দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি তথা বিনিয়োগকর্তা শ্রী নিখিল কামাথের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রথম পডকাস্টে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আজ আলোকপাত করেন। প্রধানমন্ত্রীর শৈশবকাল সম্পর্কে শ্রী কামাথের প্রশ্নের উত্তরে শ্রী মোদী তাঁর প্রথম শৈশবের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উত্তর গুজরাটের মেহসানা জেলার ভাদনগরের এক ছোট্ট শহরে কেটেছে তাঁর সেই শৈশবকাল। গায়কোয়াড রাজ্যের এই শহরটি শিক্ষা ও লেখাপড়ার জন্য সুপরিচিত ছিল। ছোট ছোট জলাশয়, ডাকঘর এমনকি, গ্রন্থাগারের মতো সুযোগ-সুবিধার সহাবস্থান ছিল সেখানে। গায়কোয়াড রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেটেছে তাঁর শৈশবের পঠনপাঠনের দিনগুলি। পরে তিনি ভগবতাচার্য নারায়ণাচার্য উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেন। এক সময় ভাদনগরে চিনা দার্শনিক জুয়ানজাং বেশ কয়েকটি বছর অতিবাহিত করেছিলেন। এ সম্পর্কে ঐ দার্শনিকের ওপর নির্মিত একটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে শ্রী মোদী চিনা দূতাবাসকে একটি চিঠি লিখেও পাঠিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হন, তখন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গুজরাট ও ভাদনগর সফরের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ছোট্ট শহরের সঙ্গে জুয়ানজাং-এর সময়কালের এক ঐতিহাসিক সূত্রের কথাও প্রকাশ করেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। ভারত ও চিন – এই দুটি দেশের মধ্যে মিলিত ঐতিহ্য এবং বলিষ্ঠ সম্পর্কের সংযোগসুত্র খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। 

 

এরপর প্রধানমন্ত্রী বিবৃত করেন তাঁর ছাত্র জীবনের প্রসঙ্গ।  তাঁর মতে, তিনি ছিলেন গড়পড়তা খুবই সাধারণ এক ছাত্র মাত্র। তবে, তাঁর শিক্ষক ভেলজিভাই চৌধুরী তাঁর মধ্যে বিশেষ সম্ভাবনা লক্ষ্য করে তাঁর ব্যক্তিগত আশা ও প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছিলেন শ্রী মোদীর পিতার কাছে। ভেলজিভাই বলেছিলেন যে নরেন্দ্র মোদী খুব সহজেই এবং দ্রুততার সঙ্গে যে কোন বিষয় আয়ত্ত করে নিতে পারেন কিন্তু পরে, তিনি ফিরে যান তাঁর নিজস্ব জগতে। তাঁর শিক্ষকরা যে তাঁর প্রতি খুবই স্নেহপ্রবণ ছিলেন, এদিনের পডকাস্টে সেটিরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, কোন বিষয়ে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে তিনি খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না বরং, কোনরকমভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াকেই পছন্দ করতেন তিনি। কিন্তু পঠনপাঠন ছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ ছিল তাঁর। নতুন নতুন বিষয় খুব সহজেই আয়ত্ত করে অন্যান্য নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন তিনি। 

শ্রী মোদী তাঁর জীবনের যাত্রাপথের একটি লেখচিত্রও এদিন প্রকাশ করেন তাঁর সাক্ষাৎকারে। তিনি জানান যে খুব অল্প বয়সেই তিনি গৃহত্যাগ করেছিলেন। ফলে, তাঁর পরিবার-পরিজন এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেননি। যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন, তখন তাঁর মধ্যে ইচ্ছা জেগেছিল তাঁর পুরনো সহপাঠীদের সঙ্গে আবার নতুনভাবে মিলিত হতে। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর ৩০-৩৫ জন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি উপলব্ধি করেন যে তাঁর সহপাঠী ও বন্ধুরা তাঁকে একজন পুরনো বন্ধু হিসাবে মেনে নেওয়ার পরিবর্তে একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে তাঁর শিক্ষকদের প্রকাশ্যে সম্মানিত করার এক বাসনারও উদ্রেক হয়েছিল তাঁর মনে। এই কারণে ৩০-৩২ জন শিক্ষককে সম্মানিত করার জন্য এক বিশেষ অনুষ্ঠানেরও তিনি আয়োজন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯৩ বছর বয়সী শিক্ষক রাসবিহারী মনিহারও উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। এছাড়াও, তাঁর দূর এবং নিকটের আত্মীয়-স্বজনদেরও তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁর বাসভবনে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার লক্ষ্যে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদস্য হিসেবে কাজ করার সময় যে সমস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি খাদ্যের যোগান পেতেন, তাঁদেরও আমন্ত্রণ জানান তিনি। এই চারটি ঘটনা তাঁর জীবনের বিশেষ কয়েকটি মুহূর্ত বলে এদিন স্মৃতিচারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে এইভাবেই তাঁর জীবনের সূচনা যেখানে ঘটেছিল, সেখানকার মানুষজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক বিশেষ সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।

