প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মুম্বাইয়ের রাজভবনে ‘জল ভূষণ ভবন’ এবং ‘গ্যালারি অফ রেভোলিউশনারিজ’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী উদ্ধব ঠাকরে।
অনুষ্ঠানের সূচনাতে বাত পূর্ণিমা এবং কবীর জয়ন্তী উপলক্ষে জনসাধারণকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশে ভাষণদানকালে তিনি বলেন, মহারাষ্ট্র দেশকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। জগদগুরু শ্রী সন্ত তুকারাম মহারাজ থেকে বাবাসাহেব আম্বেদকর - এক বিরাট ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার রয়েছে এই রাজ্যটিতে। তিনি বলেন যে মহারাষ্ট্র থেকে সন্ত ধ্যানেশ্বর মহারাজ, সন্ত নান্দেব, সন্ত রামদাস এবং সন্ত চোখামেলা দেশকে নানাভাবে উজ্জীবিত করেছেন। স্বরাজ্যের কথা যদি আমরা চিন্ত করি তাহলে অনুভব করব যে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ এবং ছত্রপতি সম্বাজি মহারাজ প্রত্যেক ভারতীয়ের মধ্যেই দেশপ্রেমের ভাব জাগ্রত করেছেন। রাজভবনের স্থাপত্যে সুপ্রাচীন মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি বিধৃত রয়েছে। রাজভবনকে লোকভবনে রূপান্তরিত করার বিশেষ উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রী মোদী বলেন, জ্ঞানতঃ বা অজ্ঞতাবশেই হয়তো আমরা ভারতের স্বাধীনতাকে কয়েকটি মাত্র ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করি, অথচ দেশের অগণিত সাধারণ মানুষের তপস্যা এবং আঞ্চলিক তথা জাতীয় পর্যায়ের সম্মিলিত প্রভাবও স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি। গৃহীত পথ হয়তো ভিন্ন ছিল, কিন্তু সঙ্কল্প ছিল এক ও অভিন্ন। দেশ বা বিদেশ যেখান থেকেই স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালিত হোক না কেন, লক্ষ্য ছিল একটিই - ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন। বাল গঙ্গাধর তিলক, চাপেকার ব্রাদার্স, বাসুদেব বলবন্ত ফাড়কে এবং ম্যাডাম বিকাজি কামা-র নানা অবদানের কথাও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা স্থানীয় তথা আঞ্চলিক পর্যায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, তার ব্যপ্তি ঘটেছিল সমগ্র বিশ্বেই। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের আন্তর্জাতিক প্রভাব প্রসঙ্গে গদার পার্টি, নেতাজীর নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ ফৌজ এবং শ্যামজি কৃষ্ণভার্মার আন্তর্জাতিক প্রভাবের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আত্মনির্ভর ভারত অভিযান'-এর মূল ভিত্তিই হল অঞ্চল থেকে বিশ্বভাবনার প্রভাব ও প্রতিফলন।
শ্রী মোদী বলেন, দেশের বহু বীর সংগ্রামীর কথা আজও অনেকের কাছেই অজানা রয়ে গেছে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্যামজি কৃষ্ণভার্মার দেহাবশেষ ভারতে এসে পৌঁছতে এক দীর্ঘ সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। এই দেহাবশেষ যে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগেই শেষ পর্যন্ত ভারতে এসে পৌঁছয়, সেকথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মুম্বাই নগরীকে স্বপ্নের নগরী বলে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এই ধরনের শহর মহারাষ্ট্রে আরও রয়েছে যেগুলি একবিংশ শতকের বিকাশ কেন্দ্র রূপে গড়ে উঠতে চলেছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে একদিকে যেমন মুম্বাইয়ের পরিকাঠামোকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনই অন্যান্য শহরগুলিতেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ঘটানো হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শ্রী মোদী বলেন, দেশের প্রত্যেকটি মানুষ যে ভূমিকাই পালন করুন না কেন, সকলেরই উচিৎ জাতীয় সঙ্কল্পকে আরও সুদৃঢ় করার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় 'সবকা প্রয়াস'-কে সার্থক করে তোলা।