প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিন বাহিনীর অগ্নিবীরদের প্রথম দল যারা প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শুরু করেছে তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
যুগান্তকারী অগ্নিপথ প্রকল্পে অগ্রগামী হওয়ার জন্য অগ্নিবীরদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই রূপান্তর মূলক নীতি সশস্ত্র বাহিনীকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামীদিনে নির্ণায়ক হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, যুব অগ্নিবীররা সশস্ত্র বাহিনীকে আরও বেশি তারুণ্য প্রদান এবং প্রযুক্তি বান্ধব করে তুলবে।
অগ্নিবীরদের সক্ষমতার সপ্রশংস উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আবেগ সেনাবাহিনীর বীরত্বের মধ্যে সব সময় পরিলক্ষিত হয় এবং তা জাতীয় পতাকাকে সব সময় উঁচুতে তুলে ধরে রেখেছে। তিনি বলেন, এই সুযোগের মধ্যে দিয়ে তারা যে অভিজ্ঞতা আহরণ করবেন তা তাদের জীবনে এক গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন ভারত নতুন উদ্যমে পূর্ণ এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও বেশি আধুনিক করে তুলতে ও তাদের আত্মনির্ভর করে তোলার পথে বহুবিধ প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে প্রচলিত যুদ্ধ প্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে। সাইবার যুদ্ধের নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সংযোগ বিহীন যুদ্ধের নতুন ফ্রন্টের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, উন্নত প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী সশস্ত্র বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, তরুণদের নতুন এই প্রজন্মের মধ্যে সেই সক্ষমতা রয়েছে। ফলে আগামীদিনে অগ্নিবীররা সশস্ত্র বাহিনীতে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
এই প্রকল্প মহিলাদের আরও কীভাবে সশক্তি প্রদান করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলা অগ্নিবীররা নৌবাহিনীতে যে গর্বের জায়গা করে নিচ্ছেন সে ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তিন বাহিনীতে আগামীদিনে তিনি মহিলা অগ্নিবীরদের দেখতে চান। বিভিন্ন ফ্রন্টে সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলারা কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলা সেনারা এখন সিয়াচেনেও নিয়োজিত রয়েছেন, এমনকি তাঁরা আধুনিক যুদ্ধ বিমানও চালাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসূত্রে বিভিন্ন অঞ্চলে নিযুক্ত হয়ে নানা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ তাদের সামনে আসবে। এর মধ্যে দিয়ে আরও বিভিন্ন ভাষা, বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং জীবনধারার বিভিন্ন পদ্ধতি শেখার যে সুযোগ আসবে তার যেন তারা সদ্ব্যবহার করেন। নেতৃত্বের দক্ষতা অর্জনের জন্য যৌথভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হলে তা তাদের ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও নতুনভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। অগ্নিবীরদের তিনি বলেন, নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে তাদের মধ্যে যেন ঔৎসুক্য থাকে এবং এর পাশাপাশি পেশাগত ক্ষেত্রে আরও দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে তারা যাতে সাবলীল হন।
অগ্নিবীরদের এবং তারুণ্যের সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষ করেন এই বলে, একবিংশ শতাব্দীর দেশকে তারাই আগামীদিনে নেতৃত্ব প্রদান করবেন।