সাম্বা জেলায় পল্লী পঞ্চায়েত থেকে দেশের সমস্ত গ্রামসভার উদ্দেশে ভাষণ
২০ হাজার কোটি টাকার বেশি একাধিক উন্নয়মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস
বানিহাল - কাজিগুন্ড সুড়ঙ্গপথের উদ্বোধন; এই সুড়ঙ্গপথ জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলকে কাছাকাছি নিয়ে আসবে
দিল্লি - অমৃতসর - কাটরা এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি সড়ক প্রকল্পের তথা রতলে ও কাওয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস
দেশের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি জলাশয়ের মানোন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে অমৃত সরোবর উদ্যোগের সূচনা
জম্মু ও কাশ্মীরে জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উদযাপন বড় পরিবর্তনকেই চিহ্নিত করে
গণতন্ত্রই হোক বা উন্নয়নের জন্য অঙ্গীকার, জম্মু ও কাশ্মীর আজ এর এক বড় উদাহরণ; জম্মু ও কাশ্মীরে গত ২-৩ বছরে উন্নয়ন এক নতুন মাত্রা পেয়েছে
বছরের পর বছর যারা জম্মু ও কাশ্মীরে সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তারা আজ এর সুবিধা পাচ্ছেন
হৃদয়ের টান, ভাষাগত, প্রথাগত বা সম্পদের দিক থেকে - দূরত্ব যাই হোক না কেন, তা দূর করা আজ আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার
স্বাধীনতার এই 'অমৃত কাল' ভারতের সুবর্ণ সময় হয়ে উঠতে চলেছে
এই উপত্যকার যুবসম্প্রদায় সেই সমস্যার মুখো
তিনি অমৃত সরোবর উদ্যোগেরও সূচনা করেছেন। এই উপলক্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল শ্রী মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং, ডাঃ জিতেন্দ্র সিং ও শ্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিল উপস্থিত ছিলেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জম্মু ও কাশ্মীর সফর করেন। এই উপলক্ষে তিনি দেশের সমস্ত গ্রামসভার উদ্দেশে ভাষণ দেন। সাম্বা জেলায় পল্লী পঞ্চায়েত তিনি ঘুরে দেখেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। তিনি অমৃত সরোবর উদ্যোগেরও সূচনা করেছেন। এই উপলক্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল শ্রী মনোজ সিনহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং, ডাঃ জিতেন্দ্র সিং ও শ্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিল উপস্থিত ছিলেন। 
পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের যাত্রাপথে আজ এক ঐতিহাসিক দিন। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের উৎসাহের জন্য শ্রী মোদী তাদের ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যের সঙ্গে তাঁর সুদীর্ঘ সম্পর্কের জন্য তিনি বিভিন্ন সমস্যার বিষয় উপলব্ধি করতে পারেন। আজ যে সমস্ত প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে তাতে যোগাযোগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। শ্রী মোদী জম্মু ও কাশ্মীরে ২০ হাজার কোটি টাকার একাধিক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের যাত্রাপথে নতুন গতি সঞ্চার করতে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। এই প্রয়াস জম্মু ও কাশ্মীরের বিপুল অসংখ্য যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। আজ গ্রামের অনেক পরিবার তাদের বাড়ির সম্পত্তি কার্ড পেয়েছেন। সম্পত্তির মালিকানাধীন এই কার্ড গ্রামগুলিতে নতুন নতুন সম্ভাবনাকে উৎসাহ যোগাবে। তিনি বলেন, আজ যে ১০০টি জনঔষধি কেন্দ্র চালু হচ্ছে, তার ফলে দরিদ্র ও সাধারণ মানুষ সুলভে ওষুধপত্র ও সার্জিকাল সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত কর্মসূচি জম্মু ও কাশ্মীরে রূপায়িত হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ তা থেকে লাভবান হচ্ছেন। গ্রামের অসংখ্য মানুষ রান্নার গ্যাস, শৌচাগার, বিদ্যুৎ সংযোগ, ভূমির অধিকার এবং জল সংযোগের মত প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে আসা একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। শ্রী মোদী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়নের এক নতুন কাহিনী লেখা হচ্ছে। এমনকি, বহু বেসরকারি সংস্থা এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী। তিনি জানান, স্বাধীনতার সাত দশকে জম্মু ও কাশ্মীরে বেসরকারির লগ্নির পরিমাণ ছিল কেবল ১৭ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এখন লগ্নির পরিমাণ প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। পর্যটন ক্ষেত্রও সমৃদ্ধি হয়ে উঠছে বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। 
 
জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মসংস্কৃতিতে পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ৫০০ কিলোওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কেবল তিন সপ্তাহের সময়ে গড়ে উঠছে। কিন্তু আগে দিল্লি থেকে একটা ফাইল দেওয়া-নেওয়ার জন্য ২-৩ সপ্তাহ সময় লেগে যেত। তিনি বলেন, পল্লী পঞ্চায়েতের সমস্ত বাড়িতে সৌরবিদ্যুতের যোগান 'গ্রাম উর্জা স্বরাজ' অভিযানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কর্মসংস্কৃতিতে এই পরিবর্তনই জম্মু ও কাশ্মীরকে উন্নতির এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী জম্মুর যুব সম্প্রদায়কেও আশ্বস্ত করেন। তিন বলেন, "বন্ধুরা আমার কথায় বিশ্বাস রাখুন। এই উপত্যাকার যুবরা আমার কথা মাথায় রাখবেন। আপনাদের বাবা-মা ও দাদু-দিদারা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, আপনাদের তা আর হতে হবে না। আমি আমার অঙ্গীকার পূরণ করবো এবং আপনাদের এব্যাপারে আশ্বস্ত করার জন্যই আমি এখানে এসেছি।" 
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে ভারতের অগ্রণী ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী গর্ব প্রকাশ করেন যে, পল্লী পঞ্চায়েত দেশের প্রথম কার্বন নিউট্রাল পঞ্চায়েত হয়ে উঠতে চলেছে। তিনি বলেন, আজ আমি এই পল্লী গ্রামে দেশের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সুযোগ পেয়েছি। জম্মু ও কাশ্মীরকে এই অসাধারণ সাফল্য ও উন্নয়নমূলক কাজকর্মের অগ্রগতির জন্য ধন্যবাদ জানাই। 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উদযাপন এক বড় পরিবর্তনকেই সূচিত করে। তিনি গভীর সন্তোষ ও গর্ব প্রকাশ করে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৃণমূল স্তরে পৌঁছে গেছে। গণতন্ত্রই হোক বা উন্নয়নের জন্য দৃঢ় সংকল্প, আজ জম্মু ও কাশ্মীর এক নতুন উদাহরণ তৈরি করছে। জম্মু ও কাশ্মীরে গত ২-৩ বছরে উন্নয়ন এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। এই প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরে ত্রিস্তরীয় গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। 
 
দেশের উন্নয়নের যাত্রাপথে জম্মু ও কাশ্মীরকে সামিল করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৭৫টির বেশি কেন্দ্রীয় আইন জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর হয়েছে। এরফলে, মহিলা, দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণীর মানুষ সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছেন। তিনি সংরক্ষণ ব্যবস্থায় অসংগতি দূর করার কথাও বলেন। বাল্মিকী সমাজে যুগ যুগ ধরে যে শৃঙ্খলার বেড়া ছিল তা আজ দূর হয়েছে। আজ সমাজের প্রতিটি সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা তাদের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম। জম্মু ও কাশ্মীরে যারা সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, আজ তারা সেই সুবিধা পাচ্ছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। 
 
এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগে যোগাযোগ স্থাপন ও দূরত্ব দূর করার ব্যাপারেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হৃদয়ের টান, ভাষাগত, প্রথাগত বা সম্পদের দিক থেকে - দূরত্ব যাই হোক না কেন, তা দূর করা আজ আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। 
দেশের উন্নয়নে পঞ্চায়েতগুলির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার এই 'অমৃত কাল' ভারতের সুবর্ণ সময় হয়ে উঠতে চলেছে। সবকা প্রয়াসের মাধ্যমে এই সংকল্পকে বাস্তবায়িত করতে হবে। এই লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একেবারে তৃণমূল স্তরের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামপঞ্চায়েত এবং আপনাদের সকলের বড় দায়িত্ব রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকার গ্রামোন্নয়ন সম্পর্কিত প্রতিটি প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা রূপায়নে পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকার ওপর অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এভাবেই জাতীয় সংকল্প পূরণের লক্ষ্যে পঞ্চায়েতগুলি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র হয়ে উঠবে। তিনি জানান, আগামী বছর ১৫ই আগস্টের মধ্যে প্রতিটি জেলায় ৭৫টি সরোবর গড়ে তোলা হবে। তিনি এই সরোবরগুলির পাড়ে সারিবদ্ধ ভাবে গাছ লাগিয়ে সেগুলি শহীদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নামে নামাঙ্কিত করার আহ্বান জানান। গ্রামপঞ্চায়েতগুলির স্বচ্ছতা ও ক্ষমতায়নের ওপরও তিনি জোর দেন। শ্রী মোদী বলেন, গ্রামপঞ্চায়েত স্তরে পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে মাশুল প্রদান ব্যবস্থায় ই-গ্রাম স্বরাজের মত উদ্যোগগুলিকে যুক্ত করতে হবে। পঞ্চায়েতের হিসেব-নিকেশ অনলাইনে করতে হবে এবং সমস্ত গ্রামসভার জন্য নাগরিক সনদ ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। তিনি পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিশেষ করে জল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করেন। 
 
