“সময় বেঁধে নির্বাহের কাজ এবং কর্মসূচি রূপায়ণের প্রেক্ষাপট থেকে বাজেট পরবর্তী বিশ্লেষণ ধর্মী বুদ্ধিচর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করদাতাদের দেয় অর্থের যথাযথ রূপায়ণ তাতে সুনিশ্চিত হয়”
“গন্তব্যে উপনীত হওয়া সম্পর্কে আমাদের লক্ষ্য আরও সহজে কী সম্পন্ন করতেই সুশাসনের ওপর আমরা অধিক গুরুত্ব দিচ্ছি”
“শেষতম দূরত্বে পৌঁছানোর অভিমুখ এবং সম্পৃক্তির নীতি পরস্পরের পরিপূরক”
“আমাদের লক্ষ্য যখন সকলের কাছে পৌঁছানো তখন বৈষম্য এবং দুর্নীতির কোনো জায়গা নেই”
“গ্রামাঞ্চল এবং আদিবাসীদের উন্নয়নের স্বার্থে শেষ সীমায় পৌঁছানোর মন্ত্রে এ বছরের বাজেট বিশেষ নজর দিয়েছে”
“এই প্রথমবার আমাদের দেশে আদিবাসী সমাজের বিপুল সম্ভাবনার ভান্ডারের সদ্ব্যবহারের বিরাট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে”
“আদিবাসী সমাজে সব থেকে অবহেলিত শ্রেণীর কাছে দ্রুত সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার বিশেষ লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করা হয়েছে”
“সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে উচ্চাকাঙ্খী জেলা কর্মসূচি এক সফল মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে”

গন্তব্যে পৌঁছানোর বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী একটি বাজেট ওয়েবিনারে ভাষণ দেন। বাজেট পরবর্তী ১২টি ওয়েবিনারের যে আয়োজন করা হয়েছে এটি তার চতুর্থ। কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩এ ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচির সফল রূপায়ণের দিকে তাকিয়ে সরকার এবং মতামত এবং পরামর্শ চেয়ে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সংসদে বাজেট বিতর্কের গুরুত্বের কথা জানিয়ে বলেন, এই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বাজেট পেশের পর অংশীদারদের মতামত এবং পরামর্শ চেয়ে বুদ্ধিভিত্তিক বিশ্লেষণাত্মক আলোচনার এই নতুন ধারা শেষ কয়েক বছর ধরে চালু করা হয়েছে। সময় বেঁধে কাজ করার কর্মসূচি রূপায়ণের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  এর ফলে করদাতাদের দেয় অর্থের যথাযথ সদ্ব্যবহার সুনিশ্চিত করা যায় বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থের পাশাপাশি উন্নয়নের স্বার্থে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও জরুরি। সুশাসনের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে এবং কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণের স্বার্থে প্রতিনিয়ত নজরদারির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুশাসনের ওপর আমরা যতো বেশি গুরুত্ব দেবো সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছনোর বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য আরও সহজেই তাতে পূরণ করা যাবে। করোনা অতিমারী এবং মিশন ইন্দ্রধনুষে টিকাকরণ কর্মসূচির দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, সুবিধা যাদের প্রাপ্য তাদের কাছে সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এবং সুশাসনের শক্ত এর মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়।

সম্পৃক্তির নীতিতে যে দৃষ্টিভঙ্গী কাজ করেছে তার ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুবিধাভোগীদের দরজায় পৌঁছানোর অভিমুখ এবং সংপৃক্তির নীতি পরস্পরের পরিপূরক। অতীতে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার স্বার্থে দরিদ্র মানুষদেরকে সরকারের পিছনে ছুটে বেড়াতে হতো। সেই প্রেক্ষাপটে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী এই পদক্ষেপে সরকার গরিব মানুষের দরজায় সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিই দেশের প্রত্যেকটি এলাকার প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে প্রতিটি ন্যূনতম সুবিধা আমরা পৌঁছে দেব তখনই স্থানীয় স্তরে কর্মসংস্কৃতির বিপুল পরিবর্তন আমরা প্রত্যক্ষ করি। সম্পৃক্তির নীতির পিছনে এই ভাবাবেগ কাজ করেছে। আমাদের লক্ষ্য যখন সকলের কাছে পৌঁছানো তখন বৈষম্য এবং দুনীর্তির কোনো জায়গা নেই এবং এর মধ্য দিয়েই সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পারবো।”

এই দৃষ্টিভঙ্গীর তুলনা টেনে প্রধানমন্ত্রী পিএম স্বনিধি প্রকল্পের দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে ফুটপাত হকারদের প্রচলিত ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অনুল্লিখিত এবং যাযাবর ও আধা যাযাবর সম্প্রদায়ের স্বার্থে উন্নয়ন এবং কল্যাণ পর্ষদ গড়ে তোলা হয়েছে। গ্রামে ৫ লক্ষ সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে এবং টেলি-মেডিসিনের ক্ষেত্রে ১০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে গ্রামাঞ্চল এবং আদিবাসীদের কাছে জন-পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রাপকদের কাছে পৌঁছানোর মন্ত্রে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে জন জীবন মিশন হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৬০ হাজারেরও বেশি অমৃত সরোবরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে যার মধ্যে ৩০ হাজার সরোবর ইতিমধ্যেই নির্মাণ করা হয়ে গেছে। এই সমস্ত অভিযান ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষ, যারা দশকের পর দশক ধরে এইসব পরিষেবার দিকে তাকিয়ে ছিলেন, তাদের জীবন ধারনের মানোন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হচ্ছে। আমাদের এখানেই থামলে চলবে না। আমাদের নতুন জল সংযোগ গড়তে হবে এবং জলের ব্যবহার নিয়ে নতুন প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করতে হবে। জল কমিটিগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে কী কী করা দরকার সে বিষয়ে আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

প্রধানমন্ত্রী শক্ত ভিতের ওপর নির্মিত কিন্তু ব্যয়সাশ্রয়ী বাড়ি গড়ে তুলতে কী জাতীয় প্রযুক্তির সংযোগ ঘটানো দরকার তার পন্থা-পদ্ধতি নিয়ে অংশীদারদের আলোচনা করতে বলেন। সৌরশক্তির আরও সুবিধাগত দিক খুঁজে বের করতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলে গোষ্ঠী আবাসন মডেল গড়ে তুলতে আলোচনার ওপর জোর দেন তিনি। তিনি বলেন, দরিদ্রদের আবাসনের স্বার্থে এ বছরের বাজেটে ৮০ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রথমবার এতো বিরাটভাবে আমাদের দেশের আদিবাসী সমাজের বিপুল সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার ঘটানো হচ্ছে। আদিবাসী উন্নয়নকে এবারের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একলব্য আবাসন বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মী নিয়োগে বিপুল বরাদ্দের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইসব বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্রদের মতামত সংগ্রহ করতে হবে যাতে বড় শহরগুলিতে এইসব ছাত্ররা সুযোগ পেতে পারে। এইসব বিদ্যালয়গুলিতে আরও বেশি অটল টিঙ্কারিং ল্যাবস গড়ে তোলার এবং স্টার্টআপ সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মশালার দিক নিয়ে তিনি তাদেরকে আলোচনা করতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রথমবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের সর্বাপেক্ষা অবহেলিত শ্রেণীর স্বার্থে বিশেষ লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের ২০০রও বেশি জেলায় ২২ হাজারেরও বেশি গ্রামে আদিবাসী বন্ধুদের কাছে আমাদের সুযোগ-সুবিধা দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে পসমান্ডা মুসলিম সম্প্রদায়েরও উল্লেখ করেন। সিকল কোষ অ্যানিমিয়া ব্যাধির হাত থেকে সম্পূর্ণ নিরাময় পেতে এবারের বাজেটে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এ জন্য দেশের এক সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গীর দরকার। এই কারনেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জড়িত প্রত্যেক অংশীদারকে দ্রুত কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান।

প্রাপকদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে উচ্চাকাঙ্খী জেলা কর্মসূচি এক সফল মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অভিমুখকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশের ৫০০টি ব্লকে উচ্চাকাঙ্খী ব্লক কর্মসূচি এখন শুরু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চাকাঙ্খী ব্লক কর্মসূচির ক্ষেত্রে উচ্চাকাঙ্খী জেলার জন্য আমরা যে পন্থা-পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলাম তার তুলনামূলক নির্ণায়ক ক্ষেত্রগুলিকে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। প্রত্যেকটি ব্লক স্তরে প্রতিযোগিতার বাতাবরণ সৃষ্টি করতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Maruti Suzuki completes 3 million exports, boosting ‘Make in India’ initiative

