“মাত্র ছ’বছরে কৃষি ক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে; গত ৭ বছরে কৃষকদের জন্য ঋণের পরিমাণ আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে”
“২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে ভারতীয় বাজরার বিষয়ে প্রচার ও ব্র্যান্ডিং-এর জন্য কর্পোরেট জগতের এগিয়ে আসা উচিৎ”
“একবিংশ শতাব্দীতে কৃষি ক্ষেত্র এবং চাষ আবাদের পদ্ধতিতে কৃত্রিম মেধা সম্পূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে”
“গত ৩-৪ বছরে দেশে ৭০০-রও বেশি কৃষি সংক্রান্ত স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে”
“কেন্দ্র সমবায় সংক্রান্ত একটি নতুন মন্ত্রক তৈরি করেছে; সমবায়কে কিভাবে একটি সফল শিল্পোদ্যোগে পরিণত করা যায়, সে বিষয়ে আপনাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২২ – এর কেন্দ্রীয় বাজেটের ফলে কৃষি ক্ষেত্রের ইতিবাচক প্রস্তাব সংক্রান্ত একটি ওয়েবিনারে বক্তব্য রেখেছেন। এবারের বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার জন্য যে প্রস্তাবগুলি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ওয়েবিনারের বিষয় ছিল, স্মার্ট এগ্রিকালচার – বিভিন্ন কৌশলের বাস্তবায়ন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, রাজ্য সরকার, শিক্ষা ও শিল্প জগতের প্রতিনিধিরা এবং বিভিন্ন কৃষি বিকাশ কেন্দ্রে উপস্থিত কৃষকরা এই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জানান, পিএম কিষাণ সম্মান নিধি সূচনার এটি তৃতীয় বার্ষিকী। “দেশে ক্ষুদ্র চাষীদের জন্য এই প্রকল্প অত্যন্ত সহায়ক। ১১ কোটি কৃষক এর মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত নতুন নতুন পন্থা-পদ্ধতি কার্যকর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, কৃষি ক্ষেত্রে পুরনো ব্যবস্থায় সংস্কারের কাজ চলছে। “মাত্র ছ’বছরে কৃষি ক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। গত ৭ বছরে কৃষকদের জন্য ঋণের পরিমাণ আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে”। মহামারীর এই কঠিন সময়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে ৩ কোটি কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। পশু পালন ও মৎস্য চাষের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এই কার্ডের আওতায় আনা হয়েছে। ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র চাষীরা আরও ভালোভাবে উপকৃত হচ্ছেন। এইসব উদ্যোগের ফলে কৃষকরা এখন রেকর্ড পরিমাণে ফসল উৎপাদন করছেন। আর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মাধ্যমে খাদ্যশস্য কেনার মাধ্যমে নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। জৈব পদ্ধতিতে কৃষি কাজে উৎসাহ দেওয়ার ফলে আজ জৈব চাষে উৎপাদিত ফসলের বাজার ১১ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ছ’বছর আগে জৈব চাষে উৎপাদিত ফসল রপ্তানি করে ২ হাজার কোটি টাকা আয় হ’ত। বর্তমানে তার পরিমাণ ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, এবারের বাজেটে ৭টি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, কৃষি ক্ষেত্র আরও আধুনিক হয়ে উঠবে। প্রথমত, গঙ্গার উভয় তীরে ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কৃষকরা যাতে চাষাবাদ ও উদ্যান পালনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পান, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, বিদেশ থেকে পাম তেল আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে মিশন পাম তেল প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। চতুর্থত, পিএম গতিশক্তি প্রকল্পের আওতায় কৃষি পণ্যের পরিবহণের জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পঞ্চমত, কৃষি ক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও সংগঠিতভাবে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার ফলে বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের আয় বাড়বে। ষষ্ঠত, দেড় লক্ষেরও বেশি ডাকঘরে নিয়মিত ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে, কৃষকদের সমস্যা কমবে। সপ্তমত, দক্ষতা বিকাশের কথা বিবেচনা করে ও মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য যুগের দাবি অনুযায়ী, কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত পাঠক্রমে পরিবর্তন ঘটানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি ভারতীয় বাজরার বিষয়ে প্রচার ও ব্র্যান্ডিং-এর জন্য কর্পোরেট জগতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বড় বড় দেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলিকে ভারতীয় বাজরার গুণমান ও উপকারিতা সম্পর্কে প্রচার করার জন্য সম্মেলনের আয়োজন করার পরামর্শও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পরিবেশ-বান্ধব জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রচারের গুরুত্ব দিয়েছেন। এর ফলে, প্রাকৃতিক ও জৈব পদ্ধতিতে চাষবাসের মাধ্যমে উৎপাদিত শস্যের বাজার তৈরি হবে। কৃষি বিকাশ কেন্দ্রগুলিকে প্রাকৃতিক চাষের বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি করে গ্রামকে দত্তক নেওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। এর ফলে, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক চাষের পরিমাণ বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রী ভারতে মাটির গুণমান পরীক্ষা করার প্রবণতা যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সে বিষয়ে বিশেষ জোর দিয়েছেন। কেন্দ্র ‘সয়েল হেলথ কার্ড’ – এর বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি নতুন শিল্পোদ্যোগ সংস্থা বা স্টার্টআপ-গুলিকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

