প্রধানমন্ত্রী স্মারক সংগ্রহশালার গ্য়ালারীগুলিও উদ্বোধন করেছেন
জালিয়ানওয়ালাবাগের দেওয়ালে নিষ্পাপ ছেলে-মেয়েদের বুলেট বিদ্ধ হওয়া স্বপ্ন এখনও অনুভূত হয়।
১৯১৯-এর ১৩ই এপ্রিলের সেই ১০ মিনিট আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের কালজয়ী ঘটনায় পরিণত হয়েছে, যার জন্য আজ আমরা অমৃত মহোৎসব উদযাপন করতে পারছি : প্রধানমন্ত্রী
কোনো দেশেরই তার অতীতের নির্মমতা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ভারত একারণে প্রতি বছর ১৪ই আগস্টকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
আমাদের উপজাতি সম্প্রদায়ও স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের অবদান ইতিহাসের পাতায় যতটা স্থান পাওয়া উচিত ছিল, তা পায় নি : প্রধানমন্ত্রী
করোনাই হোক কিংবা আফগানিস্তান ভারত সব সময় ভারতীয়দের পাশেই রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
অমৃত মহোৎসবে দেশের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি প্রান্তে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা আন্দোলনের ও দেশনায়কদের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ঐ অঞ্চলগুলির উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জালিয়ানওয়ালাবাগ স্মারকের পুনর্নিমিত প্রাঙ্গনটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। তিনি স্মারক সংগ্রহশালার গ্যালারিগুলিও উদ্বোধন করেন। কেন্দ্রীয় সরকার স্মারক প্রাঙ্গনটির উন্নয়নকল্পে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বীরভূমি পাঞ্জাব এবং জালিয়ানওয়ালাবাগের পবিত্র মাটিকে প্রণাম জানান। স্বাধীনতার শিখাকে প্রজ্জ্বলিত করার জন্য ভারত মাতার যে সব সন্তান প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তিনি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জালিয়ানওয়ালাবাগের দেওয়ালে নিষ্পাপ ছেলে – মেয়ে, বোন এবং ভাইদের বুলেট বিদ্ধ স্বপ্ন এখনও অনুভূত হচ্ছে। শহীদ প্রাচীরে যে অগণিত মা এবং বোনেদের ভালোবাসা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, আমরা তাঁদের স্মরণ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের স্বাধীনতার জন্য সর্দার উধম সিং, সর্দার ভগৎ সিং এর মতো যে অগণিত বিপ্লবী এবং যোদ্ধারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের অনুপ্রেরণার উৎস জালিয়ানওয়ালাবাগ। তিনি আরো বলেন ১৯১৯ সালের ১৩ই এপ্রিলের সেই ১০ মিনিট আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কালজয়ী মুহুর্ত। আজ আমরা যে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করতে পারছি, তার পিছনে সে দিনের আত্মত্যাগের অবদানও রয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষ্যে জালিয়ানওয়ালাবাগ স্মারকের আধুনিক সংস্করণ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের আগে এই জায়গায় পবিত্র বৈশাখী মেলা বসতো। এই একই দিনে “সর্বত দা ভালা” –র ভাবনা নিয়ে গুরু গোবিন্দ সিং জির খালসা পন্থের সূচনা হয়। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে পুনর্নিমিত জালিয়ানওয়ালাবাগ এই পবিত্র স্থানের ইতিহাসের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাবে, তারা অতীতের অনেক ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হবেন। 

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, নিজের ইতিহাস সংরক্ষণ করা প্রতিটি জাতির কর্তব্য। কারণ এখান থেকে শিক্ষা পেয়ে আমরা কোন পথে এগোবো, সেই দিশা সম্পর্কে ধারণা পাই। অতীতের নির্মমতা ভুলে যাওয়া কোনো দেশের পক্ষে সঠিক নয়। একারণে প্রতি বছর ১৪ই আগস্টকে বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত জালিয়ানওয়ালাবাগের মতোই দেশ ভাগের বিভীষিকা প্রত্যক্ষ করেছে। দেশ ভাগে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে পাঞ্জাবের মানুষ। তিনি বলেন, দেশ ভাগের সময় দেশের প্রতিটি প্রান্তে বিশেষত পাঞ্জাবের পরিবারগুলির জন্য যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তার বেদনা আজও আমরা অনুভব করি।

