র সরকার বিনিয়োগের আবহ শক্তিশালী করতে অভূতপূর্ব পদক্ষেপগ্রহণ করেছে। এই রাজ্য সরকারগুলির নিরন্তর প্রচেষ্টা বিশ্ব ব্যাঙ্কের ‘ ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস ’ -এর – সারণীতে

অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে অনেক সহায়কহয়েছে। ফড়নবিস সরকারের ‘ সংস্কার ’ গুলি মহারাষ্ট্রকে ‘ রূপান্তরিত ’ করতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে।

‘ ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস ’ -এরদশটির মধ্যে নয়টি ক্ষেত্র, যেমন ‘ ইজঅফ গেটিং ইলেকট্রিসিটি ’ , ‘ ইজ অফ পেয়িং ট্যাক্সেস ’ ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নতি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। এত ব্যাপক স্তরে পরিবর্তন তখনইসম্ভব যখন নীতি সংস্কারে মাধ্যমে প্রশাসনে একটি নতুন কর্মসংস্কৃতি বিকশিত করা হয়।যখন পরিযোজনার সামনে আসা সমস্যাগুলি সমাধানের প্রক্রিয়াগুলির ‘ ডি-বটল নেকিং ’ করা হয়, যখন আন্তবির্ভাগীয় সহযোগিতা বাড়ানো হয়, যখন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেসিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আমিআগে যে চৌম্বক ক্ষেত্রের কথা বলছিলাম, তা এভাবেই তৈরি হয়। এর প্রভাব বিনিয়োগকেআকর্ষণ করে, রাজ্যের উন্নয়ণে তার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। আর সেজন্যেই গত বছর মহারাষ্ট্রপরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে মোট খরচের ক্ষেত্রে দেশের সমস্ত রাজ্যের থেকে এগিয়ে ছিল।ফ্রস্ট এবং সুলিভান্সের তালিকায় সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে মহারাষ্ট্রকে দেশের একনম্বর রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে দেশে যত প্রত্যক্ষবিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে, তার ৫১ % মহারাষ্ট্রেহয়েছে। এভাবেই ২০১৬-র ফেব্রুয়ারি মাসে এখানে যখন ‘ মেক-ইন-ইন্ডিয়া ’ সপ্তাহ পালিত হয়েছিল, তখন শিল্পক্ষেত্রে মোট চারলক্ষ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রকল্প সমূহেরকাজও শুরু হয়েছে।

আজমহারাষ্ট্রে নির্মীয়মান পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি গোটা দুনিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।দিল্লী-মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর বিশ্বের ১০০টি সর্বাপেক্ষা উদ্ভাবক প্রকল্পেরমধ্যে অন্যতম বলে চিহ্নিত হয়েছে। নবি মুম্বাই বিমানবন্দর নির্মাণ, মুম্বাই ট্রান্সহার্বার লিঙ্ক নির্মাণ আগামী দিনে এই অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের জীবনে অনেকপরিবর্তন সুনিশ্চিত করবে। তাছাড়া মুম্বাই, নবী মুম্বাই-পুণে-নাগপুরে প্রায় যে ৩৫০কিলোমিটার মেট্রো নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে, তা-ও এই অঞ্চলে বিনিয়োগ ও উন্নয়নের নতুনসম্ভাবনা নিয়ে আসছে।

বন্ধুগণ,আমি একটি বিশেষ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করতে চাইবো, তা হল ‘ মহারাষ্ট্রসমৃদ্ধি করিডর ’ । এই প্রকল্প মহারাষ্ট্রের গ্রামীণএলাকাগুলিতে, এখানকার কৃষি এবং কৃষিনির্ভর শিল্পগুলিকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেদেওয়ার ক্ষমতা রাখে। মহারাষ্ট্রে ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুপার কমিউনিকেশনএক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, এক্সপ্রেসওয়ের দু ’ পাশেস্মার্ট সিটির মতো ২৪টি নতুন ‘ নোডস্ ’ -এর উন্নয়নের মাধ্যমে রাজ্যে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ লক্ষমানুষের কর্মসংস্হানের নতুন সুযোগ গড়ে তুলবে।

