QuoteLaunches E-Portals of e-Commerce website for Cooperative Marketing andCooperative Extension and Advisory Services Portal
Quote“Spirit of cooperation sends the message of Sabka Prayas”
Quote“Ensuring affordable fertilizer shows what a guarantee looks like and what massive efforts are needed to change the lives of the farmers”
Quote“Sarkar and Sahkaar (Government and cooperative) will together provide double strength to the dream of the Viksit Bharat”
Quote“It is imperative that the cooperative sector becomes a model of transparency and corruption-free governance”
Quote“FPOs are going to give great power to small farmers. These are means of making small farmers a big force in the market”
Quote“Today chemical free natural farming is a key priority of the government”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস উপলক্ষে আজ নতুন দিল্লির প্রগতি ময়দানে ১৭তম ভারতীয় সমবায় কংগ্রেসে ভাষণ দিয়েছেন। এই কংগ্রেসের মূল বিষয় ভাবনা হল ‘অমৃতকাল : এক প্রাণবন্ত ভারতের জন্য সমবায়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধি’। শ্রী মোদী সমবায় বিপণনের জন্য ই-বাণিজ্য ওয়েবসাইট-এর ই-পোর্টাল-এর সূচনা এবং সমবায় সম্প্রসারণ ও উপদেষ্টা পরিষেবা পোর্টাল চালু করেছেন। 

|

অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সকলকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন যে দেশ একটি ‘বিকশিত ও আত্মনির্ভর ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ‘সবকা প্রয়াস’-এর প্রয়োজনের কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী ভারতকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুগ্ধ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দুগ্ধ সমবায়ের অবদান এবং ভারতকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সমবায়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায় দেশের অনেক অংশে ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। শ্রী মোদী বলেন, সরকার একটি বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সমবায় ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, এই প্রথম সমবায় ক্ষেত্রের জন্য একটি পৃথক মন্ত্রক গঠন করা হয়েছে। এমনকি সমবায় ক্ষেত্রের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলস্বরূপ সমবায়গুলি কর্পোরেট ক্ষেত্রের মতো একই সারিতে উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী সমবায় ক্ষেত্রগুলিকে শক্তিশালী করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে করের হার কমানো হয়েছে। এমনকি সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি নতুন শাখাও খোলা হয়েছে। দোরগোড়ায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও পৌঁছে যাচ্ছে। 

|

এরসঙ্গে যুক্ত থাকা বিপুল সংখ্যক কৃষকদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী গত ৯ বছরে কৃষক কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, আগে কৃষকদের সহায়তার পরিবর্তে মধ্যস্থভোগীদের মাধ্যমে কৃষকদের আয় হ্রাস করা হয়েছে। এখন কোটি কোটি কৃষক সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিষাণ সম্মান নিধি পাচ্ছেন। গত ৪ বছরে এই প্রকল্পে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে ৫ বছরের মোট কৃষি বাজেটের ৩ গুণেরও বেশি ব্যয় হয়েছে শুধুমাত্র এই প্রকল্পে।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপি সারের ক্রমবর্ধমান দামের বোঝা কৃষকদের যাতে না বইতে হয় তা নিশ্চিত করা উপায়গুলির কথাও ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, এ দেশের একজন কৃষক আজ এক ব্যাগ ইউরিয়া কেনে মাত্র ২৭০ টাকায়, সেখানে বাংলাদেশের একজন কৃষক  এক ব্যাগ ইউরিয়া কেনে ৭২০ টাকায়। পাকিস্তানে তার দাম ৮০০ টাকা। চীনে ২১০০ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০০ টাকা। কৃষকদের জীবন পরিবর্তনে সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত ৯ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়েছে শুধুমাত্র সার ক্ষেত্রে ভর্তুকিতে।

কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্ধিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যতে কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কেনা হয়েছে। গত ৯ বছরে কৃষকদের কাছে ১৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি কৃষক প্রতি বছর যাতে ৫০,০০০ টাকা করে পান তা সরকার সুনিশ্চিত করেছে। 

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমৃতকালের সময় গ্রাম ও কৃষকদের উন্নতিতে সমবায় ক্ষেত্র বড় ভূমিকা নিতে পারে। সরকার ও সমবায় একত্রে বিকশিত ভারতের স্বপ্নকে দ্বিগুণ শক্তি যোগাবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানের মাধ্যমে সরকারের কাজে স্বচ্ছতা এসেছে এবং সুবিধাভোগীদের উপকার নিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দরিদ্ররা বিশ্বাস করে যে উচ্চস্তরে দুর্নীতি এবং স্বজন-পোষণ দূর হয়েছে। সমবায়ের ওপর জোর দিয়ে আমাদের কৃষক ও গবাদি পশুপালকারীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। সমবায় ক্ষেত্রকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত করা অপরিহার্য। এরজন্য ডিজিটাল পদ্ধতির বিষয়ে প্রচার চালাতে হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। 

প্রাথমিক স্তরে প্রধান সমবায় সমিতিগুলি অথবা প্যাকস (পিএসিএস) স্বচ্ছতার জন্য একটি মডেল হয়ে উঠবে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান ৬০,০০০ হাজারেরও বেশি প্যাকস-এ কম্পিউটারাইজেশন হচ্ছে। কোর ব্যাঙ্কিং এবং সমবায় সমিতিগুলির মধ্যেও ডিজিটাল লেনদেনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ক্রমবর্ধমান রেকর্ড রপ্তানীর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে সমবায়গুলির অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, উৎপাদন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সমবায়গুলির  করের বোঝা কমানো হয়েছে । রপ্তানী বৃদ্ধিতে দুগ্ধ ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, গ্রামীণ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর সংকল্প নিতে হবে। শ্রী অন্ন (বাজরা)-র প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে শ্রী অন্ন পরিবেশিত হয়েছিল। ভারতের শ্রী অন্নকে বিশ্বের বাজারে তুলে ধরার জন্য সমবায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আখ চাষীদের সমস্যা মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য চিনি কলগুলিকে ২০,০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, পেট্রলে ইথানল মিশ্রনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ৯ বছরে চিনি কলগুলি থেকে ৭০,০০০ কোটি টাকার ইথানল কেনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি শুধুমাত্র গম ও চালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত ভোজ্য তেল, ডাল, মাছের খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ইত্যাদি আমদানিতে ২ থেকে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে। এক্ষেত্রে সমবায়গুলিকে ভোজ্য তেল উৎপাদনে দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, সরকার মিশন মোডে কাজ করে চলেছে। সমবায় সমিতিগুলিকে কৃষকদের বৃক্ষরোপণ প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম কেনার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত ধরনের পরিষেবা এবং তথ্য সরবরাহ করার পরামর্শ দিয়েছেন। 

|

প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার কথা উল্লেখ করেন শ্রী মোদী। তিনি বলেন, মৎস্য ক্ষেত্রে ২৫,০০০-এর বেশি সমবায় সমিতি কাজ করে। বিগত ৯ বছরে দেশে মৎস্য চাষ দ্বিগুণ হয়েছে। এই অভিযানে সমবায় ক্ষেত্রের অবদানের  ওপর জোর দেন শ্রী মোদী। সরকার সারা দেশে ২ লক্ষ নতুন বহুমুখী সমিতি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায়ের ক্ষমতা গ্রাম ও পঞ্চায়েত স্তরে পৌঁছে যাবে। 

বিগত কয়েক বছরে এফপিও-তে নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ১০,০০০ নতুন এফপিও তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৫,০০০ এফপিও তৈরি হয়েছে বলে জানান শ্রী মোদী। এই এফপিওগুলি ছোট কৃষকদের শক্তি যোগাবে। মধু উৎপাদন, জৈব খাবার, সৌর প্যানেল এবং মাটির পরীক্ষার মতো ক্ষেত্রে কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা প্রধানমন্ত্রী জানান। এইসব ক্ষেত্রে সমবায়ের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি। রাসায়নিক মুক্ত চাষের ক্ষেত্রে পিএম-প্রণাম প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রেও সমবায়ের সাহায্যের প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। কৃষি কাজে রাসায়নিক ব্যবহার না করার জন্য প্রতি জেলায় ৫টি করে গ্রাম সমবায়গুলিকে দত্তক নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী গোবর্ধন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। এই প্রকল্পে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করার জন্য সারা দেশে কাজ করা হয়। গোবর এবং বর্জ্যকে বিদ্যুৎ ও জৈব সারে পরিণত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত দেশে ৫০টিরও বেশি বায়ো গ্যাস প্লান্ট তৈরি হয়েছে। সমবায় সমিতিগুলিকে এই কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। 

|

প্রধানমন্ত্রী দুগ্ধ ও পশুপালন ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করে জানান, বিপুল সংখ্যক গবাদি পশুপালনকারী সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। গবাদি পশুর পা ও মুখের রোগের কারণে এই পশুপালনকারীরা চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রথমবার সারা দেশে ২৪ কোটি প্রাণীকে টিকা দেওয়ার জন্য বিনামূল্যে টিকাদান অভিযান শুরু করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী অমৃত সরোবর, জল সংরক্ষণ, ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা যে শস্য উৎপাদন করি তার ৫০ শতাংশেরও কম মজুত করে রাখতে পারি। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বের বৃহত্তম শস্য মজুত প্রকল্প নিয়ে এসেছে। কৃষি পরিকাঠামোর জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে এবং বিগত ৩ বছরে তাতে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। 

|

ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী সমবায়গুলিকে নতুন ভারতে দেশের অর্থনৈতিক উৎসের একটি শক্তিশালা মাধ্যম হয়ে উঠবে বলে জানান। সমবায় মডেল অনুসরণ করে আত্মনির্ভর গ্রাম গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। সমবায় ক্ষেত্রে সহযোগিতার উন্নতির পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায়কে রাজনীতির পরিবর্তে সামাজিক  ও জাতীয় নীতির বাহক হতে হবে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, সমবায় প্রতিমন্ত্রী শ্রী বি এল ভার্মা, এশিয়া প্যাসিফিক-এর আন্তর্জাতিক সমবায় জোটের চেয়ারম্যান, ভারতের জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি সহ অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, পয়লা থেকে দোসরা জুলাই পর্যন্ত এই ১৭তম ভারতীয় সমবায় কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়েছে। এই কংগ্রেসে সমবায় আন্দোলন, সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে ওঠার নানান দিক, ভারতের সমবায় আন্দোলন বৃদ্ধির জন্য ভবিষ্যতের নীতি- দিক নির্দেশনা নিয়ে দু দিন ধরে আলোচনা চলবে। 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

  • Basudev That July 18, 2023

    🙏🙏🙏
  • नवनाथ कदम July 04, 2023

    धन्यवाद
  • Mk Devarajan July 04, 2023

    Majority of Tamilnadu state owned MTC buses in Chennai are not functioning as per peak hours and non peak hours. For every single 90% of MTC buses are taking hal an hour break. This is due to atrocity of union and irresponsible staff working in MTC. AM, PK, BM, CM, all are just working in AC office without troubleshooting and very relaxed manner receiving huge salary in every month. There are of about many staff who are recieving salary without doing their duty. It should have been corrected, otherwise, the whole system shall collapse and entire chennai population sufferings continues forever.
  • Kuldeep Yadav July 04, 2023

