Quoteনেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বীপে প্রস্তাবিত জাতীয় স্মারকের মডেলটি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, নেতাজীর নামানুসারে এই স্মারকের নামকরণ করা হবে
Quote“ইতিহাস যখন রচিত হয় তখন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি মনেই রাখে না, সেগুলির পর্যালোচনা করে ও সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়”
Quote“আজকের দিনটি স্বাধীনতার অমৃতকালে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় বলে বিবেচিত হবে”
Quote“সেলুলার জেলের কুঠুরিগুলি থেকে আজও অব্যক্ত যন্ত্রণার আওয়াজ শোনা যায়”
Quote“বাংলা থেকে দিল্লি হয়ে আন্দামান পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক অঞ্চল নেতাজীর কর্মতৎপরতাকে শ্রদ্ধা জানায়”
Quote“আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির সামনে এবং কর্তব্য পথে নেতাজীর বিশাল প্রতিকৃতি নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলে”
Quote“সমুদ্র যেমন বিভিন্ন দ্বীপের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলে, ভারতমাতার প্রত্যেক সন্তানের মধ্যেও ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ ভাবনা একতা বোধকে জাগ্রত করে”
Quote“সেনাবাহিনীর অবদানের পাশাপাশি দেশ রক্ষার কাজে যেসব সৈন্য নিজেদের আত্মোৎসর্গ করেছেন তাঁদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়া দেশের কর্তব্য”
Quote“আজ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে যাঁরা আসছেন তাঁরা ঐতি

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ‘পরাক্রম দিবস’-এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২১টি দ্বীপের নামকরণ ২১ জন পরমবীর চক্র সম্মানে ভূষিত ব্যক্তির নামে করেছেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বীপে প্রস্তাবিত জাতীয় স্মারকের মডেলটি প্রকাশ করেছেন। নেতাজীর নামানুসারে এই স্মারকের নামকরণ করা হবে।

|

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে আজ দেশজুড়ে ‘পরাক্রম দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে। তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজকের দিনটি সকলের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জন্য এই দিনটির বিশেষ ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইতিহাস যখন রচিত হয় তখন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি মনেই রাখে না, সেগুলির পর্যালোচনা করে ও সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়।” তিনি বলেন, আজ দ্বীপপুঞ্জের ২১টি দ্বীপের নামকরণের এই অনুষ্ঠানের পর সংশ্লিষ্ট দ্বীপগুলি ২১ জন পরমবীর চক্রে সম্মানিত ব্যক্তির নামে পরিচিত হবে। তিনি আরও বলেন, নেতাজী যেখানে থাকতেন সেখানে তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে স্মরণ করে একটি স্মারক তৈরি করা হবে। আজ সেই স্মারকের শিলান্যাস করা হল। আজকের দিনটি স্বাধীনতার অমৃতকালে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় বলে বিবেচিত হবে। নেতাজী স্মারক এবং নতুন নামে পরিচিত ২১টি দ্বীপ আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইতিহাসকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা এখানে প্রথম উত্তোলিত হয় এবং এই ভূমিতেই প্রথম স্বাধীন একটি সরকার গড়ে তোলা হয়। বীর সাভারকর সহ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃবৃন্দ দেশের জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। “সেলুলার জেলের কুঠুরিগুলি থেকে আজও অব্যক্ত যন্ত্রণার আওয়াজ শোনা যায়।” শ্রী মোদী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্দামানের পরিচয় হওয়া উচিৎ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে। কিন্তু, সে দাসত্বের পরিচয়ে পরিচিত হত। আমাদের দ্বীপগুলির নাম সেই দাসত্বের স্মারক হিসেবে এতদিন পরিচিত ছিল। তিনি জানান, ৪-৫ বছর আগে তাঁর পোর্ট ব্লেয়ার সফরকালে দ্বীপপুঞ্জের তিনটি প্রধান দ্বীপের তিনি নামকরণ করেছিলেন। “আজ থেকে রস আইল্যান্ডের নাম হল ‘নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বীপ’। হ্যাভলক ও নীল আইল্যান্ডের নাম ‘স্বরাজ’ ও শহীদ’ দ্বীপ।” তিনি বলেন, নেতাজী নিজে ‘স্বরাজ’ এবং ‘শহীদ’ দ্বীপের নামকরণ করেছিলেন অথচ, স্বাধীনতার পর এতগুলি বছরেও কেউ সেই নাম ব্যবহার করার গুরুত্ব উপলব্ধি করেননি। “আজাদ হিন্দ ফৌজ সরকারের ৭৫ বর্ষ পূর্তিতে আমাদের সরকার সেই নামগুলির ব্যবহার শুরু করে।”

|

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীর ভারত আজও সেই নেতাজীকে মনে রেখেছে যিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইতিহাসের পাতা থেকে বিস্মৃত হয়েছিলেন। আন্দামানে প্রথমবার যে স্থানে নেতাজী ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকার উত্তোলন করেছিলেন, সেই একই জায়গা থেকে আজ সুউচ্চ বিশাল জাতীয় পতাকার উত্তোলন করা হল। যাঁরা এই স্থান সফর করবেন তাঁদের প্রত্যেকের মধ্যে দেশপ্রেম সঞ্চারিত হবে। শ্রী মোদী বলেন, নেতাজীর স্মৃতি রক্ষার্থে যে নতুন প্রদর্শশালা ও স্মারক গড়ে তোলা হচ্ছে, আগামীদিনে যখন কেউ আন্দামানে বেড়াতে আসবেন তখন এই জায়গাগুলির গুরুত্ব তিনি আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। ২০১৯ সালে দিল্লির লালকেল্লায় যে নেতাজী প্রদর্শশালার উদ্বোধন করা হয় সেই স্থান আজ জনগণের অনুপ্রেরণার উৎস। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাজীর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলায় যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই অনুষ্ঠানে ২৩ জানুয়ারিকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। “বাংলা থেকে দিল্লি হয়ে আন্দামান পর্যন্ত দেশের প্রত্যেক অঞ্চল নেতাজীর কর্মতৎপরতাকে শ্রদ্ধা জানায়।”

শ্রী মোদী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পরেই নেতাজীকে নিয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ ছিল তা শুরু হয়েছে গত ৮-৯ বছর আগে। স্বাধীন ভারতের প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল ১৯৪৩ সালে। দেশ তার জন্য গর্বিত। আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাজীর জীবন সংক্রান্ত অপ্রকাশিত ফাইলগুলিকে জনসমক্ষে আনার জন্য দীর্ঘদিনের দাবি আজ পূরণ হয়েছে। “আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির সামনে এবং কর্তব্য পথে নেতাজীর বিশাল প্রতিকৃতি নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।”

|

শ্রী মোদী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা স্মরণ করা হয় এবং দেশ গঠন ও দেশের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে তাঁদের স্বপ্ন পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আজ স্বাধীনতার অমৃতকালে ভারত সেই উদ্যোগই গ্রহণ করেছে।

২১টি দ্বীপের নামকরণের পেছনে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ভাবনা কাজ করছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহস ও শৌর্য এবং দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ বিসর্জন দিয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন তাঁদের সকলকে এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্মরণ করা হল। ভারতমাতাকে রক্ষা করার জন্য ২১ জন পরমবীর চক্রে সম্মানিত তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন রাজ্যের নানা ভাষাভাষি ও জীবনশৈলীতে অভ্যস্ত সাহসী সৈন্যরা রয়েছেন যাঁরা ভারতমাতার সেবার জন্য এক হয়ে কাজ করে চলেছেন। “সমুদ্র যেমন বিভিন্ন দ্বীপের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তোলে, ভারতমাতার প্রত্যেক সন্তানের মধ্যেও ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ ভাবনা একতা বোধকে সে জাগ্রত করে। মেজর সোমনাথ শর্মা, পীরু সিং, মেজর শাইতান সিং, ক্যাপ্টেন মনোজ পাণ্ডে, সুবেদার যোগীন্দ্রর সিং, ল্যান্স নায়েক অ্যালবার্ট এক্কা, বীর আব্দুল হামিদ বা মেজর রামাস্বামী পরমেশ্বরন – প্রত্যেক পরমবীরের জীবনে একটিই সঙ্কল্প ছিল – ‘দেশ আগে! ভারত প্রথম!’ তাঁদের নামানুসারে এই দ্বীপগুলির নামকরণ করার ফলে তাঁদের আত্মোৎসর্গ অমরত্ব লাভ করবে। কার্গিল যুদ্ধে শহীদ হওয়া ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার নামে আন্দামানের একটি পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে।”