 

|

প্রধানমন্ত্রী জানান যে কোন দর্শন বা দার্শনিকতাকে অনুসরণ না করে এবং পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার কথা চিন্তা না করে, পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ায় আগ্রহী ছিলেন তিনি। অন্যান্য বিভিন্ন কর্মপ্রচেষ্টার সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তিনি নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। খুব বেশি রকমের প্রস্তুতি না নিয়েও নাটক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন তিনি। শ্রী পারমার নামে শারীরশিক্ষার যে শিক্ষক তাঁকে নিয়মিত অনুশীলন করাতেন, তিনি তাঁকে কুস্তি চর্চার পরামর্শ দিতেন। কিন্তু, সকল রকম চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি কখনই পেশাগত দিক থেকে অ্যাথলিট হয়ে উঠতে পারেননি। তাই, সেই চেষ্টা থেকেও পরে তিনি বিরত হয়েছিলেন। 

রাজনীতির জগতে প্রখর বুদ্ধি ও মেধাসম্পন্ন একজন রাজনীতিবিদ কিভাবে হয়ে ওঠা যায়, সেই প্রশ্নের জবাবে শ্রী মোদী বলেন যে একজন রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা এবং রাজনীতিতে সাফল্য লাভ করা দুটি পৃথক বিষয়। নিষ্ঠা, অঙ্গীকার এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সহমর্মী হয়ে উঠতে পারলে রাজনীতিতে সাফল্য লাভ সম্ভব। একজন প্রভাবশালী নেতা হয়ে ওঠার পরিবর্তে দলের একজন ভালো সদস্য ও কর্মী হওয়াকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিষয়টি উত্থাপন করে শ্রী মোদী বলেন, অনেক ব্যক্তি মানুষই রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও স্বাধীনতার লক্ষ্যে সংগ্রাম করে গেছেন। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে অনেক নেতারই উদ্ভব ঘটেছিল আন্দোলনের সেই পথ অনুসরণ করেই। সমাজের প্রতি তাঁদের ছিল এক গভীর নিষ্ঠা ও ত্যাগের চেতনা। তাই, যাঁরা প্রকৃত সৎ মানুষ, তাঁদের রাজনীতির জগতে প্রবেশ করা উচিত একটি ব্রত বা সঙ্কল্প নিয়ে, কোন উচ্চাশা বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে নয়। মহাত্মা গান্ধীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে গান্ধীজির সমগ্র জীবনই ছিল তাঁর অখণ্ড বাণী যা সমগ্র জাতিকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছিল। শ্রী মোদী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, বাগ্মিতার পরিবর্তে সহজ ও সাধারণভাবে বক্তব্য পেশ করা অনেক বেশি কার্যকর। গান্ধীজি তাই তাঁর কাজ এবং প্রতীকী অবস্থানের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছিলেন তাঁর বলিষ্ঠ বার্তা। তাই, রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রকৃত সাফল্য আসে তখনই, যখন নিষ্ঠা ও যোগাযোগের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করা যায়। এজন্য রাজনৈতিক দিক থেকে পেশাদারি দক্ষতা বা বাগ্মিতার কোন প্রয়োজন হয় না। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সবচেয়ে বড় শিক্ষক হল তাঁর জীবন এবং তাঁর শৈশবকালের সমস্যাগুলিকে তিনি দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের বিশ্ববিদ্যালয় বলেই মনে করেন। তাঁর রাজ্যে মহিলাদের জীবনযাপনের কঠিন সংগ্রামের কথাও এদিন স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে জল সংগ্রহের জন্য তাঁদের অনেক অনেক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হত। এই ঘটনা স্বাধীনতা-উত্তরকালে তাঁকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল জলের যোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে। তিনি এমন অনেক স্বপ্নের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সঙ্কল্পবদ্ধ যা দেশবাসীর প্রভূত কল্যাণসাধন করবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কার্যকালের সময় থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় বিশ্বাসী তিনি। এজন্য ব্যক্তিগত কোন লাভের তিনি কোনদিনই প্রত্যাশা করেন না। ইচ্ছাকৃত কোন ভুলভ্রান্তিকে তিনি সর্বদাই এড়িয়ে চলতেন তবে, মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়। সদিচ্ছার সঙ্গে কাজ করে যেতে আগ্রহী ছিলেন তিনি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি একদা বলেছিলেন যে কঠোর পরিশ্রমকে তিনি কখনই এড়িয়ে যাবেন না এবং ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্যও তিনি কোনরকমভাবে লালায়িত নন। 