    આદરણીય પ્રધામંત્રીશ્રી નરેન્દ્ર મોદીજી ને મારા નમસ્કાર મારુ નામ કુલદીપ અરવિંદભાઈ યાદવ છે. મારી ઉંમર ૨૪ વર્ષ ની છે. એક યુવા તરીકે તમને થોડી નાની બાબત વિશે જણાવવા માંગુ છું. ઓબીસી કેટેગરી માંથી આવતા કડીયા કુંભાર જ્ઞાતિના આગેવાન અરવિંદભાઈ બી. યાદવ વિશે. અમારી જ્ઞાતિ પ્યોર બીજેપી છે. છતાં અમારી જ્ઞાતિ ના કાર્યકર્તાને પાર્ટીમાં સ્થાન નથી મળતું. એવા એક કાર્યકર્તા વિશે જણાવું. ગુજરાત રાજ્ય ના અમરેલી જિલ્લામાં આવેલ સાવરકુંડલા શહેર ના દેવળાના ગેઈટે રહેતા અરવિંદભાઈ યાદવ(એ.બી.યાદવ). જન સંઘ વખત ના કાર્યકર્તા છેલ્લાં ૪૦ વર્ષ થી સંગઠનની જવાબદારી સંભાળતા હતા. ગઈ ૩ ટર્મ થી શહેર ભાજપના મહામંત્રી તરીકે જવાબદારી કરેલી. ૪૦ વર્ષ માં ૧ પણ રૂપિયાનો ભ્રષ્ટાચાર નથી કરેલો અને જે કરતા હોય એનો વિરોધ પણ કરેલો. આવા પાયાના કાર્યકર્તાને અહીંના ભ્રષ્ટાચારી નેતાઓ એ ઘરે બેસાડી દીધા છે. કોઈ પણ પાર્ટીના કાર્યકમ હોય કે મિટિંગ એમાં જાણ પણ કરવામાં નથી આવતી. એવા ભ્રષ્ટાચારી નેતા ને શું ખબર હોય કે નરેન્દ્રભાઇ મોદી દિલ્હી સુધી આમ નમ નથી પોચિયા એની પાછળ આવા બિન ભ્રષ્ટાચારી કાર્યકર્તાઓ નો હાથ છે. આવા પાયાના કાર્યકર્તા જો પાર્ટી માંથી નીકળતા જાશે તો ભવિષ્યમાં કોંગ્રેસ જેવો હાલ ભાજપ નો થાશે જ. કારણ કે જો નીચે થી સાચા પાયા ના કાર્યકર્તા નીકળતા જાશે તો ભવિષ્યમાં ભાજપને મત મળવા બોવ મુશ્કેલ છે. આવા ભ્રષ્ટાચારી નેતાને લીધે પાર્ટીને ભવિષ્યમાં બોવ મોટું નુકશાન વેઠવું પડશે. એટલે પ્રધામંત્રીશ્રી નરેન્દ્ર મોદીજી ને મારી નમ્ર અપીલ છે કે આવા પાયા ના અને બિન ભ્રષ્ટાચારી કાર્યકર્તા ને આગળ મૂકો બાકી ભવિષ્યમાં ભાજપ પાર્ટી નો નાશ થઈ જાશે. એક યુવા તરીકે તમને મારી નમ્ર અપીલ છે. આવા કાર્યકર્તાને દિલ્હી સુધી પોચડો. આવા કાર્યકર્તા કોઈ દિવસ ભ્રષ્ટાચાર નઈ કરે અને લોકો ના કામો કરશે. સાથે અતિયારે અમરેલી જિલ્લામાં બેફામ ભ્રષ્ટાચાર થઈ રહીયો છે. રોડ રસ્તા ના કામો સાવ નબળા થઈ રહિયા છે. પ્રજાના પરસેવાના પૈસા પાણીમાં જાય છે. એટલા માટે આવા બિન ભ્રષ્ટાચારી કાર્યકર્તા ને આગળ લાવો. અમરેલી જિલ્લામાં નમો એપ માં સોવ થી વધારે પોઇન્ટ અરવિંદભાઈ બી. યાદવ(એ. બી.યાદવ) ના છે. ૭૩ હજાર પોઇન્ટ સાથે અમરેલી જિલ્લામાં પ્રથમ છે. એટલા એક્ટિવ હોવા છતાં પાર્ટીના નેતાઓ એ અતિયારે ઝીરો કરી દીધા છે. આવા કાર્યકર્તા ને દિલ્હી સુધી લાવો અને પાર્ટીમાં થતો ભ્રષ્ટાચારને અટકાવો. જો ખાલી ભ્રષ્ટાચાર માટે ૩૦ વર્ષ નું બિન ભ્રષ્ટાચારી રાજકારણ મૂકી દેતા હોય તો જો મોકો મળે તો દેશ માટે શું નો કરી શકે એ વિચારી ને મારી નમ્ર અપીલ છે કે રાજ્ય સભા માં આવા નેતા ને મોકો આપવા વિનંતી છે એક યુવા તરીકે. બાકી થોડા જ વર્ષો માં ભાજપ પાર્ટી નું વર્ચસ્વ ભાજપ ના જ ભ્રષ્ટ નેતા ને લીધે ઓછું થતું જાશે. - અરવિંદ બી. યાદવ (એ.બી યાદવ) પૂર્વ શહેર ભાજપ મહામંત્રી જય હિન્દ જય ભારત જય જય ગરવી ગુજરાત આપનો યુવા મિત્ર લી.. કુલદીપ અરવિંદભાઈ યાદવ
  • Tribhuwan Kumar Tiwari July 03, 2023