চাষের জমিতে সেচের জন্য নতুন নতুন পন্থা-পদ্ধতি উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক বিন্দু জলে অধিক ফসল উৎপাদনকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। কর্পোরেট জগতেরও এক্ষেত্রে অনেক কিছু করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বুন্দেলখন্ড অঞ্চলে কেন-বেতোয়া সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে যে সংস্কার সূচিত হয়েছে, সেকথাও উল্লেখ করেন। বকেয়া সেচ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার উপরও শ্রী মোদী গুরুত্ব দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে কৃষি ক্ষেত্র এবং চাষাবাদের পদ্ধতিতে কৃত্রিম মেধা সম্পূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এই পরিবর্তনের অঙ্গ হিসাবে কৃষি কাজে ড্রোন ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। “ড্রোন প্রযুক্তির সুবিধা তখনই পাওয়া যাবে, যখন আমরা কৃষি সংক্রান্ত নতুন শিল্পোদ্যোগগুলিতে উৎসাহ দেব। গত ৩-৪ বছরে দেশে ৭০০-রও বেশি কৃষি সংক্রান্ত স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে”।

কৃষি কাজ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের উপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গুণমান যাতে বজায় থাকে, সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। “এ প্রসঙ্গে বলা যায়, কিষাণ সম্পদ যোজনার সঙ্গে উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্পও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মূল্য-শৃঙ্খল এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর তাই, ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি বিশেষ কৃষি সংক্রান্ত পরিকাঠামো তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে” বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ফসলের নাড়ার যথাযথ ব্যবস্থাপনার কথাও উল্লেখ করেন। “আর তাই, এবারের বাজেটে কয়েকটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, কার্বন নিঃসরণ কমবে এবং কৃষকের আয় বাড়বে”। কৃষি ক্ষেত্রে বর্জ্য পদার্থের সাহায্যে প্যাকেজিং শিল্পের উন্নতি ঘটানো যায় কিনা, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

শ্রী মোদী ইথানলের সম্ভাবনার প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মোট জ্বালানীর ২০ শতাংশ ইথানলের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে ১-২ শতাংশ ইথানল মেশানো হ’ত, আজ তা বেড়ে হয়েছে ৮ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী সমবায়ের ভূমিকার কথাও এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ভারতের সমবায় ক্ষেত্র অত্যন্ত প্রাণবন্ত। চিনিকল, সার কারখানা, দুগ্ধ শিল্প, ঋণের ব্যবস্থা, খাদ্যশস্য ক্রয় করা – প্রতিটি ক্ষেত্রে সমবায়ের বিপুল অংশগ্রহণ রয়েছে। আমাদের সরকার সমবায় সংক্রান্ত একটি নতুন মন্ত্রক তৈরি করেছে। সমবায়কে কিভাবে একটি সফল শিল্পোদ্যোগে পরিণত করা যায়, সেবিষয়ে আপনাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ”।

Click here to read PM's speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।