প্রাকৃতিক কৃষিকাজের প্রতি অগ্রাধিকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধরিত্রী মা-কে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক পদার্থ থেকে মুক্ত করা অত্যন্ত আবশ্যক। আখেরে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার জমি ও ভূ-গর্ভস্থ জলের ক্ষতিসাধন করছে। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামগুলি যদি প্রাকৃতিক কৃষিকাজকে আপন করে নেয়, তাহলে প্রকৃতপক্ষে সমগ্র মানবজাতিই লাভবান হবেন। গ্রামপঞ্চায়েত স্তরে কিভাবে প্রাকৃতিক কৃষিকাজের প্রসার ঘটানো যায়, তা খুঁজে বের করার কথাও তিনি বলেন। এজন্য সকলকে সমবেত প্রয়াস গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকা প্রয়াসের সহায়তায় গ্রামপঞ্চায়েতগুলি অপুষ্টি দূরিকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। অপুষ্টি ও রক্তাল্পতার মত সমস্যা দেশ থেকে দূর করতে সরকার যে সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি জানান, এখন সরকারি কর্মসূচিগুলির আওতায় যে চাল দেওয়া হচ্ছে, তা ফর্টিফায়েড বা পুষ্টগুণে সমৃদ্ধ করে তোলা হয়েছে। 
 
জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৯-এর অগাস্ট থেকে যে সাংবিধানিক সংস্কারমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সরকার এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থায় উন্নয়নের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। আজ যে সমস্ত প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে সেগুলি এই অঞ্চলে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা নেবে বলে প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। 
প্রধানমন্ত্রী ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত বানিহাল - কাজিগুন্ড সুড়ঙ্গপথের উদ্বোধন করেন। ৮.৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গপথ বানিহাল ও কাজিগুন্ডের মধ্যে দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার হ্রাস করবে এবং যাত্রার সময় প্রায় দেড়ঘন্টা কমবে। এই ট্যুইন টিউব সুড়ঙ্গপথে প্রতি ৫০০ মিটারে ক্রস প্যাসেজ রয়েছে। সুড়ঙ্গপথের রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারের জন্যই এই ধরণের ক্রস প্যাসেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সুড়ঙ্গপথটি জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে সব মরশুমে যাতায়াতে উপযোগী হয়ে উঠবে। এমনকি, এই দুই অঞ্চলকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী দিল্লি-অমৃতসর-কাটরা এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এই প্রকল্পগুলি খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। প্রকল্পের মাধ্যমে চার বা ছয় লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হবে। এরফলে, জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যাতায়াত আরও সুগম হবে। এমনকি, জম্মু বিমান বন্দরের সঙ্গে আরও ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী রতলে ও কোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। ৮৫০ মেগা ওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি কিস্তোয়ার জেলায় চিনাব নদের ওপর তৈরি করা হবে। এজন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এছাড়াও ৫৪০ মেগা ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি কিস্তোয়ার জেলায় চিনাব নদের ওপর গড়ে তোলা হবে। এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। এই অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দুটি বড় ভূমিকা নেবে। 
 
জম্মু ও কাশ্মীরে জনঔষধী কেন্দ্রের পরিধি বিস্তারে এবং সুলভে গুণগত মানের জেনেরিক ওষুধপত্র যোগানে ১০০টি কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই জনঔষধী কেন্দ্রগুলি আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় জনঔষধী কেন্দ্রগুলি খোলা হয়েছে। শ্রী মোদী পাল্লীতে ৫০০ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা বিশিষ্ট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সূচনা করেছেন। এই প্রকল্প পাল্লী পঞ্চায়েতকে দেশের প্রথম কার্বন নিউট্রাল বা নিঃসরণ মুক্ত পঞ্চায়েত এলাকা হিসেবে পরিচিতি দেবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী স্বামিত্ব কর্মসূচির আওতায় সুফলভোগীদের স্বামিত্ব কার্ড প্রদান করেছেন। জাতীয় পঞ্চায়েতিরাজ দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিভাগে জয়ী পঞ্চায়েতগুলিকে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ইনট্যাক ফটো-গ্যালারি ঘুরে দেখেছেন, যেটি এই অঞ্চলের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে। দেশে আদর্শ স্মার্ট ভিলেজ গড়ে তুলতে শ্রী মোদী গ্রামীণ শিল্পোদ্যোগ ভিত্তিক নকেয়া স্মার্টপুর মডেল পরিদর্শন করেছেন। 
 
জলাশয়গুলির পুনরুজ্জীবন সুনিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী অমৃত সরোবর নামে নতুন এক উদ্যোগের সূচনা করেছেন। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে এই প্রয়াসে দেশের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি জলাশয়ের মানোন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্য স্থির হয়েছে। 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Indian Markets Outperformed With Positive Returns For 9th Consecutive Year In 2024

Media Coverage

Indian Markets Outperformed With Positive Returns For 9th Consecutive Year In 2024
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 24 ডিসেম্বর 2024
December 24, 2024

Citizens appreciate PM Modi’s Vision of Transforming India