বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আজ আমরা দ্বারকার অন্যরকম মেজাজ দেখেছি, চারপাশে উৎসাহ, উদ্দীপনা, এক নতুনচেতনা অনুভব করছি। আমি দ্বারকাবাসীদের হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই, ধন্যবাদ জানাই।আজ দ্বারকানগরীতে যে কাজ শুরু হচ্ছে, তা নিছকই বেট দ্বারকায় পৌঁছনোর জন্য সেতুনির্মাণ করবে না, এটি শুধু ইঁট, পাথর, লোহা দিয়ে নির্মীয়মান সেতু নয়। এই সেতু বেটদ্বারকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে হাজার হাজার বছর পুরনো সম্পর্ক নতুনভাবে যুক্তকরবে।
আগে যখনই বেট আসতাম তখন সেতুর কল্পনা করতাম, নির্মল জল দেখতাম। পর্যটনেরঅপার সম্ভাবনার কথা ভাবতাম। কিন্তু আপনারা তো জানেন, পূর্ববর্তী কেন্দ্রীয় সরকারগুজরাটকে কত ভালোবাসতো। আমার আজও মনে আছে যে, আমরা কত সমস্যার মোকাবিলা করে সময়কাটাতাম। বেট-এর বাসিন্দাদের সমস্যার কথা তখন থেকেই জানি। সূর্য ডোবার আগেই তাঁদেরসমস্ত কাজ করতে হ’ত। রাতের বেলা জলপথে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যেত, অসুস্থ হলেহাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, কিন্তু রাতের বেলা মারাত্মক কিছু হলে সকালের অপেক্ষা করাছাড়া আর কোনও উপায় নেই । সেজন্য এই নির্মীয়মানসেতু দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের থেকেও বেশি করে বেটবাসীদের জন্য একটিবড় উপহার।
এটা এমন ব্যবস্থা, যা বেট-এর নাগরিকদের অনেক নৈমিত্তিক প্রয়োজনসাধনকে সহজকরে দেবে। কত পরিবর্তন আসবে। এক কোণায় উন্নয়ন হলে পর্যটনের উন্নয়ন হয় না। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। একের সঙ্গে দ্বিতীয়, দ্বিতীয়র সঙ্গে তৃতীয়, তৃতীয়র সঙ্গেচতুর্থর যোগাযোগ সুগম হওয়া চাই। বিশ্বের সকল প্রান্ত থেকেই পর্যটকরা গির অরণ্যেসিংহ দেখতে আসেন। সেখান থেকে পোরবন্দর এবং দ্বারকা যাতায়াতের জন্য ছয় লেন, চার লেনএবং দুই লেনের প্রশস্ত সড়কপথ থাকলে যাত্রীদের সুবিধা হয়। পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ে।যাঁরা গির অরণ্যে আসবেন তাঁরা দ্বারকাধীশের চরণ স্পর্শ করতেও আসবেন। আবার কেউদ্বারকাধীশ দেখতে এসে তারপর গির দেখতে চলে গেলেন – এমন ব্যবস্থা সুগম করতে হবে।সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় সড়ক নেটওয়ার্ককে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুনর্নবীকরণ করছে।সড়ক ব্যবস্থা মানুষের যাতায়াতের গতি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি যেন দু’পাশের বিস্তীর্ণঅঞ্চলের আর্থিক গতিবিধিকেও সুনিশ্চিত করে।
আজ ঘণু পর্যন্ত জাতীয় সড়ক প্রশস্তিকরণের কাজ চলছে। ঘণুর কথা উঠলে আমারপরিবারের ছেলেমেয়েদের কথা মনে পড়ে। আমার পুরনো সঙ্গীদের কথা মনে পড়ে। তাঁরা অবশ্যইকৃষক। কিন্তু তাঁরা এ ধরনের স্বপ্ন দেখতেন। আজ তাঁদের স্বপ্ন বাস্তব রূপ নিচ্ছে।ঘণু পর্যন্ত এই জাতীয় সড়ক প্রশস্ত করার কাজ হচ্ছে। আজকের অনুষ্ঠানে যে কাজের সূচনাহ’ল তার মাধ্যমে জামনগর, জুনাগড় এবং পোরবন্দর জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতহবে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। আপনারা কল্পনা করতে পারেন? সেইদিনের কথা ভাবুন, যখন মাধব সিং সোলাঙ্কি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর ফটো খবরেরকাগজের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছিল। আমি তখন রাজনীতিতে ছিলাম না। সামাজিক ক্ষেত্রেরকাজ করতাম। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী সোলাঙ্কি জামনগরে একটি জলের ট্যাঙ্ক উদ্বোধন করতেএসেছিলেন। তখনকার সরকারের কর্মপদ্ধতি ভাবুন, কেমন সড়ক তৈরি হ’ত, কেমন সেতু তৈরিহ’ত! একটি জলের ট্যাঙ্ক উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী আসতেন আর সেজন্য খবরের কাগজের প্রথমপ্রতিষ্ঠায় তাঁর ছবিসহ বিজ্ঞাপন ছাপা হ’ত। তাঁদের উন্নয়নের ভাবনা কত সীমাবদ্ধ ছিলভাবুন!
