Releases 17th instalment of PM KISAN amounting to more than Rs 20,000 crores
Grants certificates to more than 30,000 women from Self Help Groups as Krishi Sakhis
“The people of Kashi have blessed me by electing me as their representative for the third consecutive time”
“It has rarely been seen in the democratic countries of the world that an elected government returns for the third consecutive term”
“The entire agricultural system has a big role in making India the third-largest economic power in the world in the 21st century”
“PM Kisan Samman Nidhi has emerged as the world’s largest direct benefit transfer scheme”
“I am happy that technology has been used properly in PM Kisan Samman Nidhi to reach the right beneficiary”
“My dream is that there should be some food grain or food product from India on every dining table in the world”
“It is impossible to imagine farming without mothers and sisters”
“After the arrival of Banas Dairy, the income of many milk producers of Banaras has increased by up to Rs 5 lakh”
“Kashi has shown the whole world that this heritage city can also write a new chapter of urban development”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে কিষাণ সম্মান সম্মেলনে ভাষণ দিলেন।  পিএম কিষাণ-এর আওতায় ১৭-তম কিস্তিতে ৯.২৬ কোটিরও বেশি কৃষককে ২০,০০০ কোটি টাকারও বেশি প্রদান করলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩০,০০০-এরও বেশি মহিলাকে কৃষি সখী হিসেবে শংসাপত্র প্রদান করলেন। প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের প্রতিটি প্রান্তের কৃষকরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

তৃতীয়বার দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পুনরায় নির্বাচনে জয়ী করার জন্য সেখানকার সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি কাশীরই মানুষ হয়ে উঠেছেন বলে সমাবেশে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রতি হয়ে যাওয়া অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন সমগ্র বিশ্বের কাছে ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে আরও একবার তুলে ধরেছে বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৬৪ কোটিরও বেশি মানুষ- যা বিশ্বে নজিরবিহীন। জি৭ শিখর সম্মেলন উপলক্ষে তাঁর সাম্প্রতিক ইতালী সফরের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে ভোটদাতার সংখ্যা জি৭-এর সবকটি দেশের ভোটদাতার সংখ্যার দেড় গুণ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির ভোটদাতার সংখ্যার আড়াই গুণ। এ দেশের নির্বাচনে মহিলাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে ৩১ কোটিরও বেশি মহিলা ভোটদাতা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন- যে সংখ্যাটি সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার প্রায় সমান। বারাণসীর মানুষ যেভাবে গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য। তাঁকে তৃতীয় বার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করায় নিজের সংসদীয় কেন্দ্রের ভোটদাতাদের প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।

 

পর পর ৩ বার প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার নজির এ দেশে ৬০ বছর আগে শেষ বার তৈরি হয়েছিল- একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর মেয়াদ সম্পূর্ণ করার পর কোনো সরকারের ফের ক্ষমতাসীন হওয়া, মানুষ, বিশেষত যুব সমাজের আস্থারই প্রতিফলন। একে পুঁজি করে তিনি দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কাজ চালিয় যাবেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

কৃষক, নারী শক্তি, যুব শক্তি এবং দরিদ্র মানুষ উন্নত ভারতের প্রধান স্তম্ভ- ফের বলেন প্রধানমন্ত্রী। একথা মাথায় রেখেই পিএম আবাস যোজনার আওতায় আরও ৩ কোটি বাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মতো প্রকল্পে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।

 

সমাবেশে উপস্থিত এবং প্রযুক্তির কল্যাণে এই অনুষ্ঠানে সামিল হওয়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোটি কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২০,০০০ কোটি টাকা পাঠানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কৃষি সখী উদ্যোগের প্রাসঙ্গিকতাও ব্যাখা করেন। ৩ কোটি ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করতে এ এক বড় পদক্ষেপ বলে তিনি মনে করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিএম কিষাণ সম্মান নিধি বিশ্বের বৃহত্তম সরাসরি সুবিধা হস্তান্তর প্রকল্প হয়ে উঠেছে। এর আওতায় অগণিত কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩.২৫ লক্ষ টাকারও বেশি পাঠানো হয়েছে, কেবলমাত্র বারাণসীর কৃষক পরিবারগুলিকেই দেওয়া হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গ্রাহকদের কাছে সরাসরি পৌঁছে দিতে প্রযুক্তি একটি বড় হাতিয়ার বলে প্রধানমন্ত্রী আবারও উল্লেখ করেন। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার ফলে পিএম কিষাণ প্রকল্পে ১ কোটিরও বেশি কৃষিজীবি নাম লেখাতে পেরেছেন বলে তিনি জানান।

একবিংশ শতকে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি করে তুলতে কৃষি পরিমণ্ডলের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে ফের মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের বাজার সম্পর্কে যুক্তিযুক্ত ধারনা তৈরি করা এবং ডাল কিংবা তৈলবীজের মতো শস্যের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মনে করেন। ভারতকে বিশ্বের আঙিনায় অন্যতম কৃষিজ পণ্য রপ্তানীকারক দেশ হয়ে উঠতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ভিত্তিতে তৈরি নানা পণ্য বিশ্বের বাজারে জায়গা করে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে এক জেলা এক পণ্য প্রকল্প এবং প্রতি জেলায় রপ্তানী কেন্দ্র গড়ে তোলার মতো উদ্যোগ বিশেষভাবে সহায়ক। সারা বিশ্বে মানুষের খাবারের টেবিলে অন্তত একটি ভারতীয় পণ্য জায়গা করে নিক- এমনটাই চান প্রধানমন্ত্রী। এজন্য কৃষি ক্ষেত্রেও পরিবেশ বান্ধব নিঁখুত পণ্য (জিরো ডিফেক্ট-জিরো এফেক্ট) তৈরির মন্ত্রে এগোতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে মিলেট ও ভেষজ পণ্য উৎপাদন এবং প্রাকৃতিক কৃষির পালে হাওয়া লাগানো সরকারের লক্ষ্য বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

 

সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মহিলার উপস্থিতি এবং কৃষি ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানের কথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি বলেন, কৃষি সখী কর্মসূচি অনেকটা ড্রোন দিদি কর্মসূচিরই মতো। আশাকর্মী কিংবা ব্যাঙ্ক সখী হিসেবে মহিলাদের কর্মদক্ষতা ও অবদানের প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি সখী কর্মসূচি বর্তমানে ১১টি রাজ্যে চালু রয়েছে।

কাশী এবং পূর্বাঞ্চলের মানুষের প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বনাস ডেয়ারী সঙ্কুল, পচনশীল পণ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং একীকৃত প্যাকেজিং হাউসের কথা বলেন। বনাস ডেয়ারীর কল্যাণে দৈনিক প্রায় ৩ লক্ষ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে এবং বেনারসে ১৪,০০০-এরও বেশি গোপালক পরিবার এর সঙ্গে যুক্ত বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। আগামী দেড় বছরে এই কর্মসূচিতে আরও ১৬,০০০ গোপালক যুক্ত হবেন বলেও তাঁর মন্তব্য। বনাস ডেয়ারী চালু হওয়ার পর বেনারসের বহু দুগ্ধ উৎপাদকের আয় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মৎস্যজীবীদের কল্যাণে সরকারের উদ্যোগের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা এবং কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের কথা বলেন। চান্দৌলিতে প্রায় ৭০ কোটি টাকা খরচে একটি আধুনিক মাছের বাজার তৈরির কথাও তিনি জানান।

বারাণসীতে পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলী যোজনা যেভাবে রূপায়িত হচ্ছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পে প্রায় ৪০,০০০ স্থানীয় মানুষ নাম লিখিয়েছেন এবং ২,৫০০ বাড়িতে ইতিমধ্যেই সোলার প্যানেল বসে গেছে। আরও ৩,০০০ বাড়িতে সোলার প্যানেল বসানোর কাজ চলছে। এর ফলে বিদ্যুৎ বিলের অঙ্ক শূন্য হওয়া এবং অতিরিক্ত আয়- উভয় সুবিধাই পাচ্ছেন গ্রাহকরা।

 

বিগত ১০ বছরে বারাণসী এবং আশপাশের গ্রামগুলিতে উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কোনো শহরে এই প্রথম তৈরি হচ্ছে রোপওয়ে। গাজিপুর, আজমগড় এবং জৌনপুরে রিং রোড, ফুলওয়ারিয়া এবং চৌকাঘাটে একাধিক উড়ালপুলের কথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। কাশী, বারাণসী এবং ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনের পুনর্গঠন, বাবতপুর বিমান বন্দর, গঙ্গার ঘাটগুলির সৌন্দর্যায়ন, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন পাঠক্রম, শহরের কুন্ডগুলির পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করেন তিনি। কাশীতে ক্রীড়া পরিকাঠামোর প্রসার এবং নতুন স্টেডিয়াম যুব সমাজের কল্যাণে বড় পদক্ষেপ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

জ্ঞান কেন্দ্র হিসেবে কাশীর প্রসিদ্ধির প্রসঙ্গও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই শহরে ঐতিহ্য এবং আধুনিক নগর উন্নয়ন যেভাবে হাত মিলিয়েছে তা সারা বিশ্বের সামনে এক বড় নজির। এতে শুধু এখানকারই নয়, আশপাশের মানুষও বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহান প্রমুখ।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Ayushman driving big gains in cancer treatment: Lancet

Media Coverage

Ayushman driving big gains in cancer treatment: Lancet
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 23, 2024
It is a moment of pride that His Holiness Pope Francis has made His Eminence George Koovakad a Cardinal of the Holy Roman Catholic Church: PM
No matter where they are or what crisis they face, today's India sees it as its duty to bring its citizens to safety: PM
India prioritizes both national interest and human interest in its foreign policy: PM
Our youth have given us the confidence that the dream of a Viksit Bharat will surely be fulfilled: PM
Each one of us has an important role to play in the nation's future: PM

Respected Dignitaries…!

आप सभी को, सभी देशवासियों को और विशेषकर दुनिया भर में उपस्थित ईसाई समुदाय को क्रिसमस की बहुत-बहुत शुभकामनाएं, ‘Merry Christmas’ !!!

अभी तीन-चार दिन पहले मैं अपने साथी भारत सरकार में मंत्री जॉर्ज कुरियन जी के यहां क्रिसमस सेलीब्रेशन में गया था। अब आज आपके बीच उपस्थित होने का आनंद मिल रहा है। Catholic Bishops Conference of India- CBCI का ये आयोजन क्रिसमस की खुशियों में आप सबके साथ जुड़ने का ये अवसर, ये दिन हम सबके लिए यादगार रहने वाला है। ये अवसर इसलिए भी खास है, क्योंकि इसी वर्ष CBCI की स्थापना के 80 वर्ष पूरे हो रहे हैं। मैं इस अवसर पर CBCI और उससे जुड़े सभी लोगों को बहुत-बहुत बधाई देता हूँ।

साथियों,

पिछली बार आप सभी के साथ मुझे प्रधानमंत्री निवास पर क्रिसमस मनाने का अवसर मिला था। अब आज हम सभी CBCI के परिसर में इकट्ठा हुए हैं। मैं पहले भी ईस्टर के दौरान यहाँ Sacred Heart Cathedral Church आ चुका हूं। ये मेरा सौभाग्य है कि मुझे आप सबसे इतना अपनापन मिला है। इतना ही स्नेह मुझे His Holiness Pope Francis से भी मिलता है। इसी साल इटली में G7 समिट के दौरान मुझे His Holiness Pope Francis से मिलने का अवसर मिला था। पिछले 3 वर्षों में ये हमारी दूसरी मुलाकात थी। मैंने उन्हें भारत आने का निमंत्रण भी दिया है। इसी तरह, सितंबर में न्यूयॉर्क दौरे पर कार्डिनल पीट्रो पैरोलिन से भी मेरी मुलाकात हुई थी। ये आध्यात्मिक मुलाक़ात, ये spiritual talks, इनसे जो ऊर्जा मिलती है, वो सेवा के हमारे संकल्प को और मजबूत बनाती है।

साथियों,

अभी मुझे His Eminence Cardinal जॉर्ज कुवाकाड से मिलने का और उन्हें सम्मानित करने का अवसर मिला है। कुछ ही हफ्ते पहले, His Eminence Cardinal जॉर्ज कुवाकाड को His Holiness Pope Francis ने कार्डिनल की उपाधि से सम्मानित किया है। इस आयोजन में भारत सरकार ने केंद्रीय मंत्री जॉर्ज कुरियन के नेतृत्व में आधिकारिक रूप से एक हाई लेवल डेलिगेशन भी वहां भेजा था। जब भारत का कोई बेटा सफलता की इस ऊंचाई पर पहुंचता है, तो पूरे देश को गर्व होना स्वभाविक है। मैं Cardinal जॉर्ज कुवाकाड को फिर एक बार बधाई देता हूं, शुभकामनाएं देता हूं।

साथियों,

आज आपके बीच आया हूं तो कितना कुछ याद आ रहा है। मेरे लिए वो बहुत संतोष के क्षण थे, जब हम एक दशक पहले फादर एलेक्सिस प्रेम कुमार को युद्ध-ग्रस्त अफगानिस्तान से सुरक्षित बचाकर वापस लाए थे। वो 8 महीने तक वहां बड़ी विपत्ति में फंसे हुए थे, बंधक बने हुए थे। हमारी सरकार ने उन्हें वहां से निकालने के लिए हर संभव प्रयास किया। अफ़ग़ानिस्तान के उन हालातों में ये कितना मुश्किल रहा होगा, आप अंदाजा लगा सकते हैं। लेकिन, हमें इसमें सफलता मिली। उस समय मैंने उनसे और उनके परिवार के सदस्यों से बात भी की थी। उनकी बातचीत को, उनकी उस खुशी को मैं कभी भूल नहीं सकता। इसी तरह, हमारे फादर टॉम यमन में बंधक बना दिए गए थे। हमारी सरकार ने वहाँ भी पूरी ताकत लगाई, और हम उन्हें वापस घर लेकर आए। मैंने उन्हें भी अपने घर पर आमंत्रित किया था। जब गल्फ देशों में हमारी नर्स बहनें संकट से घिर गई थीं, तो भी पूरा देश उनकी चिंता कर रहा था। उन्हें भी घर वापस लाने का हमारा अथक प्रयास रंग लाया। हमारे लिए ये प्रयास केवल diplomatic missions नहीं थे। ये हमारे लिए एक इमोशनल कमिटमेंट था, ये अपने परिवार के किसी सदस्य को बचाकर लाने का मिशन था। भारत की संतान, दुनिया में कहीं भी हो, किसी भी विपत्ति में हो, आज का भारत, उन्हें हर संकट से बचाकर लाता है, इसे अपना कर्तव्य समझता है।

साथियों,

भारत अपनी विदेश नीति में भी National-interest के साथ-साथ Human-interest को प्राथमिकता देता है। कोरोना के समय पूरी दुनिया ने इसे देखा भी, और महसूस भी किया। कोरोना जैसी इतनी बड़ी pandemic आई, दुनिया के कई देश, जो human rights और मानवता की बड़ी-बड़ी बातें करते हैं, जो इन बातों को diplomatic weapon के रूप में इस्तेमाल करते हैं, जरूरत पड़ने पर वो गरीब और छोटे देशों की मदद से पीछे हट गए। उस समय उन्होंने केवल अपने हितों की चिंता की। लेकिन, भारत ने परमार्थ भाव से अपने सामर्थ्य से भी आगे जाकर कितने ही देशों की मदद की। हमने दुनिया के 150 से ज्यादा देशों में दवाइयाँ पहुंचाईं, कई देशों को वैक्सीन भेजी। इसका पूरी दुनिया पर एक बहुत सकारात्मक असर भी पड़ा। अभी हाल ही में, मैं गयाना दौरे पर गया था, कल मैं कुवैत में था। वहां ज्यादातर लोग भारत की बहुत प्रशंसा कर रहे थे। भारत ने वैक्सीन देकर उनकी मदद की थी, और वो इसका बहुत आभार जता रहे थे। भारत के लिए ऐसी भावना रखने वाला गयाना अकेला देश नहीं है। कई island nations, Pacific nations, Caribbean nations भारत की प्रशंसा करते हैं। भारत की ये भावना, मानवता के लिए हमारा ये समर्पण, ये ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच ही 21वीं सदी की दुनिया को नई ऊंचाई पर ले जाएगी।

Friends,

The teachings of Lord Christ celebrate love, harmony and brotherhood. It is important that we all work to make this spirit stronger. But, it pains my heart when there are attempts to spread violence and cause disruption in society. Just a few days ago, we saw what happened at a Christmas Market in Germany. During Easter in 2019, Churches in Sri Lanka were attacked. I went to Colombo to pay homage to those we lost in the Bombings. It is important to come together and fight such challenges.

Friends,

This Christmas is even more special as you begin the Jubilee Year, which you all know holds special significance. I wish all of you the very best for the various initiatives for the Jubilee Year. This time, for the Jubilee Year, you have picked a theme which revolves around hope. The Holy Bible sees hope as a source of strength and peace. It says: "There is surely a future hope for you, and your hope will not be cut off." We are also guided by hope and positivity. Hope for humanity, Hope for a better world and Hope for peace, progress and prosperity.