আমিখুশি যে, এখন মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যকে দেশের প্রথম ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি সমৃদ্ধরাজ্য নির্মাণের লক্ষ্য নিয়েছে। শিবাজী মহারাজের মাটিতে কোনও লক্ষ্য বাস্তবায়িতকরা কঠিন নয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে তাঁর আশীর্বাদে মহারাষ্ট্র সরকার এইলক্ষ্যপূরণে সফল হবেন।

বন্ধুগণ,আমি মনে করি যে, রাজ্যগুলির উন্নয়ণ হলে তবেই দেশের উন্নয়ণ সম্ভব। মহারাষ্ট্রেরউন্নয়ণ ভারতের ক্রমবর্ধমান সামর্থ্যের প্রতীক যে আমরা এভাবে বড় লক্ষ্য স্হির করেসেই লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারছি। এটা দেশের মধ্যে পরিবর্তিত চিন্তাভাবনা, পরিবর্তিতপরিস্হিতির জীবন্ত উদাহরণ।

আমারমনে আছে কয়েক বছর আগে যখন ভারত প্রথমবার ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি ক্লাবের সদস্যহয়েছিল, তখন সংবাদমাধ্যমে কত বড় বড় শিরোনাম হয়েছিল। কিন্তু তারপরের কয়েকটি বছরনানা কেলেঙ্কারিতে কালিমালিপ্ত হয়ে পড়ায় ভিন্ন আবহ গড়ে ওঠে। তখন ট্রিলিয়ন ক্লাবথেকে ‘ ফ্যাজাইনল ফাইভ ’ -এরঅন্তর্ভুক্ত হওয়ার পথে এগুচ্ছিলো।

বিগততিন-সাড়ে তিন বছরে সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ এখন ‘ ফাইভ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাব ’ -এপৌঁছানোর পরিবেশ গড়ে উঠছে। এখন বিশ্বের বড় বড় এজেন্সিগুলি বলছে যে আগামী কয়েকবছরে ভারত ‘ ফাইভ ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাব ’ -এর সদস্য হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,এই আস্হা এমনি গড়ে ওঠেনি। এর পেছনে জনবান্ধব উন্নয়ণ বান্ধব এবং বিনিয়োগ বান্ধবআবহ গড়ে তোলার দূরদৃষ্টি রয়েছে, প্রচেষ্টা রয়েছে। ছোট ছোট বিষয়গুলি ধরে, ছোট ছোটপ্রতিস্পর্ধাগুলিকে বুঝে আমরা সমস্যাগুলির সমাধান করছি। শাসনকে আমরা সেই স্তরেনিয়ে গেছি, যেখানে সরকার ন্যূনতম নাক গলাবে।

বন্ধুগণ,দেশ তখনই প্রগতি যখন সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গী থাকে, যখন সংহত ও দীর্ঘস্হায়ী উন্নয়ণ হয়।আজ আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি, যেখানে নীতিনির্ভর প্রশাসন কর্মমুখী, সরকার দায়বদ্ধএবং গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণঋদ্ধ।

আমরা ‘ নতুন ভারত ’ গড়ে তুলতে দেশে একটি ‘ স্বচ্ছবাস্তুতন্ত্র ’ গড়ে তুলেছি, যা যথাসম্ভব সরকারিতন্ত্র আশ্রিত। এর জন্য নিয়মগুলিকে সহজ করে তোলা হচ্ছে, প্রক্রিয়াগুলিকে সরল করেতোলা হচ্ছে, যেখানে আইন বদলানোর প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে সেখানে আইনেও পরিবর্তন আনাহচ্ছে। যেখানে কোনও আইন সমাপ্ত করার প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে সেই কালবাহ্য আইনগুলিবাতিল করা হচ্ছে।