পৃথিবী বদলে গেছে । এই পরিবর্তিত পৃথিবীতে ভারত ’কে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে হবে, যাতে প্রত্যেক ভারতীয় বুকচিতিয়ে দাঁড়াতে পারেন। প্রত্যেক দেশবাসী এমন ভারতের স্বপ্ন দেখেন। এই স্বপ্ন শুধুনরেন্দ্র মোদীর নয়, ১২৫ কোটি দেশবাসীর স্বপ্ন। আমি শুধু সেই স্বপ্নকে রঙিন করারচেষ্টা করি, বাস্তবায়িত করার জন্য পরিশ্রম করি। একটু আগেই নীতিনজি বলছিলেন, নীলঅর্থনীতির সম্ভাবনার কথা। সামুদ্রিক সম্পদ গুজরাট তথা ভারত’কে অনেক বড় শক্তিযোগানোর সামর্থ্য রাখে। গুজরাটে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সমুদ্রতট রয়েছে। আমাদেরমৎস্যজীবী ভাইবোনেরা সমুদ্রতটে বসবাস করেন। নীল অর্থনীতি মূলত দেশের সমগ্রসমুদ্রতটেই সুবাতাস বয়ে আনবে। আমরা বন্দরগুলির উন্নয়নের পাশাপাশি বন্দর-ভিত্তিকউন্নয়নে জোর দিয়েছি। এমন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাই, যাতে বন্দরগুলি সড়কপথ, রেলপথএবং বিমানবন্দরের সঙ্গে যাতায়াত সুগম করে। গুদামজাতকরণ এবং কোল্ড স্টোরেজেরওসুবন্দোবস্ত চাই, যাতে ভারতের কৃষকদের উৎপাদিত শস্য, আনাজপাতি ও ফলমূল বিশ্বেরবাজারে পৌঁছতে পারে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে, যাতে দেশের কৃষকরা যথাসম্ভব বেশিমূল্য পান। সেজন্য আমরা এই ব্যবস্থাগুলি গড়ে তোলার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নেরপ্রকল্প চালু করেছি। আর তা চালু করেছি মৎস্যজীবী ভাইবোনেদের স্বার্থে গড়ে তোলা নীলঅর্থনীতির পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমেই। সেই প্রকল্পটি হ’ল জেলে ভাইবোনেদেরউন্নতমানের নৌকা কেনার জন্য কম সুদে ঋণদান প্রকল্প। এখন আমাদের জেলে ভাইয়েরা ছোটছোট নৌকা নিয়ে সমুদ্রে ১০-১২ নটিক্যাল মাইলের বেশি যেতে পারেন না। এই সীমার মধ্যেতাঁরা নিয়মিত যথেষ্ট মাছ পান না। ঘন্টার পর ঘন্টা পরিশ্রম করে অর্ধেক নৌকা মাছভরেই ফিরে আসতে হয়। আমরা কি তাঁদের এভাবে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেব? তাঁদের জীবনেউন্নতি করার, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করার সুযোগ দেব না? বস্তির জীবন থেকে তুলে এনেসচ্ছল জীবনযাপনের সুযোগ দেব না? তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আনতে হলে তাঁদের আর্থিকসামর্থ্য বাড়াতে হবে, ক্ষমতায়ন করতে হবে। সেজন্য জেলেদের ছোট ছোট গোষ্ঠী গড়ে তুলতেহবে। সরকার জেলেদের এক একটি গোষ্ঠীকে দেড় কোটি, দু’কোটি টাকা ঋণদানের ব্যবস্থাকরবে, যাতে তাঁরা উন্নতমানের নৌকা কিনে ১০-১২ নটিক্যাল মাইলের বেশি গভীর সমুদ্রেগিয়ে বেশি মাছ ধরতে পারেন। একজন জেলা আগে তিন দিনে মৎস্যশিকারে বেরিয়ে যত মাছপেতেন, এখন গভীর সমুদ্রে গিয়ে একবেলায় জনপ্রতি সেই মাছ তুলে আনতে পারবেন! সেইনৌকাগুলিতে কোল্ড স্টোরেজ-এর ব্যবস্থাও থাকবে। প্রত্যেক জেলে ভাই যাতে এই প্রকল্পেসামিল হয়ে লাভবান হতে পারেন, আমরা সেই চেষ্টা করছি।
আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অনেক আগে থেকেই কান্ডলা বন্দর ছিল। আর কীঅবস্থায় ছিল, তা আমি জানি! আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলতাম যে, এর উন্নয়নে অগ্রধিকারদিন! পরে যখন আপনারা আমাকে কেন্দ্রীয় সরকারে নেতৃত্ব দিতে পাঠালাম, যখন গিয়েদেখলাম যে, তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় কান্ডলা বন্দর ছিল না। আমরা দায়িত্ব নিয়েগুজরাটের বন্দরগুলির উন্নয়নের প্রকল্পও হাতে নিলাম। ইতিমধ্যেই আমরা কান্ডলায় এতটাউন্নয়নের কাজ করতে পেরেছি, যা পূর্ববর্তী ২৫ বছরে হয়নি। উন্নয়নের কাজ শুরু হওয়ায়অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে। আমাদের শহরতলীগুলির উন্নয়ন সমানভাবে না হওয়ায় এইঅঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী মানুষের নানা অভাব-অভিযোগ থাকে। শহরতলীগুলির অপরিচ্ছন্নপরিবেশ, পরিবেশ দূষণ কখনও কখনও সংশ্লিষ্ট শহরগুলির জনজীবনকেও প্রভাবিত করে। জাতীয়ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও এই বিষয়ে নানা প্রশ্ন তোলে! জামনগর সম্পর্কে গোটাদুনিয়া জানে। এই শহরতলির খেটে খাওয়া মানুষদের জীবনে পরিবর্তন আনার জন্যমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও লাভ হয়নি!কিন্তু আজ আমরা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা জাপানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমেশহরগুলির উন্নয়নে নতুন প্রকল্প গড়ে তুলেছি। সবাই জাপান প্রসঙ্গ উঠলে শুধু বুলেটট্রেন প্রকল্পে তাঁদের সঙ্গে চুক্তির কথা ভাবেন। কিন্তু আমরা শহরতলী উন্নয়নে এমনপ্রকল্প গড়ে কাজ করা শুরু করেছি যে শহরতলীর শ্রমিক ভাই-বোনেদের জীবনে প্রভূতপরিবর্তন আসবে।
আমরা যে এই পরিবর্তনের লক্ষ্য স্থির করেছি, উন্নয়নের যে নতুন নতুন ক্ষেত্রেআমরা সাধারণ মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি – তা থেকে এই পরিণাম পেতেযাচ্ছি। মাঙ্গরোল এবং তেরাবল আমাদের পারস্পরিক ‘ফিশিং হাব’। সম্প্রতি আমাদেরমাননীয় রাষ্ট্রপতি এখানে এসেছিলেন। আমি তাঁর কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। এই কাজকে গতিপ্রদান করতে তিনি মাঙ্গরোলে একটি বৃহৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।এই ফিশিং হাব আগামীদিনে আমাদের এই বেট-এর সার্বিক মৎস্য বাণিজ্যে নতুন শক্তিযোগাবে। আমাদের এই সম্পূর্ণ সমুদ্রতট নীল অর্থনীতির মাধ্যমে, পর্যটনের অর্থনীতিরমাধ্যমে, পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি হচ্ছে মানবসম্পদউন্নয়ন।
