প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের অগ্রগতির পর্যালোচনার জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছেন। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এনডিএইচএম-এর সূচনা করেন। এরপর ডিজিটাল মডিউল এবং নিবন্ধীকরণ সংক্রান্ত কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই মিশন ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ১১ লক্ষ ৯০ হাজারের মতো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মে ৩ হাজার ১০৬ জন চিকিৎসক ও ১ হাজার ৪৯০ রকমের সুবিধা নিবন্ধীকৃত হয়েছে।
ইউনিফায়েড হেল্থ ইন্টারফেস (ইউএইচআই) হল একটি সহজে ব্যবহারযোগ্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবস্থাপনা যেখানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা হবে। এই ইন্টারফেসে সরকারি ও বেসরকারী ব্যবস্থা যুক্ত থাকবে। এখানে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে যেটি জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অঙ্গ। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার খোঁজ করতে পারবেন, পরিষেবার সুবিধা পাওয়ার জন্য বুকিং করবেন এবং টেলি-কনসালটেশন অথবা নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা এখান থেকে পাবেন। নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্ভাবনমূলক বিভিন্ন প্রযুক্তি এই মিশনের যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে দেশজুড়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও মানব সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করা যাবে।
ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া যে ইউপিআই বৈদ্যুতিন ভাউচার উদ্ভাবন করেছে বৈঠকে সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা, ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপের সাহায্যে পাবেন। এর ফলে আর্থিক লেনদেনে সুবিধা হবে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের যথাযথভাবে ব্যবহার এবং ইউপিআই বৈদ্যুতিন ভাউচার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
এনডিএইচএম-এর আওতায় বিভিন্ন উদ্যোগ যাতে দ্রুত কার্যকর হয় প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশ বৈঠকে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এনডিএইচএম নাগরিকদের বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ এনে দেওয়ায় সহজ জীবনযাত্রার সুবিধা হবে। শ্রী মোদী বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নিবন্ধীকরণ এই মিশনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই প্ল্যাটফর্মের সুফল তখনই বোঝা যাবে যখন দেশের প্রতিটি প্রান্তের নাগরিকরা চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিফোনের মাধ্যমে পরামর্শ নিতে পারবেন, পরীক্ষাগারের সুবিধা পাবেন, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো নথি ডিজিটাল পদ্ধতিতে চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে পারবেন এবং সব ধরণের পরিষেবার জন্য আর্থিক লেনদেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী এনএইচএ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে সমন্বয় বজায় রেখে এই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।