    वंदेमातरम सादर प्रणाम सर सादर त्रिभुवन कुमार तिवारी पूर्व सभासद लोहिया नगर वार्ड पूर्व उपाध्यक्ष भाजपा लखनऊ महानगर उप्र भारत
  • Shiv Kumar Verma July 03, 2023

    माननीय श्री प्रधानमंत्री नरेन्द्र मोदी जी जिंदाबाद जिंदाबाद
  • Shiv Kumar Verma July 03, 2023

    भारतीय जनता पार्टी जिंदाबाद जिंदाबाद।
  • sumit varma July 03, 2023

    हर हर मोदी जी
  • Santosh July 03, 2023

    सर आपकी मदद चाहिए हेल्प चाहिए सर₹5 लाख की
  • संजीव सिंह संजू July 03, 2023

    सबका साथ सबका विकास
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Laying the digital path to a developed India

Media Coverage

Laying the digital path to a developed India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India is driving global growth today: PM Modi at Republic Plenary Summit
March 06, 2025
QuoteIndia's achievements and successes have sparked a new wave of hope across the globe: PM
QuoteIndia is driving global growth today: PM
QuoteToday's India thinks big, sets ambitious targets and delivers remarkable results: PM
QuoteWe launched the SVAMITVA Scheme to grant property rights to rural households in India: PM
QuoteYouth is the X-Factor of today's India, where X stands for Experimentation, Excellence, and Expansion: PM
QuoteIn the past decade, we have transformed impact-less administration into impactful governance: PM
QuoteEarlier, construction of houses was government-driven, but we have transformed it into an owner-driven approach: PM

नमस्कार!

आप लोग सब थक गए होंगे, अर्णब की ऊंची आवाज से कान तो जरूर थक गए होंगे, बैठिये अर्णब, अभी चुनाव का मौसम नहीं है। सबसे पहले तो मैं रिपब्लिक टीवी को उसके इस अभिनव प्रयोग के लिए बहुत बधाई देता हूं। आप लोग युवाओं को ग्रासरूट लेवल पर इन्वॉल्व करके, इतना बड़ा कंपटीशन कराकर यहां लाए हैं। जब देश का युवा नेशनल डिस्कोर्स में इन्वॉल्व होता है, तो विचारों में नवीनता आती है, वो पूरे वातावरण में एक नई ऊर्जा भर देता है और यही ऊर्जा इस समय हम यहां महसूस भी कर रहे हैं। एक तरह से युवाओं के इन्वॉल्वमेंट से हम हर बंधन को तोड़ पाते हैं, सीमाओं के परे जा पाते हैं, फिर भी कोई भी लक्ष्य ऐसा नहीं रहता, जिसे पाया ना जा सके। कोई मंजिल ऐसी नहीं रहती जिस तक पहुंचा ना जा सके। रिपब्लिक टीवी ने इस समिट के लिए एक नए कॉन्सेप्ट पर काम किया है। मैं इस समिट की सफलता के लिए आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, आपका अभिनंदन करता हूं। अच्छा मेरा भी इसमें थोड़ा स्वार्थ है, एक तो मैं पिछले दिनों से लगा हूं, कि मुझे एक लाख नौजवानों को राजनीति में लाना है और वो एक लाख ऐसे, जो उनकी फैमिली में फर्स्ट टाइमर हो, तो एक प्रकार से ऐसे इवेंट मेरा जो यह मेरा मकसद है उसका ग्राउंड बना रहे हैं। दूसरा मेरा व्यक्तिगत लाभ है, व्यक्तिगत लाभ यह है कि 2029 में जो वोट करने जाएंगे उनको पता ही नहीं है कि 2014 के पहले अखबारों की हेडलाइन क्या हुआ करती थी, उसे पता नहीं है, 10-10, 12-12 लाख करोड़ के घोटाले होते थे, उसे पता नहीं है और वो जब 2029 में वोट करने जाएगा, तो उसके सामने कंपैरिजन के लिए कुछ नहीं होगा और इसलिए मुझे उस कसौटी से पार होना है और मुझे पक्का विश्वास है, यह जो ग्राउंड बन रहा है ना, वो उस काम को पक्का कर देगा।

साथियों,

आज पूरी दुनिया कह रही है कि ये भारत की सदी है, ये आपने नहीं सुना है। भारत की उपलब्धियों ने, भारत की सफलताओं ने पूरे विश्व में एक नई उम्मीद जगाई है। जिस भारत के बारे में कहा जाता था, ये खुद भी डूबेगा और हमें भी ले डूबेगा, वो भारत आज दुनिया की ग्रोथ को ड्राइव कर रहा है। मैं भारत के फ्यूचर की दिशा क्या है, ये हमें आज के हमारे काम और सिद्धियों से पता चलता है। आज़ादी के 65 साल बाद भी भारत दुनिया की ग्यारहवें नंबर की इकॉनॉमी था। बीते दशक में हम दुनिया की पांचवें नंबर की इकॉनॉमी बने, और अब उतनी ही तेजी से दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनने जा रहे हैं।

