মহামহিম,
প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে,
বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ,
আয়ুবোভান!
ভনক্কম!
নমস্কার!
সবার আগে আমি আমার বন্ধু মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণের অব্যবহিত পরেই তিনি আমার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং তাঁর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ভারতকে বেছে নেন। এজন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। কয়েকদিন আগে শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতার ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে এবং শ্রীলঙ্কাবাসীকে অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ,
ভারত ও শ্রীলঙ্কা স্মরণাতীতকাল থেকে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমাদের সম্পর্কের ইতিহাস সংস্কৃতি, ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, শিল্পকলা ও ভাষার মতো অগণিত বর্ণময় যোগসূত্রের মাধ্যমে বিজড়িত। নিরাপত্তা বা অর্থনীতি অথবা সামাজিক অগ্রগতি – যাই হোক না কেন, আমাদের অতীত এবং ভবিষ্যৎ প্রতিটি ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। শ্রীলঙ্কার স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির সঙ্গে কেবল ভারতের স্বার্থই জড়িয়ে নেই, বরং সমগ্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে। তাই, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অত্যন্ত মূল্যবান। আমাদের সরকারের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ এবং ‘সাগর’ কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রেখে আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে আমরা শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্কল্পকে স্বাগত জানাই।
বন্ধুগণ,
আজ প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে এবং আমি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট একাধিক দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে সবিস্তারে আলাপ-আলোচনা করেছি। সন্ত্রাস আমাদের অঞ্চলের এক বড় বিপদ। আমরা দুই দেশই এই সমস্যা দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করেছি। শ্রীলঙ্কায় গত বছর এপ্রিলে ‘ইস্টার ডে’তে নৃশংস ও বর্বর জঙ্গি হামলা হয়েছে। এই জঙ্গি হামলা কেবল শ্রীলঙ্কার কাছেই নয়, বরং সমগ্র মানবতাবাদের কাছে এক বড় আঘাত। তাই, আজ আমাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, শ্রীলঙ্কার পুলিশ আধিকারিকরা ভারতের অগ্রণী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলিতে জঙ্গি দমন অভিযানের পাঠ নিতে শুরু করেছেন। আমরা দুই দেশই বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে যোগাযোগ ও সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বন্ধুগণ,
আজকের আলোচনায় আমরা শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে আর্থিক কর্মসূচি গ্রহণ সহ আর্থিক, বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে সম্পর্ককে আরও বাড়ানোর ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলেছি। এছাড়াও, আমাদের মধ্যে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ, পর্যটনের প্রসার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি নিয়েও কথা হয়েছে।
সম্প্রতি চেন্নাই ও জাফনার মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার বিষয়টি যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে আরও একটি পদক্ষেপ। সরাসরি এই বিমান পরিষেবা শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলের তামিল মানুষের কাছে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও একটি বিকল্প মাধ্যম হয়ে উঠবে। এমনকি, এই বিমান পরিষেবার ফলে দেশটির উত্তরাঞ্চলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। সরাসরি এই বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার পর থেকে যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে তা আমাদের দুই দেশের কাছেই সন্তুষ্টির বিষয়। আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়ানো ও নিবিড় করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি।
