প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে লাখপতি দিদি সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। তিনি ১১ লক্ষ নতুন লাখপতি দিদিকে শংসাপত্র এবং সংবর্ধনা প্রদান করেছেন। বর্তমান সরকারের তৃতীয় দফায় লাখপতি হয়েছেন এই নতুন দিদিরা। প্রধানমন্ত্রী দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা লাখপতি দিদিদের সঙ্গে কথা বলেন। শ্রী মোদী ২৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিলের সূচনা করেন। এতে ৪.৩ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় ৪৮ লক্ষ সদস্য উপকৃত হবেন। তিনি ৫০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ প্রদান করেন। এতে উপকৃত হবেন ২.৩৫ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ২৫.৮ লক্ষ সদস্য। লাখপতি দিদি যোজনার সূচনা থেকে ইতিমধ্যেই লাখপতি দিদি হয়েছেন ১ কোটি মহিলা। সরকারের লক্ষ্য ৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করার।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশাল সংখ্যায় মা এবং বোনেদের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী তারপরে নেপালের তানাহুন-এ বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য শোকপ্রকাশ করেন। ওই দুর্ঘটনায় জলগাঁওয়ের অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি জানান যে, দুর্ঘটনার পর পরই নেপালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রক্ষাতাই খাড়সেকে নেপালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন যে, নিহতদের দেহ আনা হয়েছে বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে। যাঁরা আহত হয়েছে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। তিনি তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন।
লাখপতি দিদি সম্মেলনের মতো বড় অনুষ্ঠানে এতো বিশাল সংখ্যায় মা ও বোনেদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ৬০০০ কোটি টাকার বেশি তহবিল প্রদান করা হয়েছে সারা দেশের কয়েক লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য।’ তিনি আরও বলেন যে, এই তহবিলের সাহায্যে অনেক মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর শুভেচ্ছাও জানান।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী বলেন যে মহারাষ্ট্রের মা ও বোনেরা রাজ্যের উজ্জ্বল সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্য শুধুমাত্র ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে পরিচিত।” তিনি পোল্যান্ডের সাম্প্রতিক সফরের সময় মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতির সাক্ষী থাকার কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতিকে পোলিশ নাগরিকরা খুব সম্মান করেন। তিনি কোলাপুর স্মারকের বিষয়ে বলেন যে, এটি পোল্যান্ডের মানুষের দ্বারা কোলাপুরের মানুষের আতিথেয়তার এবং সেবার আদর্শের প্রতি উৎসর্গীকৃত। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করেন যখন পোল্যান্ড থেকে কয়েক হাজার মহিলা এবং শিশু শিবাজী মহারাজের প্রথা মেনে কোলাপুরের রাজ পরিবারের আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী গর্ব সহকারে বলেন, তাঁকে এই শৌর্যের গল্প বলা হয়েছে ওই সফরের সময়। তিনি নাগরিকদের এই একই পথ অনুসরণ করার এবং সারা বিশ্বে রাজ্যের নাম তুলে ধরার জন্য নিয়ত প্রয়াসের আহ্বান জানান।
শ্রী মোদী বলেন যে, মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি এই স্থানের সাহসী এবং তেজী মহিলাদের সৃষ্টি। তিনি আরও বলেন, সমগ্র ভারত মহারাষ্ট্রের ‘মাতৃশক্তি’ দ্বারা অনুপ্রাণিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের জলগাঁও বরকারি ঐতিহ্যের সাধন স্থল। এটি মহান সাধু মুক্তাইয়ের ভূমি।” তিনি আরও বলেন যে, তাঁর সাফল্য আজকের প্রজন্মের কাছেও প্রেরণাস্বরূপ।
