বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থায় নবনিযুক্ত ৭০ হাজার কর্মীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে
“আজ সারা বিশ্ব ভারতের উন্নয়ন যাত্রার শরিক হতে আগ্রহী”
“আজ ভারত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য পরিচিত যা বর্তমান সময়কালে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আজ কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সরকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকার তার প্রগতিশীল আর্থিক ও সামাজিক সিদ্ধান্তগুলির জন্য সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছে”
এই রোজগার মেলায় দেশের ৪৩টি জায়গা থেকে নবনিযুক্তরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারত আজ সহজ জীবনযাত্রা, পরিকাঠামো নির্মাণ এবং সহজে ব্যবসা করার স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
তিনি সকলকে সরকারি প্রকল্পগুলির নানাবিধ প্রভাব উপলব্ধি করতে আহ্বান জানান।
“চাকরি পাওয়ার জন্য ‘রেট কার্ড’-এর দিন গত হয়েছে, বর্তমান সরকার দেশের নাগরিকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে উদ্যোগী।”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় রোজগার মেলায় ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থায় নবনিযুক্ত ৭০ হাজার কর্মীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। যাঁরা নিয়োগপত্র পেলেন তাঁরা আর্থিক পরিষেবা, ডাক, স্কুলশিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, রাজস্ব, পারমাণবিক শক্তি, হিসাবরক্ষক ও ব্যয় দপ্তর এবং প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, রেল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিভিন্ন পদে যোগদান করবেন। এই রোজগার মেলায় দেশের ৪৩টি জায়গা থেকে নবনিযুক্তরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

রোজগার মেলাকে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের নতুন একটি পরিচিতি বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, আজ ৭০ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি ও এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলি নিয়মিত এ ধরনের রোজগার মেলা আয়োজন করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। স্বাধীনতার অমৃতকালের সদ্য সূচনা হয়েছে। এই সময়কালে যাঁরা সরকারি চাকরিতে যোগদান করলেন তাঁরা আগামী ২৫ বছরে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। শ্রী মোদী নবনিযুক্তদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এই উপলক্ষে অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, বর্তমান অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান এবং স্বনির্ভর হয়ে ওঠার নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ‘মুদ্রা’, ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’, ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া’র মতো প্রকল্পগুলি আজ তরুণ প্রজন্মকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তুলছে। যুব সম্প্রদায়কে যেভাবে সরকারি চাকরি দেওয়া হচ্ছে তা অভূতপূর্ব। নতুন ব্যবস্থাপনায় এসএসসি, ইউপিএসসি এবং আরআরবি নিয়োগ সংক্রান্ত পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, সরল ও সহজ করে তুলেছে। আগে যেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১-২ বছর সময় লেগে যেত, এখন তা মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ করা যাচ্ছে।

শ্রী মোদী বলেন, “আজ সারা বিশ্ব ভারতের উন্নয়ন যাত্রার শরিক হতে আগ্রহী।” ভারত এবং তার অর্থনীতির প্রতি বিশ্ব আস্থাশীল। দেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে - আর্থিক মন্দা, বিশ্বজুড়ে মহামারী এবং চলমান যুদ্ধের কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটা। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির ভারতে উৎপাদনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদাহরণ তুলে ধরেন। এর ফলে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগের ফলে দেশে নানা সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, নতুন নতুন শিল্প সংস্থা গড়ে উঠছে। ফলস্বরূপ, রপ্তানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাব হিসেবে দ্রুত হারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন নীতির কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, অনুসৃত নীতিগুলির ফলে দেশে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৬.৫ শতাংশ আসছে অটোমোবাইল শিল্প থেকে। বিদেশে যাত্রীবাহী গাড়ি, পণ্যবাহী গাড়ি, দুই ও তিন চাকার গাড়ির রপ্তানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১০ বছর আগে এই শিল্পের মোট পরিমাণ ছিল ৫ লক্ষ কোটি টাকা। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। “ভারতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎসাহভিত্তিক উৎপাদন প্রকল্পগুলি অটোমোবাইল শিল্পকে সাহায্য করছে।” এর ফলে ভারতের লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী প্রচুর কাজ পাচ্ছেন।

