PM inaugurates & lays foundation stone of hydropower projects worth over Rs 11,000 crore in Mandi, Himachal Pradesh
“Hydro-power projects launched today reflect India’s commitment to eco-friendly development”
“In 2016,India had set a target to meet 40 percent of its installed electricity capacity from non-fossil energy sources by 2030. India has achieved this goal in November this year itself”
“Plastic has spread everywhere, plastic going into rivers, we have to make efforts together to stop the damage it is causing to Himachal.”
“If India is called the pharmacy of the world today, then Himachal is the force behind it”
“Himachal Pradesh has helped not only other states but also other countries during the Corona global pandemic”
“Delaying ideologies made the people of Himachal wait for decades. Because of this, there was a delay of many years in the projects here”
Informs about Youngsters of 15-18 age group to get vaccine and precaution dose for frontline workers, healthcare workers and senior citizens with co-morbdities
“ The marriage age being raised to 21 years for daughters will give them full time to study and they will also be able to make their career”
“The work done by our government to increase the security of the country in the last seven years, the decisions taken for the soldiers, ex-servicemen, have also benefited people of Himachal immensely”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে ‘হিমাচল প্রদেশ বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের সম্মেলনের দ্বিতীয় উদ্ভাবনী অনুষ্ঠান’-এ পৌরোহিত্য করেছেন। এই সম্মেলন থেকে হিমাচল প্রদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি এদিন ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির মধ্যে রেণুকাজি বাঁধ প্রকল্প, লুহোরি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম পর্যায় এবং ধৌলিসিধ প্রকল্প রয়েছে। তিনি সাওরা-কুড্ডু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকর, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জয়রাম ঠাকুর এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরও উপস্থিত ছিলেন। 
 
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগাযোগের কথা স্মরণ করেন এবং তিনি বলেন, পাহাড় ঘেরা এই রাজ্য তাঁর জীবনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের চার বছর অতিবাহিত হওয়ার জন্য হিমাচল প্রদেশের সাধারণ মানুষকে অভিনন্দনও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চার বছরে রাজ্যের মানুষ মহামারী সমস্যার মুখোমুখী হয়েছেন, তা সত্ত্বেও এই রাজ্য উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। শ্রী মোদী বলেন, “জয়রামজী এবং তাঁর কঠোর পরিশ্রমী দল হিমাচল প্রদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন”। 
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের জনগণের ‘স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাত্রা’ পালনে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চালু হওয়া জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির মাধ্যমে পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়নে দেশের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন গিরি নদীর ওপর রেণুকাজি বাঁধ প্রকল্পটি সম্পন্ন হবে তখন এর থেকে সমগ্র অঞ্চল সরাসরি উপকৃত হবে। এই প্রকল্প থেকে যা আয় হবে, তার একটা বড় অংশ এখানকার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে”।
 
প্রধানমন্ত্রী নতুন ভারতের পরিবর্তিত কর্মকৌশলের বিষয়ে পুনরায় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত দ্রুতগতিতে পরিবেশ সংক্রান্ত লক্ষ্য পূরণ করে চলেছে। শ্রী মোদী জানান, “২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানী নয় এমন শক্তির উৎস থেকে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্ষমতার ৪০ শতাংশ পূরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ২০১৬ সালে এই প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে ভারত। কিন্তু, আজ প্রতিটি ভারতীয় গর্বের বিষয় যে, এ বছরের নভেম্বরে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, “যেভাবে আমাদের দেশ পরিবেশ রক্ষা করে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে, তার জন্য সমগ্র বিশ্ব ভারতের প্রশংসা করেছে। সৌরবিদ্যুৎ থেকে জলবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি থেকে সবুজ হাইড্রোজেন পর্যন্ত, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি – প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশ নিরন্তর কাজ করে চলেছে”।
প্রধানমন্ত্রী একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নির্মূলের বিষয়ের কথা পুনরায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্লাস্টিকের কারণে পাহাড়ের ক্ষতির বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান চালানোর পাশাপাশি, সরকার প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও কাজ করছে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের আচরণগত পরিবর্তন প্রয়োজন। তিনি বলেন, “হিমাচলকে স্বচ্ছ, প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য মুক্ত করার জন্য পর্যটকদেরও একটি দায়িত্ব রয়েছে। প্লাস্টিক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। নদীতে প্লাস্টিক মিশছে। হিমাচলের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা বন্ধ করতে আমাদের সকলকে প্রয়াস নিতে হবে”। 
 
