প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গতকাল পিএম কেয়ার্স তহবিলের অছি পরিষদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পিএম কেয়ার্স তহবিলের সহায়তায় সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে একটি উপস্থাপনাও পেশ করা হয় পরিষদের বৈঠকে। উপস্থাপনার মধ্যে ছিল ৪৩৪৫ জন শিশুকে সহায়তা দান সম্পর্কিত কয়েকটি কর্মসূচিও। দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই তহবিলটি বিশেষ দায়িত্ব পালন করছে বলে পরিষদের সদস্যরা উল্লেখ করেন এবং সেইজন্য তহবিলের আওতায় গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসাও করেন। পিএম কেয়ার্স তহবিলে আন্তরিকভাবে দান করার জন্য দেশবাসীর ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
পিএম কেয়ার্স তহবিলটির এক বড় ধরণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে। শুধুমাত্র ত্রাণ সহায়তাকল্পেই নয়, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাহায্য ও সহায়তা পৌঁছে দেওয়ারও এক লক্ষ্য রয়েছে এই তহবিলটির। এছাড়াও আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেও তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হয়।
পিএম কেয়ার্স তহবিলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠার জন্য অছি পরিষদের সদস্যদের স্বাগত জানান শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
পিএম কেয়ার্স তহবিলের অছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছাড়াও মনোনীত নতুন সদস্যদের মধ্যে ওই দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কে টি টমাস, প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার শ্রী কারিয়া মুন্ডা এবং টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান এমেরিটাস শ্রী রতন টাটা।
বৈঠকে পিএম কেয়ার্স তহবিলের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য রূপে মনোনীত করা হয় কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া শ্রী রাজীব মহর্ষি, ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের ভূতপূর্ব চেয়ারপার্সন শ্রীমতী সুধা মূর্তি এবং টেক ফর ইন্ডিয়ার সহ প্রতিষ্ঠাতা শ্রী আনন্দ শাহ্-কে।
এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিষদের নতুন অছি ও উপদেষ্টারা পিএম কেয়ার্স তহবিলের কাজকর্মের এক বৃহত্তর ক্ষেত্রের দিশা নির্ণয় করবেন বলে তিনি মনে করেন। জনজীবনে তাদের বিরাট অভিজ্ঞতা এই তহবিলকে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানোর বিষয়টিও তাতে উৎসাহিত হবে।