প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, শ্রী রামচন্দ্র মিশনের ৭৫তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন। শান্তি, আধ্যাত্মিকতা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য মিশন যে অর্থপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, প্রধানমন্ত্রী তারও প্রশংসা করেছেন। যোগকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য মিশনের উদ্যোগেরও তিনি প্রশংসা করেন। আজকের দ্রুত ও সঙ্কটময় জীবনে সারা বিশ্ব জীবনশৈলীর কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ ও মহামারির মোকাবিলা করছে। সহজমার্গ এবং যোগ এক্ষেত্রে সারা বিশ্বের কাছে আশার সঞ্চার করেছে।
করোনার মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৩০ কোটি ভারতবাসীর সতর্ক থাকাটা সারা বিশ্বের কাছে এক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ঘরোয়া টোটকা এবং যোগ – আয়ুর্বেদ মহামারির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
শ্রী মোদী বলেছেন, ভারতের মানব কল্যাণমুখী উদ্যোগ বিশ্বের মঙ্গল সাধন করেছে। এই উদ্যোগ কল্যাণ এবং সম্পদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রেখে গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম জনকল্যাণমুখী কর্মসূচী ভারত বাস্তবায়িত করছে। দরিদ্র মানুষকে মর্যাদা ও সুযোগ এনে দেওয়া, সকলের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা, ধোঁয়াহীন রান্নাঘর, যাদের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের অ্যাকাউন্ট খোলা, সকলে যাতে প্রযুক্তি এবং আবাসনের সুযোগ পান, সেই ব্যবস্থা করার মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এইভাবে বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প মানুষের জীবনে সুফল নিয়ে এসেছে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য ভারতের রোগ নিরাময়ের উপর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অসুখ থেকে সেরে ওঠাই নয়, রোগ – প্রতিরোধমূলক নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী এই প্রসঙ্গে ভারতের ফ্ল্যাগশিপ স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প – আয়ুষ্মান ভারতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার থেকেও আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বেশি। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প। ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের দামও কমানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বজুড়ে টিকাকরণের উদ্যোগে ভারত, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা যখন আরোগ্য লাভের কথা চিন্তা করি সেটি তখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে সারা পৃথিবীর কথা বিবেচনা করে। ভারত, রোগ নিরাময় ও সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে সারা পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভারতকে আধ্যাত্মিকতা এবং রোগ নিরাময়ের পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর পৃথিবী গড়ে তুলতে আমাদের যোগ এবং আয়ুর্বেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সারা বিশ্ব যে ভাষায় এগুলি বুঝতে পারবে, আমাদের সেই ভাষাই ব্যবহার করা উচিত বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। সারা বিশ্বে যোগ এবং ধ্যানের উপর আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। মানসিক চাপের ক্রমবর্ধমান সঙ্কটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “হার্টফুলনেস” কর্মসূচীর মাধ্যমে রোগমুক্ত, মানসিক চাপমুক্ত নাগরিকদের নিয়ে ভারত, নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।