“আপনারা, উদ্ভাবকরা ‘জয় অনুসন্ধান’ স্লোগানের বাহক”
“আপনাদের উদ্ভাবনমূলক মানসিকতা ভারতকে আগামী ২৫ বছরে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে দেবে”
“ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সমাজ আগামী ২৫ বছরে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে”
“আজ ভারতে মেধা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে”
“শুধু কাজের ধারাতে পরিবর্তনের জন্য উদ্ভাবন ও গবেষণামূলক উদ্যোগ নিলে চলবে না, জীবনশৈলীতেও তার প্রভাব অনুভূত হতে হবে”
“ভারতীয় উদ্ভাবনগুলি সবথেকে বেশি প্রতিযোগিতামূলক, ব্যয়সাশ্রয়ী, স্থিতিশীল, নিরাপদ এবং প্রয়োজনীয় সমাধান নিশ্চিত করে”
“একবিংশ শতাব্দীর ভারত তার যুবশক্তির পূর্ণ আস্থায় অগ্রসর হচ্ছে”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার ২০২২ সালের ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন’-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন।

শ্রী মোদী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রাচীন মন্দিরের গায়ে খোদিত দেবনগরী ভাষার অনুবাদ সংক্রান্ত প্রকল্পের বিষয়ে তিনি কেরলের ‘সিক্স_পিক্সেল’ গোষ্ঠীর অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জানতে চান। এই দলের সব সদস্যই মহিলা। তাঁরা তাঁদের প্রকল্প থেকে উদ্ভাবিত বিষয়গুলি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে ‘সিক্স_পিক্সেল’ এর সদস্যরা জানিয়েছেন।

ভিন্নভাবে সক্ষমদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তামিলনাড়ুর অ্যাকচুয়েটর্স দলের সদস্যরা কাজ করছেন। তাঁরা বাঁকা পা অথবা হাঁটুর সমস্যায় থাকা মানুষদের নিয়ে কাজ করেছেন। এই গোষ্ঠী ‘প্রেরক’ যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছে। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জামে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার ওপর গুরুত্ব দেন।

‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন জুনিয়র’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শ্রীমান বিরাজ বিশ্বনাথ মারাঠে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের জন্য ‘এইচক্যাম’ নামে একটি মোবাইল গেম অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা বলে জানার পর সে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। তার অ্যাপ-এ পূর্ববর্তী বিভিন্ন ঘটনাবলীর ছবি এবং ভিডিও সম্বলিত আলোচনা রয়েছে।  অ্যাপটির সাহায্যে আর্ট থেরাপি, গেমস, সঙ্গীতাংশ এবং ভিডিও-র মাধ্যমে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তার কাছে অ্যাপ তৈরির সময় যোগের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে বিরাজ জানায় যে সে একজন যোগ প্রশিক্ষকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলত। ঐ যোগ প্রশিক্ষক তাকে বয়স্কদের জন্য কিছু আসনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

রাঁচির মেসরা-র বিআইটি-র ছাত্র ডেটাক্ল্যান গোষ্ঠীর অনিমেষ মিশ্র ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে ‘ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি’র ব্যবহার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন। তাঁরা ইনস্যাট উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র নিয়ে কাজ করেছেন। এর ফলে, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিতে সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প তৈরির সময় কিভাবে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন সে বিষয়ে জানতে চান। অনিমেষ জানান, ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতীয় উপকূলে যেসব ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে সেগুলির তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা এই প্রকল্প তৈরি করেছেন। এক্ষেত্রে ৮৯ শতাংশ নির্ভুল পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। শ্রী মিশ্র আরও জানিয়েছেন, যদিও প্রাপ্ত তথ্যের পরিমাণ কম ছিল, কিন্তু কারিগরি দক্ষতার কারণে তাঁদের দেওয়া তথ্য শুধু নির্ভুলই নয়, তা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য।

পশ্চিমবঙ্গের সরভাগ্য গোষ্ঠীর প্রিয়াংশ দেওয়ান প্রধানমন্ত্রীকে ইন্টারনেটের সাহায্য ছাড়াই রেডিও সেট থেকে পাওয়া বেতার তরঙ্গের সাহায্যে মাল্টি-মিডিয়া তথ্য প্রেরণের বিষয়ে জানান। প্রিয়াংশ জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে তথ্য প্রেরণের সময় তাঁরা গোপনীয়তার দিকটি বিবেচনা করে কাজ করেছেন। যেহেতু তাঁদের তৈরি অ্যাপ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এবং সার্ভারগুলি দেশের মধ্যেই রয়েছে, তাই এক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় থাকছে। প্রধানমন্ত্রী প্রিয়াংশ-এর কাছে জানতে চান, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সেনাবাহিনী এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবে কিনা। জবাবে প্রিয়াংশ জানিয়েছেন, যেখানেই সিগন্যাল পাওয়া যাবে, সেখানে সেই সিগন্যাল থেকে প্রেরিত তথ্যের বিশ্লেষণ এই অ্যাপ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, এই ব্যবস্থার সাহায্যে ভিডিও ফাইল পাঠানো যায় কিনা। জবাবে প্রিয়াংশ জানিয়েছেন, যেহেতু বার্তা প্রেরণের মাধ্যম একই, তাই ভিডিও বার্তাও পাঠানো সম্ভব। আগামীকালের হ্যাকাথন-এ দলের সদস্যরা ভিডিও বার্তা পাঠানো নিয়ে কাজ করবেন।

