প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে নিয়ে তৈরি সক্রিয় প্রশাসন এবং সময় মতো রূপায়ণের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বহুমুখী মঞ্চ প্রগতির ৪১তং সংস্করণের বৈঠকে অধ্যক্ষতা করেছেন।
বৈঠকে ৯টি প্রধান পরিকাঠামো প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়। ৯টি প্রকল্পের মধ্যে ৩টি প্রকল্প সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের, দুটি প্রকল্প রেল মন্ত্রকের এবং একটি করে প্রকল্প শক্তি মন্ত্রক, কয়লা মন্ত্রক, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এই ৯টি প্রকল্পে সামগ্রিক খরচ ৪১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। এগুলি রূপায়িত হচ্ছে ১৩টি রাজ্য যেমন ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খন্ড, কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, অসম, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং অরুণাচল প্রদেশে। বৈঠকে অমৃত সরোবর নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারগুলিকে পরিকাঠামোগত প্রকল্প পরিকল্পনার জন্য পিএম গতিশক্তি পোর্টাল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি প্রকল্পের সময় মতো কাজ শেষ করার জন্য জমি অধিগ্রহণ, অপসারণ এবং অন্যান্য বিষয়ের দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেন। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে উপযুক্ত সমন্বয় নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি।
আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী ‘মিশন অমৃত সরোবর’-এরও পর্যালোচনা করেন। বিহারের কিষাণগঞ্জে এবং গুজরাটের গোতাড়ে ড্রোনের মাধ্যমে অমৃত সরোবর প্রকল্পের কাজ স্বচক্ষে দেখেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সকল মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারগুলিকে বর্ষার আসার আগেই অমৃত সরোবরের কাজ সম্পূর্ণ করার পরামর্শ দেন। এই কর্মসূচিতে ৫০ হাজার অমৃত সরোবরের সময়মতো লক্ষ্য পূরণে ব্লকস্তরে তদারকির ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
‘মিশন অমৃত সরোবর’-এর এই অভিনব ভাবনা রূপায়িত হচ্ছে সারা দেশে জলাশয়গুলিকে পুনরুজ্জীবন ঘটাতে, যাতে ভবিষ্যতে জল সংরক্ষণে সহায়তা হয়। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে জল ধরে রাখার ক্ষমতা বেড়ে হবে প্রায় ৫০ কোটি কিউবিক লিটার। হিসাব মতো প্রতি বছর ৩২ হাজার টন কার্বন স্তিমিত হবে এবং ভূস্তরের জল সঞ্চয় বৃদ্ধি পেয়ে হবে ২২ মিলিয়ন কিউবিক মিটারের বেশি। এছাড়াও সম্পূর্ণ অমৃত সরোবরগুলিকে ঘিরে সামাজিক কাজকর্ম এবং অংশগ্রহণ হবে। যার ফলে জনভাগীদারির মনোভাব বৃদ্ধি পাবে। জল সংরক্ষণ নিয়ে স্বচ্ছতা সমাবেশ জল শপথের মতো অনেক সামাজিক কর্মকান্ড, রঙ্গোলী প্রতিযোগিতার মতো বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাজকর্ম, ছট পুজোর মতো ধর্মীয় উৎসব পালনের আয়োজন করা হচ্ছে অমৃত সরোবর প্রকল্পের পাশে।
প্রগতি বৈঠকে ১৫.৮২ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ৩২৮টি প্রকল্পের কাজ এ পর্যন্ত পর্যালোচনা করা হয়েছে।