আমার সৌভাগ্য যে আজ আমি কাশীতে বিবিধ প্রকল্পেরভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা উদ্বোধনের সুযোগ পেয়েছি । আজ এক দিনে কাশীপ্রায় ২১০০ কোটি টাকার ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প পাচ্ছে । বিশেষ করে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর পরিবারের মানুষ যাতে আধুনিক চিকিৎসার সুবিধা পান সেকথামাথায় রেখে ইএসআই হাসপাতালের আধুনিকীকরণ করে দ্বিগুণ পরিষেবা চালু করা হয়েছে । গরিব মজুরদেরকথা মাথায় রেখে ভারত সরকার এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ দ্বায়িত্ব নিয়েছিল । আধুনিক বিজ্ঞানও প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে । এই অঞ্চলের মানুষেরআরোগ্য সম্ভাবনা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই গুরুত্বপূর্ণ উপহার আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি ।
একটু আগেই আমি কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিক্যান্সার রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি । এই গোটাএলাকার মানুষকে ক্যান্সার হলে চিকিৎসার জন্যে মুম্বাই যেতে হয়। আর আমরা জানি,মুম্বাই গেলে চিকিৎসা পেতে কত দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়। এসব কথা ভেবে মুম্বাইয়েরহাসপাতালে যেসব সুবিধা আছে সকল পরিষেবাযুক্ত হাসপাতাল উত্তরপ্রদেশে, বিশেষ করেপূর্ব উত্তরপ্রদেশে গড়ে তোলার এই পরিকল্পনা। যাতে পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড এবংবিহারের মানুষও উপকৃত হয়! আমরা জানি যে, চিকিৎসাক্ষেত্রে পাবলিক প্রাইভেটপার্টনারশিপ এর মডেলও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলিরঅবদানও অনস্বীকার্য। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের সুসন্তান শ্রীযুক্ত রেড্ডি উপসাগরীয়দেশগুলিতে বসবাস করেন। আরোগ্য ক্ষেত্রে তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। অনেকজায়গায় তিনি হাসপাতাল স্থাপন করেছেন। অদূর ভবিষ্যতে তিনি কাশীতেও একটি ৫০০ বিছানারহাসপাতাল স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটিও এই অঞ্চলের মানুষের জন্যে একটি বড়উপহার। আজ আমি সেই প্রকল্পেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। এই ৫০০ বিছানার মধ্যে ২০০টি বিছানা দরিদ্রদেরজন্যে সমর্পিত থাকবে। বাকি ৩০০ টি বিছানায় ‘সুপার স্পেশালিটি’ পরিষেবা থাকবে।তাছাড়া এত বড় হাসপাতালে এই এলাকার নবীন প্রজন্মের অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।গোটা এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবাক্ষেত্র উন্নত হবে। প্যারামেডিকেল স্টাফ, নার্সিংস্টাফ, হাসপাতাল প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষ যুবক যুবতীদের সংখ্যা বাড়বে।
আজ এখানে আমি একটি বানিজ্যকেন্দ্র এবংপ্রদর্শনশালার উদ্বোধন করেছি। আমার মন্ত্রীসভার সদস্য স্মৃতি ইরানী এই প্রকল্পটিকেসফল করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে তাঁর নজর রয়েছে। এত কমসময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের ফেজ-১ উদ্বোধনের উপযোগী করে তোলার কৃতিত্ব তাঁর সুযোগ্যনেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে। এর আগে এই বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন শ্রীযুক্ত গনগোয়ার। তাঁরওঅনেক অবদান রয়েছে। আমি এদের সবাইকে অন্তর থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। এই বানিজ্যকেন্দ্রেরফেজ - ১ থেকে কাশীরমানুষ ছাড়াও আশপাশের বিস্তৃত অঞ্চলের জনগণ লাভবান হবেন । কাশী একটি তীর্থস্থান , একটি পর্যটনকেন্দ্র । এই বানিজ্যকেন্দ্রএবং প্রদর্শনশালা এই পর্যটনকেন্দ্রকে সারা পৃথিবীতে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে । এখন কাশীতে যারাইবেড়াতে আসবেন , তাদেরকেএখানে নিয়ে আসতে হবে । তাহলে বিশ্ববাসী বুঝতে পারবেন এখানকার মানুষ হাতেরকাজে কত দক্ষ । এখানকাররিকশাচালক , ট্যাক্সিচালকএবং অটোচালক ভাইদেরও এই বানিজ্যকেন্দ্র এবং প্রদর্শনশালা সম্পর্কে বিস্তারীত জ্ঞানথাকা উচিত । তাহলেতাঁরাই নিয়মিত অগণিত পর্যটককে এখানে নিয়ে আসবেন । হস্তশিল্প কাশীরবিশেষ পরিচয়কে তুলে ধরবে । আঙুলের ছোঁয়ায় একটি সম্পূর্ণ নতুন জিনিস গড়ে তোলারএই সামর্থ্যকে বিশ্ববাসী আরও ভাল করে চিনবে ।