শ্রী মোদী বলেন, এখনও পর্যন্ত বহিনাবাইয়ের কবিতা সমাজকে গড্ডলিকা প্রবাহের বাইরে ভাবতে বাধ্য করে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সে মহারাষ্ট্রের কোনো স্থানেই হোক অথবা ইতিহাসের কোনো পর্যায়েই হোক, মাতৃশক্তির অবদান অতুলনীয়।” মহারাষ্ট্রের মাতৃশক্তির বিষয়ে বিশদে বলতে গিয়ে শ্রী মোদী বলেন যে যেমন মাতা জিজাবাই ছত্রপতির শিবাজীর জীবনে একটি দিক নির্দেশ করেছিলেন, তেমনই মারাঠী মহিলা সাবিত্রীভাই ফুলে স্ত্রী শিক্ষা এবং তাঁদর কাজের পিছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। যদিও সমাজে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের নারীশক্তি সবসময় সমাজ এবং দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে অবদান রেখেছেন। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, “আজ ভারত যখন উন্নত হওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে, আমাদের নারীশক্তি আরও একবার এগিয়ে এসেছে।” মহারাষ্ট্রের মহিলাদের প্রশংসা করে শ্রী মোদী বলেন, “আমি আপনাদের সকলের মধ্যে রাজমাতা জিজাবাই এবং সাবিত্রীবাই ফুলের ছাপ দেখতে পাচ্ছি।”
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র সফরের কথা স্মরণ করেন তিনি যখন ৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। শ্রী মোদী জানান, গত ১০ বছরে ১ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করা হয়েছে। শুধুমাত্র গত ২ মাসেই ১১ লক্ষ নতুন লাখপতি দিদি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রতেও ১ লক্ষ লাখপতি দিদি তৈরি করা হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের প্রয়াসের প্রশংসা করে বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীদের পুরো দলটি একাধিক নতুন কর্মসূচি এবং যোজনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে মহারাষ্ট্রের মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং শক্তিমান করে তোলার লক্ষ্যে।
তিনি বলেন, লাখপতি দিদি অভিযান শুধুমাত্র মা এবং বোনেদের উপার্জন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই নয়, পরিবার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যেও এই অভিযান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি গ্রামীণ অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করছে। তিনি আরও বলেন, “এখানে উপস্থিত প্রত্যেক মহিলা জানেন যে যখন তাঁরা জীবিকা অর্জন করেন, তখন তাঁদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।” উপার্জন বৃদ্ধি পেলেই একটি পরিবারের ক্রয় ক্ষমতাও বাড়ে। তিনি আরও বলেন, “গোটা পরিবারের ভাগ্য রূপান্তরিত হয় যখন একজন বোন লাখপতি দিদি হয়ে যান।”
বিশ্বে আজ ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে মহিলাদের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী অতীতে মহিলাদের উন্নয়নে অবহেলার দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করেন। তিনি বলেন, দেশে কোটি কোটি মহিলার নিজস্ব কোনো সম্পত্তিই ছিল না। ফলে ছোটখাট ব্যবসা করার জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ পেতেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেইজন্য আমি মহিলাদের ওপর বোঝা কমানোর সংকল্প নিই এবং মোদী সরকার মহিলাদের স্বার্থে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয়।” বর্তমান সরকারের সঙ্গে পূর্বেকার সরকারগুলির ৭টি দশকের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার অতীতের যে কোনো সরকারের তুলনায় মহিলাদের স্বার্থে বেশি কাজ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গরিব মানুষের জন্য যে বাড়ি তা ওই বাড়ির মহিলাদের নামে নথিভুক্ত করার। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে, এ পর্যন্ত যে ৪ কোটি বাড়ি তৈরি হয়েছে তার বেশিরভাগই নথিভুক্ত হয়েছে মহিলাদের নামে। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, আরও যে ৩ কোটি বাড়ি তৈরি হচ্ছে, তার বেশিরভাগই নথিভুক্ত হবে মহিলাদের নামে।
ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে যে সংস্কার করা হয়েছে তার ওপর আলোকপাত করে শ্রী মোদী বলেন যে এমনকি প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনাতেও বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে মহিলাদের নামে। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সুবিধাপ্রাপকদের প্রায় ৭০ শতাংশ দেশের মা এবং মহিলা।
অতীতে মহিলাদের ঋণ দেওয়ার বিষয়ে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল সেকথা জানিয়ে শ্রী মোদী বলেন যে, মাতৃশক্তিতে তাঁর পূর্ণ বিশ্বাস আছে এবং তাঁরা সৎভাবে ঋণের টাকা ফেরত দেন। মহিলাদের আগ্রহে উৎসাহিত হয়ে তাঁর সরকার পিএম মুদ্রা যোজনায় ঋণের সীমা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
