রাষ্ট্রপতি জোসেফ আর বাইডেন আজ হোয়াইট হাউজে মুখোমুখি বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানান। বিশ্বের দুই বৃহৎ গণতন্ত্রের মধ্যে অংশীদারিত্বের এক নতুন যুগের সূচনা করতে এবং নিজেদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নবীকরণে দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক।

দুই দেশের নেতৃবৃন্দ মার্কিন-ভারত সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে এক স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছেন। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব, আসিয়ান ও কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি সহ আঞ্চলিক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল এবং অন্যত্র অভিন্ন স্বার্থের প্রসারে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে। এই দুই দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের এমন এক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে যা উভয় দেশের মানুষকে সমৃদ্ধ করবে। কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই শেষ করে অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রয়াসকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলিকে আরও সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে হবে। সেইসঙ্গে, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গত এক বছর ধরে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রশংসা করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একে অপরের দেশে প্রয়োজনের সময় আপৎকালীন ত্রাণ সহায়তার সংস্থান করে সরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়িক মহল এবং প্রবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেছেন। দেশে ও বিদেশে নিজেদের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য লক্ষ লক্ষ টিকার ডোজ দিয়ে দুই রাষ্ট্রই মহামারীর অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক প্রয়াসগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ। কোভ্যাক্স সহ কোভিড-১৯ টিকা রপ্তানির ব্যাপারে ভারতের ঘোষণাকে রাষ্ট্রপতি বাইডেন স্বাগত জানান। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কুপ্রভাব সৃষ্টিকারী মহামারীর মতো বিষয়গুলিতে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে স্বাস্থ্য ও জৈব চিকিৎসা-বিজ্ঞান ক্ষেত্রে সমঝোতাপত্র চূড়ান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে দুই নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মহামারীর অবসান ঘটাতে এবং পরবর্তী মহামারীর প্রেক্ষিতে আগাম প্রস্তুত হতে বিশ্ব কোভিড-১৯ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি বাইডেন নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে স্বাগত জানান। এর থেকেই কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে দুই দেশের অভিন্ন অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী জলবায়ু পরিবর্তন সহ প্যারিস চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় ফিরে যাওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতি বাইডেন ভারতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রয়াসে সাহায্যের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের গুরুত্ব সহ লক্ষ লক্ষ ভারতীয় পরিবারে দূষণমুক্ত ও নির্ভরযোগ্য শক্তি সরবরাহে গ্রিড পরিকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টিও অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। মার্কিন-ভারত জলবায়ু ও পরিচ্ছন্ন শক্তি কর্মসূচি, ২০৩০ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দূষণমুক্ত শক্তিক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলায় অর্থের সংস্থানের বিষয়টিতে দুই দেশ অগ্রাধিকার দিয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে রূপান্তরণের লক্ষ্যে অগ্রণী দেশগুলির গোষ্ঠীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেওয়ায় ভারত তাকে স্বাগত জানিয়েছে। 

রাষ্ট্রপতি বাইডেন ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেন। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়, তথ্য বিনিময়, আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে মজবুত করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেন। আঞ্চলিক দেশগুলি সহ বহুপাক্ষিক কাঠামোর সম্প্রসারণেও দুই  দেশ সম্মত হয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার ব্যাপারেও দুই দেশের নেতৃবৃন্দ সহমত প্রকাশ করেন। এই প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক উদ্যোগের আওতায় মনুষ্যবিহীন গগনযান যৌথভাবে উদ্ভাবনের সাম্প্রতিক কর্মসূচিকেও তাঁরা স্বাগত জানান। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উদ্ভাবন ও নতুন শিল্পোদ্যোগ গঠনে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বকে আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা শিল্পক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে শিল্প নিরাপত্তা চুক্তি সম্পর্কিত শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে উভয় পক্ষ অত্যন্ত আশাবাদী।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দুই দেশের নেতৃবৃন্দই একযোগে বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরস্পরের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে। সেইসঙ্গে, সমস্ত জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সীমান্তপারের সন্ত্রাসের নিন্দা করে ২৬/১১ মুম্বাই হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আঙিনায় নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। দু’পক্ষই সন্ত্রাসের আড়ালে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে যাবতীয় সহায়তা বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছে। উভয় পক্ষের তরফে বলা হয়েছে, মার্কিন-ভারত সন্ত্রাস দমন যৌথ কর্মীগোষ্ঠী এবং মার্কিন-ভারত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আলোচনার ক্ষেত্রগুলিকে আরও শক্তিশালী করা হবে যাতে সন্ত্রাস দমনে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় গড়ে ওঠে। সন্ত্রাস দমনে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিষয়টিকেও তাঁরা স্বাগত জানান। মার্কিন-ভারত মাদক দমন সংক্রান্ত কর্মীগোষ্ঠীর প্রশংসা করে দুই দেশের নেতৃবৃন্দই একটি অভিন্ন দ্বিপাক্ষিক কাঠামো চূড়ান্ত করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। এর ফলে মাদক চোরাচালান এবং অবৈধ রাসায়নিক সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে ফেলা সম্ভব হবে।

দুই দেশের নেতৃবৃন্দই জোর দিয়ে বলেছেন যে তালিবানরা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে চলবে এবং আফগান ভূখণ্ডকে কোনভাবেই সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া বা অন্য দেশের কাছে বিপদ বা আক্রমণের কেন্দ্র হয়ে উঠতে দেওয়া চলবে না। সেইসঙ্গে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলার বিষয়টিকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। মার্কিন-ভারত দুই দেশের নেতৃবৃন্দই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আফগান নাগরিক সহ বিদেশিদের কাছে আফগান ভূখণ্ডকে সুরক্ষিত ও নিরাপদ করে তুলতে হবে। সেইসঙ্গে, মহিলা ও শিশুদের পাশাপাশি সমস্ত আফগান নাগরিকের মানবাধিকারকে যথার্থ সম্মান দিতে হবে। সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। আফগানিস্তানকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার গুরুত্বের ওপর উভয় পক্ষই জোর দেয়। এজন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের সহায়তাকারীদের অবাধ প্রবেশ ও নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে তালিবানদের কাছে আহ্বান জানানো হয়। আফগান মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে সুনিশ্চিত করতে মার্কিন-ভারত দুই দেশের নেতৃবৃন্দই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রাখার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সেইসঙ্গে, আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে অন্যান্য অংশীদার দেশগুলির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে একমত সম্মতি প্রকাশ করা হয়। 

দুই দেশের নেতৃবৃন্দ মায়ানমারে যাবতীয় হিংসার অবসান ঘটিয়ে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে গণতন্ত্র পুনরায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। উভয় দেশের নেতৃবৃন্দই আসিয়ান দেশগুলির পাঁচ দফা প্রস্তাব দ্রুত কার্যকর করার জন্য মায়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান। 

কোয়াড বা চতুর্দেশীয় অক্ষ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতাকে মার্কিন-ভারত নেতৃবৃন্দ স্বাগত জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বাইডেন সদ্যসমাপ্ত আগস্ট মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতি হিসেবে ভারতের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি বাইডেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা পুনরায় জানান। রাষ্ট্রপতি বাইডেন পারমাণবিক সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতকে সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টিতেও সমর্থন জানিয়েছেন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও আফ্রিকা অঞ্চলে উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জগুলির সমাধানে দুই দেশের নেতৃবৃন্দই ট্রায়াঙ্গুলার সহযোগিতার মূল নীতিগুলিতে সংশোধনের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবেশ ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ‘গান্ধী-কিং ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’ শুরু করার ব্যাপারে দুই দেশ অত্যন্ত আশাবাদী। 

মার্কিন-ভারত দুই দেশের নেতৃবৃন্দই চলতি বছর শেষ হওয়ার পূর্বে বাণিজ্য নীতি ফোরাম-এর বৈঠক পুনরায় আয়োজনের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়বে এবং বাণিজ্যিক উদ্বেগের বিষয়গুলি চিহ্নিত করে তার সমাধান সম্ভব হবে। আগামী বছরের গোড়ায় মার্কিন-ভারত সিইও ফোরাম এবং বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারেও দুই দেশের নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত আশাবাদী। উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগে আরও সুবিধার জন্য যে চুক্তি হয়েছে তাকে দুই দেশের নেতৃবৃন্দ স্বাগত জানান। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থ ব্যবস্থার উন্নতিতে কিভাবে নিরন্তর একযোগে কাজ করা যায় সে বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে কথা হয়েছে। বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো জোট এবং আসন্ন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্য ফোরামের মাধ্যমে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, দুই দেশের নেতৃবৃন্দই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

দুই দেশের নেতৃবৃন্দই এটা স্বীকার করে নিয়েছেন যে সুদক্ষ, পেশাদার, ছাত্রছাত্রী, লগ্নিকারী ও ব্যবসায়ীদের একে অপরের দেশে যাতায়াত অবাধ হলে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব আরও বাড়বে। দুই দেশের মধ্যে এক নমনীয় ও নিরাপদ সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপর দুই দেশের নেতৃবৃন্দ জোর দেন। ফার্মাসিউটিক্যাল, জৈবপ্রযুক্তি, সেমি-কন্ডাক্টর এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যোগসূত্র আরও নিবিড় করতে দুই দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণকেও উভয়ের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। আগামী বছরের গোড়ায় আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কিত সহযোগিতা গোষ্ঠীর পুনরুজ্জীবন ঘটবে বলে উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করেছে।

নতুন নতুন ক্ষেত্র সহ মহাকাশ, সাইবার, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, সেমি-কন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ৫-জি, ৬-জি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের টেলি-যোগাযোগ প্রযুক্তির মতো উদীয়মান কারিগরি ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং অংশীদারিত্বের প্রসার ঘটাবে বলে দুই দেশের নেতৃবৃন্দই একমত হয়েছেন। সাইবার ক্ষেত্রে বিপদকে দূর করতে মৌলিক কারিগরি চাহিদা পূরণের বিষয়টিকে দুই দেশের নেতৃবৃন্দই স্বীকার করে নিয়েছেন। একইসঙ্গে, উভয় দেশের নেতৃবৃন্দ দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন এবং সাইবার বিপদের মোকাবিলায় পারস্পরিক কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সহমত প্রকাশ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে দুই দেশ স্পেস সিচ্যুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিশ্ব অংশীদার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তথা মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে। উভয় দেশের নেতৃবৃন্দ গত বছর বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও নিবিড় করার কথা উল্লেখ করেন। এই প্রেক্ষিতে দুই দেশের নেতৃবৃন্দই মন্ত্রী পর্যায়ে ২+২ আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

দুই দেশের মানুষের মধ্যে নিবিড় ও প্রাণবন্ত সম্পর্কের কথা দুই দেশের নেতৃবৃন্দ পুনরায় উল্লেখ করেন। এমনকি এই দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৭৫ বছরের অংশীদারিত্ব রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে উভয় দেশেই স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সার্বজনীন মানবাধিকার, সহনশীলতা ও বহুত্ববাদ তথা সমান সুযোগ-সুবিধার অভিন্ন মূল্যবোধ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বিভিন্ন প্রাচীন প্রত্নসামগ্রী ভারতকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দুই দেশের নেতৃবৃন্দই চোরাচালান, অবৈধ লেনদেন ঠেকাতে সমন্বয় আরও সুদৃঢ় করতে দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেন।

অভিন্ন মূল্যবোধ ও নীতি এবং ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্কিন-ভারত সুসংহত বিশ্ব কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একত্রে আরও অনেক সাফল্য অর্জন করবে বলে রাষ্ট্রপতি বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী মোদী অত্যন্ত আশাবাদী। 

 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
'India Delivers': UN Climate Chief Simon Stiell Hails India As A 'Solar Superpower'

Media Coverage

'India Delivers': UN Climate Chief Simon Stiell Hails India As A 'Solar Superpower'
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi condoles loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station
February 16, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station. Shri Modi also wished a speedy recovery for the injured.

In a X post, the Prime Minister said;

“Distressed by the stampede at New Delhi Railway Station. My thoughts are with all those who have lost their loved ones. I pray that the injured have a speedy recovery. The authorities are assisting all those who have been affected by this stampede.”