শ্রী মোদী বলেন আজ পৃথিবীর কোনো প্রান্তে কোনো ভারতীয় যদি সমস্যায় পড়েন, তাহলে দেশের পক্ষে যতটা সহযোগিতা করা সম্ভব, তা করা হয়। করোনার সময়কাল অথবা আফগানিস্তানের সঙ্কট সারা বিশ্ব এই মনোভাবের সাক্ষী। আফগানিস্তান থেকে শত শত বন্ধুকে অপারেশন দেবী শক্তির মাধ্যমে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। ‘গুরু কৃপা’ য় কেন্দ্র জনসাধারণের সঙ্গে পবিত্র গুরু গ্রন্থ সাহিবের স্বরূপকে দেশে নিয়ে এসেছে। সঙ্কটের এই সময়ের মোকাবিলা করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলির বিষয়ে গুরুদের শিক্ষা আমাদের সহায়তা করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ –এর গুরুত্ব এবং আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা বোঝা যাচ্ছে। এই সমস্ত ঘটনাবলী আমাদের উদ্দীপিত করে এবং দেশের ভিতকে আরো শক্তিশালী করে তোলে।

শ্রী মোদী বলেন, আজ দেশের প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি প্রান্তে অমৃত মহোৎসবে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করা হচ্ছে, তাঁদের সম্মান জানানো হচ্ছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের ও দেশনায়কদের স্মৃতি বিজোড়িত স্থানগুলিকে  যথাযথভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ঐ অঞ্চলগুলির উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি জালিয়ানওয়ালাবাগের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানকার স্মারকের মতই এলাহাবাদ সংগ্রহশালায় মতবিনিময়ের গ্যালারি,  কলকাতায় বিপ্লবী ভারত গ্যালারি সংস্কার করা হচ্ছে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর অবদানের কথা প্রচার করা হচ্ছে। নেতাজী প্রথমবার যেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, সেই আন্দামানকে নতুন পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। আন্দামানের দ্বীপগুলির স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে সাজুয্য রেখে নতুন নামকরণ করা হয়েছে।    

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার জন্য আমাদের উপজাতি সম্প্রদায়ের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তারা এই আন্দোলনে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। অথচ দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, ইতিহাস বইতে তাঁদের অবদানগুলির কোনো উল্লেখ নেই। উপজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে দেশের ৯টি রাজ্যে সংগ্রহশালা তৈরি করা হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  আমাদের যে সমস্ত সৈনিক প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করে নির্মিত জাতীয় স্মৃতি সৌধ থেকে দেশ অনুপ্রাণিত হয়ে থাকে। যুব সম্প্রদায়ের দেশকে রক্ষা করা এবং দেশের জন্য আত্মোৎসর্গে প্রস্তুত হওয়ার যে মনোভাব রয়েছে, তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পাঞ্জাবের মানুষের সাহসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুরুদের পথ অনুসরণ করে পাঞ্জাবের ছেলে মেয়েরা ভারতের যে কোনো বিপদে নির্ভীকভাবে সামনে এসে দাঁড়ায়। এই গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিগত ৭ বছর ধরে গুরু নানক দেব জির ৫৫০তম প্রকাশ উৎসব, গুরু গোবিন্দ সিং জির ৩৫০তম প্রকাশ উৎসব এবং গুরু তেগবাহাদুর জির ৪০০তম প্রকাশ উৎসব পালিত হয়েছে। কেন্দ্র, এই পবিত্র অনুষ্ঠানগুলির সময়ে গুরুদের শিক্ষা প্রচার করেছে। এর অঙ্গ হিসেবে সুলতানপুর লোধিকে ঐতিহ্যশালী শহরে পরিণত করা হয়েছে, কর্তারপুর করিডর, পাঞ্জাবের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে বিমান পরিষেবা, গুরুস্থান গুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের আওতায় আনন্দপুর সাহিব - ফতেগড় সাহিব – চমকাউর সাহিব – ফিরোজপুর – অমৃতসর – খাটকর কালন – কালানৌড় – পাতিয়ালা ঐতিহ্যশালী সার্কিটের উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের জন্য আমাদের স্বাধীনতার এই অমৃতকাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে তিনি  ঐতিহ্য ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাঞ্জাবের এই ভূমি আমাদের অনুপ্রাণিত করে। প্রতিটি স্তরে, প্রতিটি বিষয়ে পাঞ্জাবকে এগিয়ে চলতে হবে। জালিয়ানওয়ালাবাগের এই ভূমি দেশকে তার লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, পাঞ্জাবের রাজ্যপাল, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, পাঞ্জাবের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা, জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতীয় স্মারক সৌধ ট্রাস্টের সদস্যরা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আজকের অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপট বিস্তারিতভাবে  জানার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন –

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season

Media Coverage

Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 ডিসেম্বর 2024
December 21, 2024

Inclusive Progress: Bridging Development, Infrastructure, and Opportunity under the leadership of PM Modi