Media Coverage

Maruti Suzuki completes 3 million exports, boosting ‘Make in India’ initiative
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Constitution Day celebrations at Supreme Court
November 26, 2024
PM releases the Annual Report of the Indian Judiciary 2023-24
Our constitution is not merely a Book of Law, its a continuously ever- flowing, living stream: PM
Our Constitution is the guide to our present and our future: PM
Today every citizen has only one goal ,to build a Viksit Bharat: PM
A new judicial code has been implemented to ensure speedy justice, The punishment based system has now changed into a justice based system: PM

भारत के मुख्य न्यायधीश जस्टिस संजीव खन्ना जी, जस्टिस बीआर गवई जी, जस्टिस सूर्यकांत जी, केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे साथी श्रीमान अर्जुन राम मेघवाल जी, अटॉर्नी जनरल श्री वेंकटरमानी जी, बार काउंसिल के अध्यक्ष मनन कुमार मिश्र जी, सुप्रीम कोर्ट बार एसोसिएशन के अध्यक्ष श्री कपिल सिब्बल जी, सुप्रीम कोर्ट के न्यायमूर्ति गण, पूर्व मुख्य न्यायधीश गण, उपस्थित अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

आपको, सभी देशवासियों को संविधान दिवस की बहुत-बहुत शुभकामनाएं। भारत के संविधान का ये 75वां साल, पूरे देश के लिए एक असीम गौरव का विषय है। मैं आज भारत के संविधान को, संविधान सभा के सभी सदस्यों को आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

हम लोकतंत्र के इस महत्वपूर्ण पर्व का जो स्मरण कर रहे हैं, उस समय ये भी नहीं भूल सकते कि आज मुंबई में हुए आतंकी हमले की भी बरसी है। इस हमले में जिन व्यक्तियों का निधन हुआ, उन्हें मैं अपनी श्रद्धांजलि देता हूं। मैं देश को ये संकल्प भी दोहराता हूं कि भारत के सुरक्षा को चुनौती देने वाले हर आतंकी संगठन को मुंहतोड़ जवाब दिया जाएगा।

साथियों,

संविधान सभा की लंबी बहस के दौरान भारत के गणतांत्रिक भविष्य पर गंभीर चर्चाएं हुई थी। आप सभी उस डिबेट से भली-भांति परिचित हैं। और तब बाबा साहेब आंबेडकर ने कहा था- Constitution is not a mere lawyers’ document…its spirit is always the spirit of Age. जिस स्पिरिट की बात बाबा साहेब कहते थे, वो बहुत ही अहम है। देश-काल-परिस्थिति के हिसाब से उचित निर्णय लेकर हम संविधान की समय-समय पर व्याख्या कर सकें, ये प्रावधान हमारे संविधान निर्माताओं ने हमें दिया है। हमारे संविधान निर्माता ये जानते थे कि भारत की आकांक्षाएं, भारत के सपने समय के साथ नई ऊंचाई पर पहुंचेंगे, वो जानते थे कि आज़ाद भारत की और भारत के नागरिकों की ज़रूरतें बदलेंगी, चुनौतियां बदलेंगी। इसलिए उन्होंने हमारे संविधान को महज़ कानून की एक किताब बनाकर नहीं छोड़ा...बल्कि इसको एक जीवंत, निरंतर प्रवाहमान धारा बनाया।

साथियों,

हमारा संविधान, हमारे वर्तमान और हमारे भविष्य का मार्गदर्शक है। बीते 75 वर्षों में देश के सामने जो भी चुनौतियां आई हैं, हमारे संविधान ने हर उस चुनौती का समाधान करने के लिए उचित मार्ग दिखाया है। इसी कालखंड में आपातकाल जैसा समय भी आया...और हमारे संविधान ने लोकतंत्र के सामने आई इस चुनौती का भी सामना किया। हमारा संविधान देश की हर जरूरत, हर अपेक्षा पर खरा उतरा है। संविधान से मिली इस शक्ति की वजह से ही...आज जम्मू-कश्मीर में भी बाबा साहेब का संविधान पूरी तरह लागू हुआ है। आज वहां पहली बार संविधान दिवस मनाया गया है।

साथियों,

आज भारत, परिवर्तन के इतने बड़े दौर से गुजर रहा है, ऐसे अहम समय में भारत का संविधान ही हमें रास्ता दिखा रहा है, हमारे लिए गाइडिंग लाइट बना हुआ है।

