Quote“ভারতকে উন্নত দেশে রূপান্তরের অঙ্গীকার নিয়ে আমরা নতুন সংসদ ভবনে যাচ্ছি”
Quote“ভারত নতুন শক্তিতে উদ্দীপ্ত। আমরা দ্রুতগতিতে এগোচ্ছি”
Quote“অমৃতকালে আমাদের আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে হবে”
Quote“প্রত্যেক ভারতীয়র আকাঙ্খা পূরণে আমাদের সংস্কার চালাতে হবে”
Quote“জি-২০ সভাপতিত্বকালে ভারত ‘বিশ্ব মিত্র’ হয়ে উঠেছে”
Quoteপ্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আজ সেন্ট্রাল হল-এ সাংসদদের উদ্দেশে ভাষণ দেন।
Quoteপ্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতে গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে সাংসদদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, আজ এই উৎসব উদযাপনের দিনেই সংসদের নতুন ভবনে সভার কাজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাঁর কথায়, “ভারতকে এক উন্নত দেশে রূপান্তর করার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা নতুন সংসদ ভবনে যাচ্ছি।”
Quoteশ্রী মোদী বলেন, “শান্তি ও উন্নয়নের পথ ধরে জম্মু ও কাশ্মীর আজ এগিয়ে চলেছে এবং এখানকার মানুষ আজ কোনো সুযোগই হাতছাড়া করতে নারাজ।”
Quoteছোট জায়গায় আটকে থাকার সময় চলে গিয়েছে।”
Quoteতিনি বলেন, প্রাথমিক সংশয় কাটিয়ে গোটা বিশ্ব এখন ভারতের আত্মনির্ভর মডেল নিয়ে চর্চা করছে। প্রতিরক্ষা, উৎপাদন, বিদ্যুৎ এবং ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে কে না চায়। এক্ষেত্রে দলীয় রাজনীতি বাধা হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আজ সেন্ট্রাল হল-এ সাংসদদের উদ্দেশে ভাষণ দেন।


প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতে গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে সাংসদদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, আজ এই উৎসব উদযাপনের দিনেই সংসদের নতুন ভবনে সভার কাজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাঁর কথায়, “ভারতকে এক উন্নত দেশে রূপান্তর করার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা নতুন সংসদ ভবনে যাচ্ছি।”

 

|

সেন্ট্রাল হলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই সেন্ট্রাল হলের অনুপ্রেরণামূলক ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন। স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ভবনের এই অংশটি একসময় গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহৃত হত। সংবিধার প্রণয়ন এবং স্বাধীনতার পর ক্ষমতা হস্তান্তরের সঙ্গে এই ভবনের যোগসূত্রের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সেন্ট্রাল হলেই ভারতের জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীত গৃহীত হয়েছিল। তিনি জানান, ১৯৫২ সালের পর বিশ্বের ৪১টি দেশের শীর্ষ রাষ্ট্রনেতারা ভারতের সংসদ ভবনের এই সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন সময়ের রাষ্ট্রপতিরা সেন্ট্রাল হলে ৮৬ বার বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, গত ৭ দশকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় প্রায় ৪ হাজার আইন তৈরি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পণপ্রথা প্রতিরোধ আইন, ব্যাঙ্কিং সার্ভিস কমিশন বিল এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেইসঙ্গে তিন তালাক নিষিদ্ধকরণ আইনেরও উল্লেখ করেন তিনি। 
সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পূর্বসূরীরা যা চেয়েছিলেন, তা এখন জম্মু ও কাশ্মীরে রূপায়িত হচ্ছে। শ্রী মোদী বলেন, “শান্তি ও উন্নয়নের পথ ধরে জম্মু ও কাশ্মীর আজ এগিয়ে চলেছে এবং এখানকার মানুষ আজ কোনো সুযোগই হাতছাড়া করতে নারাজ।”