আসামের আইডিয়াল-বিটস গোষ্ঠীর নীতীশ পাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের অ্যাপ-এর বিষয়ে জানান। এই অ্যাপ-এর মাধ্যমে একজন উদ্ভাবক ইন্টেলেকচ্যুয়াল পেটেন্ট রাইট জমা দিতে পারবেন।  অ্যাপটি কৃত্রিম মেধা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে, যার ফলে পেটেন্টের আবেদনকারীরা সহজেই স্বত্ত্ব আবেদন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, এই অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে একজন উদ্ভাবকের কি সুবিধা হবে। জবাবে নীতীশ জানিয়েছেন, এই অ্যাপ-এর মাধ্যমে একজন উদ্ভাবক কিভাবে পেটেন্টের জন্য আবেদন করতে হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। এর সাহায্যে পেটেন্টের আবেদনের সময় বিভিন্ন এজেন্টের সন্ধানও পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট এজেন্টরা উদ্ভাবকদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করবেন।

উত্তরপ্রদেশের আইরিশ দলের অনশিত বনসল তাঁদের প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিতভাবে জানাতে গিয়ে বলেন, যেসব অঞ্চলে অপরাধমূলক কাজ বেশি সংঘটিত হয়, সেই অঞ্চলগুলি তাঁরা চিহ্নিত করতে পারেন। অপরাধপ্রবণ জায়গা চিহ্নিত করতে তত্ত্বাবধানে না থাকা মেশিন লার্নিং-এ অ্যালগোরিথম-এর সাহায্য নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান যে এই মডেলটি কতটা সহজে ব্যবহার করা সম্ভব বা এর মধ্যে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে তা কিভাবে করা যায়। এছাড়াও, উদ্ভাবিত মডেলটি ব্যবহার করে মাদক সমস্যার সমাধান করা যাবে কিনা সে বিষয়েও শ্রী মোদী জানতে চান। অনশিত জানান, যেহেতু এই মডেলটি কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের কথা ভেবে তৈরি করা হয়নি এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এটি কাজ করে, তাই এর মধ্যে সহজেই পরিবর্তন আনা সম্ভব।

‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন জুনিয়র’-এর বিজেতা পাঞ্জাবের শ্রীমান হরমনজোৎ সিং স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়ে নজরদারি চালানোর জন্য তার উদ্ভাবিত ‘স্মার্ট গ্লাভ’ হ্যাকাথনে উপস্থাপিত করেছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত ইন্টারনেট অফ থিংস-এর ওপর ভিত্তি করে এই দস্তানা কাজ করে। এর সাহায্যে মানসিক স্বাস্থ্য, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, মানসিক অবস্থা শনাক্তকরণ, শরীরের তাপমাত্রা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক তথ্য জানা যাবে। হরমনজোৎ-এর বাবা-মা তাকে সাহায্য করায় প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

পাঞ্জাবের সমীধা গোষ্ঠীর শ্রীমতী ভাগ্যশ্রী সানপালা মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম উপগ্রহের প্রযুক্তির সাহায্যে জাহাজের জ্বালানি সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কাজে বিষয়ে জানান। সমীধা গোষ্ঠী সমুদ্রে মানববিহীন ব্যবস্থাপনার ওপর নজরদারি চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানতে চান যে এই ব্যবস্থা অন্যান্য ক্ষেত্রে কতটা প্রয়োগ করা সম্ভব। শ্রীমতী ভাগ্যশ্রী সানপালা জানিয়েছেন, অন্যান্য ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে তাঁর ভাষণে জানান, ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন’ (এসআইএইচ) জন-অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হয়ে উঠেছে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি তিনি সম্পূর্ণ আস্থাশীল। “দেশের স্বাধীনতার ১০০ বছর পর কিভাবে আমরা এগিয়ে যাব তা নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপনারা, উদ্ভাবকরা ‘জয় অনুসন্ধান’ স্লোগানের বাহক। এই সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নের জন্য আপনাদেরই সক্রিয় হতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে তরুণ উদ্ভাবকদের সাফল্যের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, আগামী ২৫ বছরে দেশের ভবিষ্যৎ তাঁদের ওপর নির্ভরশীল। “আপনাদের উদ্ভাবনমূলক মানসিকতা ভারতকে আগামী ২৫ বছরে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে দেবে।”

