“শতকের পর শতক ধরে ধৈর্য্য এবং আত্মবলিদানের পর আমাদের শ্রী রাম প্রতিষ্ঠিত হলেন এখানে”
“২০২৪এর ২২ জানুয়ারি শুধুমাত্র ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ নয়, এক নতুন ‘কালচক্র’-এর সূচনা”
“ন্যায়বিচারের মর্যাদা রক্ষার জন্য আমি ভারতীয় বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। ন্যায়বিচারের প্রতিমূর্তি ভগবান রামের মন্দির তৈরি হয়েছে যথাযথ প্রক্রিয়ায়”
“১১ দিনের উপবাস এবং আচার-বিধি পালনের সময় আমি শ্রী রাম যে স্থানগুলিতে গেছেন তার সবকটিতেই যাওয়ার চেষ্টা করেছি”
“সমুদ্র থেকে সরযূ নদী- সর্বত্রই রামের নামে উৎসবের আবহ”
“রাম কথার অভিঘাত এবং রামায়ণ অনন্ত। রামের আদর্শ, মূল্যবোধ এবং শিক্ষা সর্বত্রই অভিন্ন”
“এই মন্দির রাম-এর সম্পর্কে জাতীয় সচেতনতার প্রতিরূপ। ভগবান রাম ভারতের বিশ্বাস, ভিত্তি, ধারণা, আইন, চেতনা, চিন্তাভাবনা এবং গৌরব”
“আমি গর্বিত সময়চক্র পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের প্রজন্ম এই গুরুত্বপূর্ণ পথের স্রষ্টা-এটা খুবই আনন্দজনক সমাপতন”
“আগামী এক হাজার বছরের ভারতের ভিত্তিস্থাপন করতে হবে আমাদের”
“এই অসাধারণ মন্দির অনন্য এক ভারতের উত্থানের সাক্ষী হয়ে থাকবে”
“এই সময় ভারতের, আমরা এগিয়ে চলেছি”
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় নবনির্মিত শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে শ্রী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমারোহে যোগ দেন। এই মন্দির নির্মাণে সামিল শ্রমজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় নবনির্মিত শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে শ্রী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমারোহে যোগ দেন। এই মন্দির নির্মাণে সামিল শ্রমজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

 

সমাবেশের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, শতকের পর শতকের অপেক্ষা, ধৈর্য্য এবং আত্মবলিদানের পর আমাদের শ্রী রাম প্রতিষ্ঠিত হলেন এখানে। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদী নাগরিকদের অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গর্ভগৃহ’-এ ঐশ্বরিক চেতনা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। প্রাণ প্রতিষ্ঠার এই লগ্নে তাঁর মন শক্তি এবং ভক্তিতে পূর্ণ। “আমাদের রাম লালা আর অস্থায়ী কাঠামোয় থাকবেন না। এই ঐশ্বরিক মন্দির এখন তাঁর বাসস্থান”, বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রত্যয়ী যে আজকের এই ঘটনা প্রবাহের অনুভব পৌঁছে গেছে দেশের এবং বিশ্বের প্রতিটি রামভক্তের মনে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই মুহুর্ত ঐশ্বরিক এবং পবিত্র, এই আবহ এবং পরিবেশ ও শক্তি আমাদের ওপর বর্ষিত ভগবান রামের আশীর্বাদের প্রমাণ।”তিনি আরও বলেন, ২২ জানুয়ারির প্রভাত সূর্য নতুন এক আলো নিয়ে এসেছে। “২০২৪এর ২২ জানুয়ারি শুধুমাত্র ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ নয়, এক নতুন কালচক্রের সূচনা”, এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাম জন্মভূমি মন্দিরের ভূমি পূজনের পর থেকেই এর নির্মাণের ক্ষেত্রে সারা দেশের মানুষের মধ্যে এক অভূতপূর্ব শক্তি ও উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে। “আজ আমরা শতকের পর শতক ধৈর্য্যের সুবাদে এই রাম মন্দির পেয়েছি।” যে দেশ দাসত্বের মনোভাব পরিত্যাগ করে অতীতের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় থেকে প্রেরণা লাভ করতে পারে, সেই দেশ ইতিহাস রচনায় সক্ষম- এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, আজকের দিনটি আলোচিত হবে হাজার হাজার বছর ধরে এবং ভগবান রামের আশীর্বাদের সুবাদেই আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনালগ্ন প্রত্যক্ষ করছি। 

