“মাত্র ছ’বছরে কৃষি ক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে; গত ৭ বছরে কৃষকদের জন্য ঋণের পরিমাণ আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে”
“২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে ভারতীয় বাজরার বিষয়ে প্রচার ও ব্র্যান্ডিং-এর জন্য কর্পোরেট জগতের এগিয়ে আসা উচিৎ”
“একবিংশ শতাব্দীতে কৃষি ক্ষেত্র এবং চাষ আবাদের পদ্ধতিতে কৃত্রিম মেধা সম্পূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে”
“গত ৩-৪ বছরে দেশে ৭০০-রও বেশি কৃষি সংক্রান্ত স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে”
“কেন্দ্র সমবায় সংক্রান্ত একটি নতুন মন্ত্রক তৈরি করেছে; সমবায়কে কিভাবে একটি সফল শিল্পোদ্যোগে পরিণত করা যায়, সে বিষয়ে আপনাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২২ – এর কেন্দ্রীয় বাজেটের ফলে কৃষি ক্ষেত্রের ইতিবাচক প্রস্তাব সংক্রান্ত একটি ওয়েবিনারে বক্তব্য রেখেছেন। এবারের বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার জন্য যে প্রস্তাবগুলি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ওয়েবিনারের বিষয় ছিল, স্মার্ট এগ্রিকালচার – বিভিন্ন কৌশলের বাস্তবায়ন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, রাজ্য সরকার, শিক্ষা ও শিল্প জগতের প্রতিনিধিরা এবং বিভিন্ন কৃষি বিকাশ কেন্দ্রে উপস্থিত কৃষকরা এই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জানান, পিএম কিষাণ সম্মান নিধি সূচনার এটি তৃতীয় বার্ষিকী। “দেশে ক্ষুদ্র চাষীদের জন্য এই প্রকল্প অত্যন্ত সহায়ক। ১১ কোটি কৃষক এর মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত নতুন নতুন পন্থা-পদ্ধতি কার্যকর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, কৃষি ক্ষেত্রে পুরনো ব্যবস্থায় সংস্কারের কাজ চলছে। “মাত্র ছ’বছরে কৃষি ক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। গত ৭ বছরে কৃষকদের জন্য ঋণের পরিমাণ আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে”। মহামারীর এই কঠিন সময়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে ৩ কোটি কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। পশু পালন ও মৎস্য চাষের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এই কার্ডের আওতায় আনা হয়েছে। ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র চাষীরা আরও ভালোভাবে উপকৃত হচ্ছেন। এইসব উদ্যোগের ফলে কৃষকরা এখন রেকর্ড পরিমাণে ফসল উৎপাদন করছেন। আর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মাধ্যমে খাদ্যশস্য কেনার মাধ্যমে নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। জৈব পদ্ধতিতে কৃষি কাজে উৎসাহ দেওয়ার ফলে আজ জৈব চাষে উৎপাদিত ফসলের বাজার ১১ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ছ’বছর আগে জৈব চাষে উৎপাদিত ফসল রপ্তানি করে ২ হাজার কোটি টাকা আয় হ’ত। বর্তমানে তার পরিমাণ ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, এবারের বাজেটে ৭টি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, কৃষি ক্ষেত্র আরও আধুনিক হয়ে উঠবে। প্রথমত, গঙ্গার উভয় তীরে ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কৃষকরা যাতে চাষাবাদ ও উদ্যান পালনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা পান, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, বিদেশ থেকে পাম তেল আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে মিশন পাম তেল প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। চতুর্থত, পিএম গতিশক্তি প্রকল্পের আওতায় কৃষি পণ্যের পরিবহণের জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পঞ্চমত, কৃষি ক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও সংগঠিতভাবে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার ফলে বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের আয় বাড়বে। ষষ্ঠত, দেড় লক্ষেরও বেশি ডাকঘরে নিয়মিত ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে, কৃষকদের সমস্যা কমবে। সপ্তমত, দক্ষতা বিকাশের কথা বিবেচনা করে ও মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য যুগের দাবি অনুযায়ী, কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত পাঠক্রমে পরিবর্তন ঘটানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি ভারতীয় বাজরার বিষয়ে প্রচার ও ব্র্যান্ডিং-এর জন্য কর্পোরেট জগতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বড় বড় দেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলিকে ভারতীয় বাজরার গুণমান ও উপকারিতা সম্পর্কে প্রচার করার জন্য সম্মেলনের আয়োজন করার পরামর্শও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পরিবেশ-বান্ধব জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রচারের গুরুত্ব দিয়েছেন। এর ফলে, প্রাকৃতিক ও জৈব পদ্ধতিতে চাষবাসের মাধ্যমে উৎপাদিত শস্যের বাজার তৈরি হবে। কৃষি বিকাশ কেন্দ্রগুলিকে প্রাকৃতিক চাষের বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি করে গ্রামকে দত্তক নেওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। এর ফলে, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক চাষের পরিমাণ বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রী ভারতে মাটির গুণমান পরীক্ষা করার প্রবণতা যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সে বিষয়ে বিশেষ জোর দিয়েছেন। কেন্দ্র ‘সয়েল হেলথ কার্ড’ – এর বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি নতুন শিল্পোদ্যোগ সংস্থা বা স্টার্টআপ-গুলিকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