শ্রী মোদী এক দশক আগের পরিস্থিতির তুলনা করে বলেন, আজ দেশ অনেক নিরাপদ এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। অতীত দিনে প্রশাসন দুর্নীতিগ্রস্ত বলে পরিচিত ছিল। “আজ ভারত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য পরিচিত যা আজকের দিনে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আজ কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সরকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকার তার প্রগতিশীল আর্থিক ও সামাজিক সিদ্ধান্তগুলির জন্য সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছে।” আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারত আজ সহজ জীবনযাত্রা, পরিকাঠামো নির্মাণ এবং সহজে ব্যবসা করার স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে সামাজিক ক্ষেত্র সহ সব ক্ষেত্রের পরিকাঠামোর জন্য বিপুল বিনিয়োগ হচ্ছে। সামাজিক ক্ষেত্রের পরিকাঠামো নির্মাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি জল জীবন মিশনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। এই প্রকল্পে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা ইতোমধ্যেই ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পটির যখন সূচনা হয় সেই সময় দেশের প্রতি ১০০টি বাড়ি পিছু ১৫টি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ ছিল যা আজ বেড়ে হয়েছে ৬২। এই প্রকল্পের দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ১৩০টি জেলায় প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে গেছে। এর ফলে জলবাহিত রোগ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের কারণে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ ডায়ারিয়ায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন, যার ফলে প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকার অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। তিনি সকলকে সরকারি প্রকল্পগুলির নানাবিধ প্রভাব উপলব্ধি করতে আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বংশপরম্পরার রাজনীতি এবং স্বজনপোষণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, একটি রাজ্যে টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারির খবর উঠে আসছে। যুব সম্প্রদায়কে এ ধরনের ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি সতর্ক করে দেন। রেস্তোরাঁয় যেমন প্রতিটি পদের জন্য অর্থ নির্ধারণ করা থাকে, সেরকমই ঐ রাজ্যে চাকরির প্রত্যেকটি পদের জন্য অর্থ নির্ধারিত ছিল। তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দেশের এক প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর আমলে জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারির কথাও তুলে ধরেন। সিবিআই এর তদন্ত চালাচ্ছে এবং এ সংক্রান্ত বহু মামলা আদালতের বিচারাধীন। যেসব রাজনৈতিক দল বংশপরম্পরায় রাজনীতি করে এবং চাকরি দেওয়ার নাম করে দেশের যুব সম্প্রদায়ের সম্পদ লুঠ করে তাদের থেকে সকলকে সাবধানে থাকতে হবে। “চাকরি পাওয়ার জন্য ‘রেট কার্ড’-এর দিন গত হয়েছে, বর্তমান সরকার দেশের নাগরিকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে উদ্যোগী।”

শ্রী মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, ভাষাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু তাঁর সরকার ভাষাকে কর্মসংস্থানের শক্তিশালী মাধ্যমে পরিণত করেছে। মাতৃভাষায় চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার ফলে দেশের যুব সম্প্রদায় আজ উপকৃত হচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার এবং সরকারি কর্মীরা দেশের দ্রুতহারে উন্নয়নে সামিল হয়েছেন। অতীতে সাধারণ নাগরিকদের সরকারি দপ্তরে যেতে হত। কিন্তু আজ সরকার নাগরিকদের দরজায় বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে। মানুষের চাহিদা ও প্রতিটি অঞ্চলের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। সরকারি দপ্তরগুলি জনগণের বিভিন্ন আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল পরিষেবা পৌঁছ দেওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এবং জন-অভিযোগের নিষ্পত্তি দ্রুতহারে হচ্ছে।

তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী জানান, আজ যাঁরা নিয়োগপত্র পেলেন তাঁদের সংবেদনশীল হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। “আপনারা এই সংস্কারকে গিয়ে নিয়ে যাবেন আর তার জন্য আপনারা যা কিছু দেখবেন, সেটিই শেখার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।” তিনি অনলাইন পোর্টাল iGoT-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এই পোর্টাল বর্তমানে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ ব্যবহার করেছেন। তিনি সদ্য নিযুক্তদের এর সুফল নেবার আহ্বান জানান। “আসুন, অমৃতকালের পরবর্তী ২৫ বছরে আমরা সকলে মিলে উন্নত ভারত গড়ার জন্য কাজ করি।”

প্রেক্ষাপট

কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার রোজগার মেলার মাধ্যম বাস্তবায়িত হচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই মেলা অনুঘটকের কাজ করে। এর মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি, দেশের উন্নয়নযজ্ঞের শরিক হচ্ছেন তাঁরা। সদ্য নিযুক্তরা iGoT কর্মযোগী পোর্টালের সাহায্যে বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় ৪০০টি পাঠক্রমের সুবিধা নিতে পারেন।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures

Media Coverage

India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister lauds the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948
December 03, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi lauded the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948 in Rajya Sabha today. He remarked that it was an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.

Responding to a post on X by Union Minister Shri Hardeep Singh Puri, Shri Modi wrote:

“This is an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.”