প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় খেলনার আন্তর্জাতিক বাজারে জায়গা করে নেওয়া এবং কিভাবে এর উৎপাদন বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আজ প্রবীণ মন্ত্রী এবং আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতে অনেক খেলনা তৈরির ক্লাস্টার আছে এবং হাজার হাজার কারিগর দেশীয় খেলনা উৎপাদনের মাধ্যমে সেগুলির সঙ্গে শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনই রচনা করেন না, একই সঙ্গে শৈশবে জীবনশৈলী ও মনস্তাত্বিক বিকাশেও সাহায্য করেন।
ভারতীয় খেলনার বাজারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ‘ভ্যোকাল ফর ল্যোকাল’-কে উৎসাহিত করতে এই শিল্পের সংস্কারমূলক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর জন্য প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, যাতে এগুলির সাহায্যে উন্নত মানের খেলনা তৈরি করা যায়।
শিশু মনের বৌদ্ধিক ও জ্ঞান বিকাশে খেলনার প্রভাব, কিভাবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর সাহায্যে গড়ে তুলে সমাজে পরিবর্তন আনা যায়, বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
শিশুমনের গঠনের গুরুত্বের দিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিশুদের সার্বিক বিকাশের জন্য সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও স্কুলগুলিতে শিক্ষাদানের উপাদান হিসেবে ভারতীয় সংস্কৃতি ও দর্শনের সঙ্গে সাযুজ্য রয়েছে এধরণের খেলনা ব্যবহার করতে হবে। জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে গর্ববোধের সঞ্চার হয় , এরকম খেলনা তৈরির বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে তিনি ভাবনা চিন্তা করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে খেলনা তৈরি করা যেতে পারে। এই খেলনাগুলি ভারতীয় মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করবে এবং পরিবেশ বান্ধব সংস্কৃতির সঙ্গে যোগসুত্র গড়ে তুলবে। যে সব অঞ্চল হস্তশিল্পের মাধ্যমে তৈরি খেলনার জন্য বিখ্যাত সেখানে ভারতের সংস্কৃতিকে তুলে ধরবার জন্য পর্যটন শিল্পকে তিনি উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন।
খেলনা সংক্রান্ত প্রযুক্তি এবং নকশার উদ্ভাবন, ভারতীয় দর্শন ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে এরকম অনলাইন গেম তৈরির জন্য হ্যাকাথন আয়োজন করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ডিজিট্যাল গেমের বাজার দ্রুত বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের এই বিপুল সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করতে হবে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও লোকগাথার উপর ভিত্তি করে ডিজিট্যাল গেম তৈরির মাধ্যমে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।