 

|

এবছরের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে তাঁর দেওয়া ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন চেতনা নিয়ে ভারতকে গড়ে তালার এটাই সঠিক সময়। শ্রী মোদীর কথায়, “ভারত এখন নতুন শক্তি নিয়ে টগবগ করে ফুটছে।” তিনি বলেন, নতুন চেতনা প্রত্যেক নাগরিককে ত্যাগ ও কঠোর শ্রমের মাধ্যমে তাঁদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে সক্ষম করে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সুরে বলেন, ভারত যে পথে এগোচ্ছে, তাতে সাফল্য আসবেই। তিনি বলেন, “অগ্রগতির হার যত দ্রুত হবে, তত দ্রুততার সঙ্গে সাফল্যও আসবে।” আর্থিকভাবে উন্নত বিশ্বের ৫টি সেরা দেশের মধ্যে ভারতের উত্তরণের প্রসঙ্গ টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রথম ৩টি আর্থিক উন্নত দেশের মধ্যে ভারতের উঠে আসার ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ভারতের শক্তিশালী অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং ইউপিআই লেনদেন ব্যবস্থা নিয়েও গোটা বিশ্বের উৎসাহের প্রসঙ্গ টেনে শ্রী মোদী বলেন, এই সাফল্য বিস্ময়কর এবং বিশ্বের কাছে ভারতকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। 


প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সময়ের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, হাজার বছরের মধ্যে ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্খা এখন সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। ভারত এখন আর অপেক্ষা করতে চায় না, নতুন লক্ষ্য স্থির করে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে এগোতে চায়। তিনি বলেন, সাংসদদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হল, নতুন এই প্রত্যাশার মধ্যেই নতুন আইন তৈরি এবং পুরনো আইনের অবলুপ্তি ঘটানো। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের প্রত্যাশা এবং প্রত্যেক সাংসদের বিশ্বাস এই যে, সংসদে অনুমোদিত আইন, আলোচনা, সবকিছুর মধ্যেই যেন ভারতীয়দের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে। তাঁর মতে, "সংসদে প্রতিটি সংস্কার যেন ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। একেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।”

 

|

শ্রী মোদী বলেন, একটি ছোট ক্যানভাসে বড় ছবি আঁকা যেমন সম্ভব নয়, তেমনই আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে বড় না করলে, আমরা কখনই মহান ভারত গড়ে তুলতে পারব না। ভারতের মহান ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি আমরা আমাদের ভাবনাকে মহান ঐতিহ্যের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথতে পারি, তবেই আমরা মহান ভারতের ছবি আঁকতে পারব। শ্রী মোদীর কথায়, “ভারতকে এখন বড় ক্যানভাসে কাজ করতে হবে। ছোট জায়গায় আটকে থাকার সময় চলে গিয়েছে।”


প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক সংশয় কাটিয়ে গোটা বিশ্ব এখন ভারতের আত্মনির্ভর মডেল নিয়ে চর্চা করছে। প্রতিরক্ষা, উৎপাদন, বিদ্যুৎ এবং ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে কে না চায়। এক্ষেত্রে দলীয় রাজনীতি বাধা হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার  উল্লেখ করে ‘ত্রুটি-শূন্য, প্রভাব-শূন্য’ মডেলের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য সবধরনের ত্রুটিমুক্ত হবে এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রভাব যাতে পরিবেশের ওপর না পড়ে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত। তাঁর মতে, “এই বিশ্বাস অবশ্যই রাখা উচিত যে, আমাদের পণ্য শুধুমাত্র গ্রাম, শহর, জেলা এবং রাজ্যেই সেরা হবে না, গোটা বিশ্বেই হবে সর্বশ্রেষ্ঠ।”

নতুন শিক্ষানীতিতে মুক্ত ভাবনা-চিন্তার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই শিক্ষানীতি সবাই গ্রহণ করেছেন। জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের সময় প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বিশ্বের বিদেশী রাষ্ট্রের বিশিষ্ট অতিথিরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন, ১৫০০ বছর আগে এই প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব ছিল। আমাদের অবশ্যই এই অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যপূরণের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”

ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের যুব সমাজের ক্রমবর্ধমান সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সারির শহরগুলিতেও এখন ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে উঠছে। শ্রী মোদী বলেন, “প্রতিটি ক্রীড়ার মঞ্চে যেন তেরঙ্গা উড়তে দেখা যায়, আমাদের এই শপথ নিতে হবে।” সাধারণ মানুষের জীবনের গুণগত মানোন্নয়নের উপরও জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। 
দেশে তরুণদের সংখ্যা বৃদ্ধির গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা এমন এক পরিস্থিতি গড়ে তুলতে চাই, যেখানে ভারতীয় তরুণরা সর্বদাই সামনের সারিতে থাকবে। বিশ্বে স্বাস্থ্য পেশাদারের চাহিদা পূরণে ভারতীয় তরুণদের প্রস্তুত করার জন্য ১৫০টি নার্সিং কলেজ খোলার ব্যাপারে সাম্প্রতিক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 


সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের গুরুত্বের কথাও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনোরকম বিলম্ব নয়।” জনপ্রতিনিধিদের কোনোরকম রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির মধ্যে আবদ্ধ থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। দেশে সৌরশক্তি প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, দেশ এখন শক্তি-সঙ্কট কাটানোর ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মিশন হাইড্রোজেন, সেমিকন্ডাক্টর মিশন এবং জলজীবন মিশনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার পথ তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় পণ্যের চাহিদার প্রসঙ্গ টেনে শ্রী মোদী বলেন, দেশে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে খরচ কমিয়ে তা প্রত্যেক নাগরিকের সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে। তিনি বলেন, চন্দ্রযানের সাফল্য যে গতি এনে দিয়েছে, তাকে নষ্ট হতে দেওয়া উচিত নয়।

 

|

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক ন্যায় হল, আমাদের প্রাথমিক শর্ত। এই সামাজিক ন্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বঞ্চিত অংশের ক্ষমতায়ন, বিশুদ্ধ জল, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা এবং অন্যান্য মৌলিক সুযোগসুবিধাসমূহ। তিনি বলেন, অসম উন্নয়ন সামাজিক ন্যায়ের পরিপন্থী এবং এ প্রসঙ্গে দেশের পূর্বাঞ্চলের অনগ্রসরতার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদীর কথায়, “আমাদের পূর্বাঞ্চলকে শক্তিশালী করতে গেলে, সেখানে সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।” 

 

|

প্রধানমন্ত্রী বলেন,“গোটা দুনিয়া আজ ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।” তিনি বলেন, ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ভারত নিরপেক্ষ দেশের ভূমিকা নিয়েছিল। আর এখন ভারত “বিশ্ব মিত্র” হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, যেখানে ভারত অন্য দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলছে, আবার অন্য দেশও ভারতের বন্ধু হয়ে উঠতে চাইছে। শ্রী মোদী বলেন, ভারত এখন এই ধরনের বিদেশ নীতির ফল পাচ্ছে। বিশ্বের অস্বচ্ছল দেশগুলির প্রত্যাশা পূরণের মাধ্যম হিসেবে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই উল্লেখযোগ্য সাফল্য আমাদের আগামী প্রজন্মকে গর্বিত করবে। তাঁর কথায়, “জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের মাধ্যমে যে বীজ বপন করা হয়েছে, আগামী দিনে গোটা বিশ্বের কাছে তা বিশ্বাসের বটবৃক্ষ হয়ে উঠবে।” তিনি আরও বলেন, ভারতের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক স্তরে জৈব জ্বালানি আন্দোলন এক ব্যাপক চেহারা নিয়েছে। 


যে কোনো মূল্যে নতুন ভবনের মর্যাদা ও মহিমা রক্ষার জন্য উপরাষ্ট্রপতি এবং অধ্যক্ষের কাছে আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে পুরাতন সংসদ ভবনের মর্যাদা রক্ষার কথা বলেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, এই ভবনটির নামকরণ হবে “সংবিধান সদন”। প্রধানমন্ত্রীর কথায় “সংবিধান সদন হিসেবে পুরনো ভবনটি আমাদের পথ দেখিয়ে যাবে এবং যাঁরা একসময় এই আইনসভার অংশ ছিলেন, সেইসব মহান ব্যক্তিত্বদের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।"

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

  • T S KARTHIK November 27, 2024

    in IAF INDIAN AIRFORCE army navy✈️ flight train trucks vehicle 🚆🚂 we can write vasudeva kuttumbakkam -we are 1 big FAMILY to always remind team and nation and world 🌎 all stakeholders.
  • रीना चौरसिया September 29, 2024