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের সরকারি বাসভবন হল 'জল ভূষণ'। ১৮৮৫ সাল থেকেই এটি রাজ্যপালের বাসস্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। পরে বাড়িটি বয়সের ভারে জীর্ণ হয়ে পড়লে তা ভেঙে একটি নতুন ভবন তৈরির মঞ্জুরি দেওয়া হয়। ২০১৯-এর আগস্টে প্রস্তাবিত নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। বাড়িটি নতুনভাবে গড়ে তোলা হলেও প্রাচীন ভবনটির বৈশিষ্ট্যগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৬-তে মহারাষ্ট্রের তদানীন্তন রাজ্যপাল শ্রী বিদ্যাসাগর রাও রাজভবনে একটি বাঙ্কারের হদিশ পান যা ব্রিটিশরা একদা অস্ত্রশস্ত্র মজুত করার গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করত। পরে ২০১৯ সালে, এই বাঙ্কারটির সংস্কার করা হয়। এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একটি গ্যালারি গড়ে তোলা হয়েছে যা এক বিশেষ সংগ্রহশালা রূপে চিহ্নিত হয়েছে। বাসুদেব বলবন্ত ফাড়কে, চাপেকার ব্রাদার্স, সাভারকার ব্রাদার্স, ম্যাডাম বিকাজি কামা, ভি ভি গোগেট এবং ১৯৪৬-এর নৌ-বিদ্রোহের প্রতি স্মৃতিমেদুর শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে এই সংগ্রহশালা গড়ে তোলার মাধ্যমে।
महाराष्ट्र ने तो अनेक क्षेत्रों में देश को प्रेरित किया है।
— PMO India (@PMOIndia) June 14, 2022
अगर हम सामाजिक क्रांतियों की बात करें तो जगतगुरू श्री संत तुकाराम महाराज से लेकर बाबा साहेब आंबेडकर तक समाज सुधारकों की एक बहुत समृद्ध विरासत है: PM @narendramodi
महाराष्ट्र में संत ज्ञानेश्वर, संत नामदेव, समर्थ रामदास, संत चोखामेला, जैसे संतों ने देश को ऊर्जा दी है।
— PMO India (@PMOIndia) June 14, 2022
अगर स्वराज्य की बात करें तो छत्रपति शिवाजी महाराज और छत्रपति सांभाजी महाराज का जीवन आज भी हर भारतीय में राष्ट्रभक्ति की भावना को और प्रबल कर देता है: PM @narendramodi
जब हम भारत की आज़ादी की बात करते हैं, तो जाने-अनजाने उसे कुछ घटनाओं तक सीमित कर देते हैं।
— PMO India (@PMOIndia) June 14, 2022
जबकि भारत की आजादी में अनगिनत लोगों का तप और उनकी तपस्या शामिल रही है।
स्थानीय स्तर पर हुई अनेकों घटनाओं का सामूहिक प्रभाव राष्ट्रीय था।
साधन अलग थे लेकिन संकल्प एक था: PM @narendramodi
सामाजिक, परिवारिक, वैचारिक भूमिकाएं चाहे कोई भी रही हों,
— PMO India (@PMOIndia) June 14, 2022
आंदोलन का स्थान चाहे देश-विदेश में कहीं भी रहा हो,
लक्ष्य एक था - भारत की संपूर्ण आज़ादी: PM @narendramodi
मुंबई तो सपनों का शहर है ही, महाराष्ट्र के ऐसे अनेक शहर हैं, जो 21वीं सदी में देश के ग्रोथ सेंटर होने वाले हैं।
— PMO India (@PMOIndia) June 14, 2022
इसी सोच के साथ एक तरफ मुंबई के इंफ्रास्ट्रक्चर को आधुनिक बनाया जा रहा है तो साथ ही बाकी शहरों में भी आधुनिक सुविधाएं बढ़ाई जा रही हैं: PM @narendramodi