বন্ধুগণ,
শ্রীলঙ্কার উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টায় ভারত বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে। শ্রীলঙ্কার জন্য গত বছর সহজ শর্তে ঋণ সহায়তার যে কথা ঘোষণা করা হয়েছে তার ফলে আমাদের উন্নয়নমূলক সহযোগিতাগুলি আরও নিবিড় হবে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, ভারতের আবাসন সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে গৃহচ্যুত মানুষের জন্য ৪৮ হাজারেরও বেশি গৃহ নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়াও, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভারতীয় বংশোদ্ভুত তামিল মানুষের জন্য আরও কয়েক হাজার গৃহ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে এবং আমি মৎস্যজীবীদের স্বার্থে আরও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। আমরা মৎস্যজীবীদের স্বার্থে গঠনমূলক ও মানবিক প্রয়াস অব্যাহত রাখার বিষয়েও সম্মত হয়েছি।
বন্ধুগণ,
শ্রীলঙ্কায় সমন্বয়সাধনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা খোলাখুলি কথা বলেছি। আমি আশাবাদী যে, শ্রীলঙ্কা সরকার সে দেশে বসবাসকারী তামিল মানুষের সমতা, ন্যায়বিচার, শান্তি ও সম্মানের বিষয়গুলির বাস্তবায়নে কাজ করবে। এজন্য শ্রীলঙ্কার সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধন কার্যকর করার সঙ্গে সঙ্গে সমন্বয়সাধনের প্রক্রিয়াও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া জরুরি।
বন্ধুগণ,
আমি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষেকে ভারতে উষ্ণ স্বাগত জানাই। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে তাঁর এই সফর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মৈত্রীপূর্ণ ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও মজবুত করবে। একইসঙ্গে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
বোহোমা স্তুতি,
নান্দ্রি,
ধন্যবাদ।
सबसे पहले तो मैं अपने मित्र महिंद राजपक्ष को प्रधानमंत्री बनने के लिए ह्रदय से बधाई देता हूँ।पदभार सँभालने के तुरंत बाद उन्होंने मेरा निमंत्रण स्वीकार किया और अपने पहले विदेश दौरे के लिए भारत को चुना। इसके लिए मैं उनका आभारी हूँ: PM @narendramodi pic.twitter.com/gU4LHJKgkN
— PMO India (@PMOIndia) February 8, 2020
चाहे सुरक्षा हो या अर्थव्यवस्था या सामाजिक प्रगति, हर क्षेत्र में हमारा अतीत और हमारा भविष्य एक-दूसरे से जुड़ा हुआ है।श्रीलंका में स्थायित्व, सुरक्षा, और समृद्धि भारत के हित में तो है ही, पूरे हिन्द महासागर क्षेत्र के हित में भी है: PM @narendramodi pic.twitter.com/oZal4qMVsc
— PMO India (@PMOIndia) February 8, 2020
आतंकवाद हमारे क्षेत्र में एक बहुत बड़ा ख़तरा है। हम दोनों देशों ने इस समस्या का डट कर मुकाबला किया है।
— PMO India (@PMOIndia) February 8, 2020
पिछले साल अप्रैल में श्रीलंका में "ईस्टर डे" पर दर्दनाक और बर्बर आतंकी हमले हुए थे। ये हमले सिर्फ़ श्रीलंका पर ही नहीं, पूरी मानवता पर भी आघात थे: PM @narendramodi pic.twitter.com/djLZgv0lny
आज की बातचीत में हमने श्रीलंका में Joint Economic Projects पर, और आपसी आर्थिक, व्यापारिक, और निवेश संबंधों को बढ़ाने पर भी विचार-विमर्श किया।हमने अपने People-to-People संपर्क बढ़ाने, पर्यटन को प्रोत्साहन देने, और कनेक्टिविटी को बेहतर बनाने पर भी चर्चा की: PM @narendramodi pic.twitter.com/IGrOzkrEzn
— PMO India (@PMOIndia) February 8, 2020
श्रीलंका के विकास प्रयासों में भारत एक विश्वस्त भागीदार रहा है।पिछले साल घोषित नई Lines of Credit से हमारे विकास सहयोग को और अधिक बल मिलेगा: PM @narendramodi pic.twitter.com/2I8CG298s7
— PMO India (@PMOIndia) February 8, 2020
मुझे विश्वास है कि श्रीलंका सरकार United श्रीलंका के भीतर समानता, न्याय, शांति, और सम्मान के लिए तमिल लोगों की अपेक्षाओं को साकार करेगी: PM @narendramodi pic.twitter.com/xTmD6PVtWr
— PMO India (@PMOIndia) February 8, 2020