এখানেউপস্হিত কেউ কেউ হয়তো জানেন যে বিগত সাড়ে তিন বছরে আমরা প্রায় ১৪০০টি পরস্পরবিরোধী কালবাহ্য আইন বাতিল করতে পেরেছি। নতুন প্রণীত আইনগুলি যাতে জটিল না হয়,ব্যবস্হাকে সরলীকৃত করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। সরকারি প্রক্রিয়াসমূহের সঙ্গেহিউম্যান টু হিউম্যান ইন্টারফেস যত হ্রাস করা যায়- সেটা আমরা করছি। তা সে শ্রম আইনহোক, কর প্রদান সুনিশ্চিতকরণ হোক, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্তপ্রক্রিয়া সরলীকরণ করছি।

বন্ধুগণ,আমরা বিশ্বাস করি যে, সম্ভাবনা + নীতি + পরিকল্পনা + সম্পাদনইআমাদের প্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারে।

এইভাবনার ফল হল যে আজ জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের গতি, নতুন রেল লাইন নির্মাণের গতি,রেললাইনের উপর দিয়ে বৈদ্যুতিকরণের গতি, গৃহহীনদের জন্য সরকার দ্বারা গৃহনির্মাণেরগতি, বন্দরগুলির মাল ওঠানো নামানোর ক্ষমতা, সৌর শক্তির ক্ষমতা সংযুক্তিকরণের গতি,আগের তুলনায়, আমি আরও ৫০টি জিনিসের নাম নিতে পারি, আগের তুলনায় দু গুন কিম্বাতিনগুণ গতি সম্পাদিত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,আমরা একদিকে সঙ্গতি ও সংস্হানসমূহের সর্বাপেক্ষা অনুকূল ব্যবহার সুনিশ্চিত করেছি,অন্যদিকে সঙ্গতি ও সংস্হান নির্ভর উন্নয়ন নীতিসমূহের দিকে এগিয়ে গেছি, আর উন্নয়ননীতিভিত্তিক বাজেটে জোর দিচ্ছি। বিগত তিন-চার বছরে আমাদের সরকার বাজেটে যে সংস্কারকরেছে, বাজেট সংশ্লিষ্ট চিন্তাভাবনার পরিবর্তন এনেছে, তা গোটা দেশে এক নতুনকর্মসংস্কৃতিই শুধু বিকশিত করছে না, সামাজিক-আর্থিক জীবনকেও পাল্টে দিচ্ছে।

রেলবাজেট এখন সাধারণ বাজেটের অংশ হয়ে উঠেছে। আগে বাজেটে পরিকল্পিত এবং পরিকল্পনাবহির্ভূত কৃত্রিম যে দেওয়াল ছিল, আমরা সেটা বিলীন করে দিয়েছি। বাজেটের সময় ও বদলেএকমাস আগে করে দিয়েছি। এই সমস্ত সিদ্ধান্তের ফলে এখন বাজেটে বরাদ্দ অর্থ এখনবিভাগগুলির কাছে সময়ের আগেই পৌঁছে যায়। প্রকল্পগুলি নিয়ে কাজ করতে বিভাগগুলি এখনবেশি সময় পায়। আগে টাকা পেতে দেরি হলে বর্ষার জন্য কাজ শুরু করেও বর্ষার জন্যকাজের গতি শ্লথ হয়ে যেত, তার প্রভাবও এখন অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।

সরকারযেসব কাঠামোগত পরিবর্তন এনেছে, নীতি মধ্যস্হতা বা হস্তক্ষেপ করেছে, তার লাভ দেশেরকৃষক, গরিব, দলিত পিছিয়ে পড়া আর সমাজের বঞ্চিত মানুষদের কাছে পৌঁছেছে। তাদের কথাভেবে প্রত্যেক বাজেটে তাদের স্বার্থরক্ষা করা হয়েছে, পুনস্হাপিত করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,আমাদের বাজেট শুধু ব্যয়বরাদ্দে সীমাবদ্ধ থাকে না, শুধু উ ৎ পাদনেসীমাবদ্ধ থাকে না, আমাদের বাজেটে সামগ্রিক পরিণতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আমরা২০২২-এর মধ্যে সকলের জন্য গৃহ, ২০১৯-এর মধ্যে সকলের জন্য বিদ্যু ৎ- এ ধরণের লক্ষ্য স্হির করেগোড়া থেকেই কাজ করছি।