স্ট্রিট ভেন্ডারদের জন্য স্বনিধি কর্মসূচির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনকি স্বনিধিতেও ঋণ দেওয়া হয় কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই, যার সুবিধা পান মহিলারাও। শ্রী মোদী আরও বলেন, তাঁর সরকার হস্তশিল্প করে এমন বিশ্বকর্মা পরিবারের অনেক মহিলাকে গ্যারান্টি ছাড়াই সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সখি মণ্ডলী এবং মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আগে গুরুত্ব দেওয়া হত না। কিন্তু আজ ভারতের অর্থনীতিতে এটি একটি বড় শক্তি। তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রাম এবং জনজাতি অঞ্চল দেখতে পাচ্ছেন মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির দ্বারা কী ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ১০ কোটি মহিলা এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন এবং তাঁরা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার অংশ হয়ে উঠেছেন কম সুদে সহজে ঋণ পাওয়ার জন্য। তিনি জানান যে, ২০১৪য় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য ২৫,০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ অনুমোদিত হয়েছে। গত ১০ বছরে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯ লক্ষ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, সরকারের দ্বারা প্রত্যক্ষ সহায়তা বেড়েছে ৩০ গুণ।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, মা এবং বোনেদের ভূমিকা বর্তমানে আরও বিস্তৃত হয়েছে। তিনি ১.২৫ লক্ষের বেশি ব্যাঙ্ক সখির উদাহরণ দেন যাঁরা প্রতিটি গ্রামে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। মহিলারা হয়ে উঠেছেন ড্রোন পাইলট যাঁরা ড্রোনের সাহায্যে আধুনিক কৃষিতে সাহায্য করছেন। পশু পালকদের সাহায্য করতে ২ লক্ষ পশু সখিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, আধুনিক কৃষি এবং প্রাকৃতিক চাষে নারীশক্তিকে নেতৃত্বের ভার দিতে কৃষিসখি কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রত্যেকটি গ্রামে এ রকম লক্ষ লক্ষ কৃষি সখি তৈরি করবে আগামীদিনে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অভিযানগুলিতে কন্যাদের নিযুক্ত করা হয় যাতে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। শ্রী মোদী আরও বলেন, “কন্যাদের শক্তি সম্পর্কে সমাজে নতুন ভাবনা তৈরি করা হবে।”
গত মাসে সংসদে পাশ হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেটের বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, মহিলা সংক্রান্ত কর্মসূচির জন্য ৩ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি জানান যে, কারখানা এবং অফিসে কর্মরতা মহিলাদের জন্য বিশেষ সুবিধা যেমন কর্মরতা মহিলাদের আবাস, তাঁদের শিশুদের জন্য ক্রেসের সুবিধা দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, যে সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলাদের যোগদানে বাধা ছিল, তা সরাবার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ৩টি সশস্ত্র বাহিনীতেই ফাইটার পাইলট সহ মহিলা আধিকারিকদের উদাহরণ দেন তিনি। এছাড়াও সৈনিক স্কুলে ভর্তি, পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীতে মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের একটি বড় অংশ গ্রামে গ্রামে কৃষি এবং গোপালন ক্ষেত্রের মতো ব্যবসার থেকে স্টার্টআপ পর্যন্ত নানা কাজে যুক্ত। রাজনীতিতে কন্যাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়মের উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের সুরক্ষায় দেশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়, সেইসঙ্গে তাঁদের ক্ষমতায়নেও। শ্রী মোদী আরও বলেন, “আমি যে কোনো রাজ্যেরই হোক না কেন, মা এবং বোনেদের কষ্ট এবং রাগের কথা বুঝতে পারি।” কড়া অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্য সরকার এবং দেশের সব রাজনৈতিক দলকে মনে করিয়ে দেন যে মহিলাদের প্রতি যে কোনো ধরনের অত্যাচার ক্ষমার অযোগ্য এবং সেটা অপরাধ এবং অপরাধীকে শাস্তি দিতেই হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে হাসপাতালই হোক, কী স্কুল বা একটি অফিস অথবা একটি পুলিশ ব্যবস্থা, প্রত্যেককেই দায়বদ্ধ হতে হবে এবং তাঁদের তরফে যে কোনো ধরনের