আমাদের ঐতিহ্যশালী শিল্পশৈলীতেঅত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগলে উৎকর্ষ ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে। সেজন্যে নিরন্তরগবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন নতুন আবিষ্কার ব্যবস্থাকেসরল করবে। আমদানি-রপ্তানি বাড়বে। আমরা সারা দেশে হস্তশিল্পীদের পরিচয়পত্র দেওয়ারঅভিযান শুরু করেছি । আমাদেরদেশে এত সামর্থ্য রয়েছে, কিন্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবিন্যস্ত রয়েছে। এগুলির যথাযথরেকর্ড নেই, অধিকাংশ ক্ষেত্রে যথাযথ পরিচয়ও গড়ে ওঠে না। পরিচয় গড়ে উঠলে তবেই তোব্র্যান্ড গড়ে উঠবে! ব্র্যান্ড গড়ে উঠলে এগুলির দামও বেড়ে যাবে। ভারতের যে দরিদ্রশিল্পীদের হাতে দক্ষতার যাদু রয়েছে তাঁরা কেন সঠিক মর্যাদা পাবে না? তাদের দক্ষতাকেন তাদের পরিচয়কে দারিদ্র্য দূরীকরণের অস্ত্র করে তুলবে না? আমাদের দেশের কোটীকোটী হস্তশিল্পীরা প্রত্যেকেই এক একজন ব্র্যান্ড। আমরা আখন এই ব্র্যান্ড গুলিরসঙ্গে বিশ্ববাসীর পরিচয় করাতে পারিনি। সেজন্যেই আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরপরিচয় গড়ে তোলার জন্যে প্রকল্প রচনা করেছি। তাদের জন্যে সুযোগ তৈরি করতে চেয়েছি।সেজন্যেই আজ এই কার্ড বিতরণ। যারামাদুর বানান , তাঁরাআধুনিক তাঁতযন্ত্রের মাধ্যমে খুব কম সময়ে এক আন্তর্জাতিক মানের উৎকৃষ্ট উৎপাদন বাড়াতেপারলে আমাদের দেশে উৎপন্ন মাদুরের রপ্তানি বাড়বে । আজ আমার এ ধরণেরউন্নত তাঁতযন্ত্র বিতরণের সৌভাগ্য হয়েছে ।
এখানে আমি কয়েকজন নবীন খেলোয়াড়ের হাতেখেলার কিট তুলে দেওয়ার সু্যোগ পেলাম। এমনিতে এই শহর পালোয়ানদের জন্য বিখ্যাত।কিন্তু আমাদের দেশের নবীন প্রজন্মের উচিত খেলাকে নিজেদের জীবনের অংশ করে তোলা।এটাই যেন আমাদের সামাজিক জীবনের চরিত্র হয়ে ওঠে। খেলাই পারে এক ভিন্ন পরিবেশ,ভিন্ন মেজাজ গড়ে তুলতে। এই খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব সকলেই পছন্দ করে। কিনতু খেলা ছাড়া খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব কিভাবে গড়ে উঠবে? সেজন্যেইখেলাধুলোকে উৎসাহ জোগানোর মাধ্যমে নবীন প্রজন্মকে নিজেদের সামর্থ্য বিকাশের সুযোগকরে দেয়া যায়। আমরা দেশের নবীন প্রজন্মের বহুমাত্রিক বিকাশ চাই। সেজন্যে তাদের দক্ষতাউন্নয়ণের স্বার্থে আমরা পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা করছি ।
আমি আনন্দিত, আজ আপনাদের মাঝে এসে এধরণের বিবিধ প্রকল্প উদ্বোধনের সু্যোগ পেলাম। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে প্রকল্পগুলির আরভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম, সেগুলি আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পূর্ণ করতেপারবো। আর এখানকার জনসাধারণের উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পারবো। আমি আপনাদের কাছে অনেকঅনেক কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ ।
If someone is suffering from cancer, why should one go far for treatment. We decided a cancer research institute should come up here: PM
— PMO India (@PMOIndia) December 22, 2016
This land of Kashi is of spiritual importance and has tremendous tourism potential. It is also a trade centre: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) December 22, 2016
Let us make sports an essential part of our lives: PM @narendramodi in Varanasi
— PMO India (@PMOIndia) December 22, 2016