আদর্শবাদ এবং মতবাদের গুরুত্ব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তাঁর কাছে “জাতিই সর্বাগ্রে”। তিনি বলেন, এই মতবাদ যে কোন প্রথাগত এবং মতবাদ সংক্রান্ত সীমাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে, নতুন নতুন চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি, জাতির স্বার্থে পুরনো চিন্তাভাবনাকে বাদ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু তাঁর কাছে কর্মপ্রচেষ্টার প্রতিটি ক্ষেত্রে “জাতিই হল সর্বাগ্রে”। সফল ও কার্যকর রাজনৈতিক প্রচেষ্টায় আদর্শবাদ যে মতবাদের ঊর্ধ্বে, একথাও আজ স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মতবাদ প্রয়োজন একথা অনস্বীকার্য, কিন্তু রাজনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টাকে যদি অর্থবহ করে তুলতে হয়, তাহলে আদর্শবাদ ছাড়া গত্যন্তর নেই। এই প্রসঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে সেখানে পৃথক পৃথক মতবাদ যুক্তভাবে স্বাধীনতার এক সাধারণ লক্ষ্যে চালিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অভিযোগ যেমন মেনে নেওয়া প্রয়োজন, সেই অভিযোগ প্রয়োজনে খণ্ডন করাও জরুরি হয়ে পড়ে। তবে, কেউ যদি সঠিক ও নির্ভুলভাবে কাজ করে যান, তাহলে তাঁর উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না। 

 

|

সমাজমাধ্যমের আগে ও পরে – এই প্রসঙ্গের অবতারণা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন সম্ভব করে তোলার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া বা সমাজমাধ্যমের ভূমিকা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে কয়েকটি মাত্র সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যেত। কিন্তু বর্তমানে ঘটনার সত্যাসত্য মানুষ যাচাই করে দেখতে পারেন বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে। সেই কারণে সোশ্যাল মিডিয়া গণতন্ত্রের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষ প্রকৃত সত্য জানার জন্য তথ্যকে যাচাই বা পরীক্ষা করে নিতে পারেন। বিশেষত, বর্তমান যুব সমাজ সক্রিয়ভাবে যুক্ত সমাজমাধ্যমের সঙ্গে। চন্দ্রায়ন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের যুব সমাজ নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। সেদিক থেকে নতুন প্রজন্মের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া হয়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী মঞ্চবিশেষ। প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিনগুলির কথা স্মরণ করে বলেন যে সমালোচনা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ খুবই সাধারণ বিষয় যার অস্তিত্ব ছিল সমাজমাধ্যমের উদ্ভব হওয়ার অনেক আগে থেকেই। তবে, বর্তমানে এতগুলি মঞ্চ তৈরি হয়েছে যার মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও তা যাচাই বা পরীক্ষা করে নেওয়ার মতো সুযোগ-সুবিধাও আজ অনেকটাই প্রসারিত। এইভাবেই গণতন্ত্র তথা দেশের যুব সমাজের ক্ষমতায়নে সমাজমাধ্যম এক শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে চলেছে। 

উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে প্রত্যেক ব্যক্তি মানুষই এর শিকার। এমনকি তিনি নিজেও অনেক সময়েই উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে, সেই উদ্বেগ বা উৎকন্ঠাকে কিভাবে প্রশমিত করা যায়, তা ব্যক্তিবিশেষের ওপরই নির্ভর করে। এ প্রসঙ্গে ২০০২-এর গুজরাট নির্বাচন এবং গোধরা দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সময়কালটি ছিল যথেষ্ট কঠিন। তবে, তিনি তাঁর আবেগ ও উৎকন্ঠাকে সংযত রেখে অনেক কাজ করতে পেরেছিলেন। দেশের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাবিধি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেন যে তাঁদের উচিত নিত্যনৈমিত্তিক একটি কাজ হিসেবে পরীক্ষাকে দেখা। তার ফলে অতিরিক্ত চাপ নিঃসন্দেহে কমতে বাধ্য। সাফল্য বা ব্যর্থতাকে তিনি নিজে কোনদিনই আমল দিতেন না বরং, তাঁর দায়িত্ব পালনের প্রতি সর্বদাই তিনি একনিষ্ঠ থেকেছেন। তবে, ব্যর্থতা থেকে আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষণীয় রয়েছে।  চন্দ্রায়ন-২ অভিযানের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে নিজে দায়িত্ব নিয়ে বিজ্ঞানীদের নিরাশ না হওয়ার জন্য উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। একইভাবে, রাজনীতিতেও ঝুঁকি নেওয়া প্রয়োজন। তাই তরুণ ও যুব নেতাদের তিনি দেশের জন্য কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজনীতির শুদ্ধিকরণের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রয়োজন সৎ ব্যক্তিদের রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশের জন্য উৎসাহ যোগানো। কারণ, তার মাধ্যমেই রাজনীতিকে একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে তুলে ধরা যায়। ভারতের সাফল্য বা ব্যর্থতা উভয়েই যে দেশের যুব নেতাদের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে, একথাও আজ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে কোনরকম ভয় বা ভ্রান্তির শিকার না হয়ে এবং কোনরকম ব্যক্তিগত লাভের মুখাপেক্ষী না থেকে তাঁদের উচিত গণতান্ত্রিক মর্যাদাকে সকল সময়েই ঊর্ধ্বে রাখা। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এক শ্রেণীর রাজনীতিক রাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করে তুলেছেন। তাই, সময়ে সময়ে রাজনীতি একটি নোংরা জায়গা বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে সমস্ত মানুষ আদর্শ অনুসরণ করে থাকেন, তাঁদের জন্য কিন্তু রাজনীতি হল সঠিক জায়গা। 

ভারত সম্পর্কে বিশ্ববাসীর ধারণা ও আশা যে অনেকটাই মূর্ত হয়ে উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তাঁর একার চেষ্টায় নয়, সমষ্টিগতভাবে সকল ভারতীয়ই এর সাফল্য দাবি করতে পারেন। যে সমস্ত ভারতীয় বিদেশ ভ্রমণ  করেন, তাঁরা সকলেই হলেন ভারতেরই প্রতিনিধি। তাই দেশের ভাবমূর্তিকে উন্নত করে তোলার পেছনে তাঁদেরও অবদান রয়েছে যথেষ্ট। শিল্প প্রচেষ্টা এবং রাজনীতি – উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব রয়েছে। শান্তি প্রচেষ্টায় ভারতের ভূমিকা আজ বিশ্ববাসী স্বীকার করে নিয়েছে। ফলে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কেও কোনরকম প্রশ্ন উঠতে পারে না। এইভাবেই অন্যান্য দেশের ভারত সম্পর্কে আস্থার মনোভাব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

 

|

প্রধানামন্ত্রী তাঁর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানান যে খাদ্যের ব্যাপারে তাঁর পছন্দ-অপছন্দ, কোন কিছুকেই তিনি গুরুত্ব দেন না, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর সফরকালে যে খাদ্যই তাঁকে দেওয়া হোক না কেন, তাতে তাঁর কোন আপত্তি থাকে না। 

দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মেয়াদকালের মধ্যে পার্থক্য প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে ভারতের উন্নয়নে তিনি বরাবরই আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদকালে তিনি এবং দেশের জনসাধারণ পরস্পরকে বোঝার চেষ্টা করে গেছেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় মেয়াদকালে তিনি অতীতের সাফল্যগুলি পর্যালোচনা করে নতুন নতুন লক্ষ্য স্থির করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তবে তৃতীয় মেয়াদকালে তাঁর কাজের পরিধি আরও বিস্তৃত হয়েছে। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে এক নতুন ভারত গঠনের কাজে তিনি শুধু স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, একইসঙ্গে দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ। সামাজিক ন্যায় ও ধর্ম নিরপেক্ষতার গুরুত্ব প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে কোনরকম বৈষম্যকে দানা বাঁধতে না দিয়ে বরং সকল রকম সুযোগ-সুবিধা যাতে প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে যায়, তা নিশ্চিত করতে তিনি আগ্রহী। 

 

সাক্ষাৎকারের অন্তিম পর্বে প্রধানমন্ত্রী দেশের যুব ও নারী সমাজের উদ্দেশে এক বিশেষ বার্তাও পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় তথা আঞ্চলিক প্রশাসনে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা গ্রহণ করার জন্য তিনি বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন দেশের অল্পবয়সী মহিলাদের। এমনকি, এই সমস্ত কাজে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিধানসভা এবং সংসদে মহিলাদের জন্য প্রস্তাবিত ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের কথাও এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন তিনি। তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে যেন তাঁরা রাজনীতিকে বিচার না করেন বরং, দেশসেবার কাজে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে তাঁরা যেন জনজীবনের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেন। কারণ, তাঁদের লক্ষ্য হবে জাতির অগ্রগতি ও উন্নয়ন। আগামী ২০৪৭ সালের উন্নত ভারতে তাঁরাই দেশকে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে চালিত করতে পারবেন।

 

|

প্রধানামন্ত্রী তাঁর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানান যে খাদ্যের ব্যাপারে তাঁর পছন্দ-অপছন্দ, কোন কিছুকেই তিনি গুরুত্ব দেন না, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর সফরকালে যে খাদ্যই তাঁকে দেওয়া হোক না কেন, তাতে তাঁর কোন আপত্তি থাকে না। 

দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মেয়াদকালের মধ্যে পার্থক্য প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে ভারতের উন্নয়নে তিনি বরাবরই আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদকালে তিনি এবং দেশের জনসাধারণ পরস্পরকে বোঝার চেষ্টা করে গেছেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় মেয়াদকালে তিনি অতীতের সাফল্যগুলি পর্যালোচনা করে নতুন নতুন লক্ষ্য স্থির করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তবে তৃতীয় মেয়াদকালে তাঁর কাজের পরিধি আরও বিস্তৃত হয়েছে। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে এক নতুন ভারত গঠনের কাজে তিনি শুধু স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, একইসঙ্গে দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ। সামাজিক ন্যায় ও ধর্ম নিরপেক্ষতার গুরুত্ব প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে কোনরকম বৈষম্যকে দানা বাঁধতে না দিয়ে বরং সকল রকম সুযোগ-সুবিধা যাতে প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে যায়, তা নিশ্চিত করতে তিনি আগ্রহী। 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সবচেয়ে বড় শিক্ষক হল তাঁর জীবন এবং তাঁর শৈশবকালের সমস্যাগুলিকে তিনি দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের বিশ্ববিদ্যালয় বলেই মনে করেন। তাঁর রাজ্যে মহিলাদের জীবনযাপনের কঠিন সংগ্রামের কথাও এদিন স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে জল সংগ্রহের জন্য তাঁদের অনেক অনেক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হত। এই ঘটনা স্বাধীনতা-উত্তরকালে তাঁকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল জলের যোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে। তিনি এমন অনেক স্বপ্নের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সঙ্কল্পবদ্ধ যা দেশবাসীর প্রভূত কল্যাণসাধন করবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কার্যকালের সময় থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় বিশ্বাসী তিনি। এজন্য ব্যক্তিগত কোন লাভের তিনি কোনদিনই প্রত্যাশা করেন না। ইচ্ছাকৃত কোন ভুলভ্রান্তিকে তিনি সর্বদাই এড়িয়ে চলতেন তবে, মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়। সদিচ্ছার সঙ্গে কাজ করে যেতে আগ্রহী ছিলেন তিনি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি একদা বলেছিলেন যে কঠোর পরিশ্রমকে তিনি কখনই এড়িয়ে যাবেন না এবং ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্যও তিনি কোনরকমভাবে লালায়িত নন। 

