প্রধানমন্ত্রী বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে গোদৌলিয়া পর্যন্ত যাত্রীবাহী রোপওয়ে ব্যবস্থাপনার শিলান্যাস করেছেন
জল জীবন মিশনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী ১৯টি পানীয় জল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন
“কাশী মানুষের চাহিদা নির্ধারণ করে এবং পরিবর্তন শহর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে”
“গত ৯ বছরে গঙ্গার ঘাটগুলির বৈপ্লবিক সকলেই প্রত্যক্ষ করেছেন”
“গত তিন বছরে দেশে ৮ কোটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে”
“সরকার চায় প্রতিটি নাগরিক অমৃতকালে কোনও না কোনও ভূমিকা পালন করুন এবং ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় সকলেই সামিল হন”
“রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নিরিখে উত্তর প্রদেশ এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে”
“উত্তর প্রদেশ হতাশার গ্লানি থেকে বের হয়ে এসে উচ্চাকাঙ্খা ও আশার পথ ধরে এগিয়ে চলেছে”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে ১৭৮০ কোটি টাকারও বেশি একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। তিনি বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে গোদৌলিয়া পর্যন্ত যাত্রীবাহী রোপওয়ে ব্যবস্থাপনার শিলান্যাস করেছেন। এছাড়াও, নমামী গঙ্গে প্রকল্পে ভগবানপুরে ৫৫ এমএলডি পয়ঃপ্রণালী শোধনাগার, সিগরা স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের পুনরুন্নয়নমূলক প্রকল্প, হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের উদ্যোগে সেবাপুরীর ইশারওয়ার গ্রামে রান্নার গ্যাসের বটলিং প্ল্যান্ট, ভারথারা গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পোশাক পরিবর্তনের সুবিধা সমন্বিত একটি ভাসমান জেটির উদ্বোধন করেছেন তিনি। জল জীবন মিশনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী ১৯টি পানীয় জল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গও করেছেন। এর ফলে, ৬৩টি গ্রামের ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। এই মিশনের আওতায় ৫৯টি পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন তিনি। খারকিয়াও-তে ফলমূল ও শাকসব্জির শ্রেণীবিন্যাস করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি সুসংহত ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন এবং বারাণসী স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় একগুচ্ছ প্রকল্প তিনি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন।

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নবরাত্রির আজকের দিনে মা চন্দ্রঘন্টা-কে উপাসনা করা হচ্ছে। এই শুভক্ষণে বারাণসীর জনসাধারণের মধ্যে থাকতে পেরে তিনি আনন্দিত। তিনি যাত্রীবাহী রোপওয়ে সহ পানীয় জল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করার প্রকল্প, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পুলিশ ব্যবস্থা, ক্রীড়া সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে মেশিন টুল ডিজাইনের যে উৎসর্গ কেন্দ্রের শিলান্যাস আজ করা হ’ল, তার ফলে এই শহর আরেকটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান পেতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী এর জন্য বারাণসী সহ পূর্বাঞ্চলের মানুষদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

শ্রী মোদী বলেন, আজ সর্বত্র কাশীর উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রত্যেক পর্যটক এখান থেকে নতুন শক্তি অর্জন করে ফিরে যাচ্ছেন। কাশী মানুষের চাহিদা নির্ধারণ করে এবং পরিবর্তন শহর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরনো এবং নতুন কাশীকে একই সঙ্গে এখন সকলে দর্শন করছেন। কাশী বিশ্বনাথ ধাম, গঙ্গার ঘাট এবং বিশ্বের দীর্ঘতম নদী বিহারকে ঘিরে আন্তর্জাতিক স্তরে উৎসাহ-উদ্দীপনা নজরে আসছে। মাত্র এক বছরে ৭ কোটিরও বেশি পর্যটক কাশী দর্শন করেছেন। এই পর্যটকরা এই শহরে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন।