|

साथियों,

मैं आपको 18 साल पहले की भी बात याद दिलाता हूं। ये 18 साल का खास कारण है, क्योंकि जो लोग 18 साल की उम्र के हुए हैं, जो पहली बार वोटर बन रहे हैं, उनको 18 साल के पहले का पता नहीं है, इसलिए मैंने वो आंकड़ा लिया है। 18 साल पहले यानि 2007 में भारत की annual GDP, एक लाख करोड़ डॉलर तक पहुंची थी। यानि आसान शब्दों में कहें तो ये वो समय था, जब एक साल में भारत में एक लाख करोड़ डॉलर की इकॉनॉमिक एक्टिविटी होती थी। अब आज देखिए क्या हो रहा है? अब एक क्वार्टर में ही लगभग एक लाख करोड़ डॉलर की इकॉनॉमिक एक्टिविटी हो रही है। इसका क्या मतलब हुआ? 18 साल पहले के भारत में साल भर में जितनी इकॉनॉमिक एक्टिविटी हो रही थी, उतनी अब सिर्फ तीन महीने में होने लगी है। ये दिखाता है कि आज का भारत कितनी तेजी से आगे बढ़ रहा है। मैं आपको कुछ उदाहरण दूंगा, जो दिखाते हैं कि बीते एक दशक में कैसे बड़े बदलाव भी आए और नतीजे भी आए। बीते 10 सालों में, हम 25 करोड़ लोगों को गरीबी से बाहर निकालने में सफल हुए हैं। ये संख्या कई देशों की कुल जनसंख्या से भी ज्यादा है। आप वो दौर भी याद करिए, जब सरकार खुद स्वीकार करती थी, प्रधानमंत्री खुद कहते थे, कि एक रूपया भेजते थे, तो 15 पैसा गरीब तक पहुंचता था, वो 85 पैसा कौन पंजा खा जाता था और एक आज का दौर है। बीते दशक में गरीबों के खाते में, DBT के जरिए, Direct Benefit Transfer, DBT के जरिए 42 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा ट्रांसफर किए गए हैं, 42 लाख करोड़ रुपए। अगर आप वो हिसाब लगा दें, रुपये में से 15 पैसे वाला, तो 42 लाख करोड़ का क्या हिसाब निकलेगा? साथियों, आज दिल्ली से एक रुपया निकलता है, तो 100 पैसे आखिरी जगह तक पहुंचते हैं।

साथियों,

10 साल पहले सोलर एनर्जी के मामले में भारत दुनिया में कहीं गिनती नहीं होती थी। लेकिन आज भारत सोलर एनर्जी कैपेसिटी के मामले में दुनिया के टॉप-5 countries में से है। हमने सोलर एनर्जी कैपेसिटी को 30 गुना बढ़ाया है। Solar module manufacturing में भी 30 गुना वृद्धि हुई है। 10 साल पहले तो हम होली की पिचकारी भी, बच्चों के खिलौने भी विदेशों से मंगाते थे। आज हमारे Toys Exports तीन गुना हो चुके हैं। 10 साल पहले तक हम अपनी सेना के लिए राइफल तक विदेशों से इंपोर्ट करते थे और बीते 10 वर्षों में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट 20 गुना बढ़ गया है।

|

साथियों,

इन 10 वर्षों में, हम दुनिया के दूसरे सबसे बड़े स्टील प्रोड्यूसर हैं, दुनिया के दूसरे सबसे बड़े मोबाइल फोन मैन्युफैक्चरर हैं और दुनिया का तीसरा सबसे बड़ा स्टार्टअप इकोसिस्टम बने हैं। इन्हीं 10 सालों में हमने इंफ्रास्ट्रक्चर पर अपने Capital Expenditure को, पांच गुना बढ़ाया है। देश में एयरपोर्ट्स की संख्या दोगुनी हो गई है। इन दस सालों में ही, देश में ऑपरेशनल एम्स की संख्या तीन गुना हो गई है। और इन्हीं 10 सालों में मेडिकल कॉलेजों और मेडिकल सीट्स की संख्या भी करीब-करीब दोगुनी हो गई है।

साथियों,

आज के भारत का मिजाज़ कुछ और ही है। आज का भारत बड़ा सोचता है, बड़े टार्गेट तय करता है और आज का भारत बड़े नतीजे लाकर के दिखाता है। और ये इसलिए हो रहा है, क्योंकि देश की सोच बदल गई है, भारत बड़ी Aspirations के साथ आगे बढ़ रहा है। पहले हमारी सोच ये बन गई थी, चलता है, होता है, अरे चलने दो यार, जो करेगा करेगा, अपन अपना चला लो। पहले सोच कितनी छोटी हो गई थी, मैं इसका एक उदाहरण देता हूं। एक समय था, अगर कहीं सूखा हो जाए, सूखाग्रस्त इलाका हो, तो लोग उस समय कांग्रेस का शासन हुआ करता था, तो मेमोरेंडम देते थे गांव के लोग और क्या मांग करते थे, कि साहब अकाल होता रहता है, तो इस समय अकाल के समय अकाल के राहत के काम रिलीफ के वर्क शुरू हो जाए, गड्ढे खोदेंगे, मिट्टी उठाएंगे, दूसरे गड्डे में भर देंगे, यही मांग किया करते थे लोग, कोई कहता था क्या मांग करता था, कि साहब मेरे इलाके में एक हैंड पंप लगवा दो ना, पानी के लिए हैंड पंप की मांग करते थे, कभी कभी सांसद क्या मांग करते थे, गैस सिलेंडर इसको जरा जल्दी देना, सांसद ये काम करते थे, उनको 25 कूपन मिला करती थी और उस 25 कूपन को पार्लियामेंट का मेंबर अपने पूरे क्षेत्र में गैस सिलेंडर के लिए oblige करने के लिए उपयोग करता था। एक साल में एक एमपी 25 सिलेंडर और यह सारा 2014 तक था। एमपी क्या मांग करते थे, साहब ये जो ट्रेन जा रही है ना, मेरे इलाके में एक स्टॉपेज दे देना, स्टॉपेज की मांग हो रही थी। यह सारी बातें मैं 2014 के पहले की कर रहा हूं, बहुत पुरानी नहीं कर रहा हूं। कांग्रेस ने देश के लोगों की Aspirations को कुचल दिया था। इसलिए देश के लोगों ने उम्मीद लगानी भी छोड़ दी थी, मान लिया था यार इनसे कुछ होना नहीं है, क्या कर रहा है।। लोग कहते थे कि भई ठीक है तुम इतना ही कर सकते हो तो इतना ही कर दो। और आज आप देखिए, हालात और सोच कितनी तेजी से बदल रही है। अब लोग जानते हैं कि कौन काम कर सकता है, कौन नतीजे ला सकता है, और यह सामान्य नागरिक नहीं, आप सदन के भाषण सुनोगे, तो विपक्ष भी यही भाषण करता है, मोदी जी ये क्यों नहीं कर रहे हो, इसका मतलब उनको लगता है कि यही करेगा।