শ্রী মোদী আরও একবার স্বাধীনতা দিবসে উচ্চাকাঙ্ক্ষী সমাজ সম্পর্কে তাঁর ঘোষণার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সমাজ আগামী ২৫ বছরে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে। এই সমাজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার মধ্য দিয়ে আগামীদিনে উদ্ভাবকদের সামনে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৭-৮ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। আজ ভারতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে, ডিজিটাল ক্ষেত্রে, প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মেধা ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রকে আধুনিক করে তোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিদিন নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার উদ্ভাবনমূলক পদ্ধতিতে সমাধান করতে হবে। তিনি কৃষিক্ষেত্রের নানা সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবকদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। প্রত্যেক গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবারের সুযোগকে কাজে লাগাতে তরুণ উদ্ভাবকদের শ্রী মোদী পরামর্শ দিয়েছেন। এই দশকের শেষে সিক্স-জি-র প্রস্তুতি নিতে এবং নতুন নতুন গেম তৈরি করার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতীয় উদ্ভাবনগুলি সবথেকে বেশি প্রতিযোগিতামূলক, ব্যয়সাশ্রয়ী, স্থিতিশীল, নিরাপদ এবং প্রয়োজনীয় সমাধান নিশ্চিত করে। আর তাই সারা বিশ্ব আজ ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রী দেশে উদ্ভাবনমূলক সংস্কৃতির প্রসারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, সামাজিক সমর্থন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন – দুটি জিনিসেরই প্রয়োজন রয়েছে। আজ সমাজে উদ্ভাবনকে একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নতুন নতুন ধারণা এবং ভাবনাকে গ্রহণ করতে হবে। “শুধু কাজের ধারাতে পরিবর্তনের জন্য উদ্ভাবন ও গবেষণামূলক উদ্যোগ নিলে চলবে না, জীবনশৈলীতেও তার প্রভাব অনুভূত হতে হবে।”

শ্রী মোদী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে উদ্ভাবনমূলক মানসিকতা গড়ে তোলার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাব’ এবং ‘আই-ক্রিয়েট’-এর মাধ্যমে প্রতি স্তরে উদ্ভাবনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর ভারত তার যুবশক্তির পূর্ণ আস্থায় আজ অগ্রসর হচ্ছে। ফলস্বরূপ, উদ্ভাবনমূলক সূচকের নিরিখে ভারত ওপরে উঠে আসছে। গত আট বছরে দেশে সাতগুণ বেশি পেটেন্ট পাওয়া গেছে। ইউনিকর্ন-এর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজকের যুব সমাজ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দ্রুততার সঙ্গে করছে। এই ধরনের হ্যাকাথন আয়োজনের পেছনে সেই ভাবনাই কাজ করছে যাতে দেশের যুব সম্প্রদায় নানা সমস্যার সমাধান করে, যেখানে সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে ‘সবকা প্রয়াস’ ভাবনায় কাজ করা যায়।

প্রেক্ষাপট

মূলত যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্ভাবনী মানসিকতা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন’ (এসআইএইচ) আয়োজন করা হচ্ছে। এসআইএইচ-এর মাধ্যমে সমাজ, বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারের নানাবিধ সমস্যার সমাধানে ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করতে দেশজুড়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তাধারা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং প্রচলিত পন্থা থেকে বেরিয়ে এসে অন্যভাবে ভাবনাচিন্তা করার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য।

প্রথম এসআইএইচ-এ প্রায় ৭,৫০০ জন অংশ নিয়েছিল। বর্তমান পর্বে অর্থাৎ, পঞ্চম সংস্করণে এই সংখ্যা প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৯,৬০০। এর মধ্য দিয়ে এসআইএইচ-এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা প্রতিফলিত। এ বছরের গ্র্যান্ড ফিনালেতে ৭৫টি আদর্শ কেন্দ্রে ১৫ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী এবং মেন্টর অংশগ্রহণ করবেন। চূড়ান্ত পর্বে ৫৩টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ৪৭৬টি সমস্যা সমাধানে ২,৯০০টি স্কুল এবং ২,২০০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা উদ্যোগী হবে। এর মধ্যে রয়েছে টেম্পল ইন্সক্রিপশন্স-এর অপটিক্যাল ক্যারেক্টারকে শনাক্তকরণের মধ্য দিয়ে দেবনগরী হরফে অনুবাদ, পচনশীল খাদ্যসামগ্রীর জন্য শীতল সরবরাহ শৃঙ্খলে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’-এর মাধ্যমে নজরদারি ব্যবস্থা, দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলে হাই রেজোলিউশন ত্রিমাত্রিক মডেলের মাধ্যমে পরিকাঠামো এবং রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া ইত্যাদি।

বিদ্যালয় স্তরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবনী মানসিকতা গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উৎসাহিত করতে এ বছর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন – জুনিয়র’-এর সূচনা করা হয়েছে।  

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.