এই বছরের বাজেটে সবার জন্যনির্মল জ্বালানি, সকলের জন্য স্বাস্হ্য, এই দুই ধারণা নিয়ে কাজের গতি বাড়িয়েছি।আমরা উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গরিব পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সংযোগদেওয়ার লক্ষ্যে ৫ কোটি পরিবার থেকে বাড়িয়ে ৮ কোটি পরিবার করে দিয়েছি। ভারতে মোটপরিবারের সংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। তার মধ্যে ৮ কোটি পরিবার বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসসংযোগ পাচ্ছে।

এগুলি নিছকই কিছু প্রকল্পনয়, এগুলি দেখার যে আমরা কোন পথে এগিয়ে চলেছি। দেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতমব্যক্তিদের সামাজিক-আর্থিক কল্যাণ, তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ-এরএই দর্শনকে আপনার হয়তো আমাদের বাজেটের মূল ভিত্তি হিসেবে অনুভব করছেন।

জনধন যোজনা, স্বচ্ছ ভারতমিশন, স্কিল ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া মুদ্রা যোজনা, স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া-স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার মতো অনেক অসংখ্য প্রকল্প দেশের গরিব, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তসমাজের নবীনদের, মহিলাদের ক্ষমতায়ন করছে।

বন্ধুগণ, আমরা স্বাস্হ্যপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যে বৃহৎ উদ্যোগ ঘোষণা করেছি, তা আমাদের প্রতি বিশ্ববাসীরদৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এখানে বড় বড় কর্পোরেট হাউসের মানুষেরা রয়েছেন, তাদেরম্যানেজমেন্ট রয়েছেন। আপনারা জানেন যে বেসরকারি কোম্পানির কোন বেতনক্রমেরকর্মচারিরা তাদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্হ্যবিমার সুবিধা পান। সাধারণতঃযাদের মাসিক বেতন ৬০-৭০ হাজার থেকে এক-দেড় লক্ষ টাকা- তাঁদের পরিবারই এই সুবিধাপায়।

আমাদের সরকার দেশের দরিদ্র পরিবারেরযে কোনও সদস্যের চিকিৎসার জন্য বছরে ৫ লক্ষ টাকা বিমার ব্যবস্হা করছে ‘ আয়ুষ্মান ভারত ’ প্রকল্পের মাধ্যমে। আর প্রায় ১০ কোটি পরিবার বা ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ এই সুবিধাপাবেন। এই প্রকল্প সাধারণ মানুষকে কঠিন রোগের কারণে দ্বিগুণ আর্থিক সংকট থেকেবাঁচাবে। ‘ আয়ুষ্মান ভারত যোজনা ’ র মাধ্যমে আমরা দেশের বড় পঞ্চায়েতগুলিতে দেড় লক্ষ ‘ ওয়েলনেস সেন্টার ’ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনারা ভাবতে পারেন যে এই সিদ্ধান্ত দেশের স্বাস্হ্যপরিষেবা ব্যবস্হাকে কিভাবে বদলে দেবে ! এইপ্রকল্প দেশে সুলভ স্বাস্হ্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠান, নতুন চিকি ৎ সক,নতুন প্যারা- মেডিক্যাল স্টাফ, স্বাস্হ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেরজন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে।

দেশেশিক্ষা পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা একটি নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী চারবছরের মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্হাকে শুধরানোর জন্য এক লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পগড়ে তুলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