শ্রী মোদী বলেন, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলির নামকরণ পরমবীর চক্রে সম্মানিত সৈনিকদের নামে যেমন করা হল, একইসঙ্গে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকেও এর মধ্য দিয়ে সম্মান জানানো হল। স্বাধীনতার সময় থেকেই আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধ করে আসছেন এবং সেই সময় থেকেই সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা প্রমাণিত। “সেনাবাহিনীর অবদানের পাশাপাশি দেশ রক্ষার কাজে যেসব সৈন্য নিজেদের আত্মোৎসর্গ করেছেন তাঁদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়া দেশের কর্তব্য। আজ দেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের স্বীকৃতি জানানোর মধ্য দিয়ে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করল।”

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সম্ভাবনার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দ্বীপ জল, প্রকৃতি, পরিবেশ, উদ্যোগ, সাহস, ঐতিহ্য, পর্যটন এবং অনুপ্রেরণার উৎস। এই অঞ্চলের সম্ভাবনাকে শনাক্ত করে তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। গত আট বছরে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী জানান, ২০১৪ সালের নিরিখে ২০২২ সালে আন্দামানে দ্বিগুণ পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। এর ফলে, পর্যটন সংক্রান্ত কর্মসংস্থান ও আয় - দুই-ই বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ আন্দামানের সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘটনাবলীর তথ্য আরও বেশি করে প্রকাশিত হওয়ায় এই অঞ্চলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। দ্বীপভূমির সমৃদ্ধ আদিবাসী ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নামাঙ্কিত স্মারক এবং সেনাবাহিনীর সাহসিকতার নিদর্শনকে সম্মান জানানোর ফলে আগামীদিনে এই অঞ্চলের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে।

|

পূর্ববর্তী সরকারের দেশের সম্ভাবনাকে কাজে না লাগানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, অতীতে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে দেশ হীনমন্যতায় ভুগত। দেশের আত্মপ্রত্যয়ের ঘাটতি ছিল। “উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ আমাদের হিমালয় সন্নিহিত রাজ্যগুলি এবং আন্দামান ও নিকোবরের মতো দ্বীপভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন হয়নি। এই অঞ্চলগুলিকে প্রত্যন্ত, দুর্গম এবং অপ্রাসঙ্গিক বলে বিবেচনা করা হত।” ভারতের কত দ্বীপ ছিল সেই সংখ্যাও গোনা হত না। অথচ, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, সেশেলস্‌-এর মতো উন্নত দ্বীপরাষ্ট্রগুলির ভৌগোলিক আয়তন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের থেকে কম। কিন্তু যথাযথ সম্পদ ব্যবহারের ফলে আজ ঐ দেশগুলি উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতের দ্বীপগুলিরও একই সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আন্দামানে সাবমেরিন অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পৌঁছে গেছে। এর ফলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন সহ বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে, যার সুফল পর্যটকরাও পাচ্ছেন। “বর্তমানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং আধুনিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ফলে দেশ সামনের দিকে এগোচ্ছে।”

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন দিশা দেখিয়েছিল। তাঁর ভাষণের শেষে শ্রী মোদী বলেন, ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে এই অঞ্চল নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি নিশ্চিত। “আমি নিশ্চিত, আমরা এমন এক সক্ষম ভারত গড়ে তুলব যা বর্তমান যুগের উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে পৌঁছবে।”