|

साथियों,

आज जो एस्पिरेशन है, उसका प्रतिबिंब उनकी बातों में झलकता है, कहने का तरीका बदल गया , अब लोगों की डिमांड क्या आती है? लोग पहले स्टॉपेज मांगते थे, अब आकर के कहते जी, मेरे यहां भी तो एक वंदे भारत शुरू कर दो। अभी मैं कुछ समय पहले कुवैत गया था, तो मैं वहां लेबर कैंप में नॉर्मली मैं बाहर जाता हूं तो अपने देशवासी जहां काम करते हैं तो उनके पास जाने का प्रयास करता हूं। तो मैं वहां लेबर कॉलोनी में गया था, तो हमारे जो श्रमिक भाई बहन हैं, जो वहां कुवैत में काम करते हैं, उनसे कोई 10 साल से कोई 15 साल से काम, मैं उनसे बात कर रहा था, अब देखिए एक श्रमिक बिहार के गांव का जो 9 साल से कुवैत में काम कर रहा है, बीच-बीच में आता है, मैं जब उससे बातें कर रहा था, तो उसने कहा साहब मुझे एक सवाल पूछना है, मैंने कहा पूछिए, उसने कहा साहब मेरे गांव के पास डिस्ट्रिक्ट हेड क्वार्टर पर इंटरनेशनल एयरपोर्ट बना दीजिए ना, जी मैं इतना प्रसन्न हो गया, कि मेरे देश के बिहार के गांव का श्रमिक जो 9 साल से कुवैत में मजदूरी करता है, वह भी सोचता है, अब मेरे डिस्ट्रिक्ट में इंटरनेशनल एयरपोर्ट बनेगा। ये है, आज भारत के एक सामान्य नागरिक की एस्पिरेशन, जो विकसित भारत के लक्ष्य की ओर पूरे देश को ड्राइव कर रही है।

साथियों,

किसी भी समाज की, राष्ट्र की ताकत तभी बढ़ती है, जब उसके नागरिकों के सामने से बंदिशें हटती हैं, बाधाएं हटती हैं, रुकावटों की दीवारें गिरती है। तभी उस देश के नागरिकों का सामर्थ्य बढ़ता है, आसमान की ऊंचाई भी उनके लिए छोटी पड़ जाती है। इसलिए, हम निरंतर उन रुकावटों को हटा रहे हैं, जो पहले की सरकारों ने नागरिकों के सामने लगा रखी थी। अब मैं उदाहरण देता हूं स्पेस सेक्टर। स्पेस सेक्टर में पहले सबकुछ ISRO के ही जिम्मे था। ISRO ने निश्चित तौर पर शानदार काम किया, लेकिन स्पेस साइंस और आंत्रप्रन्योरशिप को लेकर देश में जो बाकी सामर्थ्य था, उसका उपयोग नहीं हो पा रहा था, सब कुछ इसरो में सिमट गया था। हमने हिम्मत करके स्पेस सेक्टर को युवा इनोवेटर्स के लिए खोल दिया। और जब मैंने निर्णय किया था, किसी अखबार की हेडलाइन नहीं बना था, क्योंकि समझ भी नहीं है। रिपब्लिक टीवी के दर्शकों को जानकर खुशी होगी, कि आज ढाई सौ से ज्यादा स्पेस स्टार्टअप्स देश में बन गए हैं, ये मेरे देश के युवाओं का कमाल है। यही स्टार्टअप्स आज, विक्रम-एस और अग्निबाण जैसे रॉकेट्स बना रहे हैं। ऐसे ही mapping के सेक्टर में हुआ, इतने बंधन थे, आप एक एटलस नहीं बना सकते थे, टेक्नॉलाजी बदल चुकी है। पहले अगर भारत में कोई मैप बनाना होता था, तो उसके लिए सरकारी दरवाजों पर सालों तक आपको चक्कर काटने पड़ते थे। हमने इस बंदिश को भी हटाया। आज Geo-spatial mapping से जुडा डेटा, नए स्टार्टअप्स का रास्ता बना रहा है।

|

साथियों,

न्यूक्लियर एनर्जी, न्यूक्लियर एनर्जी से जुड़े सेक्टर को भी पहले सरकारी कंट्रोल में रखा गया था। बंदिशें थीं, बंधन थे, दीवारें खड़ी कर दी गई थीं। अब इस साल के बजट में सरकार ने इसको भी प्राइवेट सेक्टर के लिए ओपन करने की घोषणा की है। और इससे 2047 तक 100 गीगावॉट न्यूक्लियर एनर्जी कैपेसिटी जोड़ने का रास्ता मजबूत हुआ है।