চাষের জমিতে সেচের জন্য নতুন নতুন পন্থা-পদ্ধতি উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক বিন্দু জলে অধিক ফসল উৎপাদনকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। কর্পোরেট জগতেরও এক্ষেত্রে অনেক কিছু করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বুন্দেলখন্ড অঞ্চলে কেন-বেতোয়া সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে যে সংস্কার সূচিত হয়েছে, সেকথাও উল্লেখ করেন। বকেয়া সেচ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার উপরও শ্রী মোদী গুরুত্ব দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে কৃষি ক্ষেত্র এবং চাষাবাদের পদ্ধতিতে কৃত্রিম মেধা সম্পূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এই পরিবর্তনের অঙ্গ হিসাবে কৃষি কাজে ড্রোন ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। “ড্রোন প্রযুক্তির সুবিধা তখনই পাওয়া যাবে, যখন আমরা কৃষি সংক্রান্ত নতুন শিল্পোদ্যোগগুলিতে উৎসাহ দেব। গত ৩-৪ বছরে দেশে ৭০০-রও বেশি কৃষি সংক্রান্ত স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে”।

কৃষি কাজ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের উপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গুণমান যাতে বজায় থাকে, সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। “এ প্রসঙ্গে বলা যায়, কিষাণ সম্পদ যোজনার সঙ্গে উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্পও সমান গুরুত্বপূর্ণ। মূল্য-শৃঙ্খল এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর তাই, ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি বিশেষ কৃষি সংক্রান্ত পরিকাঠামো তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে” বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ফসলের নাড়ার যথাযথ ব্যবস্থাপনার কথাও উল্লেখ করেন। “আর তাই, এবারের বাজেটে কয়েকটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, কার্বন নিঃসরণ কমবে এবং কৃষকের আয় বাড়বে”। কৃষি ক্ষেত্রে বর্জ্য পদার্থের সাহায্যে প্যাকেজিং শিল্পের উন্নতি ঘটানো যায় কিনা, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

শ্রী মোদী ইথানলের সম্ভাবনার প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মোট জ্বালানীর ২০ শতাংশ ইথানলের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে ১-২ শতাংশ ইথানল মেশানো হ’ত, আজ তা বেড়ে হয়েছে ৮ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী সমবায়ের ভূমিকার কথাও এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ভারতের সমবায় ক্ষেত্র অত্যন্ত প্রাণবন্ত। চিনিকল, সার কারখানা, দুগ্ধ শিল্প, ঋণের ব্যবস্থা, খাদ্যশস্য ক্রয় করা – প্রতিটি ক্ষেত্রে সমবায়ের বিপুল অংশগ্রহণ রয়েছে। আমাদের সরকার সমবায় সংক্রান্ত একটি নতুন মন্ত্রক তৈরি করেছে। সমবায়কে কিভাবে একটি সফল শিল্পোদ্যোগে পরিণত করা যায়, সেবিষয়ে আপনাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ”।

Click here to read PM's speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.