“সুপরিকল্পিত নগরোন্নয়নই ভারতের ভাগ্য নির্ণয় করতে পারে”
“ভারতে নগরোন্নয়নের দুট প্রধান দিক রয়েছে। নতুন শহরগুলির উন্নয়ন আর পুরনো শহরগুলিতে পুরনো ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ”
“অমৃতকালে নগর পরিকল্পনা যেমন শহরগুলির ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে, ঠিক তেমনভাবেই সুপরিকল্পিত নগরোন্নয়নই ভারতের ভাগ্য নির্ণয় করতে পারে”
“ভারত মেট্রো নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে”
“২০১৪ সালে দেশে যেখানে মাত্র ১৪-১৫ শতাংশ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ হ’ত, আজ সেখানে ৭৫ শতাংশ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে”
“আমাদের শহর পরিবেশের দিক থেকে এবং জল সংরক্ষণের দিক থেকে স্থিতিস্থাপক হয়ে উঠবে”
“আমরা যত পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়ন করছি, সেগুলি আমাদের শহরগুলিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনকে সহজ ও সুগম করে তুলছে কিনা, তাঁদের নিজেদের উন্নয়নে সাহায্য করছে কিনা”

অমৃতকালে নগর পরিকল্পনা যেমন শহরগুলির ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে, ঠিক তেমনভাবেই সুপরিকল্পিত নগরোন্নয়নই ভারতের ভাগ্য নির্ণয় করতে পারে। উন্নততর পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের শহরগুলির জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা এবং জল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।

‘পরিকল্পনার ওপর বিশেষ চিন্তাভাবনার মাধ্যমে নগরোন্নয়ন’ সম্পর্কিত বাজেট পরবর্তী এক ওয়েবিনারে আজ ভাষণদানকালে এই আশার কথা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি, তিনি বিশেষ আক্ষেপের সঙ্গে বলেন যে স্বাধীনতা লাভের পর বহু বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু এই সময়কালের মধ্যে দেশে মাত্র একটি কি দুটি শহর পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। অথচ, স্বাধীনতা পরবর্তী ৭৫ বছরে বিশ্বে ভারতের অবস্থান অনেকটাই উন্নত হতে পারত যদি অন্তত ৭৫টি পরিকল্পিত শহর ঐ সময়কালের মধ্যে গড়ে তোলা যেত।

প্রধানমন্ত্রীর মতে, একুশ শতকের ভারতে সুপরিকল্পিত নগরোন্নয়ন একান্ত জরুরি একটি প্রয়োজন। কারণ, দেশ এখন অপ্রতিহত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নতুন নতুন শহরগুলির উন্নয়ন এবং বর্তমান শহরগুলিতে পরিষেবা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণকে নগরোন্নয়নের দুটি বিশেষ দিক বলে চিহ্নিত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি বাজেটে নগরোন্নয়নের মতো বিষয়টির যথেষ্ট গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। নগরোন্নয়নের উচ্চ তথা উন্নত মানের জন্য এ বছরের বাজেটে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ সংস্থান রাখা হয়েছে যা পরিকল্পিত নগরোন্নয়নের কাজকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করবে বলে মনে করেন তিনি।

শ্রী মোদী বলেন, শহরগুলির অপরিকল্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনা পরবর্তীকালের বাস্তবায়ন প্রচেষ্টা যথাযথভাবে না হওয়ার ফলে উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের যাত্রাপথে নানা ধরনের সমস্যার উদ্ভব হয়। এই কারণে নগরোন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ও পরিচালনের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। দেশের রাজ্যগুলিতে নগর পরিকল্পনার উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতিকে অনুকূল করে তোলার লক্ষ্যে তিনটি বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। এগুলি হল – স্থানীয় সমস্যাগুলির নিরসন করা, পরিবহণ ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু ও জটমুক্ত করতে উপযুক্ত চিন্তাভাবনা করা এবং শহর পরিকাঠামোর প্রসার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবক’টি রাজ্য সরকার এবং শহরাঞ্চলের পৌর ও সরকারি সংস্থাগুলি জাতি গঠনের কাজে বিশেষ অবদানের নজির গড়তে পারে যদি শহরাঞ্চলগুলিকে সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা যায়। এজন্য উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য নগর পরিকল্পনা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও মতামত স্থানীয় পৌর তথা সরকারি সংস্থাগুলিকে শহরাঞ্চলের সুযোগ-সুবিধার প্রসারে চিন্তাভাবনার খোরাক এনে দিতে পারে।