साथियों,

आप हैरान रह जाएंगे, कि हमारे गांवों में 100 लाख करोड़ रुपए, Hundred lakh crore rupees, उससे भी ज्यादा untapped आर्थिक सामर्थ्य पड़ा हुआ है। मैं आपके सामने फिर ये आंकड़ा दोहरा रहा हूं- 100 लाख करोड़ रुपए, ये छोटा आंकड़ा नहीं है, ये आर्थिक सामर्थ्य, गांव में जो घर होते हैं, उनके रूप में उपस्थित है। मैं आपको और आसान तरीके से समझाता हूं। अब जैसे यहां दिल्ली जैसे शहर में आपके घर 50 लाख, एक करोड़, 2 करोड़ के होते हैं, आपकी प्रॉपर्टी की वैल्यू पर आपको बैंक लोन भी मिल जाता है। अगर आपका दिल्ली में घर है, तो आप बैंक से करोड़ों रुपये का लोन ले सकते हैं। अब सवाल यह है, कि घर दिल्ली में थोड़े है, गांव में भी तो घर है, वहां भी तो घरों का मालिक है, वहां ऐसा क्यों नहीं होता? गांवों में घरों पर लोन इसलिए नहीं मिलता, क्योंकि भारत में गांव के घरों के लीगल डॉक्यूमेंट्स नहीं होते थे, प्रॉपर मैपिंग ही नहीं हो पाई थी। इसलिए गांव की इस ताकत का उचित लाभ देश को, देशवासियों को नहीं मिल पाया। और ये सिर्फ भारत की समस्या है ऐसा नहीं है, दुनिया के बड़े-बड़े देशों में लोगों के पास प्रॉपर्टी के राइट्स नहीं हैं। बड़ी-बड़ी अंतरराष्ट्रीय संस्थाएं कहती हैं, कि जो देश अपने यहां लोगों को प्रॉपर्टी राइट्स देता है, वहां की GDP में उछाल आ जाता है।

|

साथियों,

भारत में गांव के घरों के प्रॉपर्टी राइट्स देने के लिए हमने एक स्वामित्व स्कीम शुरु की। इसके लिए हम गांव-गांव में ड्रोन से सर्वे करा रहे हैं, गांव के एक-एक घर की मैपिंग करा रहे हैं। आज देशभर में गांव के घरों के प्रॉपर्टी कार्ड लोगों को दिए जा रहे हैं। दो करोड़ से अधिक प्रॉपर्टी कार्ड सरकार ने बांटे हैं और ये काम लगातार चल रहा है। प्रॉपर्टी कार्ड ना होने के कारण पहले गांवों में बहुत सारे विवाद भी होते थे, लोगों को अदालतों के चक्कर लगाने पड़ते थे, ये सब भी अब खत्म हुआ है। इन प्रॉपर्टी कार्ड्स पर अब गांव के लोगों को बैंकों से लोन मिल रहे हैं, इससे गांव के लोग अपना व्यवसाय शुरू कर रहे हैं, स्वरोजगार कर रहे हैं। अभी मैं एक दिन ये स्वामित्व योजना के तहत वीडियो कॉन्फ्रेंस पर उसके लाभार्थियों से बात कर रहा था, मुझे राजस्थान की एक बहन मिली, उसने कहा कि मैंने मेरा प्रॉपर्टी कार्ड मिलने के बाद मैंने 9 लाख रुपये का लोन लिया गांव में और बोली मैंने बिजनेस शुरू किया और मैं आधा लोन वापस कर चुकी हूं और अब मुझे पूरा लोन वापस करने में समय नहीं लगेगा और मुझे अधिक लोन की संभावना बन गई है कितना कॉन्फिडेंस लेवल है।

साथियों,

ये जितने भी उदाहरण मैंने दिए हैं, इनका सबसे बड़ा बेनिफिशरी मेरे देश का नौजवान है। वो यूथ, जो विकसित भारत का सबसे बड़ा स्टेकहोल्डर है। जो यूथ, आज के भारत का X-Factor है। इस X का अर्थ है, Experimentation Excellence और Expansion, Experimentation यानि हमारे युवाओं ने पुराने तौर तरीकों से आगे बढ़कर नए रास्ते बनाए हैं। Excellence यानी नौजवानों ने Global Benchmark सेट किए हैं। और Expansion यानी इनोवेशन को हमारे य़ुवाओं ने 140 करोड़ देशवासियों के लिए स्केल-अप किया है। हमारा यूथ, देश की बड़ी समस्याओं का समाधान दे सकता है, लेकिन इस सामर्थ्य का सदुपयोग भी पहले नहीं किया गया। हैकाथॉन के ज़रिए युवा, देश की समस्याओं का समाधान भी दे सकते हैं, इसको लेकर पहले सरकारों ने सोचा तक नहीं। आज हम हर वर्ष स्मार्ट इंडिया हैकाथॉन आयोजित करते हैं। अभी तक 10 लाख युवा इसका हिस्सा बन चुके हैं, सरकार की अनेकों मिनिस्ट्रीज और डिपार्टमेंट ने गवर्नेंस से जुड़े कई प्रॉब्लम और उनके सामने रखें, समस्याएं बताई कि भई बताइये आप खोजिये क्या सॉल्यूशन हो सकता है। हैकाथॉन में हमारे युवाओं ने लगभग ढाई हज़ार सोल्यूशन डेवलप करके देश को दिए हैं। मुझे खुशी है कि आपने भी हैकाथॉन के इस कल्चर को आगे बढ़ाया है। और जिन नौजवानों ने विजय प्राप्त की है, मैं उन नौजवानों को बधाई देता हूं और मुझे खुशी है कि मुझे उन नौजवानों से मिलने का मौका मिला।

