প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাজেটের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তব্য রেখেছেন। এ ধরনের ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রীর এটি দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছাড়াও রাজ্য সরকারগুলির প্রতিনিধিরা ও গ্রামোন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই ওয়েবিনারে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতেই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস ও সবকা প্রয়াস’ – এর মন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সরকারের প্রতিটি কাজ ও গৃহীত নীতি এই ভাবনার ফসল। “স্বাধীনতার অমৃতকালের জন্য আমাদের গৃহীত শপথগুলি তখনই বাস্তবায়িত হবে, যখন প্রত্যেকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সেগুলি রূপায়িত হবে। এর সুফল সমাজের সকলে পাবেন এবং সব অঞ্চলের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হবে”।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা যাতে সকলের মধ্যে পৌঁছয় এবং প্রত্যেকে যাতে মৌলিক সুবিধাগুলি পান, তা নিশ্চিত করতে এবারের বাজেটে স্পষ্ট দিশা-নির্দেশ রয়েছে। “পিএম আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, জল জীবন মিশন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, গ্রামে গ্রামে ব্রডব্যান্ডের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার মতো প্রতিটি প্রকল্পের জন্য এবারের বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ করা হয়েছে”।
সরকার যেসব প্রকল্পে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী সেগুলির বিষয়ে বিশদে জানান। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বিশেষ উদ্যোগ – প্রাইম মিনিস্টার্স ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর নর্থ-ইস্ট রিজিয়ন (পিএম – ডেভাইন) – এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ যাতে মৌলিক সুবিধাগুলি পান, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। একইভাবে, গ্রামাঞ্চলে বাড়ি ও জমির সীমানা যথাযথভাবে নির্ধারণের জন্য স্বামীত্ব প্রকল্পের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ সম্পত্তি কার্ড বন্টন করা হয়েছে। ইউনিক ল্যান্ড আইডেন্টিফিকেশন পিন – এর মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে মানুষের রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের উপর নির্ভরশীলতা কমবে। তিনি রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে জমির রেকর্ডে নির্ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে এবং জমির সীমানা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পরামর্শ দিয়েছেন। “বিভিন্ন প্রকল্পের শতকরা ১০০ ভাগ সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা নতুন নতুন প্রযুক্তির কথা বিবেচনা করছি, যাতে দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পগুলির কাজ শেষ হয় এবং গুণমানের সঙ্গে কোনও আপোষ না করা হয়”।
জল জীবন মিশনের আওতায় ৪ কোটি বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা করতে হবে। প্রত্যেক রাজ্য সরকারের কাছে তিনি আবেদন জানান, পাইপলাইনের মাধ্যমে যে জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, তার গুণমানের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং এর জন্য যা যা প্রস্তাব করা হয়েছিল, সেগুলিকে বাস্তবায়িত করতে হবে। “এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল – গ্রামস্তরে প্রত্যেকের মধ্যে এর অংশীদারিত্ব সম্পর্কে আস্থা অর্জন করে ‘জল প্রশাসন’কে শক্তিশালী করতে হবে। এইসব বিষয়গুলি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২০২৪ সালের মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হবে’।
প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে জানান, গ্রামাঞ্চলে ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা আজ আর চাহিদার মধ্যে নেই, তা বাস্তবে রূপায়িত হচ্ছে। “গ্রামাঞ্চলে ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি, দক্ষ যুবশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে পরিষেবা ক্ষেত্রের প্রসার ঘটবে, যার সাহায্যে দেশের ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। ব্রডব্যান্ডের সুফলকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে তিনি সকলের মধ্যে সচেতনতার গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির মূল স্তম্ভই হ’ল নারীশক্তি। “পরিবারে আর্থিক বিভিন্ন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ অর্থনৈতিক সমন্বয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে। এর জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিতে মহিলাদের অংশগ্রহণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে”।
পরিশেষে, গ্রামোন্নয়নে প্রশাসনিক কাজের মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি পরামর্শ দেন, যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর গ্রামের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সংস্থাগুলি এক জায়গায় বসে আলোচনা করে, তা হলে পারস্পরিক সমন্বয় বৃদ্ধি পাবে। “অনেক সময় পর্যাপ্ত অর্থ থাকলেও বিভিন্ন প্রকল্পে আলাদা-আলাদাভাবে কাজ করলে তা বাস্তবায়নে সমস্যা হয়। এর মূল কারণই হ’ল পারস্পরিক সমন্বয়ের অভাব”। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির জন্য নানা ধরনের প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে গ্রামের উন্নয়নে কাজে লাগানোর মতো নানা উদ্ভাবনী পদক্ষেপের কথা প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন। গ্রামের জন্মদিন নির্ধারণ করে, সেই দিনে সংশ্লিষ্ট গ্রামের নানা সমস্যার সমাধান করতে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে গ্রামের মানুষ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হবেন এবং গ্রামীণ জীবন আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রামের কয়েকজন চাষীকে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করতে সাহায্য করা, অপুষ্টি ও স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা দূর করতে গ্রামের মানুষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্য দিয়ে ভারতের গ্রামগুলি আরও উন্নত হয়ে উঠবে।
सबका साथ, सबका विकास, सबका विश्वास और सबका प्रयास हमारी सरकार की पॉलिसी और एक्शन का प्रेरणा सूत्र है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 23, 2022
इस बजट में सरकार द्वारा, सैचुरेशन के इस बड़े लक्ष्य को हासिल करने के लिए एक स्पष्ट रोडमैप दिया गया है।
— PMO India (@PMOIndia) February 23, 2022
बजट में पीएम आवास योजना,
ग्रामीण सड़क योजना,
जल जीवन मिशन,
नॉर्थ ईस्ट की कनेक्टिविटी,
गांवों की ब्रॉडबैंड कनेक्टिविटी,
ऐसी हर योजना के लिए जरूरी प्रावधान किया गया है: PM
बजट में जो वाइब्रेंट विलेज प्रोग्राम घोषित किया गया है, वो हमारे सीमावर्ती गांवों के विकास के लिए बहुत अहम है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) February 23, 2022
जल जीवन मिशन के तहत लगभग 4 करोड़ कनेक्शन देने का टारगेट हमने रखा है।
— PMO India (@PMOIndia) February 23, 2022
इस टारगेट को हासिल करने के लिए आपको अपनी मेहनत और बढ़ानी होगी।
मेरा हर राज्य सरकार से ये भी आग्रह है कि जो पाइपलाइन बिछ रही हैं, जो पानी आ रहा है, उसकी क्वालिटी पर भी हमें बहुत ध्यान देने की ज़रूरत है: PM
गांवों की डिजिटल कनेक्टिविटी अब एक aspiration भर नहीं है, बल्कि आज की ज़रूरत है।
— PMO India (@PMOIndia) February 23, 2022
ब्रॉडबैंड कनेक्टिविटी से गांवों में सुविधाएं ही नहीं मिलेंगी, बल्कि ये गांवों में स्किल्ड युवाओं का एक बड़ा पूल तैयार करने में भी मदद करेगा: PM @narendramodi
ग्रामीण अर्थव्यवस्था का एक बड़ा आधार हमारी महिला शक्ति है।
— PMO India (@PMOIndia) February 23, 2022
फाइनेंशियल इंक्लुज़न ने परिवारों में महिलाओं की आर्थिक फैसलों में अधिक भागीदारी सुनिश्चित की है।
सेल्फ हेल्प ग्रुप्स के माध्यम से महिलाओं की इस भागीदारी को और ज्यादा विस्तार दिए जाने की जरूरत है: PM