অবহেলা গ্রহণযোগ্য নয়। শ্রী মোদী বলেন, “সরকার পরিবর্তন হতেই পারে কিন্তু সমাজ এবং সরকার হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মেয়েদের প্রাণ এবং মর্যাদা রক্ষা করা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মহিলাদের ওপর নির্যাতনকারীদের কঠোরতম শাস্তি দিতে নিয়মিত কড়া আইন তৈরি করছে। আগে ঠিক সময়ে কোনো অভিযোগের এফআইআর করা হত না এবং মামলাও হত দীর্ঘমেয়াদী। সে কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় এইসব বাধা দূর করা হয়েছে যেখানে মহিলা এবং শিশুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে একটি গোটা অধ্যায় সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, কোনো নির্যাতিতা যদি থানায় যেতে না চান, তিনি ই-এফআইআর করতে পারেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ সুনিশ্চিত করা হয়েছে। থানায় ই-এফআইআর-এর অদল-বদল করার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তিনি বলেন, এতে দ্রুত তদন্ত করার সুবিধা হবে এবং দোষীদের আরও কঠোর শাস্তি দেওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, নাবালকদের ওপর যৌন অত্যাচারে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সংস্থান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। তিনি আরও জানান, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা পরিষ্কারভাবে বিয়ে করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতির সংজ্ঞা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাদের আশ্বাস দিতে পারি, কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ক্ষেত্রে সবসময় রাজ্য সরকারের পাশে থাকবে। যতদিন না ভারতীয় সমাজ থেকে এই পাপ মনোভাব দূর না হচ্ছে, ততদিন আমরা থামতে পারি না।”
প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের পথে ভারতের উত্তরণে মহারাষ্ট্রের ভূমিকার উল্লেখ করে বলেন, মহারাষ্ট্র বিকশিত ভারতের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্র সারা বিশ্বের লগ্নিকারকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এবং এই রাজ্যের ভাগ্য জুড়ে রয়েছে আরও বেশি লগ্নি এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুবিধার সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে স্থায়ী সরকারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন যাতে শিল্প উৎসাহিত হয়, যুবাদের শিক্ষা, দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, রাজ্যের মা এবং বোনেরা একসঙ্গে এগিয়ে আসবেন একটি স্থায়ী এবং উন্নত মহারাষ্ট্রের জন্য।
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণণ, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিণ্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও অজিত পাওয়ার এবং কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহানও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
पोलैंड के लोग, महाराष्ट्र के लोगों का बहुत सम्मान करते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
वहां की राजधानी में एक कोल्हापुर मेमोरियल है।
पोलैंड के लोगों ने ये मेमोरियल, कोल्हापुर के लोगों की सेवा और सत्कार की भावना को सम्मान देने के लिए बनाया है: PM @narendramodi pic.twitter.com/MR6TYQA7vt
महाराष्ट्र के संस्कारों को यहां की वीर और धीर, माताओं ने सृजित किया है।
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
यहां की मातृशक्ति ने पूरे देश को प्रेरित किया है: PM @narendramodi pic.twitter.com/cNqpvW5w69
भारत की मातृशक्ति ने हमेशा समाज और राष्ट्र के भविष्य को बनाने में बहुत बड़ा योगदान दिया है। pic.twitter.com/vyZ4TK19QX
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
लखपति दीदी बनाने का ये अभियान, सिर्फ बहनों-बेटियों की कमाई बढ़ाने का ही अभियान नहीं है।
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024
ये पूरे परिवार को, आने वाली पीढ़ियों को सशक्त कर रही है।
ये गांव के पूरे अर्थतंत्र को बदल रही हैं। pic.twitter.com/dRQo3H2F6i
हमारी सरकार, बेटियों के लिए हर सेक्टर खोल रही है, जहां कभी उन पर पाबंदियां थी: PM @narendramodi pic.twitter.com/DDch3wB5zE
— PMO India (@PMOIndia) August 25, 2024