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপ-রাজ্যপাল অ্যাডমিরাল ডি কে যোশী, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রেক্ষাপট

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে ২০১৮ সালে আন্দামান ও দ্বীপপুঞ্জের রস আইল্যান্ডস্‌-কে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস দ্বীপ নামে নামাঙ্কিত করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। নীল আইল্যান্ড এবং হ্যাভলক আইল্যান্ড - এই দুটিকেও যথাক্রমে শহীদ দ্বীপ ও স্বরাজ দ্বীপ নামে নামাঙ্কিত করা হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের বীর নায়কদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মর্যাদা দানের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর চিন্তাভাবনাকে অনুসরণ করেই আন্দামানের ২১টি বৃহত্তম দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে ২১ জন পরম বীরচক্র প্রাপকদের নামে। এই দ্বীপগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বীপটির নাম দেওয়া হয়েছে দেশের প্রথম পরম বীরচক্র প্রাপকের নামানুসারে। আবার, দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপটিকে নামাঙ্কিত করা হয়েছে দ্বিতীয় পরম বীরচক্র প্রাপকের নামে। এইভাবেই প্রতিটি দ্বীপের নামকরণ পর্ব আজ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের বীর নায়কদের সকলের কাছে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার জাতির সংহতি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রাণ বিসর্জন দিতেও দ্বিধাবোধ করেননি।

যে ২১ জন পরম বীরচক্র প্রাপকের নামানুসারে দ্বীপগুলির নামকরণ হয়েছে, তাঁরা হলেন – মেজর সোমনাথ শর্মা, সুবেদার তথা ক্যাপ্টেন করম সিং, সেকেন্ড লেঃ রামরাঘব, নায়ক যদুনাথ সিং, কোম্পানি হাবিলদার মেজর পিরু সিং, ক্যাপ্টেন জি এস সালারিয়া, লেঃ কর্ণেল (পরে মেজর) ধ্যান সিং থাপা, সুবেদার যোগিন্দর সিং, মেজর শাইতান সিং, সিকিউএমএইচ আব্দুল হামিদ, লেঃ কর্ণেল আর্দেশির বার্জোর্জি তারাপোরে, ল্যান্স নায়ক অ্যালবার্ট এক্কা, মেজর হুশিয়ার সিং, সেকেন্ড লেঃ অরুণ ক্ষেত্রপাল, ফ্লাইং অফিসার নির্মলজিৎ শেখো, মেজর রামস্বামী পরমেশ্বরম, নায়েব সুবেদার বানা সিং, ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা, লেঃ মনোজ কুমার পান্ডে, সুবেদার মেজর (পরে রাইফেল ম্যান) সঞ্জয় কুমার এবং সুবেদার মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) যোগেন্দ্র সিং যাদব।

Click here to read full text speech

  • Jitendra Kumar June 11, 2025

    5🙏🙏
  • krishangopal sharma Bjp December 21, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp December 21, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp December 21, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • Reena chaurasia September 09, 2024

    bkp
  • ROYALINSTAGREEN April 05, 2024

    i request you can all bjp supporter following my Instagram I'd _Royalinstagreen 🙏🙏
  • Shivkumragupta Gupta January 25, 2024

    जय श्री राम
  • BHARAT KUMAR MENON January 23, 2024

    🇮🇳🇮🇳🇮🇳Yugpurush Modi Ji Hain to Mumkin Hai Jai Sree Ram Jai Hind Jai Bharat Vande Mataram 🙏🙏🙏
  • Moulieshwari January 22, 2024

    आदरणीय प्रधानमंत्री श्री नरेन्द्र मोदी जी को मेरा सहृदय कोटि कोटि नमन 🙏🙏🇮🇳🇮🇳।
  • shhitij December 30, 2023

    शत शत नमन आपको श्रीमान जी
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
A win-win deal

Media Coverage

A win-win deal
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 24 জুলাই 2025
July 24, 2025

Global Pride- How PM Modi’s Leadership Unites India and the World