প্রধানমন্ত্রী হিমাচল প্রদেশের ওষুধ ক্ষেত্রের বিকাশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “আজ যদি ভারতকে বিশ্বের ওষুধ শিল্পের দেশ বলা হয়, তবে এর পেছনে হিমাচলের অবদান অনস্বীকার্য। করোনা মহামারী চলাকালীন হিমাচল প্রদেশ শুধু অন্যান্য রাজ্যকেই নয়, বিভিন্ন দেশকেও ওষুধ সরবরাহ করে সাহায্য করেছে”।
রাজ্যের এই কর্মদক্ষতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হিমাচল প্রদেশে প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার প্রতিটি ব্যক্তিকে টিকা দিয়েছে। বাকিদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। এখন যাঁরা এখানে সরকারে রয়েছেন, তাঁরা রাজনৈতিক স্বার্থপরতায় নিমজ্জিত নন, বরং হিমাচলের প্রতিটি নাগরিক কিভাবে টিকা পাবেন, সেদিকে তাঁদের সম্পূর্ণ দৃষ্টি রয়েছে”।
 
প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের বিবাহের বয়স পরিবর্তনে সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কথাও তুলে ধরেন। শ্রী মোদী বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, মেয়েদের বিবাহের বয়স সেই বয়সের মতোই হওয়া উচিৎ, যে বয়সে ছেলেদের বিবাহের অনুমতি দেওয়া হয়। মেয়েদের বিবাহের বয়স ২১ বছর করা হলে তাঁরা পড়াশুনার জন্য পুরো সময় পাবেন এবং তাঁদের কেরিয়ার তৈরি করতে তাঁরা সক্ষম হবেন”।
 
প্রধানমন্ত্রী নতুন করে টিকা দেওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি ঘোষণার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে সরকার অত্যন্ত সংবেদনশীলতা ও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। এখন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তেসরা জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেবে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দু’বছর ধরে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষ, প্রথম সারির কর্মীরা দেশের শক্তি হয়ে উঠেছেন। তাঁদের সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হবে ১০ই জানুয়ারি থেকে। ৭ বছরের বেশি বয়সী, যারা ইতিমধ্যেই গুরুতর রোগে আক্রান্ত তাদেরও চিকিৎসকের পরামর্শে সতর্কতামূলক ডোজ দেওয়া হবে।
শ্রী মোদী উল্লেখ করেন যে, সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস এবং সবকা প্রয়াস’ – এই মন্ত্র নিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, “প্রত্যেক দেশেরই আলাদা-আলাদা মতাদর্শ রয়েছে। কিন্তু, আজ আমাদের দেশের মানুষ দুটি মতাদর্শ স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছেন। একটি আদর্শ বিলম্বের এবং অন্যটি উন্নয়নের। যাঁদের বিলম্বের মতাদর্শ রয়েছে, তাঁরা পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষের কথা চিন্তা করে না”। প্রধানমন্ত্রী জানান, বিলম্বিত মতাদর্শ হিমাচলের মানুষকে কয়েক দশক ধরে অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছে। এই কারণে অটল টানেলের কাজ বহু বছর ধরে আটকে ছিল। রেণুকাজি প্রকল্পও তিন দশক ধরে আটকে ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার শুধুমাত্র উন্নয়নের জন্যই অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, অটল টানেলের কাজ শেষ হয়েছে এবং চন্ডীগড় থেকে মানালি এবং সিমলার সঙ্গে সংযোগকারী সড়কপথটিকেও প্রশস্ত করা হয়েছে।
হিমাচল বহুসংখ্যক প্রতিরক্ষা কর্মীর বাসস্থান। তাই, প্রধানমন্ত্রী এদিন প্রতিরক্ষা কর্মী ও প্রবীণ সৈনিকদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলির কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “হিমাচল প্রদেশের প্রতিটি ঘরেই সাহসী ছেলেমেয়ে রয়েছেন, যাঁরা দেশকে রক্ষা করেন। গত ৭ বছরে দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সরকার যে কাজ করেছে এবং প্রাক্তন সেনাকর্মীদের জন্যও যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তার থেকে হিমাচলের মানুষ উপকৃত হয়েছেন।  

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 23 নভেম্বর 2024
November 23, 2024

PM Modi’s Transformative Leadership Shaping India's Rising Global Stature