প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ‘তরুণ সম্প্রদায়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি-শিক্ষা ও দক্ষতার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারে ভাষণ দেন। ২০২৩এ কেন্দ্রীয় বাজেটকে যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন মহলের পরামর্শ চেয়ে সরকার যে বাজেট পরবর্তী ১২টি ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে এটি ছিল তার মধ্যে তৃতীয়।
ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, অমৃতকালে দেশকে নেতৃত্ব প্রদানকারী যুব সম্প্রদায়ের জন্য দক্ষতা ও শিক্ষা হল দুটি মূল বিষয়। যুবক-যুবতীদের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়ে অমৃতকালের প্রথম বাজেটে যে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে তার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রকে আরও বাস্তব সম্মত এবং শিল্প নির্ভর করে তোলার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। বহু বছর ধরে চলতে থাকা শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনছে সরকার। ভবিষ্যতের চাহিদার দিকে নজর দিচ্ছে। যুবক-যুবতীদের শিক্ষার জন্য নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য পরবর্তী প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কোভিড অতিমারী থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে সে বিষয়ে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রযুক্তি নতুন ধরনের ক্লাসরুম চালু করতে সহায়তা করেছে। যে কোনো জায়গা থেকে যেন শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করা যায় সে ধরণের সামগ্রী তৈরির দিকে সরকার নজর দিচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম স্বয়ম-এর উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় ডিজিটাল পাঠাগার ও ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরিগুলি শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠছে। ডিটিএইচ চ্যানেলের মাধ্যমে স্থানীয় ভাষায় পড়াশোনার যে ব্যবস্থা চালু হয়েছে সে কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে প্রযুক্তি নির্ভর এই ধরনের নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ‘এইসব পদক্ষেপ আমাদের সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করে তুলতে সহায়ক হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকদের ভূমিকা এখন কেবলমাত্র শ্রেণী কক্ষেই সীমাবদ্ধ নয়।’ তিনি বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নতুন ধরনের শিক্ষা সামগ্রী পাওয়া যাবে। এর ফলে গ্রাম এবং শহরের বিদ্যালয়গুলির মধ্যে পার্থক্য দূর করতে শিক্ষকদের সামনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
‘চাকরি ভিত্তিক শিক্ষা’-এর প্রতি বিশেষ আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে এই বিষয়টিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। ভারতেও বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার শ্রেণীকক্ষের বাইরে যুবক-যুবতীদের আরও বেশি মাত্রায় জ্ঞানার্জনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নানা রকম প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে। ‘বর্তমানে জাতীয় ইন্টার্নশিপ পোর্টালে প্রায় ৭৫ হাজার কর্মী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে দেশে ইন্টার্নশিপ সংস্কৃতির সম্ভাবনা আরও বাড়াতে এই পোর্টালের যথাযথ প্রয়োগ করার আহ্বান জানান।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ আমাদের যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালোভাবে তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে শিল্প ক্ষেত্রগুলিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনাও বাড়বে বলে তিনি মনে করে। এ বছরের বাজেটের প্রতি আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল অ্যাপ্রেনটিসশিপ প্রমোশন প্রকল্পের আওতায় ৫০ লক্ষ যুবক-যুবতীর জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দক্ষ কর্মী প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে কর্মী দক্ষতার জন্য সমগ্র বিশ্ব এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে। ভারতকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গণ্য করা হয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতে বিনিয়োগে আগ্রহী। এদিকে নজর রেখে এবারের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা 4.0 চালু করা হয়েছে। এর থেকে আগামীদিনে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এআই, রোবোটিক্স, আইওটি এবং ড্রোন শিল্পের জন্য দক্ষ কর্মীগোষ্ঠী তৈরিতে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঐতিহ্যবাহী শিল্পী ও হস্তশিল্পীদের উন্নয়নের জন্য বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনার উদাহরণ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা ও শিল্প ক্ষেত্রের ভূমিকা ও অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য যথাযথ সম্ভাবনার স্থান খুঁজে দেখতে গবেষণা বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ বারের বাজেটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল কলেজ এবং বেসরকারী ক্ষেত্রের গবেষণা দলগুলির জন্য এখন থেকে আইসিএমআর-এর ল্যাবরেটরি উপলব্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা এবং দক্ষতার উন্নয়ন কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা মন্ত্রকের ওপর নির্ভর করেনা। প্রতি ক্ষেত্রেই এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আসা জনগণ প্রয়োজনীয় দক্ষ কর্মীগোষ্ঠী তৈরির জন্য এই ধরনের সম্ভাবনার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এই প্রসঙ্গে তিনি ভারতে দ্রুত উন্নয়নশীল অসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্রের উল্লেখ করে বলেন, এ থেকে দেখা যাচ্ছে ভারতে পর্যটন শিল্পে কর্মসংস্থানের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। ‘স্কিল ইন্ডিয়া মিশন’-এর আওতায় এইসব যুবক-যুবতীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। তাদের তালিকা প্রস্তুত করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীগোষ্ঠী যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে নজর দিতে হবে। এই লক্ষ্যে তিনি শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাজ করার আহ্বান জানান।
विकसित भारत के विज़न को लेकर देश की अमृतयात्रा का नेतृत्व हमारे युवा ही कर रहे हैं। pic.twitter.com/UzdRqpQq9A
— PMO India (@PMOIndia) February 25, 2023
वर्षों से हमारा education sector, rigidity का शिकार रहा।
— PMO India (@PMOIndia) February 25, 2023
हमने इसको बदलने का प्रयास किया है। pic.twitter.com/oColTAyXZt
आज सरकार ऐसे tools पर फोकस कर रही है, जिससे ‘anywhere access of knowledge’ सुनिश्चित हो सके। pic.twitter.com/TlTGfEg7UT
— PMO India (@PMOIndia) February 25, 2023
आज भारत को दुनिया manufacturing hub के रूप में देख रही है।
— PMO India (@PMOIndia) February 25, 2023
इसलिए आज भारत में निवेश को लेकर दुनिया में उत्साह है।
ऐसे में skilled workforce आज बहुत काम आती है। pic.twitter.com/o8OrPU8M4y