আদর্শবাদ এবং মতবাদের গুরুত্ব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তাঁর কাছে “জাতিই সর্বাগ্রে”। তিনি বলেন, এই মতবাদ যে কোন প্রথাগত এবং মতবাদ সংক্রান্ত সীমাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে, নতুন নতুন চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি, জাতির স্বার্থে পুরনো চিন্তাভাবনাকে বাদ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু তাঁর কাছে কর্মপ্রচেষ্টার প্রতিটি ক্ষেত্রে “জাতিই হল সর্বাগ্রে”। সফল ও কার্যকর রাজনৈতিক প্রচেষ্টায় আদর্শবাদ যে মতবাদের ঊর্ধ্বে, একথাও আজ স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মতবাদ প্রয়োজন একথা অনস্বীকার্য, কিন্তু রাজনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টাকে যদি অর্থবহ করে তুলতে হয়, তাহলে আদর্শবাদ ছাড়া গত্যন্তর নেই। এই প্রসঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে সেখানে পৃথক পৃথক মতবাদ যুক্তভাবে স্বাধীনতার এক সাধারণ লক্ষ্যে চালিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অভিযোগ যেমন মেনে নেওয়া প্রয়োজন, সেই অভিযোগ প্রয়োজনে খণ্ডন করাও জরুরি হয়ে পড়ে। তবে, কেউ যদি সঠিক ও নির্ভুলভাবে কাজ করে যান, তাহলে তাঁর উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না। 

 

|

সমাজমাধ্যমের আগে ও পরে – এই প্রসঙ্গের অবতারণা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন সম্ভব করে তোলার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া বা সমাজমাধ্যমের ভূমিকা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে কয়েকটি মাত্র সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যেত। কিন্তু বর্তমানে ঘটনার সত্যাসত্য মানুষ যাচাই করে দেখতে পারেন বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে। সেই কারণে সোশ্যাল মিডিয়া গণতন্ত্রের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষ প্রকৃত সত্য জানার জন্য তথ্যকে যাচাই বা পরীক্ষা করে নিতে পারেন। বিশেষত, বর্তমান যুব সমাজ সক্রিয়ভাবে যুক্ত সমাজমাধ্যমের সঙ্গে। চন্দ্রায়ন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের যুব সমাজ নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। সেদিক থেকে নতুন প্রজন্মের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া হয়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী মঞ্চবিশেষ। প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিনগুলির কথা স্মরণ করে বলেন যে সমালোচনা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ খুবই সাধারণ বিষয় যার অস্তিত্ব ছিল সমাজমাধ্যমের উদ্ভব হওয়ার অনেক আগে থেকেই। তবে, বর্তমানে এতগুলি মঞ্চ তৈরি হয়েছে যার মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও তা যাচাই বা পরীক্ষা করে নেওয়ার মতো সুযোগ-সুবিধাও আজ অনেকটাই প্রসারিত। এইভাবেই গণতন্ত্র তথা দেশের যুব সমাজের ক্ষমতায়নে সমাজমাধ্যম এক শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে চলেছে। 

উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে প্রত্যেক ব্যক্তি মানুষই এর শিকার। এমনকি তিনি নিজেও অনেক সময়েই উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে, সেই উদ্বেগ বা উৎকন্ঠাকে কিভাবে প্রশমিত করা যায়, তা ব্যক্তিবিশেষের ওপরই নির্ভর করে। এ প্রসঙ্গে ২০০২-এর গুজরাট নির্বাচন এবং গোধরা দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সময়কালটি ছিল যথেষ্ট কঠিন। তবে, তিনি তাঁর আবেগ ও উৎকন্ঠাকে সংযত রেখে অনেক কাজ করতে পেরেছিলেন। দেশের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাবিধি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেন যে তাঁদের উচিত নিত্যনৈমিত্তিক একটি কাজ হিসেবে পরীক্ষাকে দেখা। তার ফলে অতিরিক্ত চাপ নিঃসন্দেহে কমতে বাধ্য। সাফল্য বা ব্যর্থতাকে তিনি নিজে কোনদিনই আমল দিতেন না বরং, তাঁর দায়িত্ব পালনের প্রতি সর্বদাই তিনি একনিষ্ঠ থেকেছেন। তবে, ব্যর্থতা থেকে আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষণীয় রয়েছে।  চন্দ্রায়ন-২ অভিযানের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে নিজে দায়িত্ব নিয়ে বিজ্ঞানীদের নিরাশ না হওয়ার জন্য উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। একইভাবে, রাজনীতিতেও ঝুঁকি নেওয়া প্রয়োজন। তাই তরুণ ও যুব নেতাদের তিনি দেশের জন্য কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজনীতির শুদ্ধিকরণের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রয়োজন সৎ ব্যক্তিদের রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশের জন্য উৎসাহ যোগানো। কারণ, তার মাধ্যমেই রাজনীতিকে একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে তুলে ধরা যায়। ভারতের সাফল্য বা ব্যর্থতা উভয়েই যে দেশের যুব নেতাদের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে, একথাও আজ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে কোনরকম ভয় বা ভ্রান্তির শিকার না হয়ে এবং কোনরকম ব্যক্তিগত লাভের মুখাপেক্ষী না থেকে তাঁদের উচিত গণতান্ত্রিক মর্যাদাকে সকল সময়েই ঊর্ধ্বে রাখা। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এক শ্রেণীর রাজনীতিক রাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করে তুলেছেন। তাই, সময়ে সময়ে রাজনীতি একটি নোংরা জায়গা বলে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যে সমস্ত মানুষ আদর্শ অনুসরণ করে থাকেন, তাঁদের জন্য কিন্তু রাজনীতি হল সঠিক জায়গা। 

ভারত সম্পর্কে বিশ্ববাসীর ধারণা ও আশা যে অনেকটাই মূর্ত হয়ে উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তাঁর একার চেষ্টায় নয়, সমষ্টিগতভাবে সকল ভারতীয়ই এর সাফল্য দাবি করতে পারেন। যে সমস্ত ভারতীয় বিদেশ ভ্রমণ  করেন, তাঁরা সকলেই হলেন ভারতেরই প্রতিনিধি। তাই দেশের ভাবমূর্তিকে উন্নত করে তোলার পেছনে তাঁদেরও অবদান রয়েছে যথেষ্ট। শিল্প প্রচেষ্টা এবং রাজনীতি – উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব রয়েছে। শান্তি প্রচেষ্টায় ভারতের ভূমিকা আজ বিশ্ববাসী স্বীকার করে নিয়েছে। ফলে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কেও কোনরকম প্রশ্ন উঠতে পারে না। এইভাবেই অন্যান্য দেশের ভারত সম্পর্কে আস্থার মনোভাব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

প্রধানামন্ত্রী তাঁর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানান যে খাদ্যের ব্যাপারে তাঁর পছন্দ-অপছন্দ, কোন কিছুকেই তিনি গুরুত্ব দেন না, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর সফরকালে যে খাদ্যই তাঁকে দেওয়া হোক না কেন, তাতে তাঁর কোন আপত্তি থাকে না। 

দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মেয়াদকালের মধ্যে পার্থক্য প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে ভারতের উন্নয়নে তিনি বরাবরই আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদকালে তিনি এবং দেশের জনসাধারণ পরস্পরকে বোঝার চেষ্টা করে গেছেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় মেয়াদকালে তিনি অতীতের সাফল্যগুলি পর্যালোচনা করে নতুন নতুন লক্ষ্য স্থির করার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তবে তৃতীয় মেয়াদকালে তাঁর কাজের পরিধি আরও বিস্তৃত হয়েছে। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে এক নতুন ভারত গঠনের কাজে তিনি শুধু স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, একইসঙ্গে দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ। সামাজিক ন্যায় ও ধর্ম নিরপেক্ষতার গুরুত্ব প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন যে কোনরকম বৈষম্যকে দানা বাঁধতে না দিয়ে বরং সকল রকম সুযোগ-সুবিধা যাতে প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে যায়, তা নিশ্চিত করতে তিনি আগ্রহী। 

 

সাক্ষাৎকারের অন্তিম পর্বে প্রধানমন্ত্রী দেশের যুব ও নারী সমাজের উদ্দেশে এক বিশেষ বার্তাও পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় তথা আঞ্চলিক প্রশাসনে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা গ্রহণ করার জন্য তিনি বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন দেশের অল্পবয়সী মহিলাদের। এমনকি, এই সমস্ত কাজে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিধানসভা এবং সংসদে মহিলাদের জন্য প্রস্তাবিত ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের কথাও এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন তিনি। তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে যেন তাঁরা রাজনীতিকে বিচার না করেন বরং, দেশসেবার কাজে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে তাঁরা যেন জনজীবনের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেন। কারণ, তাঁদের লক্ষ্য হবে জাতির অগ্রগতি ও উন্নয়ন। আগামী ২০৪৭ সালের উন্নত ভারতে তাঁরাই দেশকে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে চালিত করতে পারবেন।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

  • Debabrata Khanra_IT March 28, 2025

    jay shree ram 🥰
  • Achary pramod chaubey obra sonebhadra March 25, 2025

    श्री सीताराम की जय हो
  • Preetam Gupta Raja March 22, 2025

    जय श्री राम
  • Prasanth reddi March 21, 2025

    జై బీజేపీ జై మోడీజీ 🪷🪷🙏
  • Jitendra Kumar March 16, 2025

    🙏🇮🇳
  • கார்த்திக் March 15, 2025

    Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🙏Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🚩Jai Shree Ram🙏🏻
  • Gurivireddy Gowkanapalli March 15, 2025

    jaisriram
  • अमित प्रेमजी | Amit Premji March 03, 2025

    nice👍
  • रीना चौरसिया February 24, 2025

    jai shree ram
  • kranthi modi February 22, 2025

    jai sri ram 🚩
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Apple India produces $22 billion of iPhones in a shift from China

Media Coverage

Apple India produces $22 billion of iPhones in a shift from China
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles the loss of lives in a factory mishap in Anakapalli district of Andhra Pradesh
April 13, 2025
QuotePM announces ex-gratia from PMNRF

Prime Minister Shri Narendra Modi today condoled the loss of lives in a factory mishap in Anakapalli district of Andhra Pradesh. He announced an ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF for the next of kin of each deceased and Rs. 50,000 to the injured.

The Prime Minister’s Office handle in post on X said:

“Deeply saddened by the loss of lives in a factory mishap in Anakapalli district of Andhra Pradesh. Condolences to those who have lost their loved ones. May the injured recover soon. The local administration is assisting those affected.

An ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF would be given to the next of kin of each deceased. The injured would be given Rs. 50,000: PM @narendramodi”

"ఆంధ్రప్రదేశ్ లోని అనకాపల్లి జిల్లా ఫ్యాక్టరీ ప్రమాదంలో జరిగిన ప్రాణనష్టం అత్యంత బాధాకరం. ఈ ప్రమాదంలో తమ ఆత్మీయులను కోల్పోయిన వారికి ప్రగాఢ సానుభూతి తెలియజేస్తున్నాను. క్షతగాత్రులు త్వరగా కోలుకోవాలని ప్రార్థిస్తున్నాను. స్థానిక యంత్రాంగం బాధితులకు సహకారం అందజేస్తోంది. ఈ ప్రమాదంలో మరణించిన వారి కుటుంబాలకు పి.ఎం.ఎన్.ఆర్.ఎఫ్. నుంచి రూ. 2 లక్షలు ఎక్స్ గ్రేషియా, గాయపడిన వారికి రూ. 50,000 అందజేయడం జరుగుతుంది : PM@narendramodi"