Our focus is to make our education system the most advanced and modern for students of our country: PM
21st century is the era of knowledge. This is the time for increased focus on learning, research, innovation: PM Modi
Youngsters should not stop doing three things: Learning, Questioning, Solving: PM Modi

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, ২০২০র স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনের চূড়ান্ত পর্ব অর্থাৎ গ্র্যান্ড ফিনালেতে শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন।

 

স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনঃ-

 স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথনে চূড়ান্ত পর্যায়ে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, দেশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা কাজ করে চলেছে। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার পাশাপাশি, তথ্য, ডিজিটাইজেশন এবং ভবিষ্যতের উন্নত প্রযুক্তির বিষয়ে ভারতের চাহিদাগুলি এর মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর দ্রুত পরিবর্তনের বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিয়ে দেশের কার্যকরী ভূমিকা পালন করার জন্য নিজেকে দ্রুত পরিবর্তন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। দেশের জন্য উদ্ভাবন, গবেষণা, পরিকল্পনা, উন্নয়ন এবং শিল্পদ্যোগের প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তোলা দরকার বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক এবং মেধাবীদের জন্য সুযোগ তৈরি করার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

 

জাতীয় শিক্ষানীতিঃ-  

জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর যুব সম্প্রদায়ের ভাবনা, চাহিদা, আশা–আকাঙ্খার বিষয়গুলি বিবেচনা করে এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র কোনো নীতির খসড়া নয়, এর মাধ্যমে ১৩০ কোটির বেশি ভারতবাসীর চাহিদা প্রতিফলিত হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, আজকের দিনেও অনেক শিশু মনে করে যে বিষয়গুলিতে তাদের কোনো উৎসাহ নেই, সেগুলির উপর ভিত্তি করে তাদের মূল্যায়ন করা হয়। বাবা – মা, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের কারণে চাপ তৈরি হওয়ায় শিশুরা অনেক সময় অন্যের বাছাই করা বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে বাধ্য হয়। এর ফল এটাই দাঁড়ায় যে, বিপুল সংখ্যক  উচ্চশিক্ষিত মানুষ,  যে বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশুনা করেছেন, সেগুলি তাদের কোন কাজে লাগছে না। ’ এই নতুন শিক্ষানীতিতে  ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ম মেনে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । এর ফলে শিক্ষার উদ্দেশ্য এবং বিষয়বস্তু – দুটিরই পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োগমূলক শিক্ষা লাভের উপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষন পদ্ধতি, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিজস্ব পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে ফলপ্রসূ এবং বিস্তৃত একটি ব্যবস্থাপনার গড়ে তোলা যাবে।     

ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই হ্যাকাথন তোমাদের কাছে প্রথম সমস্যা নয়, যেটা তোমরা সমাধান করবার চেষ্টা করবে একইভাবে এটা তোমাদের জন্য শেষ সমস্যাও নয়। তিনি  চান তরুণ প্রজন্ম, তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিক । এগুলি হল – জানার ইচ্ছে, প্রশ্ন করা এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা। শ্রী মোদী বলেছেন, কেউ যখন কোনো কিছু সম্পর্কে জানতে পারে, তখন তার প্রশ্ন করার ক্ষমতা তৈরি হয়। আর ভারতের নতুন শিক্ষানীতি সেই ভাবনার প্রতিফলনেই তৈরি হয়েছে। শ্রী মোদী বলেছেন, স্কুলব্যাগের বোঝা থেকে নজর সরিয়ে আমাদের এখন স্কুলের বাইরের দিকেও তাকাতে হবে। এর সাহায্যেই জীবনে শিক্ষা লাভের সুবিধে  পাওয়া সম্ভব। নিছক মুখস্থ করার থেকে অভ্যেস থেকে বেড়িয়ে এসে নানা জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা তৈরি হবে।   

 

 

আন্তঃবিষয়ক পড়াশুনার ওপর গুরুত্বঃ-

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন শিক্ষানীতির সবথেকে আকর্ষণীয় দিক হল আন্তঃবিষয়ক পড়াশুনার উপর গুরুত্ব দেওয়া। এই ধারণা এখন খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করছে౼ কারণ একটি বিশেষ ব্যবস্থা সকলের জন্য় কখনই প্রযোজ্য হতে পারে না। তিনি বলেছেন, আন্তঃবিষয়ক পড়াশুনার ওপর জোর দেবার মাধ্যমে, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে সমাজ যা প্রত্যাশা করে তার থেকে বেশি জোর দেওয়া হবে, ছাত্র-ছাত্রীরা যা জানতে চাইবে, সেই বিষয়ের উপর।   

 

শিক্ষার অধিকারঃ

বাবা সাহেব আম্বেদকরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সকলের শিক্ষার প্রতি অধিকার থাকতে হবে। নতুন শিক্ষানীতি তাঁর সেই ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি, শিক্ষার অধিকারের উপর গুরুত্ব দিয়েছে ౼তাই প্রাথমিক স্তরে শিক্ষালাভের  জন্য জোর দেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী বলেছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ যেন ৫০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী পায়, তার জন্য ‘গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও’ বাড়ানো হবে। তিনি আরো বলেছেন, এই শিক্ষানীতিতে চাকুরী প্রার্থীর পরিবর্তে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী তৈরির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।   

 

স্থানীয় ভাষার প্রতি গুরুত্বঃ-

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন শিক্ষানীতি ভারতীয় ভাষাগুলির উৎকর্ষতা এবং উন্নয়নকে সাহায্য করবে। ছাত্র-ছাত্রীরা ছোটবেলায় তাদের নিজের ভাষায় লেখাপড়া করে উপকৃত হবে। তিনি বলেছেন, সমৃদ্ধ ভারতীয় ভাষাগুলিকে এই নতুন শিক্ষানীতি বিশ্বের কাছে  পৌঁছে দেবে।

 

আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনায় সংযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বঃ-  

শ্রী মোদী বলেছেন, এই শিক্ষানীতি স্থানীয় বিষয়ের উপর যেমন গুরুত্ব দিচ্ছে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ভারতে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ভারতীয় যুব সম্প্রদায় আন্তর্জাতিক মানের বিষয়ে জানার সুযোগ পাবেন, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিতেও তাদের সুবিধে হবে। ভারতকে আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে দেশে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে এই শিক্ষানীতি সাহায্য করবে।

 

Click here to read PM's speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage