প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আমেদাবাদের মোতেরাতে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সমবায় দুগ্ধ বাজারজাতকরণ ফেডারেশনের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে আয়োজিত একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে একটি কফি টেবিল বুক-এরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ডেয়ারী ব্র্যান্ড আমুল গড়ে উঠেছে কৃষকদের দৃঢ় মানসিকতার ফলেই। জিসিএমএমএফ সমবায় সমিতির এক অনন্য উদাহরণ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গুজরাট সমবায় দুগ্ধ বাজারজাতকরণ ফেডারেশন (জিসিএমএমএফ)-এর প্রত্যেককে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে গুজরাটের কৃষকরা যে চারাগাছ রোপণ করেছিলেন, বর্তমানে তা সমগ্র বিশ্বে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে এক বৃহৎ বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সাদা বিপ্লবের জন্য পশু ধনের ভূমিকার কথা স্বীকার করে নিতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী মোদী বলেন, ভারতে স্বাধীনতার পর বিভিন্ন ব্র্যান্ড এসেছে কিন্তু আমূলের মতো কেউ আসেনি। “আমূল ভারতের পশুপালকদের শক্তির পরিচায়ক হয়ে উঠেছে” বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমূল অর্থাৎ বিশ্বাস, উন্নয়ন, জনঅংশীদারিত্ব, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার”। তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম অনুপ্রেরণা হল আমূল। আমূলের তৈরি বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে রপ্তানী করা হয়। এই প্রতিষ্ঠান ১৮০০০-এর বেশি দুগ্ধ সমবায় কমিটি ও ৩৬০০০-এর বেশি কৃষকের নেটওয়ার্ক নিয়ে গঠিত। এখানে প্রতিদিন ৩.৫ কোটি লিটারের বেশি দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ হয়। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, আমূলের এগিয়ে চলার পথে সমবায়গুলির ভূমিকা বিশেষ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দূরদৃষ্টির সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবর্তনের পথে এগিয়ে চলার অনন্য উদাহরণ আমূল। সর্দার প্যাটেলের দিশা নির্দেশে খেদা মিল্ক ইউনিয়ন আমূল তৈরি করেছিল। এরপরে তা গুজরাটের বিভিন্ন জায়গায় সমবায়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমবায় ও সরকারের মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য রক্ষার বিশেষ উদাহরণ এই আমূল। এই সংস্থা ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম দুগ্ধ উৎপাদনকারী দেশে পরিণত করেছে।” বিগত ১০ বছরে দেশে দুগ্ধ উৎপাদন প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের ডেয়ারী ক্ষেত্র প্রতি বছর ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বে গড় বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ডেয়ারী ক্ষেত্রে মহিলারা ১০ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেন। এই ক্ষেত্রে অর্জিত মোট অর্থের ৭০ শতাংশই মহিলাদের দ্বারা আয় করা হয়। এই ক্ষেত্রে ‘নারীশক্তি অন্যতম মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত’ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিকশিত ভারতের যাত্রাপথে মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বিশেষ জরুরি। মহিলা উদ্যোগপতিরা মূদ্রা যোজনার ৭০ শতাংশ সুবিধা গ্রহণ করেছে। দেশে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়েছে। দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ৪ কোটির বেশি বাড়ি রয়েছে মহিলাদের নামে। প্রধানমন্ত্রী নমো ড্রোন দিদি প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ১৫০০০-এর বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ড্রোন দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
গুজরাটের ডেয়ারী সমবায় কমিটিতে মহিলা সদস্যের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ডেয়ারী ক্ষেত্র থেকে অর্জিত অর্থ সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে আমূলের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি গ্রামগুলিকে মাইক্রো এটিএম স্থাপনের কথা উল্লেখ করেন। পশুপালকদের রূপে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রদান প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন তিনি। পঞ্চপিপলা এবং বনস কান্থায় যে পাইলট প্রকল্প চলছে সে কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারত মূলত গ্রামে বসবাস করে গান্ধীজির এই উক্তি স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত করা জরুরি। পূর্ববর্তী সরকার এক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা গ্রহণ করেনি বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান সরকার গ্রামের সার্বিক উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বলেন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরকার ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবনযাত্রা সহজ করতে বিশেষ চেষ্টা চালাচ্ছে। পশুপালনের ক্ষেত্রে সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া মৎস্য পালন ও গ্রামীণ এলাকায় মৌমাছি পালনেও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।” তিনি বলেন, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা মৎস্য চাষিদেরও দেওয়া হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে কৃষকদের আধুনিক বীজ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় গোকুল মিশনের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “পশুদের বিনামূল্যে টিকা প্রদান কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত ১৫০০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ৭ কোটি টিকা প্রদান করা হয়েছে।” ২০৩০-এর মধ্যে গবাদি পশুর মুখ ও পায়ের রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী গত রাতের মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় পশু সম্পত্তি মিশন বিভিন্ন প্রজাতি রক্ষায় গ্রহণ করা হয়েছে।