আমি গুজরাটবাসীদের জন্য আজ একটি উপহার প্রদানের ঘোষণা করতে চাই। এই উপহারশুধু গুজরাট নয়, সারা ভারতের কাজে লাগবে। কিন্তু সেটি প্রতিষ্ঠিত হবে গুজরাটেরসমুদ্রতটবর্তী দেবভূমি দ্বারকাতেই। আমাদের তট সুরক্ষাকে ব্যবস্থা আধুনিক করে তোলারকাজ করছে ‘মেরিন পুলিশ’। সাধারণ পুলিশ থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণ আলাদা। কারণ সমুদ্রে,সমুদ্রতট থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকেনতাঁরা। তাঁদের আধুনিক প্রশিক্ষণের জন্য দেশের মধ্যে প্রথম এবং সর্ববৃহৎ স্বতন্ত্রমেরিন পুলিশ প্রশিক্ষণের গবেষণা কেন্দ্র নির্মিত হতে চলেছে দেবভূমি দ্বারকায়মোজপর-এর কাজে। যেমন – জামনগর বিমানবন্দরে আমাদের বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে, যেখানে সারা দেশের বায়ুসেনারা প্রশিক্ষণ নেন। তেমনই এই দেবভূমিদ্বারকার মেরিন পুলিশ প্রতিষ্ঠানে দেশের সকল প্রান্ত থেকে পুলিশ কর্মীরা এসে মেরিনপুলিশের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। যেখানে নিয়মিত কয়েক হাজার মানুষের আসা-যাওয়ার ফলেএখানে আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে দীপাবলি উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গুজরাটেদীপাবলি একটি বড় উৎসব। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের জন্য। আজ আমি দেশের নানা অঞ্চলেরখবরের কাগজে দেখেছি সংবাদ শিরোনামে লেখা রয়েছে, ‘পনের দিন আগেই দীপাবলির আবহ’!কারণ, গতকাল আমরা জিএসটি’র জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরাপ্রথম দিনই বলেছিলাম যে, জিএসটি চালু করার পর তিন মাস আমরা এর প্রয়োগ ও ফলাফলসম্পর্কে অধ্যয়ন করব। তিন মাসে কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে,তা খতিয়ে দেখব! ব্যবস্থার সমস্যা না প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা, নাকি নিয়মের প্রতিবন্ধকতা!দর বুঝতে পারার সমস্যা, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের ফলিত অভিজ্ঞতা – সব কিছু নিয়েপুনর্বিবেচনা করা। কারণ, আমরা চাই না যে, দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কোনও রকমলালফিতের ফাঁসে জড়িয়ে যান। ভারতে বাবুদের, সাহেবদের ফাইল চালাচালির ফাঁদে তাঁদেরকোনও কষ্ট না হয়! সেজন্য গত তিন মাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে জিএসটি কাউন্সিলে দীর্ঘআলাপ-আলোচনার পর আমাদের অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমিখুব খুশি। ভারতের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে এই নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।এটাই দেশের শক্তি। যখন মানুষ সরকারকে বিশ্বাস করে, নিয়মাবলির পেছনে সততা দেখতেপান, তখন অনেক সমস্যা থাকলে সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত হন । এই অ ভিজ্ঞতা থেকে আমি দেশবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। জিএসটি ’কে আমি বলি ‘গুড অ্যান্ড সিম্পল ট্যাক্স’, এই সকল কর ব্যবস্থাকে এবারসরলতর করা হ’ল। সেজন্য সবাই একে স্বাগত জানিয়েছে।/ সেজন্য আমি সকলের প্রতিকৃতজ্ঞতা জানাই, অভিনন্দন জানাই।