|

साथियों,

बीते 10 वर्षों में देश ने एक new age governance को फील किया है। बीते दशक में हमने, impact less administration को Impactful Governance में बदला है। आप जब फील्ड में जाते हैं, तो अक्सर लोग कहते हैं, कि हमें फलां सरकारी स्कीम का बेनिफिट पहली बार मिला। ऐसा नहीं है कि वो सरकारी स्कीम्स पहले नहीं थीं। स्कीम्स पहले भी थीं, लेकिन इस लेवल की last mile delivery पहली बार सुनिश्चित हो रही है। आप अक्सर पीएम आवास स्कीम के बेनिफिशरीज़ के इंटरव्यूज़ चलाते हैं। पहले कागज़ पर गरीबों के मकान सेंक्शन होते थे। आज हम जमीन पर गरीबों के घर बनाते हैं। पहले मकान बनाने की पूरी प्रक्रिया, govt driven होती थी। कैसा मकान बनेगा, कौन सा सामान लगेगा, ये सरकार ही तय करती थी। हमने इसको owner driven बनाया। सरकार, लाभार्थी के अकाउंट में पैसा डालती है, बाकी कैसा घर बनेगा, ये लाभार्थी खुद डिसाइड करता है। और घर के डिजाइन के लिए भी हमने देशभर में कंपीटिशन किया, घरों के मॉडल सामने रखे, डिजाइन के लिए भी लोगों को जोड़ा, जनभागीदारी से चीज़ें तय कीं। इससे घरों की क्वालिटी भी अच्छी हुई है और घर तेज़ गति से कंप्लीट भी होने लगे हैं। पहले ईंट-पत्थर जोड़कर आधे-अधूरे मकान बनाकर दिए जाते थे, हमने गरीब को उसके सपनों का घर बनाकर दिया है। इन घरों में नल से जल आता है, उज्ज्वला योजना का गैस कनेक्शन होता है, सौभाग्य योजना का बिजली कनेक्शन होता है, हमने सिर्फ चार दीवारें खड़ी नहीं कीं है, हमने उन घरों में ज़िंदगी खड़ी की है।

साथियों,

किसी भी देश के विकास के लिए बहुत जरूरी पक्ष है उस देश की सुरक्षा, नेशनल सिक्योरिटी। बीते दशक में हमने सिक्योरिटी पर भी बहुत अधिक काम किया है। आप याद करिए, पहले टीवी पर अक्सर, सीरियल बम ब्लास्ट की ब्रेकिंग न्यूज चला करती थी, स्लीपर सेल्स के नेटवर्क पर स्पेशल प्रोग्राम हुआ करते थे। आज ये सब, टीवी स्क्रीन और भारत की ज़मीन दोनों जगह से गायब हो चुका है। वरना पहले आप ट्रेन में जाते थे, हवाई अड्डे पर जाते थे, लावारिस कोई बैग पड़ा है तो छूना मत ऐसी सूचनाएं आती थी, आज वो जो 18-20 साल के नौजवान हैं, उन्होंने वो सूचना सुनी नहीं होगी। आज देश में नक्सलवाद भी अंतिम सांसें गिन रहा है। पहले जहां सौ से अधिक जिले, नक्सलवाद की चपेट में थे, आज ये दो दर्जन से भी कम जिलों में ही सीमित रह गया है। ये तभी संभव हुआ, जब हमने nation first की भावना से काम किया। हमने इन क्षेत्रों में Governance को Grassroot Level तक पहुंचाया। देखते ही देखते इन जिलों मे हज़ारों किलोमीटर लंबी सड़कें बनीं, स्कूल-अस्पताल बने, 4G मोबाइल नेटवर्क पहुंचा और परिणाम आज देश देख रहा है।

साथियों,

सरकार के निर्णायक फैसलों से आज नक्सलवाद जंगल से तो साफ हो रहा है, लेकिन अब वो Urban सेंटर्स में पैर पसार रहा है। Urban नक्सलियों ने अपना जाल इतनी तेज़ी से फैलाया है कि जो राजनीतिक दल, अर्बन नक्सल के विरोधी थे, जिनकी विचारधारा कभी गांधी जी से प्रेरित थी, जो भारत की ज़ड़ों से जुड़ी थी, ऐसे राजनीतिक दलों में आज Urban नक्सल पैठ जमा चुके हैं। आज वहां Urban नक्सलियों की आवाज, उनकी ही भाषा सुनाई देती है। इसी से हम समझ सकते हैं कि इनकी जड़ें कितनी गहरी हैं। हमें याद रखना है कि Urban नक्सली, भारत के विकास और हमारी विरासत, इन दोनों के घोर विरोधी हैं। वैसे अर्नब ने भी Urban नक्सलियों को एक्सपोज करने का जिम्मा उठाया हुआ है। विकसित भारत के लिए विकास भी ज़रूरी है और विरासत को मज़बूत करना भी आवश्यक है। और इसलिए हमें Urban नक्सलियों से सावधान रहना है।

साथियों,

आज का भारत, हर चुनौती से टकराते हुए नई ऊंचाइयों को छू रहा है। मुझे भरोसा है कि रिपब्लिक टीवी नेटवर्क के आप सभी लोग हमेशा नेशन फर्स्ट के भाव से पत्रकारिता को नया आयाम देते रहेंगे। आप विकसित भारत की एस्पिरेशन को अपनी पत्रकारिता से catalyse करते रहें, इसी विश्वास के साथ, आप सभी का बहुत-बहुत आभार, बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद!