প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে রোজগার মেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে এবং সংস্থায় কর্মী নিয়োগের জন্য ৭১ হাজার নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন। তাঁর সেই অঙ্গীকার পূরণের জন্য রোজগার মেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ও দেশের উন্নয়নে তাঁদের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করতে রোজগার মেলা অনুঘটকের কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের শ্রীমতী সুপ্রভা বিশ্বাস রোজগার মেলায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের নিয়োগপত্র পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। শ্রীমতী বিশ্বাস নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। শ্রী মোদী তাঁকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। iGOT মডিউলের উপযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে শ্রীমতী বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীকে নানা তথ্য জানান। তাঁর চাকরিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিলারা আরও উৎসাহের সঙ্গে কাজে যোগ দেবেন।
জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের শ্রী ফৈজল শওকত শাহ শ্রীনগর এনআইটি-তে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি জানান যে তাঁর পরিবারের তিনিই প্রথম সদস্য যিনি সরকারি চাকরি পেলেন। চাকরিপ্রাপ্তিতে ফৈজলের ঘনিষ্ঠ মহলে কি প্রতিক্রিয়া সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে ফৈজল জানান, তাঁর বন্ধুরাও সরকারি চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ফৈজলও iGOT মডিউলের সুবিধার প্রসঙ্গটি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। শ্রী মোদী আশা প্রকাশ করেছেন যে ফৈজলের মতো যুবক-যুবতীরা জম্মু-কাশ্মীরকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তিনি ফৈজলকেও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
মণিপুরের শ্রীমতী বানেই চোং গুয়াহাটির এইমস-এ নার্সিং অফিসার হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এর ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কাজ করার যে স্বপ্ন তিনি দেখতেন তা পূরণ হল। অন্য অনেকের মতো শ্রীমতী চোং-ও তাঁর পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি সরকারি চাকরি পেলেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় তাঁকে কোনও বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান। শ্রীমতী চোং জানান যে কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ করার জন্য কি কি করা উচিৎ, সে বিষয়ে নানা তথ্য তিনি সংগ্রহ করেছেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিয়োগপত্র পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন যে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য তাঁর সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিহারের ভিন্নভাবে সক্ষম শ্রী রাজু কুমার পূর্ব রেলে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। ভিন্নভাবে সক্ষম হিসেবে তাঁর জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা রাজু জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে কিভাবে সাহায্য পেয়েছেন সে বিষয়েও জানিয়েছেন। রাজু ‘কর্মযোগী প্রারম্ভ পাঠক্রম’-এর আটটি কোর্স করেছেন। তিনি জানান, এর ফলে কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দায়িত্ব পালন করা যায় সে সম্পর্কে তিনি ধারণা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি ইউপিএসসি-র সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেবেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডে ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি হিসেবে তেলেঙ্গানার শ্রী কান্নামালা ভামসি কৃষ্ণ এই মেলায় তাঁর নিয়োগপত্র পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কান্নামালার মা-বাবার কঠোর পরিশ্রমের কথা তিনি শুনেছেন। শ্রী মোদী তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শ্রী কৃষ্ণ এই মডিউলটিকে খুব উপযোগী বলে উল্লেখ করে মোবাইল ফোনেও সহজেই এটিকে ডাউনলোড করা যায় বলে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আশা করেছেন, চাকরি জীবনেও তিনি শিক্ষা গ্রহণ বজায় রাখবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২৩ সালের এটিই প্রথম রোজগার মেলা। এই মেলার মাধ্যমে ৭১ হাজার পরিবার সরকারি চাকরির স্বাদ পেয়েছেন। এই কারণেই তিনি তাঁদের অভিনন্দন জানান। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে শ্রী মোদী বলেছেন, এই নিয়োগ শুধু তাঁদের জীবনেই নতুন আশার সঞ্চার করছে না, দেশের কোটি কোটি পরিবারের মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। “বর্তমান সরকার নিয়মিত রোজগার মেলার আয়োজন করছে। তাই, আগামীদিনে লক্ষ লক্ষ নতুন নতুন পরিবারের সদস্যরাও সরকারি চাকরি পাবেন বলে তিনি জানান। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন এনডিএ শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিয়মিত রোজগার মেলার আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, গতকাল আসাম সরকার একটি রোজগার মেলার আয়োজন করে। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরাখণ্ড খুব শীঘ্রই এই মেলার আয়োজন করবে। শ্রী মোদী বলেন, “সরকারের গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত যে বাস্তবায়িত হয় তা রোজগার মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চোখেমুখে আনন্দের ছাপ তাঁর নজরে এসেছে। আজ যাঁরা নিয়োগপত্র পেলেন তাঁদের অধিকাংশই খুব সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা, এমনকি এঁদের পরিবারে গত পাঁচ প্রজন্মের কেউই এর আগে সরকারি চাকরি করেননি। যেহেতু স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে তাই, চাকরিপ্রার্থীরা আনন্দিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। “আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে এখন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
শ্রী মোদী বলেছেন, আজ সরকারের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা এবং দ্রুততা নজরে আসছে। একটা সময় ছিল যখন স্বাভাবিক পদোন্নতির প্রক্রিয়াও বিতর্কের নানা কারণে যথাযথ সময়ে হত না। বর্তমান সরকার এই সমস্যাগুলির সমাধান করে স্বচ্ছভাবে যাতে এই কাজগুলি হয় তা নিশ্চিত করেছে। “স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং পদোন্নতি যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা অর্জন করেছে।”
আজ যাঁরা নিয়োগপত্র হাতে পেলেন তাঁদের জীবনের নতুন এক অধ্যায় সূচিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে আগামীদিনে তাঁরা সরকারি ব্যবস্থাপনার অংশীদার হয়ে উঠেছেন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকেই আগামীদিনে জনসাধারণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করবেন। তাঁরা তখন সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন এবং নিজেদের মতো করে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন। এই প্রসঙ্গে তিনি শিল্প-বাণিজ্য মহলে একটি প্রচলিত প্রবাদ তুলে ধরে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের “ ‘নাগরিকরা সর্বদা সঠিক’ – এই ভাবনায় তাঁদের জন্য কাজ করুন” – বলে পরামর্শ দেন। এর ফলে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে পরিষেবা প্রদানের মানসিকতা আরও শক্তিশালী হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কোনও সংস্থায় যখন কেউ নিয়োগপত্র পান তখন সেটিকে চাকরি হিসেবে বিবেচনা করা হয় না, বরং সরকারি কাজ পেয়েছে বলে ভাবা হয়। তাই, এইসব নিয়োগপ্রাপ্তদের তিনি ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে সেবা করার আনন্দ উপভোগ করার পরামর্শ দেন, যার ইতিবাচক প্রভাব মানুষের মধ্যে পড়বে।
iGOT কর্মযোগী প্ল্যাটফর্মে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক সরকারি কর্মচারী নানা কোর্স করছেন বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, সরকারি স্তরে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এই প্ল্যাটফর্মও তাঁদের সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে তাঁর নিজের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁর মধ্যে যে ছাত্রসত্ত্বাটি রয়েছে তিনি তাকে কখনও নষ্ট হতে দেন না। “নিজের থেকে অনেক কিছু শেখার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তাঁর দক্ষতা বাড়াতে পারে, এর ফলে তাঁর প্রতিষ্ঠানের এবং দেশের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে।”
শ্রী মোদী বলেন, বর্তমানে দ্রুত পরিবর্তনশীল ভারতে কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভর হয়ে ওঠার অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। “আজ ভারতে স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বৃদ্ধির কারণে দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী জানান, গত আট বছরে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশের পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে উন্নয়নের কারণেই যা সম্ভব হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে কোটি কোটি বিনিয়োগের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন এবং বলেন, নব-নির্মিত একটি রাস্তা কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ নিয়ে আসে। নতুন রাস্তা বা রেলপথের ধারে নতুন নতুন বাজার গড়ে ওঠে। এই রাস্তা দিয়ে খাদ্যশস্য সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। এর পাশাপাশি, পর্যটনেরও সুযোগ তৈরি হয়।
প্রত্যেক গ্রামে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘ভারত-নেট’ প্রকল্প আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে যেখানে যেখানে ইন্টারনেটের সংযোগ পৌঁছে যাচ্ছে, সেখানে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। যাঁরা প্রযুক্তি ব্যবহারে অত সড়গড় নন, তাঁরাও এর উপকারিতা বুঝতে পারছেন। গ্রামাঞ্চলে অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে শিল্পোদ্যোগের নতুন এক সুযোগ তৈরি হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর শহরগুলিতে নতুন শিল্পোদ্যোগের প্রসার ঘটছে। এর ফলে বিশ্বে যুব সম্প্রদায় নতুন পরিচিতি নিয়ে এগিয়ে আসছে।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের আরও একবার অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা দেশের মানুষকে সেবা করার এক সুযোগ পেয়েছেন। তিনি তাঁদের শেখার অভ্যাস বজায় রাখার পরামর্শ দেন। “দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের দক্ষ হয়ে উঠতে হবে, এ কারণে অনেক কিছু জানতে হবে।”
প্রেক্ষাপট
প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন। তাঁর সেই অঙ্গীকার পূরণের জন্য রোজগার মেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ও দেশের উন্নয়নে তাঁদের অংশগ্রহণকে নিশ্চিত করতে রোজগার মেলা অনুঘটকের কাজ করবে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, ট্রেন চালক, প্রযুক্তিবিদ, পরিদর্শক, সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল, স্টেনোগ্রাফার, জুনিয়র অ্যাকাউন্ট্যান্ট, গ্রামীণ ডাক সেবক, আয়কর পরিদর্শক, শিক্ষক, নার্স, চিকিৎসক, সোশ্যাল সিকিউরিটি অফিসার সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে চাকুরিপ্রার্থীদের বাছাই করা হয়েছে।
আধিকারিকদের জন্য ‘কর্মযোগী প্রারম্ভ মডিউল’ বলে যে ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে, আজকের কর্মসূচিতে সেটি উপস্থাপিত করা হয়। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সদ্য নিযুক্তরা এই মডিউলের মাধ্যমে অনলাইনে ওরিয়েন্টেশন কোর্স করতে পারবেন।
Rozgar Mela is our endeavour to empower the country's youth. pic.twitter.com/BsNnn94jY7
— PMO India (@PMOIndia) January 20, 2023
भर्ती प्रक्रिया में व्यापक बदलाव हुआ है।
— PMO India (@PMOIndia) January 20, 2023
केंद्रीय सेवाओं में भर्ती प्रक्रिया पहले की तुलना में ज्यादा streamline और time bound हुई है। pic.twitter.com/JpYVzBRlyH
शासन व्यवस्था में हमारा मंत्र होना चाहिए – Citizen is always right. pic.twitter.com/hBVGDJeSCs
— PMO India (@PMOIndia) January 20, 2023