ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স-এর সূচনা করলেন
বাঘের সংখ্যা ৩,১৬৭-তে দাঁড়িয়েছে বলে ঘোষণা
ব্যাঘ্র সংরক্ষণ নিয়ে স্মারক মুদ্রা এবং কতগুলি গ্রন্থনার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ
“ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাফল্য কেবলমাত্র ভারতেরই নয়, সারা বিশ্বের গর্বের মুহূর্ত”
“ভারত পরিবেশ নীতি এবং অর্থনীতির মধ্যে সংঘাতে বিশ্বাস করে না, এদের দুইয়ের সহাবস্থানকেই অনুরূপ গুরুত্ব দেয়”
“ভারত হল সেই দেশ, পরিবেশ সংরক্ষণ যার সংস্কৃতির অঙ্গ”
“সর্বত্রই স্থানীয় মানুষের পরিবেশগত ক্ষেত্র এবং তাঁদের জীবনযাপনের ওপর বাঘের উপস্থিতি এক সদর্থক প্রভাব বিস্তার করেছে”
“বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কোনও একটি দেশের বিষয় নয়, এক আন্তর্জাতিক বিষয়”
“ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্সের মূল লক্ষ্য হল বিশ্বের সাতটি প্রধান প্রজাতির বাঘের সংরক্ষণ করা”
“মানবতার উন্নত ভবিষ্যৎ তখনই সম্ভব যখন পরিবেশ নিরাপদ এবং জীববৈচিত্র্যের প্রসার ঘটবে”

কর্ণাটকের মাইশুরুতে মাইশুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্সেরও আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। ‘ব্যাঘ্র সংরক্ষণ নিয়ে অমৃতকালের দৃষ্টিভঙ্গী’ সংক্রান্ত কতগুলি গ্রন্থের প্রকাশ করেন তিনি। ব্যাঘ্র সংরক্ষণের মূল্যায়ন সংক্রান্ত দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়ে পঞ্চম পর্যায়ের এটি একটি সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট। এতে বাঘের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও পঞ্চম পর্যায়ের সর্বভারতীয় ব্যাঘ্র সংখ্যা সংক্রান্ত একটি সংক্ষিপ্ত রিপোর্টও প্রকাশ করেন তিনি। ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রারও তিনি আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন।

 

সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে এক গৌরবজনক মুহূর্ত বলে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন ব্যাঘ্র প্রকল্পের এই ৫০ বছর পূর্তি আজ যে সকলে প্রত্যক্ষ করছেন, তা কেবল ভারতের গৌরবের মুহূর্তই নয়, সারা বিশ্বের কাছে এটা স্মরণীয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারত কেবলমাত্র বাঘের সংখ্যাকে হ্রাস পাওয়ার হাত থেকেই রক্ষা করেনি, বাঘের সংখ্যা যাতে বৃদ্ধি পায় সেজন্য একটি পরিবেশগত ব্যবস্থাও সুনিশ্চিত করেছে। শ্রী মোদী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে ভারতের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে সারা বিশ্বের ৭৫ শতাংশ বাঘেরই আবাসস্থল হল ভারত। এটাকে একটি ঘটনাক্রম বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান যে ভারতে ব্যাঘ্র সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে ৭৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার। গত ১০-১২ বছরে দেশে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ।

