প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মহারাষ্ট্র সরকারের রোজগার মেলায় ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় স্তরে ধনতেরাসের দিন এই রোজগার মেলা শুরু হয়েছিল। সেই থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই গুজরাট এবং জম্মু-কাশ্মীর সরকারের রোজগার মেলায় ভাষণ দিয়েছেন। “স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে মহারাষ্ট্র সরকার এই রোজগার মেলার আয়োজন করেছে। তা থেকে এটি স্পষ্ট যে রাজ্য সরকার চাকুরি দিতে কতটা দৃঢ় সংকল্প। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আগামীদিনে মহারাষ্ট্রে এ ধরনের আরো চাকরি মেলার আয়োজন করা হবে”- প্রধানমন্ত্রী বলেন। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে হাজার হাজার চাকুরি দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমৃতকালে দেশ উন্নত ভারত গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এতে যুবকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, “পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজের ধরণ বদলেছে। সরকারও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করছে।” তিনি বলেন, মুদ্রা প্রকল্প ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ কোটি যুবক-যুবতীকে ঋণ দিয়েছে। একইভাবে স্টার্টআপ এবং এমএসএমই ক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায়কে বিশেষ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, “সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান ও স্বরোজগারের সুযোগ সমানভাবে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। দলিত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জনগণ, আদিবাসী মহিলা সকলেই সমান সুযোগ পাচ্ছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ৮ কোটি মহিলাকে ৫ লক্ষ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে সরকার পরিকাঠামো, তথ্য ও প্রযুক্তি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক বিনিয়োগ করছে। এর ফলে কাজের সুযোগ বাড়ছে।” মহারাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ২২৫টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। রেল প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা ও আধুনিক সড়ক তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই প্রকল্পগুলির কাজ হয়তো চলছে কিংবা খুব শীঘ্রই শুরু হবে।” প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শেষে বলেন, “সরকার যখন পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এতো ব্যাপক বিনিয়োগ করছে তখন লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।”