এভাবেইনবীনদের স্ব-রোজগার আর বিশেষ করে এমএসএমই ক্ষেত্রে কর্মরত শিল্পোদোগীদের উ ৎসাহ দেওয়ার জন্য আমরামুদ্রা যোজনার পরিধি বৃদ্ধি করছি। যখন থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে, তখন থেকে আজপর্যন্ত আমরা প্রায় সাড়ে দশ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছি। কোনওরকম গ্যারান্টিছাড়াই ইতিমধ্যে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এ বছর বাজেটেওআমরা ৩ লক্ষ কোটি টাকা মুদ্রা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এভাবে ভিন্ন ভিন্ন মিশন,সেক্টরের কথা উল্লেখ করলেও, আমরা কৃষি ও গ্রামীন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ১৪ লক্ষকোটি টাকারও বেশি খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই টাকা কৃষি সংক্রান্ত নানা কাজে খরচহবে, এর দ্বারা গ্রামগুলিতে ৩ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি পাকা রাস্তা নির্মিত হবে। ৫১লক্ষ নতুন বাড়ি বানানো হবে, প্রায় দুই কোটি শৌচালয় নির্মিত হবে, পৌনে ২ কোটিদরিদ্র পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।

এই সকল প্রচেষ্টা কৃষি উৎপাদনবৃদ্ধির পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ গ্রামীন কর্মসংস্হানের ব্যবস্হা গড়ে তুলবে। এ বছরআমরা দেশের পরিকাঠামো নির্মাণে লক্ষ কোটি টাকারও অধিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি। নতুনসেতু, নতুন সড়ক, নতুন মেট্রো, নতুন বিমানবন্দর, মুম্বাইয়ের মতো অধিকাংশ নগরীরঅধিকাংশ মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আমরা কাজ করেযাচ্ছি।

বন্ধুগণ, আজকের এই গ্লোবালওয়ার্ল্ড-এ, সংহতিনাশ আর অসন্তোষের এই অসমঞ্জস্য সময়ে আমাদের বর্তমানের সঙ্গেইভবিষ্যতের প্রয়োজনগুলি দেখে সামনের পথ নির্মাণ করতে হবে, আর তা করতে হবে সবাইমিলেমিশে। যখন আমরা সবাই দেশের প্রয়োজনগুলি বুঝে কাজ করবো, দেশের মানুষেরপ্রত্যাশাগুলি বুঝে কাজ করবো, তখনই আমাদের নতুন ভারতের সংকল্পও বাস্তবায়িত করতেপারবো। তবে আমরা ভারতের বিশাল জনসংখ্যার বৈচিত্র্যময়তার সঙ্গে ন্যায় করতে পারবো।

আমার আশা যে মহারাষ্ট্রসরকার এই সরকারের আমলাতন্ত্র, এই রাজ্যের কোটি কোটি নাগরিক, নির্দিষ্ট সময়সীমারআগেই নিজের নিজের সংকল্পে সিদ্ধকাম হতে পারবে।

অবশেষে চুম্বকীয়মহারাষ্ট্রের অনন্য সাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন জনগণকে, এ রাজ্যের পরিশ্রমী মানুষদের,ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। আরেকবার এইসমারোহে উপস্হিত সকলকে, আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানাই। দেশ ও বিশ্বের নানা স্হান থেকেআগত সম্মানিত অতিথিদের আশ্বস্ত করতে চাই যে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকারগুলিরসঙ্গে মিলেমিশে দেশের উন্নয়নে সংকল্পবদ্ধ। আমরা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ছয় ভাগের একভাগ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের কল্যাণসাধনে বিশ্বের কল্যাণসাধন কতটা ত্বরান্বিত হবেতা আপনারা ভালভাবে কল্পনা করতে পারেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to participate in ‘Odisha Parba 2024’ on 24 November
November 24, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will participate in the ‘Odisha Parba 2024’ programme on 24 November at around 5:30 PM at Jawaharlal Nehru Stadium, New Delhi. He will also address the gathering on the occasion.

Odisha Parba is a flagship event conducted by Odia Samaj, a trust in New Delhi. Through it, they have been engaged in providing valuable support towards preservation and promotion of Odia heritage. Continuing with the tradition, this year Odisha Parba is being organised from 22nd to 24th November. It will showcase the rich heritage of Odisha displaying colourful cultural forms and will exhibit the vibrant social, cultural and political ethos of the State. A National Seminar or Conclave led by prominent experts and distinguished professionals across various domains will also be conducted.