পরিবহণ পরিকল্পনাকে শহরোন্নয়ন প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শহরাঞ্চলের যান চলাচলকে কোনভাবেই রুদ্ধ বা ব্যহত হতে দেওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের আগে দেশের শহরগুলিতে মেট্রো চলাচলের পরিস্থিতি কিরকম ছিল তার বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০১৪-র পরবর্তী সময়ে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বহু শহরে মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে এবং এই বিষয়টিতে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় অনেকাংশে এগিয়ে আছে। দেশের শহরগুলিতে মেট্রো নেটওয়ার্ক দ্রুত গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের প্রয়োজন শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সুষ্ঠু ও সুঠাম প্রসার। শহরগুলির রাস্তাঘাট সুপ্রশস্ত করা, পরিবেশ-বান্ধব যান চলাচল, ওভারব্রিজ সহ সড়ক উন্নয়ন এবং বিভিন্ন রাস্তার জংশনগুলিকে উন্নত করে তোলার মাধ্যমে নগর পরিকল্পনাকে এক বিশেষ রূপ দেওয়া যায় বলে মন্তব্য করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।

তিনি বলেন, চক্রাকার অর্থনীতিকে ভিত্তি করে নগরোন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত এক বিশেষ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শহরাঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার মাধ্যমে উন্নতমানের সারে রূপান্তরের প্রচেষ্টাও চালানো হয়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে মোট বর্জ্যের ১৪-১৫ শতাংশ প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা করা হত সেখানে বর্তমানে ৭৫ শতাংশ বর্জ্যকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শহরগুলিকে আবর্জনামুক্ত করে তোলার ওপর যে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে, একথাও প্রসঙ্গত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাকে সমর্থন জানানোর জন্য প্রত্যেককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগানোর জন্য শিল্প সংস্থাগুলির কাছে আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অম্রুত’ কর্মসূচির সাফল্যের পথ অনুসরণ করে শহরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানীয় জলের যোগান দিতে ‘অম্রুত-২’ কর্মসূচির কাজ শুরু করা হয়।

শ্রী মোদী বলেন, আমাদের নতুন নতুন শহরগুলিকে অবশ্যই আবর্জনামুক্ত হতে হবে। এর পাশাপাশি, বিশুদ্ধ জলের নিরন্তর যোগান সহ পরিবেশ অনুকূল রূপেও এই ধরনের শহরগুলিকে গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে নগর পরিকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগের প্রসার ঘটানোও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। দেশের ভবিষ্যৎ শহরগুলির চেহারা কিরকম হতে পারে তার বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে স্থাপত্য, দূষণমুক্ত, পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি, জমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষতা, ট্রানজিট করিডর এবং জন-পরিষেবাকে ‘এ-ওয়ান’ মানের হতে হবে।

শ্রী মোদী বলেন, যে সমস্ত নীতি ও পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে তা শহরাঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তোলার মধ্যেই শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং শহরবাসীরা তাঁদের জীবনকে যাতে আরও নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন সেদিকেও দৃষ্টি দেবে। এ বছরের বাজেটে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র আওতায় ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের যে অঙ্গীকার করা হয়েছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিমেন্ট, ইস্পাত, রং এবং আসবাবপত্র নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রগুলি তাতে বিশেষ চাঙ্গা হয়ে উঠবে। নগরোন্নয়নের সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির যোগসাধনের লক্ষ্যে স্টার্ট-আপ সংস্থা এবং অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রকে চিন্তাভাবনা করার জন্য আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে সমস্ত সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলির সুযোগ যেমন আমাদের গ্রহণ করতে হবে, অন্যদিকে তেমনই নতুন নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টিও আমাদের করে যেতে হবে। গৃহ নির্মাণ প্রযুক্তি থেকে নগরোন্নয়ন – প্রতিটি ক্ষেত্রেই নতুন নতুন সমাধানের পথ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।

 

 

 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।