শ্রী রামের যাবতীয় কর্মকান্ডে শ্রী হনুমানের ভূমিকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শ্রী হনুমান এবং হনুমান গাড়হি-র প্রতি প্রণাম জানান। লক্ষণ, ভরত, শত্রুঘ্ন এবং মাতা জানকীর প্রতিও শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এই সমারোহে একটি ঐশ্বরিক মাত্রা যুক্ত হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন। আজকের দিনটি আসার জন্য এতো বিলম্ব হওয়ায় প্রভু শ্রী রামের কাছে মার্জনা ভিক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী এবং বলেন, সেই অপূর্ণতা পূর্ণ হওয়ায় শ্রী রাম অবশ্যই আমাদের ক্ষমা করবেন। 

 

‘ত্রেতা যুগ’-এ শ্রী রামের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে সন্ত তুলসী দাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অযোধ্যায় সেই সময়ের আনন্দের আবহ আজ অবশ্যই অনুভূত হচ্ছে। “তখন শ্রী রামের ১৪ বছর ব্যাপী বিচ্ছেদ বেদনা ছিল দুঃসহ। আজকের যুগে অযোধ্যা এবং দেশের মানুষ সেই বেদনা বহন করেছেন শত শত বছর ধরে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের মূল সংস্করণ শ্রী রামের উপস্থিতি সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর এই নিয়ে দীর্ঘ আইনী লড়াই হয়েছে। ন্যায়বিচারের মর্যাদা রক্ষার জন্য আমি ভারতীয় বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। ন্যায়বিচারের প্রতিমূর্তি ভগবান রামের মন্দির তৈরি হয়েছে যথাযথ প্রক্রিয়ায়- জোর দিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট ছোট গ্রাম সহ সারা দেশে প্রত্যক্ষ করছে শোভাযাত্রা এবং মন্দিরে মন্দিরে চলছে পরিচ্ছন্নতার অভিযান। সারা দেশ আজ দীপাবলি উদযাপন করছে। প্রতিটি বাড়িতে সন্ধ্যায় জ্বলে উঠবে ‘রাম জ্যোতি’। গতকাল রাম সেতুর স্থান আরিচাল মুনাই-এ তাঁর সফরের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুপ্রাচীন সেই সময়ে যেমন কালচক্র আর্বিতত হয়েছিল, তেমনভাবেই আজকের এই লগ্ন সময়ের যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাঁর ১১ দিন ব্যাপী আচার-বিধি পালনের অধ্যায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব জায়গায় ভগবান রাম পদচিহ্ন এঁকে গেছেন, তার সবকটিতেই যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। নাসিকের পঞ্চবটী ধাম, কেরলের থ্রিপ্রায়ার মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশের লেপাক্ষী, শ্রীরঙ্গমের শ্রী রঙ্গনাথস্বামী মন্দির এবং ধনুষ্কোটির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র থেকে সরযূ নদী পর্যন্ত এই যাত্রায় সামিল হতে পেরে তিনি ধন্য। ভগবান শ্রী রামের নামে উৎসবের আবহ সর্বত্র। ভগবান রাম ভারতের আত্মার প্রতিটি বিন্দুতে সংযুক্ত, ভগবান রাম রয়েছেন ভারতীয়দের মনের মন্দিরে। এই একতার বোধ বর্তমান ভারতের প্রতিটি জায়গায় থাকা প্রতিটি মানুষের মধ্যে এবং সামগ্রিকতার প্রশ্নে এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর নেই।

 

বিভিন্ন ভাষায় শ্রী রাম কথা শোনার অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাম রয়েছেন স্মৃতিতে, উৎসবে, ঐতিহ্যে। প্রতি যুগে মানুষ তাঁকে জীবন্ত করে রেখেছেন। জীবনচর্যায় রামের প্রভাব সর্বকালীন। জীবনের প্রবাহের মতনই প্রবাহিত ‘রাম’‘রস’। রাম কথা এবং রামায়ণ অনন্ত। রামের চেতনা, মূল্যবোধ এবং শিক্ষা সর্বত্রগামী। 

আজকের দিনটি সম্ভব করে তোলায় মানুষ যে অবদান রেখেছেন তাকে প্রণাম জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানান সন্ত, করসেবক এবং রাম ভক্তদের। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের সমারোহ শুধুমাত্র আনন্দের নয়, তা ভারতীয় সমাজের স্বনির্ভরতার দ্যোতক। এই লগ্ন শুধুমাত্র বিজয়ের নয়, বিনয়েরও। ইতিহাসের নানা সন্ধিক্ষণের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সংগ্রামের কাহিনী সব সময় আনন্দময় নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই জটিল আবর্ত পেরোতে এই দেশ যে স্থিতপ্রজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে তা উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দেয়। নেতিবাচক বক্তব্যের প্রবক্তাদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা আমাদের সামাজিক দর্শনের মূল সুর সম্পর্কে সচেতন নন। রাম লালার এই মন্দিরের নির্মাণ শান্তি, ধৈর্য্য, পারস্পরিক সম্প্রীতি এবং সমন্বয়ের প্রশ্নে ভারতীয় সমাজের অনন্য সাধারণ দিকটিকেই তুলে ধরে। এই নির্মাণ আগুন নয়, প্রাণপ্রাচুর্য এবং শক্তির প্রতীক। রাম মন্দির সমাজের প্রতিটি অংশকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশায় এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে। “রাম আগুন নন, তিনি শক্তি, দ্বন্দ্ব নন, সমাধান, রাম শুধু আমাদের নন, সকলের, রাম শুধুমাত্র বর্তমান নন, অনন্ত।”

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রাণপ্রতিষ্ঠানর সঙ্গে সংযুক্ত সারা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশে চলছে এর উদযাপন। অযোধ্যার এই উৎসব রামায়ণের বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্যের উদযাপন। রাম লালার দর্শন হল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সমারোহ শ্রী রামের মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠায় শুধুমাত্র নয়, শ্রী রামের মধ্যে মূর্ত ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের উদযাপন। মানবিক মূল্যবোধ এবং আদর্শ সমকালীন বিশ্বের দাবি। মানব কল্যাণের প্রতি দায়বদ্ধতার মূর্ত রূপ এই রাম মন্দির আসলে ভারতীয় দর্শন এবং প্রজ্ঞার প্রতিফলন। রামকে ঘিরে জাতীয় চেতনার মূর্ত রূপ এই মন্দির ভারতের বিশ্বাস, ভিত্তি, ধারণা, আইনের অনুশাসন, সচেতনতা এবং গৌরবগাথাকে তুলে ধরে। রামই প্রবাহ, রামই গন্তব্য। রামই নীতি, রামই অনন্ত। রামই ধারাবাহিকতা, রামই বিভু। রাম সর্বত্রগামী, সমগ্র বিশ্ব, সমগ্র চেতনা। ভগবান রামের এই প্রতিষ্ঠার অভিঘাত অনুভূত হবে হাজার বছর পরেও। মহর্ষি বাল্মীকিকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাম ১০ হাজার বছর রাজ্য শাসন করেছেন- অর্থাৎ রাম রাজত্বের স্থায়িত্ব ছিল হাজার হাজার বছর। রাম এসেছিলেন ত্রেতা যুগে, রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হাজার হাজার বছরের জন্য। বিশ্বকে রাম পথ দেখিয়েছেন হাজার হাজার বছর ধরে। 

 

এই অসাধারণ রাম মন্দিরের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথের দিকে তাকানোর জন্য তিনি প্রতিটি রাম ভক্তের কাছে আবেদন রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ তাঁর মনে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে সময়ের চক্র পরিবর্তিত হচ্ছে। এই ঐতিহাসিক লগ্নের সাক্ষী হতে পারে আমাদের প্রজন্ম ধন্য। আগামী হাজার বছরের জন্য ভারতের ভিত্তি গড়ে দিতে হবে আমাদের। এই মন্দির থেকে দেশের প্রতিটি মানুষ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবেন শক্তিশালী, সক্ষম এবং ঐশ্বরিক ভারতের স্বপ্ন পূরণে। জাতির চেতনায় রামের আদর্শের গুরুত্বের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

দেশের নাগরিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ জানান, তাঁদের চেতনার প্রসার দেব থেকে দেশ, রাম থেকে রাষ্ট্র- প্রতিমা থেকে জাতিতে প্রসারিত করতে। শ্রী হনুমানের সেবাপরায়ণতা এবং ভক্তি শিক্ষণীয় বলে মনে করিয়ে দেন তিনি। সেই মূল্যবোধে জারিত প্রতিটি দেশবাসী নতুন ভারত গড়ে তুলবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, ‘রাম আসবেন’- মাতা সবরীর এই বিশ্বাস প্রোথিত রয়েছে প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে। নিষাদ রাজের প্রতি রামের স্নেহ ও ভালোবাসা এই আদর্শেরই প্রতিফলন যে সকলে সমান এবং ঐক্যের এই ধারণা সমৃদ্ধ ভারতের চাবিকাঠি।

 

