প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী লক্ষ্ণৌতে ২০-২১ নভেম্বর পুলিশের মহানির্দেশক/ইন্সপেক্টর জেনারেলদের ৫৬তম সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে বিভিন্ন রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬২ জন পুলিশ মহানির্দেশক/ইন্সপেক্টর জেনারেল ছাড়াও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীগুলির মহানির্দেশকরা উপস্থিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো’র ৪০০ জনেরও বেশি আধিকারিক ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে সম্মেলনে অংশ নেন।
আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দেন। সম্মেলন শুরুর পূর্বে পুলিশের মহানির্দেশকদের নিয়ে একাধিক কোর গ্রুপ গঠন করা হয়। গ্রুপের সদস্যরা কারা সংস্কার, সন্ত্রাসবাদ, চরম উগ্রপন্থা, সাইবার অপরাধ, মাদক চোরাচালান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির জন্য বিদেশি তহবিল, দ্রোণ ব্যবহার, সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলির মানোন্নয়নের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আজ সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সম্পর্কিত যাবতীয় ঘটনার বিশ্লেষণ ও কেস স্টাডি বা ঘটনার তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনার পরামর্শ দেন। এবারের সম্মেলন হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজনের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে পুলিশের বিভিন্ন পদাধিকারীদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রাদন আরও সহজ হয়। তিনি পুলিশের অভ্যন্তরীণ কাজকর্ম সম্পাদনে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এর ফলে সারা দেশে পুলিশ বাহিনী লাভবান হবে। একেবারে তৃণমূল স্তরে পুলিশ বাহিনীর চাহিদা মেটানোর জন্য ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি গ্রহণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চস্তরীয় পুলিশ প্রযুক্তি মিশন চালু করার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কোউইন, জেম এবং ইউপিআই – এর উদাহরণ দেন। সাধারণ মানুষের প্রতি পুলিশের দৃষ্টিভঙ্গীতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসায় তিনি প্রশংসা করেন। ২০১৪’তে স্মার্ট পুলিশি কনসেপ্ট কার্যকর করতে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শ্রী মোদী পুলিশ বাহিনীতে নিরন্তর পরিবর্তন ও বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নের আহ্বান জানান। পুলিশ বাহিনীকে দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনায় যে সমস্ত অভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে হয়, তার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী হ্যাকাথনের মাধ্যমে কারিগরি সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার জন্য উচ্চ শিক্ষিত যুবাদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন।
এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো’র কয়েকজন কর্মীকে বিশিষ্ট সেবার জন্য রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক দিয়ে সম্মানিত করেন। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানুযায়ী বিভিন্ন রাজ্যের আইপিএস আধিকারিকরা সমসাময়িক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের রচিত নিবন্ধ জমা করেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী গত ১৯ নভেম্বর সম্মেলনের উদ্বোধন করে দেশের সেরা তিনটি পুলিশ থানাকে ট্রফি দিয়ে সম্মানিত করেন। সম্মেলনের সমস্ত আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও অভিমত পেশ করেন।