साथियों,

बीते 10 साल में हमारे देश में 25 करोड़ लोगों ने गरीबी को परास्त किया है। ये इसलिए हुआ क्योंकि गरीबों में एक उम्मीद जगी, की हां, गरीबी से जंग जीती जा सकती है। बीते 10 साल में भारत 10वें नंबर की इकोनॉमी से 5वें नंबर की इकोनॉमी बन गया। ये इसलिए हुआ क्योंकि हमने खुद पर भरोसा किया, हमने उम्मीद नहीं हारी और इस लक्ष्य को प्राप्त करके दिखाया। भारत की 10 साल की विकास यात्रा ने हमें आने वाले साल और हमारे भविष्य के लिए नई Hope दी है, ढेर सारी नई उम्मीदें दी हैं। 10 साल में हमारे यूथ को वो opportunities मिली हैं, जिनके कारण उनके लिए सफलता का नया रास्ता खुला है। Start-ups से लेकर science तक, sports से entrepreneurship तक आत्मविश्वास से भरे हमारे नौजवान देश को प्रगति के नए रास्ते पर ले जा रहे हैं। हमारे नौजवानों ने हमें ये Confidence दिया है, य़े Hope दी है कि विकसित भारत का सपना पूरा होकर रहेगा। बीते दस सालों में, देश की महिलाओं ने Empowerment की नई गाथाएं लिखी हैं। Entrepreneurship से drones तक, एरो-प्लेन उड़ाने से लेकर Armed Forces की जिम्मेदारियों तक, ऐसा कोई क्षेत्र नहीं, जहां महिलाओं ने अपना परचम ना लहराया हो। दुनिया का कोई भी देश, महिलाओं की तरक्की के बिना आगे नहीं बढ़ सकता। और इसलिए, आज जब हमारी श्रमशक्ति में, Labour Force में, वर्किंग प्रोफेशनल्स में Women Participation बढ़ रहा है, तो इससे भी हमें हमारे भविष्य को लेकर बहुत उम्मीदें मिलती हैं, नई Hope जगती है।

बीते 10 सालों में देश बहुत सारे unexplored या under-explored sectors में आगे बढ़ा है। Mobile Manufacturing हो या semiconductor manufacturing हो, भारत तेजी से पूरे Manufacturing Landscape में अपनी जगह बना रहा है। चाहे टेक्लोलॉजी हो, या फिनटेक हो भारत ना सिर्फ इनसे गरीब को नई शक्ति दे रहा है, बल्कि खुद को दुनिया के Tech Hub के रूप में स्थापित भी कर रहा है। हमारा Infrastructure Building Pace भी अभूतपूर्व है। हम ना सिर्फ हजारों किलोमीटर एक्सप्रेसवे बना रहे हैं, बल्कि अपने गांवों को भी ग्रामीण सड़कों से जोड़ रहे हैं। अच्छे ट्रांसपोर्टेशन के लिए सैकड़ों किलोमीटर के मेट्रो रूट्स बन रहे हैं। भारत की ये सारी उपलब्धियां हमें ये Hope और Optimism देती हैं कि भारत अपने लक्ष्यों को बहुत तेजी से पूरा कर सकता है। और सिर्फ हम ही अपनी उपलब्धियों में इस आशा और विश्वास को नहीं देख रहे हैं, पूरा विश्व भी भारत को इसी Hope और Optimism के साथ देख रहा है।

साथियों,

बाइबल कहती है- Carry each other’s burdens. यानी, हम एक दूसरे की चिंता करें, एक दूसरे के कल्याण की भावना रखें। इसी सोच के साथ हमारे संस्थान और संगठन, समाज सेवा में एक बहुत बड़ी भूमिका निभाते हैं। शिक्षा के क्षेत्र में नए स्कूलों की स्थापना हो, हर वर्ग, हर समाज को शिक्षा के जरिए आगे बढ़ाने के प्रयास हों, स्वास्थ्य के क्षेत्र में सामान्य मानवी की सेवा के संकल्प हों, हम सब इन्हें अपनी ज़िम्मेदारी मानते हैं।

साथियों,

Jesus Christ ने दुनिया को करुणा और निस्वार्थ सेवा का रास्ता दिखाया है। हम क्रिसमस को सेलिब्रेट करते हैं और जीसस को याद करते हैं, ताकि हम इन मूल्यों को अपने जीवन में उतार सकें, अपने कर्तव्यों को हमेशा प्राथमिकता दें। मैं मानता हूँ, ये हमारी व्यक्तिगत ज़िम्मेदारी भी है, सामाजिक दायित्व भी है, और as a nation भी हमारी duty है। आज देश इसी भावना को, ‘सबका साथ, सबका विकास और सबका प्रयास’ के संकल्प के रूप में आगे बढ़ा रहा है। ऐसे कितने ही विषय थे, जिनके बारे में पहले कभी नहीं सोचा गया, लेकिन वो मानवीय दृष्टिकोण से सबसे ज्यादा जरूरी थे। हमने उन्हें हमारी प्राथमिकता बनाया। हमने सरकार को नियमों और औपचारिकताओं से बाहर निकाला। हमने संवेदनशीलता को एक पैरामीटर के रूप में सेट किया। हर गरीब को पक्का घर मिले, हर गाँव में बिजली पहुंचे, लोगों के जीवन से अंधेरा दूर हो, लोगों को पीने के लिए साफ पानी मिले, पैसे के अभाव में कोई इलाज से वंचित न रहे, हमने एक ऐसी संवेदनशील व्यवस्था बनाई जो इस तरह की सर्विस की, इस तरह की गवर्नेंस की गारंटी दे सके।

आप कल्पना कर सकते हैं, जब एक गरीब परिवार को ये गारंटी मिलती हैं तो उसके ऊपर से कितनी बड़ी चिंता का बोझ उतरता है। पीएम आवास योजना का घर जब परिवार की महिला के नाम पर बनाया जाता है, तो उससे महिलाओं को कितनी ताकत मिलती है। हमने तो महिलाओं के सशक्तिकरण के लिए नारीशक्ति वंदन अधिनियम लाकर संसद में भी उनकी ज्यादा भागीदारी सुनिश्चित की है। इसी तरह, आपने देखा होगा, पहले हमारे यहाँ दिव्यांग समाज को कैसी कठिनाइयों का सामना करना पड़ता था। उन्हें ऐसे नाम से बुलाया जाता था, जो हर तरह से मानवीय गरिमा के खिलाफ था। ये एक समाज के रूप में हमारे लिए अफसोस की बात थी। हमारी सरकार ने उस गलती को सुधारा। हमने उन्हें दिव्यांग, ये पहचान देकर के सम्मान का भाव प्रकट किया। आज देश पब्लिक इंफ्रास्ट्रक्चर से लेकर रोजगार तक हर क्षेत्र में दिव्यांगों को प्राथमिकता दे रहा है।

साथियों,

सरकार में संवेदनशीलता देश के आर्थिक विकास के लिए भी उतनी ही जरूरी होती है। जैसे कि, हमारे देश में करीब 3 करोड़ fishermen हैं और fish farmers हैं। लेकिन, इन करोड़ों लोगों के बारे में पहले कभी उस तरह से नहीं सोचा गया। हमने fisheries के लिए अलग से ministry बनाई। मछलीपालकों को किसान क्रेडिट कार्ड जैसी सुविधाएं देना शुरू किया। हमने मत्स्य सम्पदा योजना शुरू की। समंदर में मछलीपालकों की सुरक्षा के लिए कई आधुनिक प्रयास किए गए। इन प्रयासों से करोड़ों लोगों का जीवन भी बदला, और देश की अर्थव्यवस्था को भी बल मिला।

Friends,

From the ramparts of the Red Fort, I had spoken of Sabka Prayas. It means collective effort. Each one of us has an important role to play in the nation’s future. When people come together, we can do wonders. Today, socially conscious Indians are powering many mass movements. Swachh Bharat helped build a cleaner India. It also impacted health outcomes of women and children. Millets or Shree Anna grown by our farmers are being welcomed across our country and the world. People are becoming Vocal for Local, encouraging artisans and industries. एक पेड़ माँ के नाम, meaning ‘A Tree for Mother’ has also become popular among the people. This celebrates Mother Nature as well as our Mother. Many people from the Christian community are also active in these initiatives. I congratulate our youth, including those from the Christian community, for taking the lead in such initiatives. Such collective efforts are important to fulfil the goal of building a Developed India.

साथियों,

मुझे विश्वास है, हम सबके सामूहिक प्रयास हमारे देश को आगे बढ़ाएँगे। विकसित भारत, हम सभी का लक्ष्य है और हमें इसे मिलकर पाना है। ये आने वाली पीढ़ियों के प्रति हमारा दायित्व है कि हम उन्हें एक उज्ज्वल भारत देकर जाएं। मैं एक बार फिर आप सभी को क्रिसमस और जुबली ईयर की बहुत-बहुत बधाई देता हूं, शुभकामनाएं देता हूं।

बहुत-बहुत धन्यवाद।