প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে অধিবেশনের প্রাক্কালে সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনের প্রথম অধিবেশনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ঐ অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। “মহিলা ক্ষমতায়ন আইন পাশ আমাদের জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সূচনা করেছে। ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের সময় দেশের নারী শক্তির ক্ষমতা, শৌর্য এবং একনিষ্ঠ মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মূর অভিভাষণ এবং অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমনের বাজেট পেশের মাধ্যমে নারী শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।
শ্রী মোদী গত এক দশকে সংসদের প্রতিটি সদস্যের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তবে, যাঁরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের থেকে দূরে সরে রয়েছেন এবং অধিবেশনের কাজে বিঘ্ন ঘটান, তাঁদের আত্মসমালোচনার পরামর্শ দেন তিনি। “সমালোচনা এবং বিরোধিতা করা গণতন্ত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ”। যাঁরা সংসদে গঠনমূলক বিভিন্ন প্রস্তাব উপস্থাপনার মাধ্যমে একে সমৃদ্ধ করেন, তাঁদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষই মনে রাখেন। যাঁরা শুধুমাত্র বিঘ্ন ঘটাতে এখানে আসেন, তাঁদের কেউ মনে রাখেন না”।
প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় বিভিন্ন বিতর্কের প্রভাবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “এখানে যে কথাগুলি বলা হয়, তার প্রতিটি শব্দ ইতিহাস রচনা করে”। সদস্যদের ইতিবাচক ভূমিকার দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতিবাচক প্রভাব যাতে বিস্তার করা যায়, তার জন্য বিভিন্ন সুযোগ প্রত্যেক সম্মানিত সদস্যের কাজে লাগানো উচিৎ। জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। “আসুন, আমরা আমাদের সেরাটা জনসাধারণকে দিই, সংসদকে আমাদের বিভিন্ন ধারণা উপস্থাপনার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করি এবং দেশকে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ভরপুর করে তুলি”।
আগামী বাজেট প্রসঙ্গে শ্রী মোদী বলেন, “সাধারণত, নির্বাচনের আগে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হয় না, আমরা এই পরম্পরা বজায় রাখবো এবং পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হবে নতুন সরকার গঠনের পর। আগামীকাল দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলাজি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সহ তাঁর বাজেট পেশ করবেন”।
পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনসাধারণের আশীর্বাদে ভারতের সর্বাঙ্গীন ও সর্বাত্মক উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত থাকবে”।