শ্রী মোদী বলেছেন, আজ পর্যটনকে ঘিরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। “সড়ক, সেতু, রেলপথ অথবা বিমানবন্দর – বারাণসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়ে উঠছে”। তিনি বলেন, নতুন রোপওয়ে প্রকল্পটি শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এক নতুন স্তরে উন্নীত করবে। বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন থেকে কাশী বিশ্বনাথ করিডরে কয়েক মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। রোপওয়ে চালু হলে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে গোদৌলিয়ার মধ্যে যানজট দূর হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ও অন্যান্য রাজ্য থেকে যাঁরা এই শহরে আসবেন, তাঁরা খুব কম সময়ের মধ্যেই শহর ঘুরে দেখতে পারবেন। নতুন রোপওয়ে একটি অর্থনৈতিক গতিশীলতার সৃষ্টি করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাশীর বিমান পরিবহণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে বাবতপুর বিমানবন্দরে নতুন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার বসানো হয়েছে। পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ভাসমান জেটি গড়ে তোলা হয়েছে। নমামী গঙ্গে প্রকল্পে গঙ্গা তীরবর্তী শহরগুলিতে পয়ঃনিকাশি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। “গত ৯ বছরে গঙ্গার ঘাটগুলির বৈপ্লবিক সকলেই প্রত্যক্ষ করেছেন”।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গঙ্গার উভয় তীরে পরিবেশ-বান্ধব নতুন অভিযানের সূচনা হয়েছে। সরকার গঙ্গানদী থেকে ৫ কিলোমিটার অঞ্চল পর্যন্ত প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজে উৎসাহিত করছে। এর জন্য এবারে বিশেষ বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে।

বারাণসী সহ সমগ্র পূর্ব উত্তর প্রদেশ কৃষি ক্ষেত্র এবং কৃষি সংক্রান্ত রপ্তানীর অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বারাণসীর ল্যাংড়া আম, গাজীপুরের ঢ্যাড়শ ও কাঁচালঙ্কা এবং জৌনপুরের মুলো ও খরবুজ আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছনোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।

বিশুদ্ধ পানীয় জলের মাধ্যমে উন্নয়নের যে পথ সরকার বেছে নিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত তিন বছরে দেশে ৮ কোটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেবাপুরীতে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট পূর্ব উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিম বিহারে মানুষের চাহিদা মেটাবে। কেন্দ্র ও উত্তর প্রদেশ সরকারের দরিদ্র মানুষদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজও অনেকে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বললেও তিনি মনে করেন আসলে তিনি প্রধান সেবক হিসাবেই দায়িত্ব পালন করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। ২০১৪ সালের আগে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। আজ দেশের দরিদ্রতম মানুষটিরও জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সরাসরি পৌঁছাচ্ছে। ক্ষুদ্রচাষী, ব্যবসায়ী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সকলেই উপকৃত হচ্ছেন। মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে সহজেই ঋণের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পশুপালক ও মৎস্যজীবীরা পাচ্ছেন। পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে রাস্তার হকাররা সহজেই ঋণ পাচ্ছেন। পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্যমে আগামী দিনে দেশের বিশ্বকরররমারা উপকৃত হবেন। “সরকার চায় প্রতিটি নাগরিক অমৃতকালে কোনও না কোনও ভূমিকা পালন করুন এবং ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় সকলেই সামিল হন”।

প্রধানমন্ত্রী খেল বেনারস প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সঙ্গে তাঁর মতবিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন। এই প্রতিযোগিতায় ১ লক্ষ ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, বারাণসীতে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়ে উঠবে।

“রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নিরিখে উত্তর প্রদেশ এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে”, বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, আগামীকাল ২৫ মার্চ দ্বিতীয় যোগী সরকারের প্রথম বর্ষ পূর্তি। এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী এতদিন উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব পালন করেননি। “উত্তর প্রদেশ হতাশার গ্লানি থেকে বের হয়ে এসে উচ্চাকাঙ্খা ও আশার পথ ধরে এগিয়ে চলেছে”। উত্তর প্রদেশ আজ নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির জন্য পরিষেবা প্রদানকারী রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। রাজ্যের নতুন নতুন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য তিনি আরও একবার সকলকে অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ উত্তর প্রদেশ সরকারের মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season

Media Coverage

Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 ডিসেম্বর 2024
December 21, 2024

Inclusive Progress: Bridging Development, Infrastructure, and Opportunity under the leadership of PM Modi