    BJP
  • CHANDRA KUMAR September 22, 2023

    बीजेपी सोच रहा होगा, सिक्ख "खालिस्तान" मांगता है, कश्मीरी "आजाद काश्मीर" मांगता है, नगा जनजाति "नागालैंड" मांगता है, दक्षिणी भारतीय राज्य "द्रविड़ लैंड" मांगता है। यह सब क्या हो रहा है। भारत के राज्य स्वतंत्रता क्यों मांग रहा है? किससे स्वतंत्रता मांग रहा है? शिवसेना के संजय राऊत ने कहा कि जिस तरह से यूरोपीय संघ में बहुत सारे देश हैं, उसी तरह से भारत भी एक संघ है जिसमें बहुत सारे राज्य है, यहां सिर्फ वीजा नहीं लग रहा है, लेकिन बात बराबर है। ममता बनर्जी चिल्लाते रहती है, बीजेपी संघीय ढांचे को तोड़ रहा है, हम इसे बर्दास्त नहीं करेंगे, सीबीआई को पश्चिम बंगाल नहीं आने देंगे। बीजेपी सोचती है की धारा 370 हटाकर हमने कश्मीर को भारत से जोड़ दिया। यह एक गलतफहमी है। मेरा प्रश्न है, क्या भारत जुड़ा हुआ है? पहले जानते हैं, राज्य किसे कहते हैं, संघ किसे कहते हैं, प्रांत किसे कहते हैं, देश किसे कहते हैं? 1. संघ : दो या दो से अधिक पृथक एवं स्वतंत्र इकाइयों से एकल राजनीतिक इकाई का गठन। 2. राज्य : राज्य शब्द का अर्थ एक निश्चित क्षेत्र के भीतर एक स्वतंत्र सरकार के तहत राजनीतिक रूप से संगठित समुदाय या समाज है। इसे ही कानून बनाने का विशेषाधिकार है। कानून बनाने की शक्ति संप्रभुता से प्राप्त होती है, जो राज्य की सबसे विशिष्ट विशेषता है। भारतीय संविधान के अनुच्छेद 1(1) में कहा गया है, "इंडिया, जो कि भारत है, राज्यों का एक संघ होगा।" 13 दिसंबर, 1946 को जवाहरलाल नेहरू ने एक संकल्प के माध्यम से संविधान सभा के लक्ष्यों और उद्देश्यों को पेश किया था कि भारत, "स्वतंत्र संप्रभु गणराज्य" में शामिल होने के इच्छुक क्षेत्रों का एक संघ होगा। जबकि सरदार वल्लभ भाई पटेल ने,एक मज़बूत संयुक्त देश बनाने के लिये विभिन्न प्रांतों और क्षेत्रों के एकीकरण और संधि पर जोर दिया गया था। संविधान सभा के सदस्य संविधान में 'केंद्र' या 'केंद्र सरकार' शब्द का प्रयोग न करने के लिये बहुत सतर्क थे क्योंकि उनका उद्देश्य एक इकाई में शक्तियों के केंद्रीकरण की प्रवृत्ति को दूर रखना था। अर्थात् एक इकाई अपने स्वतंत्र क्षेत्र में दूसरी इकाई के अधीन नहीं है और एक का अधिकार दूसरे के साथ समन्वित है। हाल ही में तमिलनाडु सरकार ने अपने आधिकारिक पत्राचार या संचार में 'केंद्र सरकार' (Central Government) शब्द के उपयोग को बंद करने एवं इसके स्थान पर 'संघ सरकार' (Union Government) शब्द का उपयोग करने का फैसला किया है। 3. प्रांत : प्रान्त एक प्रादेशिक इकाई है, जो कि लगभग हमेशा ही एक देश या राज्य के अन्तर्गत एक प्रशासकीय खण्ड होता है। 4. देश : एक देश किसी भी जगह या स्थान है जिधर लोग साथ-साथ रहते है, और जहाँ सरकार होती है। संप्रभु राज्य एक प्रकार का देश है। अर्थात् देश एक भौगोलिक क्षेत्र है, जबकि राज्य एक राजनीतिक क्षेत्र है। निष्कर्ष : 1. वर्तमान समय में भारत एक संघ (ग्रुप) है। इस संघ में कोई भी राज्य शामिल हो सकता है और कोई भी राज्य अलग हो सकता है। क्योंकि संप्रभुता राज्य में होती है, संघ में नहीं। संघ राज्यों को सम्मिलित करके रखने का एक प्रयास मात्र है। जिस तरह यूरोपीय संघ से ब्रिटेन बाहर निकल गया, उसी तरह से भारतीय संघ से पाकिस्तान बाहर निकल गया। 2. यदि भारत को "संघ" के जगह पर "राज्य" बना दिया जाए, और भारत के सभी राज्य को प्रांत घोषित कर दिया जाए। तब भारत एक केंद्रीयकृत सत्ता में परिवर्तित हो जायेगा। जिससे सभी प्रांत स्वाभाविक रूप से, भारतीय सत्ता का एक शासकीय अंग बन जायेगा, और प्रांतों की संप्रभुता भारत राज्य में केंद्रित हो जायेगा। फिर कोई भी प्रांत भारत राज्य से अलग नहीं हो सकेगा। प्रांतों की सभी प्रकार की राजनीतिक स्वायत्तता स्वतः समाप्त हो जायेगा। फिर भारत का विभाजन बंद हो जायेगा। 