গুজরাটে জল সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রে খরার সময় যে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার ফলে হাজার হাজার পশু জলের অভাব ভোগ করে। ওই এলাকাগুলিতে নর্মদা নদীর জল পৌঁছনো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নর্মদা নদীর জল পৌঁছনোয় কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রা বদলে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী জলের সমস্যা দূরীকরণে দেশব্যাপী গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে সরকারের প্রচেষ্টার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “দেশে ৬০টির বেশি অমৃত সরোবর জলাধার গড়ে তোলায় গ্রামীণ অর্থনীতি বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশে ক্ষুদ্র চাষিদের উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, কৃষকদের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সমাধানের উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। জৈব সার তৈরির জন্য কৃষকদের সব রকম সহায়তা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার কৃষকদের শক্তি উৎপাদন ও সার সরবরাহকারী হিসেবে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। কৃষকদের সৌরপাম্প প্রদানের পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে সৌর কারখানা তৈরির জন্য যে সাহায্য করা হচ্ছে সে প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে সুসংহত শক্তি সমাধান প্রদানে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোবর্ধন যোজনার আওতায় গবাদি পশু চাষিদের কাছ থেকে গোবর কেনার জন্য একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এরফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে, বায়োগ্যাস উৎপাদনে সুবিধা মিলবে। বনসকান্থায় আমূল যে বায়োগ্যাস স্থাপন করেছে, এই লক্ষ্যপূরণে তা এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী মোদী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির সহযোগিতা বাড়াতে আমাদের সরকার উল্লেখযোগ্যভাবে কাজ করছে। সমবায় ক্ষেত্রগুলিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই প্রথম দেশে সমবায় মন্ত্রক পৃথকভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। দেশের ২ লক্ষের বেশি গ্রামে সমবায় সমিতি গড়ে তোলা হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি, পশুপালন, মৎস্য পালন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সমবায়গুলি গঠন করা হচ্ছে। মেড ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের মাধ্যমে এর কাজ চলছে। ১০,০০০ এফপিও-র মধ্যে ইতিমধ্যে ৮০০০ কার্যকর কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল গড়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
৩০,০০০ কোটি টাকার তহবিলের সাহায্যে গবাদি পশু ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে যে রেকর্ড বিনিয়োগ করা হচ্ছে সে কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুগ্ধ কারখানাগুলির আধুনিকীকরণে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। সবরকান্থায় এ ধরনের দুটি বড় প্রকল্প চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন বিকশিত ভারতের কথা বলি তখন আমি সবকা প্রয়াস অর্থাৎ সকলের প্রচেষ্টার কথা বিশ্বাস করি।” আমূল যখন ৭৫ বছর পূর্ণ করবে, ভারত তখন স্বাধীনতার শতবর্ষে পৌঁছবে। দ্রুত বাড়তে থাকা দেশের জনগণের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এই সংস্থার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আমূল তার কারখানায় আগামী ৫ বছরে প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা দ্বিগুণ করার যে লক্ষ্য নিয়েছে সে বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, “বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ডেয়ারী কোম্পানী আমূল। যত শীঘ্র সম্ভব আপনাদের এই কোম্পানীকে বিশ্বের বৃহত্তম ডেয়ারী কোম্পানীতে পরিণত করতে হবে। সরকার সম্ভাব্য সব রকমভাবে আপনাদের পাশে রয়েছে। এটি মোদীর গ্যারান্টি।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শেষে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সকলকে তাঁর শুভ কামনা জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের রাজ্যপাল শ্রী আচার্য দেবব্রত, ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, কেন্দ্রীয় পশুপালন, ডেয়ারি ও মৎস্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী পুরুষোত্তম রুপালা এবং গুজরাট সমবায় দুগ্ধ বাজারজাতকরণ ফেডারেশনের চেয়ারম্যান শ্রী শ্যামল বি প্যাটেল সহ অন্যরা। ১.২৫ লক্ষের বেশি কৃষক এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
गुजरात के गांवों ने मिलकर 50 वर्ष पहले जो पौधा लगाया था, वो आज विशाल वटवृक्ष बन गया है।
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024
और इस विशाल वटवृक्ष की शाखाएं आज देश-विदेश तक फैल चुकी हैं।
गुजरात को-ऑपरेटिव मिल्क मार्केटिंग फेडरेशन की स्वर्ण जयंति पर शुभकामनाएं: PM pic.twitter.com/hJWlopDBli
अमूल भारत के पशुपालकों के सामर्थ्य की पहचान बन चुका है: PM @narendramodi pic.twitter.com/QxWQSvWQbh
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024
दूरगामी सोच के साथ लिए गए फैसले कई बार आने वाली पीढ़ियों का भाग्य कैसे बदल देते हैं, अमूल इसका एक उदाहरण है। pic.twitter.com/coO3OELVsn
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024
भारत के डेयरी सेक्टर की असली रीढ़, महिलाशक्ति है। pic.twitter.com/4KZXsmGS3H
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024
हमारी सरकार आज महिलाओं की आर्थिक शक्ति बढ़ाने के लिए भी चौतरफा काम कर रही है: PM @narendramodi pic.twitter.com/TEXkVstLXo
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024
हम गांव के हर पहलू को प्राथमिकता देते हुए काम कर रहे हैं: PM @narendramodi pic.twitter.com/HSqzuMTcDL
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024
हमारी सरकार का जोर, अन्नदाता को ऊर्जादाता बनाने के साथ ही उर्वरकदाता बनाने पर भी है: PM @narendramodi pic.twitter.com/FwWMo1Vnv3
— PMO India (@PMOIndia) February 22, 2024