“‘এক অভিন্ন পৃথিবী, এক অভিন্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ – চিকিৎসা ও চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রে ভারতের এই বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গীর কথা তুলে ধরা হয়েছে বিশ্ববাসীর সামনে”
“চিকিৎসার সুযোগ সকলের জন্য সুলভ করে তোলার মতো বিষয়টিকে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে”
“আয়ুষ্মান ভারত এবং জন ঔষধি প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকরা প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার মতো ব্যয়সাশ্রয়ের সুবিধা লাভ করেছেন”
“দেশের ছোট ছোট শহর ও মফঃস্বল এলাকাগুলিতেও গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এই কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের আওতায়”
“স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিষয়টিকে সকলের কাছে সুলভ করে তুলতে সরকার প্রযুক্তির উপর আরও বেশি করে জোর দিচ্ছে”
“আজকের দিনে ফার্মা সেক্টরের বাজার মূল্য হল প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা। যদি আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও বেশি করে সমন্বয় গড়ে তুলতে পারি তাহলে এই মাত্রা ১০ লক্ষ কোটি টাকাতেও উন্নীত করা সম্ভব”

চিকিৎসার সুযোগ সকলের জন্য সুলভ করে তোলার মতো বিষয়টিকে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই কারণে স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন তথা স্বাস্থ্য পরিচর্যাকে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে বিষয়টিকে সরকারের একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গী রূপে গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা গবেষণা সম্পর্কিত এক বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারে আজ ভাষণ দানকালে এই তথ্য পেশ করেন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিষয়টিকে কোভিড পূর্ববর্তী এবং অতিমারী পরবর্তী এই দুটি দৃষ্টিকোণ থেকেই বিচার করা উচিৎ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলির চিকিৎসা ব্যবস্থাও অতিমারী পরিস্থিতিতে কিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, তা আমরা চাক্ষুষ করেছি। অতিমারী পরবর্তীকালে স্বাস্থ্যের মতো বিষয়টিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন বিশেষভাবে প্রাধান্য দিয়েছে, ভারত তখন আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ‘এক অভিন্ন পৃথিবী এবং এক অভিন্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ এই দৃষ্টিভঙ্গীকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। মানুষ, প্রাণী, গাছপালা – যাই হোক না কেন, সজীব সকল বস্তুর প্রতি যত্ন নেওয়ার মতো গুরু দায়িত্বকে এই দৃষ্টিভঙ্গীর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতিমারীজনিত পরিস্থিতিতে বিশ্বের যোগান-শৃঙ্খল কিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, তা আজ আর কারুর অজানা নয়। ঐ সময়ে দুর্ভাগ্যবশত ওষুধ, চিকিৎসা এবং চিকিৎসা সম্পর্কিত সাজ-সরঞ্জামের মতো জীবনদায়ী উপায়গুলি কিভাবে মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশে্র কারায়ত্ত হয়ে পড়েছিল, তাও আমরা লক্ষ্য করেছি। এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি সুষ্ঠু ও নিরন্তর যোগান-শৃঙ্খল গড়ে তুলতে বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ।

গুরুতর ধরনের অসুস্থতার মোকাবিলায় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করে তুলতে এক শক্তিশালী স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার উপর বিশেষ জোর দেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসাবে বাড়ির কাছাকাছি প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন, সেজন্য সারা দেশে দেড় লক্ষেরও বেশি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলিতে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং হার্টের অসুখের জন্য পরীক্ষা করানোরও সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের আওতায় দেশের ছোট ছোট শহর ও গ্রামগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে অবহিত করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শিল্পোদ্যোগী, বিনিয়োগকারী এবং পেশাদারদের এজন্য নানা ধরনের নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গত কয়েক বছরে ২৬০টিরও বেশি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পঠন-পাঠনের জন্য আসন সংখ্যাও ২০১৪’র তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ সংখ্যায়। শুধু তাই নয়, মেডিকেল কলেজগুলির কাছাকাছি ১৫৭টি নার্সিং কলেজ স্থাপন মানবসম্পদ বিকাশের লক্ষ্যে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধুমাত্র দেশের চাহিদা মেটানোই নয়, বিশ্ববাসীর প্রয়োজনেও এগুলি বিশেষভাবে কাজে আসবে।

চিকিৎসা ব্যবস্থা ও পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ভূমিকা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিষয়টিকে সকলের কাছে সুলভ করে তুলতে সরকার প্রযুক্তির উপর আরও বেশি করে জোর দিচ্ছে। ডিজিটাল হেলথ আইডি-র মাধ্যমে সঠিক সময়ে চিকিৎসা পরিষেবাকে সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। অন্যদিকে, ই-সঞ্জিবনী কর্মসূচির আওতায় ১০ কোটিরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণের সুবাদে।

রক্তাল্পতা ও অপুষ্টির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় মিলেট তথা বাজরা যাতে স্থান পায়, তা নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বর্তমান বছরটিকে আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ রূপে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘সবকা প্রয়াস’ অর্থাৎ ‘সকলের মিলিত প্রচেষ্টায়’ এক উন্নত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকেই প্রয়োজনীয় মতামত ও পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

 

 

 

 

 

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Oman, India’s Gulf 'n' West Asia Gateway

Media Coverage

Oman, India’s Gulf 'n' West Asia Gateway
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister shares Sanskrit Subhashitam emphasising the importance of hard work
December 24, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi, shared a Sanskrit Subhashitam-

“यस्य कृत्यं न विघ्नन्ति शीतमुष्णं भयं रतिः।

समृद्धिरसमृद्धिर्वा स वै पण्डित उच्यते।।"

The Subhashitam conveys that only the one whose work is not hampered by cold or heat, fear or affection, wealth or poverty is called a knowledgeable person.

The Prime Minister wrote on X;

“यस्य कृत्यं न विघ्नन्ति शीतमुष्णं भयं रतिः।

समृद्धिरसमृद्धिर्वा स वै पण्डित उच्यते।।"