প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন আজ এই দেশে নেতিবাচকতার কোনো জায়গা নেই। তুলে ধরেন কাঠবিড়ালীর সেই গল্প- যা বার্তা দেয় দ্বিধা পরিত্যাগ করে এগিয়ে যাওয়ার এবং বলে যে ছোট-বড় সকলেই কোনো না কোনো অবদান রাখতে সক্ষম। সকলের প্রয়াসের মন্ত্রই ভবিষ্যতের ভারত গড়ে দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যয়ী। এই ধারণা ভগবান থেকে দেশ এবং রাম থেকে জাতিতে উত্তরণের মূল মন্ত্র বলে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবল প্রতাপশালী রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয় অনিবার্য জেনেও পিছপা হননি জটায়ু। কর্তব্যের এই বোধ সক্ষম এবং ঐশ্বরিক ভারতের ভিত্তি গড়ে দেবে। রামের কর্মকান্ড, রাষ্ট্রের কর্মকান্ড, সময়ের প্রতিটি বিন্দু, দেহের প্রতিটি অণু-পরমাণু সংযুক্ত হয়ে দেশ গঠনের শক্তির উৎস হয়ে উঠবে। 

 

নিজেকে অতিক্রম করে যাওয়ার দর্শন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভগবান রামের প্রতি আমাদের পূজা আমি থেকে আমরা- এই সৃজনশীলতার মূল সুর হয়ে ওঠা দরকার। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে উৎসর্গীকৃত হতে হবে সকলকে। 

বর্তমানের অমৃতকাল এবং যুব সম্পদে বলীয়ান জন বিন্যাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিকাশে এ এক অনন্য চালিকাশক্তি। সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে পাথেয় করে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলতে হবে যুব সমাজকে। ঘটাতে হবে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন।

 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই অনন্য রাম মন্দির ভারতের প্রগতি ও উত্থানের সাক্ষী হয়ে উঠবে। প্রত্যক্ষ করবে বিকশিত ভারতকে। এই মন্দির সম্মিলিত এবং সমন্বিত শক্তির মাধ্যমে লক্ষ্যপূরণের শিক্ষা দেয়। এই সময় ভারতের এবং এগিয়ে চলেছে ভারত। শতকের পর শতকের অপেক্ষার শেষে আমরা পৌঁছেছি এখানে। এখন আমরা থামবোনা। এগিয়ে চলবো এবং নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবো। রাম লালার পায়ে প্রণাম জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দীবেন প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সংঘ চালক শ্রী মোহন ভাগবত, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সভাপতি শ্রী নৃত্য গোপাল দাস প্রমুখ। 

 

প্রেক্ষাপট

ঐতিহাসিক এই প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমারোহ প্রত্যক্ষ করেন দেশের বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি স্থানীয় এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ। 

 

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির তৈরি হয়েছে চিরাচরিত নাগর শৈলী অনুযায়ী। এর দৈর্ঘ্য (পূর্ব-পশ্চিম) ৩৮০ ফুট, প্রস্থ ২৫০ ফুট এবং উচ্চতা ১৬১ ফুট। রয়েছে ৩৯২টি স্তম্ভ এবং ৪৪টি দরজা। এক তলায় ভগবান শ্রী রামের জীবনের নানান দিক তুলে ধরা হয়েছে শিল্পকৃতির মাধ্যমে। 

মূল প্রবেশদ্বার পূর্ব দিকে। রয়েছে ৫টি মণ্ডপ। মন্দিরের কাছেই রয়েছে সীতা কূপ। মন্দিরের নির্মাণ কাজে লোহার ব্যবহার করা হয়নি। অনুসরণ করা হয়েছে দেশের চিরাচরিত প্রযুক্তির। 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait

Media Coverage

When PM Modi Fulfilled A Special Request From 101-Year-Old IFS Officer’s Kin In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Under Rozgar Mela, PM to distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits
December 22, 2024

Prime Minister Shri Narendra Modi will distribute more than 71,000 appointment letters to newly appointed recruits on 23rd December at around 10:30 AM through video conferencing. He will also address the gathering on the occasion.

Rozgar Mela is a step towards fulfilment of the commitment of the Prime Minister to accord highest priority to employment generation. It will provide meaningful opportunities to the youth for their participation in nation building and self empowerment.

Rozgar Mela will be held at 45 locations across the country. The recruitments are taking place for various Ministries and Departments of the Central Government. The new recruits, selected from across the country will be joining various Ministries/Departments including Ministry of Home Affairs, Department of Posts, Department of Higher Education, Ministry of Health and Family Welfare, Department of Financial Services, among others.