ভারতে অন্যান্য দেশে যেখানে বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, সেখানে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিবেশপ্রেমীদের মধ্যে যে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ভারতের সাংস্কৃতিক ধারা এবং পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করার স্বাভাবিক তাগিদের মধ্যেই। তিনি বলেন, ভারত বিশ্বাস করে না যে পরিবেশ নীতি এবং অর্থনীতির মধ্যে কোনও সংঘাত রয়েছে, বরং উভয়ের মধ্যে সহাবস্থানকেই অনুরূপ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভারতের ইতিহাসে বাঘের গুরুত্ব উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে বাঘের ভৌগোলিক উপস্থিতি মধ্যপ্রদেশে ১০ হাজার বছরের পুরনো প্রাচীন শিলালিপির মধ্যে পাওয়া যায়। তিনি জানান যে ভারতের ভারিয়া সম্প্রদায় এবং মহারাষ্ট্র থেকে ওরলি সম্প্রদায় অন্যদের মধ্যে বাঘকে দেবতা হিসেবে পুজো করে। অন্যান্য সম্প্রদায় বাঘকে বন্ধু এবং ভ্রাতৃসম বলে মনে করে। মা দুর্গা এবং ভগবান আয়াপ্পাকে বাঘের পিঠে সওয়ার হতে দেখা যায় বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

 

ভারতে পরিবেশ সংরক্ষণের অসাধারণ সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে পরিবেশ রক্ষা সংস্কৃতির অঙ্গ। তিনি উল্লেখ করেন যে বিশ্বের ভূমি এলাকার কেবলমাত্র ২.৪ শতাংশ রয়েছে ভারতে। কিন্তু, জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশের অবদান রাখে ভারত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ এলাকা রয়েছে ভারতে। এশীয় প্রজাতির হাতির সর্ববৃহৎ উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ভারতে যা প্রায় ৩০ হাজারের মতো। এছাড়াও, একশৃঙ্গ গণ্ডারের দেশ হিসেবে পরিগণিত ভারতে এর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে ভারতই হল একমাত্র দেশ যেখানে এশিয়াটিক সিংহের দেখা পাওয়া যায় এবং এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৫-র ২২৫ থেকে ২০২০-তে ৬৭৫-এ দাঁড়িয়েছে। ভারতে নেকড়ের সংখ্যার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত চার বছরে এই সংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গঙ্গার জল শোধন প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বেশ কিছু সামুদ্রিক প্রাণী যা বিলুপ্তির পথে ছিল, তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সাফল্যের জন্য তিনি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সংরক্ষণের সংস্কৃতিকে সাধুবাদ জানান।

বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিবেশগত ভারসাম্যের অপরিসীম গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামসার সাইটে আরও ১১টি জলাভূমিকে যুক্ত করায় এই সংখ্যা এখন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫-এ। তিনি বলেন, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২১ সালে ভারতে আরও ২,২০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে বনাঞ্চল হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন যে গত এক দশকে সমষ্টিগত সংরক্ষণ ৪৩ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ ছাপিয়ে গেছে এবং জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবেশ-বান্ধব এলাকাও গত এক দশকে ৯ থেকে বেড়ে ৪৬৮-তে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি জানান।

 

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি সিংহের সংখ্যার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, কোনও একটি ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে কোনকিছুকে সীমায়িত রাখলে বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করা যায় না। স্থানীয় মানুষ এবং বন্যপ্রাণীর সঙ্গে অর্থনীতি এবং পারস্পরিক সম্বন্ধের একটি সূত্র তৈরি ওপর জোর দেন তিনি। গুজরাটে ‘বন্যপ্রাণী মিত্র’ কর্মসূচির ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে চোরাশিকারের ওপর নজর রাখতে সেখানে আর্থিক পুরস্কার অনুদান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। গির-এর সিংহদের জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র খোলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন যে গির এলাকায় বন দপ্তরের পক্ষ থেকে মহিলা প্রহরী এবং বনকর্মী নিয়োগ করা হয়। পরিবেশ পর্যটনের সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, গির-এ সেই ব্যবস্থা এখন গড়ে তোলা হয়েছে।

ভারতে কয়েক দশক আগে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সেই চিতা নিয়ে আসা হয়েছে। কুনো জাতীয় উদ্যানে মাত্র কয়েকদিন আগেই চারটি সুন্দর চিতা শাবকের জন্ম হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রায় ৭৫ বছর পর ভারতে কোনও চিতার জন্ম হল। জীববৈচিত্র্যের প্রসার এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।

বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কোনও একটি দেশের বিষয় নয়, বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয় বলে মত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এক্ষেত্রে এক আন্তর্জাতিক জোট গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবসে এশিয়ায় বন্যপ্রাণের চোরাশিকার এবং ব্যবসা বন্ধের জন্য তিনি একটি জোট গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্স গড়ে উঠেছে। এর সুবিধার দিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা এর ফলে বৃদ্ধি পাবে এবং বাঘেদের জন্য যে পরিবেশগত ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার তা সহজে রূপায়ণ করা সম্ভব হবে। ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে এবং এর মাধ্যমে সহযোগিতার এক নতুন বাতাবরণ তৈরি করতে পারবে বলে তাঁর বিশ্বাস। ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্সের উদ্দেশ্য হল, বিশ্বের সাতটি প্রজাতির বন্যপ্রাণ – বাঘ, নেকড়ে, সিংহ, স্নো লেপার্ড, পুমা, জাগুয়ার, চিতা-কে সংরক্ষণ করা। শ্রী মোদী বলেন, যেসব দেশগুলিতে এই বন্যপ্রাণের উপস্থিতি রয়েছে তারাই এই জোটের অন্তর্ভুক্ত হবে। সদস্য দেশগুলি তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবে যার মধ্য দিয়ে অন্য সহযোগী দেশগুলি গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্র গড়ে তুলতে সমর্থ হবে। আমাদের সমবেত প্রচেষ্টার ফলে এইসব প্রাণীকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে এবং নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর জীব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সমর্থ হব।

 

‘এক ধরিত্রী, এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যৎ’ – ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের এই ভাবধারা মানবতার উন্নত ভবিষ্যতের বার্তা বহন করে এবং সেই ভবিষ্যৎ তখনই সুরক্ষিত যখন পরিবেশ নিরাপদ থাকবে ও জীববৈচিত্র্যের প্রসার ঘটবে। এই দায়বদ্ধতা আমাদের সকলের, এটা সারা বিশ্বেরই দায়বদ্ধতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সিওপি-২৬-এর উল্লেখ করে বলেন, ভারত এক বিরাট এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য সামনে রেখেছে। পারস্পরিক সমন্বয়ের ওপর আস্থায় পরিবেশ সংরক্ষণের প্রত্যেকটি লক্ষ্যসাধন করতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিদেশি অতিথি ও অভ্যাগতদের ভারতের আদিবাসী সমাজের জীবনধারা এবং প্রথা থেকে কোনও একটি স্মরণীয় কিছু তাঁদের নিজ গৃহে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। সাহাদ্রি এবং পশ্চিমঘাট পর্বতমালার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন যে এখানকার মানুষেরা শতাব্দী ধরে বাঘ সহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এক অনন্য অবদান রেখেছেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রথাগত যে বৈশিষ্ট্য – ‘প্রকৃতি থেকে আমি যা নেব তা প্রকৃতিকে ফিরিয়ে দেব’ – এর যে মূলগত আদর্শ বা ভাবধারা তা এক্ষেত্রে গ্রহণীয়।

ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স’-এর উল্লেখ করেন। প্রকৃতি এবং সৃষ্টি যে অপরূপ সম্বন্ধসূত্রে বাঁধা, সেই পরম্পরাই এখানে ফুটে উঠেছে। পরিবেশগত জীবনশৈলী ‘মিশন লাইফ’-এর ভাবাদর্শকে বুঝতে আদিবাসী সমাজের জীবনশৈলী অনেকখানি কাজে লাগে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী ভূপিন্দর যাদব, দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season

Media Coverage

Cabinet approves minimum support price for Copra for the 2025 season
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 ডিসেম্বর 2024
December 21, 2024

Inclusive Progress: Bridging Development, Infrastructure, and Opportunity under the leadership of PM Modi