প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশ জুড়ে বঞ্চিত গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ সহায়তা সংক্রান্ত কর্মসূচি নিয়ে অনুষ্ঠানে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিলেন এবং সূচনা করলেন সামাজিক উত্থান এবং রোজগার আধারিত জনকল্যাণ (পিএম-সুরাজ) পোর্টালের। পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর ১ লক্ষ উদ্যোগপতিকে ঋণ সহায়তা দিলেন তিনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তপশিলি জাতি, অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষ এবং সাফাইকর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ভার্চুয়াল সমারোহে ৪৭০টি জেলার ৩ লক্ষ মানুষের যোগদান উল্লেখযোগ্য এক বিষয়। দলিত, অনগ্রসর এবং বঞ্চিতদের কল্যাণের প্রশ্নে দেশ এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। ৫০০ জেলার ১ লক্ষ সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি মোট ৭২০ কোটি টাকা পাঠানোর উল্লেখ করেন তিনি। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে সুরাজ পোর্টাল বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী। এরফলে দালাল ও কমিশন রাজের দৌরাত্ব কমবে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। সাফাই মিত্রদের আয়ুষ্মান ভারত এবং পিপিই কিট বিতরণের প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে।
২০৪৭ নাগাদ বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণ বঞ্চিত গোষ্ঠীর উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয় বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ন্যূনতম পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত ছিলেন বলে তাঁর মন্তব্য। কিন্তু ২০১৪র পর সরকারের উদ্যোগে এ যাবৎ বঞ্চিত জনগোষ্ঠী দেশের অগ্রগতির যজ্ঞে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে বলে তিনি মনে করেন। সরকার যাযাবর এবং অর্ধ-যাযাবরদের জন্য বিশেষ কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং সাফাই কর্মচারীদের জন্য নমস্তে প্রকল্প এনেছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। মানুষের মাধ্যমে জঞ্জাল সাফাইয়ের প্রথা দূর করায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি। এক্ষেত্রে ৬০,০০০ সাফাইকর্মীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণে সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগের কথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। শুধুমাত্র এই বছরেই তপশিলি গোষ্ঠীর কল্যাণে ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
আগামী ৫ বছরে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ধারাবাহিক উদ্যোগ এবং বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে যাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ৫ বছরে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ধারাবাহিক উদ্যোগ এবং বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে যাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।