साथियों,

भारत के भविष्य का मार्ग अब बड़े सपनों, बड़े संकल्पों की सिद्धि का है। आज हर देशवासी का एक ही ध्येय है- विकसित भारत का निर्माण। विकसित भारत का मतलब है, जहां देश के हर नागरिक को एक quality of life मिल सके, dignity of life मिल सके। ये सामाजिक न्याय, सोशल जस्टिस का भी बहुत बड़ा माध्यम है। और ये संविधान की भी भावना है। इसलिए, बीते वर्षों में, देश में लोगों के बीच आर्थिक और सामाजिक समानता लाने के लिए कई कदम उठाए गए हैं। बीते 10 वर्षों में 53 करोड़ से ज्यादा ऐसे भारतीयों का बैंक खाता खुला है...जो बैंक के दरवाजे तक नहीं पहुंच पाते थे। बीते 10 वर्षों में 4 करोड़ ऐसे भारतीयों को पक्का घर मिला है, जो कई-कई पीढ़ियों से बेघर थे, बीते 10 वर्षों में 10 करोड़ से ज्यादा ऐसी महिलाओं को मुफ्त गैस कनेक्शन मिला है, जो बरसों से अपने घर में गैस पहुंचने का इंतजार कर रही थीं। हमें आज के जीवन में बहुत आसान लगता है कि घर में नल खोला और पानी आ गया। लेकिन देश में आजादी के 75 साल बाद भी सिर्फ 3 करोड़ घर ही ऐसे थे, जिनमें नल से जल आता था। करोड़ों लोग तब भी अपने घर में नल से जल का इंतजार कर रहे थे। मुझे संतोष है कि हमारी सरकार ने 5-6 साल में 12 करोड़ से ज्यादा घरों को नल से जल देकर नागरिकों का और विशेषकर महिलाओं का जीवन आसान बनाया है, संविधान की भावना को सशक्त किया है।

साथियों,

आप सभी जानते हैं कि हमारे संविधान की मूल प्रति में प्रभु श्रीराम, माता सीता, हनुमान जी, भगवान बुद्ध, भगवान महावीर, गुरू गोविंद सिंह जी...सभी के चित्र हैं। भारत की संस्कृति के प्रतीक...इन चित्रों को संविधान में इसलिए स्थान दिया गया ताकि वो हमें मानवीय मूल्यों के प्रति सजग करते रहें। ये मानवीय मूल्य...आज के भारत की नीतियों और निर्णयों का आधार हैं। भारतीयों को त्वरित न्याय मिले, इसके लिए नई न्याय संहिता लागू की गई है। दंड आधारित व्यवस्था अब न्याय आधारित व्यवस्था में बदल चुकी है। महिलाओं की राजनीतिक भागीदारी बढ़ाने के लिए नारी शक्ति वंदन अधिनियम का ऐतिहासिक निर्णय हुआ है। हमने third gender को उनकी पहचान और उनका हक दिलाने के लिए भी कदम उठाए हैं। हमने दिव्यांगजनों के जीवन को आसान बनाने के लिए भी व्यवस्थाएं बनाईं हैं।

साथियों,

आज देश का बहुत ज्यादा जोर, देश के नागरिकों की Ease of Living पर है। एक समय था जब पेंशन पाने वाले सीनियर सीटिजन्स को बैंक में जाकर साबित करना होता था कि वो जीवित हैं। आज सीनियर सिटीज़न्स को घर बैठे ही डिजिटल लाइफ सर्टिफिकेट्स की सुविधा मिल रही है। करीब-करीब डेढ़ करोड़ सीनियर सीटिजन्स अब तक इस सुविधा का लाभ उठा चुके हैं। आज भारत वो देश है जो हर गरीब परिवार को 5 लाख रुपए तक के मुफ्त इलाज की सुविधा देता है। आज भारत वो देश है, जो 70 वर्ष से ऊपर के हर बुजुर्ग को फ्री हेल्थकेयर की सुविधा देता है। देश के हजारों जनऔषधि केंद्रों पर आज 80 परसेंट डिस्काउंट पर सस्ती दवाइयां मिल रही हैं। एक समय में हमारे देश में इम्यूनाइजेशन की कवरेज भी 60 परसेंट से भी कम थी। करोड़ों बच्चे हर साल टीकाकरण से छूट जाते थे। आज मुझे संतोष है कि अब मिशन इंद्रधनुष की वजह से भारत में इम्यूनाइजेशन की कवरेज शत प्रतिशत पहुंच रही है। आज दूर-सुदूर के गांवों में भी समय पर बच्चों का टीकाकरण हो पा रहा है। इन प्रयासों ने गरीबों की, मध्यम वर्ग की बहुत बड़ी चिंता कम की है।

साथियों,

आज देश में कैसे काम हो रहा है...इसका एक उदाहरण Aspirational District अभियान भी है। देश के 100 से अधिक ऐसे जिले जिन्हें पिछड़ा कहा जाता था...हमने उन्हें Aspirational District माना और वहां हर पैरामीटर में विकास की गति तेज़ की गई है। आज देश के अनेक Aspirational Districts, दूसरे जिलों से बहुत बेहतर कर रहे हैं। अब इसी मॉडल के आधार पर हमने aspirational block program भी शुरु किया है।

साथियों,

लोगों की रोजमर्रा की जिंदगी से परेशानियां खत्म करने पर भी आज देश का बहुत ज्यादा जोर है। कुछ साल पहले तक भारत में ढाई करोड़ घर ऐसे थे, जो शाम होते ही अंधेरे में डूब जाते थे, उन घरों में बिजली कनेक्शन ही नहीं था। सबको बिजली का मुफ्त कनेक्शन देकर, देश ने उनके जीवन को रोशन कर दिया है। बीते वर्षों में दूर-सुदूर इलाकों में भी हजारों की संख्या में मोबाइल टावर्स लगाए गए हैं...ताकि लोगों को 4G/5G कनेक्टिविटी मिलती रहे। पहले कभी आप अंडमान या लक्ष्यद्वीप जाते थे तो वहां ब्रॉडबैंड कनेक्टिविटी नहीं मिलती थी। आज अंडरवॉटर ऑप्टिकल फाइबर ने ऐसे द्वीपों तक भी अच्छी स्पीड वाला इंटरनेट पहुंचा दिया है। हमारे यहां गांव के घरों, गांव की ज़मीन से जुड़े कितने विवाद होते रहे हैं...ये भी हम भली-भांति जानते हैं। पूरी दुनिया में विकसित देशों के सामने भी लैंड रिकॉर्ड एक बहुत बड़ा चैलेंज रहा है। लेकिन आज का भारत, इसमें भी लीड ले रहा है। पीएम स्वामित्व योजना के तहत, आज गांव के घरों की ड्रोन मैपिंग की जा रही है और लीगल डॉक्यूमेंट इश्यू किए जा रहे हैं।

साथियों,

देश के विकास के लिए आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर का तेज निर्माण भी उतना ही जरूरी है। इंफ्रास्ट्रक्चर के प्रोजेक्ट्स समय पर पूरे होने से देश का धन भी बचता है...और प्रोजेक्ट भी, उसकी उपयोगिता भी बहुत बढ़ जाती है। इसी सोच के साथ प्रगति नाम से एक प्लेटफॉर्म बनाया गया है जिसमें इंफ्रा प्रोजेक्ट्स का रेगुलर रिव्यू होता है। और इनमें से कुछ प्रोजेक्ट्स तो ऐसे थे जो 30-30, 40-40 साल से पेंडिंग थे। मैं खुद इसकी मीटिंग्स को चेयर करता हूं। आपको जानकर अच्छा लगेगा कि अभी तक 18 लाख करोड़ रुपए के ऐसे प्रोजेक्ट्स को रिव्यू करके, उनके सामने की अड़चनों को दूर किया जा चुका है। समय पर पूरे हो रहे प्रोजेक्ट्स लोगों के जीवन पर बहुत सकारात्मक प्रभाव डाल रहे हैं। देश में हो रहे ये प्रयास...देश की प्रगति को भी गति दे रहे हैं और संविधान की मूल भावना को भी सशक्त कर रहे हैं।

साथियों,

मैं अपनी बात डॉक्टर राजेंद्र प्रसाद जी के शब्दों के साथ समाप्त करना चाहूंगा...26 नवंबर...आज के ही दिन 1949 में संविधान सभा में अपने समापन भाषण में डॉक्टर राजेंद्र प्रसाद जी ने कहा था...“भारत को आज ईमानदार लोगों के एक समूह से ज्यादा कुछ नहीं चाहिए जो अपने हितों से आगे देश का हित रखेंगे। नेशन फर्स्ट, राष्ट्र सर्वप्रथम की यही भावना भारत के संविधान को आने वाली कई-कई सदियों तक जीवंत बनाए रखेगी। मैं, संविधान ने मुझे जो काम दिया है, मैंने उसी मर्यादा में रहने का प्रयास किया है, मैंने कोई encroachment की कोशिश नहीं की है। क्योंकि संविधान ने मुझे वो काम कहा इसलिए मैंने अपनी मर्यादाओं को संभालते हुए अपनी बात को रखा है। यहां तो इशारा ही चल रहा होता है ज्यादा कुछ कहने की जरूरत नहीं होती है।

बहुत-बहुत धन्यवाद।