3. जब भारत स्वतंत्र हो रहा था, तब इसमें कई राजाओं को मनाकर शामिल करने की जरूरत थी, सभी राजाओं ने कई तरह की स्वायत्तता और प्रेवीपर्स मनी लेने के बाद भारतीय संघ का सदस्य बनना स्वीकार किया। अब भारत का लोकतंत्र काफी विकसित हो गया है, राजाओं का प्रेवीपर्स मनी खत्म कर दिया गया है। ऐसे में क्षेत्रीय राजनीतिक पार्टियों और क्षेत्रीय विभाजनकारी संगठनों के भारत विभाजन के लालसा को खत्म करने के लिए, अब भारत को एक संघ की जगह, एक राज्य घोषित कर दिया जाए। और भारत के राज्यों को प्रांत घोषित कर दिया जाए। राज्यसभा को प्रांतसभा घोषित कर दिया जाए। राज्य के मुख्यमंत्री को प्रांतमंत्री घोषित कर दिया जाए। इससे क्षेत्रीय विभाजनकारी तत्वों को हतोत्साहित किया जा सकेगा। क्षेत्रीय राजनीतिक दलों के दबंग आचरण को नियंत्रित किया जा सकेगा। जब संप्रभुता केंद्र सरकार में केंद्रित होगा , तभी खालिस्तान, नागालैंड , आजाद काश्मीर जैसी मांगें बंद होंगी। और तभी तमिलनाडु जैसे राज्य , खुद को द्रविड़ देश समझना बंद करेगा और केंद्र सरकार को संघ सरकार कहने का साहस नहीं कर पायेगा। और तभी ममता बनर्जी जैसी अधिनायकवादी राजनीतिज्ञ, केंद्रीय जांच एजेंसी को अपने प्रांत में प्रवेश करने से रोक नहीं पायेगा। 4. कानून बनाने का अधिकार तब केवल भारत राज्य को होगा। कोई भी प्रांत, जैसे बंगाल प्रांत, बिहार प्रांत, कानून नहीं बना सकेगा। क्योंकि प्रांत कोई संप्रभु ईकाई नहीं है। प्रांत भारत राज्य से कानून बनाने का आग्रह कर सकता है, सलाह दे सकता है। भारत राज्य का कानून ही अंतिम और सर्वमान्य होगा। केवल लोकसभा में ही बहुमत से कानून बनाया जायेगा। 5. राज्यसभा का अर्थ होता है, संप्रभुता प्राप्त राज्यों का सभा। इसीलिए राज्य सभा का नाम बदल कर प्रांत सभा कर दिया जाए। लोकसभा को उच्च सदन और प्रांत सभा को निम्न सदन घोषित किया जाए। प्रांत सभा केवल कानून बनाने का प्रस्ताव बनाकर लोकसभा को भेज सकता है। प्रांत सभा किसी कानून के बनते समय केवल सुझाव दे सकता है। प्रांत सभा को किसी भी स्थिति में मतदान द्वारा कानून बनाने में भागीदारी करने का अधिकार नहीं दिया जाए। तभी जाकर केंद्र सरकार वास्तव में प्रभुत्व संपन्न बनेगा। तभी जाकर केंद्र सरकार संप्रभुता को प्राप्त करेगा। तभी जाकर राष्ट्र के विभाजन कारी तत्व की मंशा खत्म होगी। तभी जाकर भारत एक शक्तिशाली राज्य बनकर उभरेगा। 6. अभी भारत का कोई भी राज्य, कोई भी कानून बना सकता है। अभी राज्यसभा किसी भी कानून को पारित होने से रोक सकता है। अभी राज्य सभा उच्च सदन बनकर बैठा है। सोचिए राज्यों ने कितना संप्रभुता हासिल करके रखा है। वह केंद्र सरकार से आजाद होने का सपना देखे, तब इसमें आश्चर्य की क्या बात है। केंद्र सरकार का लोकसभा निम्न सदन बनकर, यह चाहत रखता है की सभी राज्य उसकी बात माने। यह कैसे संभव है। लोकसभा के कानून को राज्यसभा निरस्त करके खुशी मनाता है। कांग्रेस पार्टी कहती है, लोकसभा में बीजेपी बहुमत में है, सभी विपक्षी पार्टी राज्यसभा में बीजेपी के खिलाफ काम करेंगे। और बीजेपी के बनाए कानून को रोक राज्यसभा में रोक देंगे। ऐसे में केंद्र सरकार के पास संप्रभुता कहां है। दरअसल जिस तरह यूरोपीय संघ से ज्यादा यूरोप के राज्यों के पास संप्रभुता है। उसी तरह भारत संघ से ज्यादा भारत के राज्यो के पास संप्रभुता ज्यादा है। 7. अतः भारत को संघ की जगह राज्य बना और राज्यों को प्रांत बना दीजिए। 8. भारतीय संविधान के अनुच्छेद एक में संशोधन करना चाहिए। वर्तमान में, भारतीय संविधान के अनुच्छेद 1(1) में कहा गया है, "इंडिया, जो कि भारत है, राज्यों का एक संघ होगा।" इसे संशोधित करते हुए, भारतीय संविधान के अनुच्छेद 1(1) में कहा जाए, " जम्बूद्वीप, जो की भारत है, प्रांतों का एक राज्य होगा।" 9. दूसरा संशोधन यह करना चाहिए की, "भारतीय संविधान में जहां - जहां पर राज्य शब्द का प्रयोग हुआ है, उन्हें संशोधन के उपरांत प्रांत समझा जाए। क्योंकि भारत संघ की जगह राज्य का स्थान ले चुका है। 10. भारत राजनीतिक रूप से राज्य है और भौगोलिक रूप से देश है। भारत राज्य में से किसी भी प्रांत को स्वतंत्र होकर राज्य बनाने की स्वीकार्यता नहीं दी जायेगी। अर्थात अब कोई खालिस्तान , कोई नागालैंड, कोई आजाद काश्मीर या कोई द्रविड़ प्रदेश बनाने की मांग नहीं कर सकेगा। भारत सरकार वास्तव में तभी एक संप्रभु राज्य, संप्रभु शासक होगा। अभी भारत सरकार, एक तरह से, बहुत सारे संप्रभु राज्यों के समूह का संघ बनाकर शासन चला रहा है। जिस संघ (Group) से सभी राज्य अलग होने की धमकी देते रहता है। यदि भारतवर्ष को विश्वगुरु बनाना है तो भारत में एक शक्तिशाली केंद्र सरकार होना चाहिए। न की एक कमजोर संघीय सरकार। अब संविधान के संघीय ढांचे का विदाई कर देना चाहिए और उपरोक्त दोनों संविधान संशोधन शीघ्र ही कर देना चाहिए।
  • bablu giri September 20, 2023

    भारत माता की जय 🌹🌹🌹
  • दिनेश वर्मा सेन September 20, 2023

    सर जी हम स्कूल में काम करते हैं हमें 130 रुपए रोज महीने 130 रुपए रोज देते हैं 5 साल पहले कर दिया 2 साल अब कर दिया
  • Arun Potdar September 20, 2023

    प्रगल्भ विचार
  • Babla sengupta September 20, 2023

    Babla sengupta
  • virendra pal September 20, 2023

    Aap ab itihas ke vyaktitva ho chuke border& inter connectivity ke sadak,ram janmabhoomi par bhavya mandir nirmaaan,baba vishwanath mandir,varansi ka kayakalp,vishwa me maa bharati ka sammaan& bahut kuchh
  • RatishTiwari Advocate September 20, 2023

    भारत माता की जय जय जय
  • Renu Thapa September 20, 2023

    Koti koti Naman hamare PM ji ko. for everything he did for the shake of our nation. Jai Hind, Jai Bharat.
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India's first microbiological nanosat, developed by students, to find ways to keep astronauts healthy

Media Coverage

India's first microbiological nanosat, developed by students, to find ways to keep astronauts healthy
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister Narendra Modi greets the people of Arunachal Pradesh on their Statehood Day
February 20, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has extended his greetings to the people of Arunachal Pradesh on their Statehood Day. Shri Modi also said that Arunachal Pradesh is known for its rich traditions and deep connection to nature. Shri Modi also wished that Arunachal Pradesh may continue to flourish, and may its journey of progress and harmony continue to soar in the years to come.

The Prime Minister posted on X;

“Greetings to the people of Arunachal Pradesh on their Statehood Day! This state is known for its rich traditions and deep connection to nature. The hardworking and dynamic people of Arunachal Pradesh continue to contribute immensely to India’s growth, while their vibrant tribal heritage and breathtaking biodiversity make the state truly special. May Arunachal Pradesh continue to flourish, and may its journey of progress and harmony continue to soar in the years to come.”