“লতা দিদির মতো বোনের ভালবাসা পাওয়ার থেকে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে, যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষকে ভালোবাসা আর আবেগ দিয়ে গেছেন”
“আমি এই পুরস্কার দেশবাসীকে উৎসর্গ করছি। লতা দিদি সবার, তাই তার নামে যে পুরস্কার আমাকে দেওয়া হল তা সকলের”
“তিনি স্বাধীনতার আগে থেকে গান গাইছেন এবং দেশের ৭৫ বছরের যাত্রা পথে তাঁর কণ্ঠ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে”
“লতা জি সঙ্গীতের সাধক ছিলেন কিন্তু তাঁর গানের মাধ্যমে তিনি দেশাত্মবোধ ও জাতির প্রতি সেবা করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন”
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মুম্বাইয়ে মাস্টার দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার বিতরণী সভায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী ভগৎসিং কোশিয়ারি, মঙ্গেশকর পরিবারের সদস্যরা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মুম্বাইয়ে মাস্টার দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার বিতরণী সভায় অংশগ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম লতা দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতিতে এই পুরস্কার প্রতি বছর দেশ গড়ার কাজে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ কাউকে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী ভগৎসিং কোশিয়ারি, মঙ্গেশকর পরিবারের সদস্যরা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।      

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, সঙ্গীতের বিষয়ে তাঁর খুব বেশি জ্ঞান নেই কিন্তু তিনি সংস্কৃতিকে ভালোবাসেন। তাঁর মতে সঙ্গীত হল সাধনা ও আবেগের মিশ্রন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “অব্যক্তকে  শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশ করার সময় যখন শক্তি থাকে, চেতনার সঞ্চার হয় তখন তাকে নাদ বলে। আর যখন চেতনার সঙ্গে ভাব এবং ভাবনা যুক্ত হয় এবং সৃষ্টির সঙ্গে সংবেদনশীলতা যখন মিলে  যায়, তখন তাকে সঙ্গীত বলা হয়। সঙ্গীতে শৌর্য্য, মায়ের ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সঙ্গীতের মাধ্যমে দেশাত্মবোধ ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত হয়। আমাদের  সঙ্গীতের এই শক্তিকে উপলব্ধি করার সৌভাগ্য লতা দিদির মাধ্যমে  অর্জন করেছি।” ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার কাছে লতা দিদি ছিলেন একাধারে সুর সমাজ্ঞী, অন্য দিকে আমার বড় দিদি। লতা দিদির মতো বোনের ভালবাসা পাওয়ার থেকে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে, যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষকে ভালোবাসা আর আবেগ দিয়েছেন।”     

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরস্কার গ্রহণ করতে তিনি একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। কিন্তু যখন মঙ্গেশকর পরিবার লতা দিদির মত বড় বোনের নামাঙ্কিত একটি পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য যোগাযোগ করেছে, তখন তা লতা দিদির ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছে। “আর তাই আমার পক্ষে না বলা সম্ভব হয়নি। আমি এই পুরস্কার দেশবাসীকে উৎসর্গ করছি। লতা দিদি সবার, তাই তার নামে যে পুরস্কার আমাকে দেওয়া হল তা সকলের।” এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা সকলের মধ্যে ভাগ করে নেন। সাংস্কৃতিক জগতে লতা দিদির অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “লতাজির পার্থিব যাত্রা যখন শেষ হয়েছে তখন আমাদের দেশ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। তিনি স্বাধীনতার আগে থেকে গান গাইছেন এবং দেশের ৭৫ বছরের যাত্রা পথে তাঁর কণ্ঠ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।”  

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গশকর পরিবারের দেশপ্রেমের কথা উল্লেখ করেন। “গানের মধ্যে দেশাত্মবোধের যে চেতনা লতা দিদি প্রকাশ করেছেন, তার উৎস ছিল তাঁর বাবা।” এই প্রসঙ্গে তিনি একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় সিমলায় ব্রিটিশ ভাইসরয়ের একটি অনুষ্ঠানে দীননাথজি বীর সাভারকরের লেখা গান গেয়েছিলেন। ওই গানে বীর সাভারকর ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। দেশাত্মবোধের এই ভাবনা দীননাথজি তাঁর পরিবারের মধ্যে জাগ্রত করেছিলেন। লতাজি সঙ্গীতের সাধক ছিলেন কিন্তু তাঁর গানের মাধ্যমে তিনি দেশাত্মবোধ ও জাতির প্রতি সেবা করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।   

লতা দিদির বৈচিত্র্যময় সঙ্গীত জীবনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “লতা জি ছিলেন ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’এর সুরেলা উপস্থাপনা। তিনি ৩০টির বেশি ভাষায় হাজার হাজার গান গেয়েছেন – হিন্দি, মারাঠি, সংস্কৃত অথবা বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায়। তাঁর সুরের মূর্ছনা সর্বত্র ঝড়ে পড়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সংস্কৃতি থেকে বিশ্বাস, পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ, লতা জির গান সারা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। বিশ্বকেও ঐক্যবদ্ধ করেছে, তিনি ছিলেন ভারতের সাংস্কৃতিক দূত।” তিনি প্রত্যেক রাজ্যের মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন, সঙ্গীত কিভাবে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়ায় শাশ্বত হয়ে ওঠে। শ্রী মোদী মঙ্গেশকর পরিবারের বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজের কথা উল্লেখ করেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের জন্য উন্নয়নের অর্থ হল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াশ। বসুধৈব কুটুম্বকম – প্রত্যেকের কল্যাণের ভাবনা নিয়ে এই ধারণা গড়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন শুধুমাত্র পার্থিব দক্ষতার মাধ্যমে অর্জিত হয় না। এক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক চেতনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই ভারত যোগ, আয়ুর্বেদ এবং পরিবেশের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। “আমি বিশ্বাস করি, মানব সভ্যতায় ভারতের অবদানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমাদের ভারতীয় সঙ্গীত। আমাদের এই ঐতিহ্যকে একইভাবে বজায় রাখতে হবে এবং আগামী দিনে বিশ্ব শান্তির জন্য এটি একটি মাধ্যম হয়ে উঠবে।”  

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage