There is something very special about the land of Rajasthan. This is a land of courage: PM
Be it living in harmony with nature or defending our nation, Rajasthan has shown the way: PM Modi
The Central Government and the State Government are working together for the progress of Rajasthan: PM Modi in Jaipur
PM Modi highlights historic increase of 1.5 times in MSP, says Government is working for welfare of our hardworking farmers
Our aim is inclusive and all-round development: PM: PM Modi
There is no tolerance towards corruption. All our efforts are aimed at building a New India: Prime Minister

রাজস্থানের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অনুসারে, কিভাবে স্বাগত জানাতে হয়, কিভাবে শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হয়, তার স্পষ্ট ঝলক আমি অনুভব করছি। রাজস্থানের মাটির সত্য কী, জনগণ কী চাইছেন – তা এই বিশাল ময়দানে দাঁড়ালে যে কেউ স্পষ্ট দেখতে পাবেন। রাজস্থান প্রতিনিয়ত এভাবেই আমাদের ভালোবাসা দিয়েছে। আপনাদের এই আশীর্বাদের জন্য আমি হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই এবং এই বীরভূমিকে প্রণাম জানাই।

 

বন্ধুগণ, শক্তি ও ভক্তির সঙ্গমে গড়ে উঠেছে রাজস্থান। মহারানা প্রতাপের সাহস, মহারাজা সুরজমলের শৌর্য, ভামাশাহের সমর্পণ, পান্নাধাই-এর ত্যাগ, মীরাবাঈ-এর ভক্তি, হাডিরানীর বলিদান, অমৃতাদেবীর আত্মোৎসর্গে গাঁথাগুলি এই রাজ্যের জনজীবনের অংশ। অসংখ্য গগনচুম্বী দুর্গ, সোনালী ঘোড়ার পাল, নানা রঙের পাগড়ি, মিষ্টি ভাষা, সুমধুর সঙ্গীত আর অপরকে মর্যাদাদানের রীতি হ’ল রাজস্থানের পরিচয়। কঠিন প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির বিরুদ্ধে শস্য উৎপাদন কিংবা দেশ রক্ষার প্রতিস্পর্ধা – রাজস্থান শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে দেশকে প্রেরণা যুগিয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা, বিগত চার বছর ধরে রাজস্থান দ্বিগুণ গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে সকল নাগরিকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে উদয়পুর, আজমের, কোটা, ঢোলপুর, নাগৌর, আলোয়ার, যোধপুর, ঝালাওয়ার, চিতোরগড়, কিষাণগড়, সুজানগড়, বিকানের, ভীলওয়াড়া, মাউন্ট আবু, বুন্দি এবং বীওয়ারে ২১ কোটিরও বেশি অর্থ বিনিয়োগে ১৩টিরও বেশি প্রকল্পে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সৌভাগ্য হয়েছে।

 

এই সকল প্রকল্পের সঙ্গে রাজস্থানের নগর ও আধা শহরগুলিতে উন্নতমানের স্মার্ট পরিষেবা গড়ে তোলা শুরু হয়েছে।

 

যানজট থেকে মুক্তি হোক কিংবা উন্নত পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা – এই প্রকল্পগুলি নাগরিক জীবনকে আরও সুগম করে তুলবে।

 

বন্ধুগণ, চার বছর আগের পরিস্থিতি হয়তো আপনারা ভোলেননি। আপনারা সকলেই জানেন, কেমন পরিস্থিতিতে বসুন্ধরা রাজে এই রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন! আমার অনুরোধ আপনারা তখনকার পরিস্থিতি ভুলবেন না, তবেই বুঝতে পারবেন আজ কিভাবে কাজ হচ্ছে। আগে কিভাবে গোটা রাজ্যে নেতাদের নামে পাথর পোঁতা হ’ত কিন্তু কোনও প্রকল্পই সম্পন্ন হ’ত না। বাড়মেরে এখন যে তৈল শোধনাগার গড়ে উঠছে, সেটি নিয়ে কেমন রাজনীতি হয়েছিল, তা আজ রাজস্থানের প্রতিটি শিশু জানে। বর্তমান সরকারের কাজ করার পদ্ধতিই এমন যে, এখন কোনও কাজের গতি থেমে থাকবে না। আপনাদের রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য হ’ল উন্নয়ন, উন্নয়ন আর উন্নয়ন। দেশের প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনকে অধিক সরল, সুস্থ, সুরক্ষিত এবং সুগম করে তোলার জন্য আমরা একের পর এক প্রকল্প রচনা করে কাজ করে চলেছি। সেই প্রকল্পগুলি দ্বারা আপনারা কতটা উপকৃত হয়েছেন, তা বোঝার জন্য এবং প্রয়োজনে সংশোধন করার জন্য আমরা সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুক্ষণ আগে আপনাদের মধ্যে কয়েকজন সুবিধাভোগী নিজের জীবনে আসা পরিবর্তন সম্পর্কে বলেছেন। শুধু কেন্দ্রীয় প্রকল্প নয়, আপনারা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কতটা উপকৃত হয়েছেন, সে সম্পর্কেও বলেছেন। রাজশ্রী যোজনার মাধ্যমে যে মেধাবী ছাত্রীরা স্কুটি পেয়েছে, পালনহার যোজনার মাধ্যমে যে শিশুরা উপকৃত হয়েছে, যে বয়স্করা তীর্থ যোজনার সাহায্যে পুণ্য লাভের সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের সকলের চোখে আমি যে চমক ও বিশ্বাস দেখেছি – তা কোনও দিন ভুলতে পারব না। এ ধরণের অভিনব প্রকল্প কল্পনার জন্য আমি বসুন্ধরা রাজে মহোদয়াকেও কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

এটা ঠিক যে কারও কারও ভারতীয় জনতা পার্টির নাম শুনলেই ঘুম উড়ে যায়। মোদী কিংবা বসুন্ধরার নাম শুনলে তাঁদের জ্বর আসে। তাঁরা এই ধরণের প্রকল্পগুলিকে পছন্দ করেন না। কিন্তু আজ এই প্রকল্পগুলির দ্বারা যাঁরা লাভবান হয়েছেন, তাঁদের মুখেই রাজস্থানের জনগণ শুনতে পেলেন যে, সরকার কিভাবে কাজ করছে। এভাবে প্রমাণিত হ’ল যে, এই প্রকল্পগুলি শুধু কাগজেই থেমে থাকেনি, জনগণ পর্যন্ত পৌঁছেছে। সেজন্য সরকারি ব্যবস্থাপনা চাপের মধ্যে থাকে, সাধারণ মানুষ সচেতন হন, কোনও আধিকারিকের কাজ করার পদ্ধতি শ্লথ হলে তাকেও এই চাপের সম্মুখীন হয়ে দৌড়াতে হচ্ছে, সেজন্য আমি চাই যে, প্রত্যেক প্রকল্পের ক্ষেত্রেই সুবিধাভোগীদের মুখ থেকে শোনা বাধ্যতামূলক করা হোক, যাতে যাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন, তাঁরাও এগিয়ে আসবেন।

 

বন্ধুগণ, বিগত চার বছরে যতগুলি প্রকল্প রচিত হয়েছে, সবকটিই আমরা দেশের গরিব, শোষিত, পীড়িত, বঞ্চিত, দলিত, আদিবাসী, কৃষক এবং আমাদের মা ও বোনেদের উন্নয়নের কথা ভেবে রচিত হয়েছে। ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই মাটিরই সন্তান, আমার মন্ত্রিসভার সদস্য কৃষি প্রতিমন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। আমার মনে আছে, তিন বছর আগে এই রাজস্থানের সুরজগড় থেকেই দেশে প্রথম মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড প্রকল্প শুভ সূচনার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তখন সরকারের লক্ষ্য ছিল, তিন বছরে ১৪ কোটি মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করতে হবে। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমরা সেই প্রতিশ্রুতি পালন করতে পেরেছি এবং ইতিমধ্যেই দেশে কৃষকদের হাতে ১৪ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। রাজস্থানের প্রায় ৯০ লক্ষ কৃষক এই কার্ড পেয়েছেন। এর মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষি সহজ হয়েছে আর তার ফলে ফলন বেড়েছে। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, অনেক বছর পর রেকর্ড ফলন হয়েছে। পাশাপাশি, সরকার ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্যকে বিনিয়োগের দেড় গুণ করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। এক্ষেত্রে প্রথম সরকারি কর্মসূচিও রাজস্থানেই শুভ উদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে।

 

এ বছরই আপনারা যে বাজরা, জোয়ার ও ডাল উৎপন্ন করবেন, বিনিয়োগের দেড় গুণ ন্যূনতম সমর্থন মূল্য পাবেন। বন্ধুগণ, আমি রাজস্থানের কৃষকদের এ বিষয়ে বলতে চাই যে, ১ ক্যুইন্টাল বাজরায় আনুমানিক বিনিয়োগ হয় ৯৯০ টাকা। সেজন্য সরকার এর ন্যূনতম সমর্থন মূল্য বাড়িয়ে করেছে ১ হাজার ৯৫০ টাকা। আগে ন্যূনতম সমর্থন মূল্য হ’ত ৯৯০ টাকা আর এখন ১,৯৫০ টাকা অর্থাৎ দেড় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবেই জোয়ারের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয় ক্যুইন্টাল প্রতি ১ হাজার ৬২০ টাকা, ভুট্টায় ১ হাজার ১৩০ টাকা এবং মুগডালে ৪ হাজার ৬৫০ টাকা। আমরা এগুলির ন্যূনতম সমর্থন মূল্য ঠিক করেছি যথাক্রমে – ২,৪৩০, ১,৭০০ এবং প্রায় ৭,০০০ টাকা। এছাড়া, অড়হর ডাল, সয়াবিন এবং ধানের ক্ষেত্রেও সরকার বিনিয়োগের দেড় গুণ ন্যূনতম সমর্থন মূল্য সুনিশ্চিত করেছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যেক রাজ্য সরকারের সঙ্গে নিয়মিত বার্তালাপের মাধ্যমে ফসল কেনার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করছে। এই রাজ্যে বসুন্ধরা রাজে সরকার কৃষকের প্রত্যেক স্বেদবিন্দুর সম্মান সুনিশ্চিত করছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, এই বছর সরকার প্রায় ১১,৫০০ কোটি টাকার ফসল কিনেছে।

 

বন্ধুগণ, সরলার বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত গোটা ব্যবস্থায় সংস্কারের কাজ করছে। বসুন্ধরা রাজে সরকার বিগত চার বছরে কৃষক কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্প রাজস্থানে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পূর্ণ প্রয়োগ করছেন। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের কৃষক ভাই-বোনদের ২,৫০০ কোটি টাকারও বেশি বিমার টাকা দেওয়া হয়েছে।

 

বন্ধুগণ, দারিদ্র্য দূরীকরণের স্বার্থে সরকার এতদিন যে ধরণের ব্যবস্থা নিত, তা পরিবর্তন করে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি গরিব মানুষের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে তাঁদের অংশীদারিত্বের পথ বেছে নিয়েছে। এর স্পষ্ট পরিণাম আমরা দেখতে পাচ্ছি। সম্প্রতি বিশ্বের একটি নামী সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভারতে গত দু’বছরে ৫ কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র্য সীমার ওপরে উঠে এসেছে। ‘সাফ নিয়ত, সহি বিকাশ’ নীতি সম্বল করে সরকার আপনাদের সকলের সহযোগিতায় গরিবদের দারিদ্র্য সীমার ওপরে তোলার চেষ্টা করছে। আপনাদের সহযোগিতার ফলেই সরকার রাজস্থানে স্বচ্ছ ভারত মিশনের মাধ্যমে প্রায় ৮০ লক্ষ শৌচালয় নির্মাণ করতে পেরেছে।

 

বিগত চার বছরে দেশে যে ৩২ কোটি গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, তার মধ্যে আড়াই কোটিরও বেশি রাজস্থানের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে পূর্ববর্তী যোজনাগুলির অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করে রাজস্থানে ৬ লক্ষেরও বেশি গরিবদের গৃহ প্রদান করা হয়েছে। মাসে মাত্র ১ টাকা এবং দিনে মাত্র ৫০ পয়সা কিস্তি জমা দিয়ে রাজস্থানের ৭০ লক্ষ মানুষও সুরক্ষা বিমা যোজনার সুবিধা পেয়েছেন।

 

বন্ধুগণ, মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে রাজস্থানের প্রায় ৪৪ লক্ষেরও বেশি ব্যবসায়ীকে স্বরোজগারের জন্য কোনও রকম ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া, মাত্র এক বছরের মধ্যে রাজস্থানের প্রায় তিন লক্ষ মানুষকে সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে মা ও বোনেদের জীবন পরিবর্তনের কাজ করা হয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা, সম্প্রতি উজ্জ্বলা যোজনায় উপকৃত মা ও বোনেদের সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কথোপকথনের সৌভাগ্য হওয়ায় আমি একটি নতুন জিনিস জানতে পেরেছি। এক বোন আমাকে বলেছেন যে, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে ধোঁয়া থেকে মুক্তি তো পেয়েছেন-ই, পাশাপাশি জলেরও সাশ্রয় হয়েছে। আমার প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান যে, গ্যাসের উনুনে রান্না করার ফলে বাসন কালো হচ্ছে না বলে জল সাশ্রয় হচ্ছে। সেজন্য এই প্রকল্প দ্বারা রাজস্থানের মা ও বোনেরা দ্বিগুণ উপকৃত হয়েছেন।

 

বন্ধুগণ, আমি অনুভব করি যে, রাজস্থানের মানুষের দিনের অনেকটা সময় জল যোগাড় করতে চলে যায়। বসুন্ধরা রাজে সরকার এই সমস্যার সমাধানে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী জল সাবলম্বন অভিযানের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম ও শহরাঞ্চলে মোট ৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১২ হাজারেরও বেশি গ্রামে পানীয় জল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

 

ভাই ও বোনেরা, আপনাদের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, রাজস্থান সরকার এবং বিজেপি-র বিধায়করা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি দাবি জানিয়েছেন যে, পার্বতী, কালী সিন্ধ, চম্বল, লিঙ্ক প্রকল্পকে রাষ্ট্রীয় প্রকল্প রূপে ঘোষণা করা হোক। তিনি বলেছেন যে, এর বিস্তারিত প্রোজেক্ট রিপোর্ট ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় জল সরবরাহ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর প্রকল্পগুলির প্রযুক্তিগত যাচাইয়ের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজস্থানে ২ লক্ষ হেক্টরেরও বেশি জমিতে সেচের জল পৌঁছবে। জয়পুর, আলোয়ার, ভরতপুর, সওয়াই মাধৌপুর, ঝালাওয়াড়, কোটা, বুঁদির মতো ১৩টি জেলায় অর্থাৎ রাজস্থানের ৪০ শতাংশ জনগণের কাছে এর মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছবে। ভাই ও বোনেরা, আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কেন্দ্রীয় সরকার এই দাবির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখাবে। রাজস্থানের উন্নয়ন, এখানকার কৃষকদের জলের সমস্যা দূরীকরণ এবং পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে গুরুত্ব সহকারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

বন্ধুগণ, গরিব মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য সরকার স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। গতবার যখন আমি ঝুঁঝুনো-তে এসেছিলাম, তখন সেখান থেকেই রাষ্ট্রীয় পোষণ মিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ঘোষণা করেছিলাম। এখন এই কর্মসূচি সারা দেশে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এছাড়া, মহিলা ও শিশুদের টিকাকরণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে প্রসবকে উৎসাহ প্রদান করার ফলে প্রসূতি মৃত্যুর হার সারা দেশেই হ্রাস পেয়েছে। এক্ষেত্রে রাজস্থান সরকার এবং রাজস্থানের মা ও বোনেদের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। তাঁদের আন্তরিক প্রয়াসে রাজস্থানে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযান উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। সম্প্রতি দেশের গরিবদের রোগের কবল থেকে বাঁচাতে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ নামক একটি বড় সংকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কঠিন রোগের চিকিৎসার জন্য দেশের প্রায় ৫০ কোটি জনগণকে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচে বিনামূল্যে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা হবে। এই প্রকল্প শুরু করার জন্য প্রস্তুতি পর্বের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

 

ভাই ও বোনেরা, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির প্রত্যেক প্রকল্পের লক্ষ্য হ’ল দেশে ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়ন আর প্রত্যেক নাগরিকের সম্মান, নিরাপত্তা ও আত্মসম্মান সুরক্ষিত করা। এই সময়ে দেশে একটি অভূতপূর্ব গণআন্দোলন গড়ে উঠেছে, এর নাম হ’ল – রাষ্ট্রীয় গ্রামস্বরাজ অভিযান। গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। গ্রামের সকলের যাতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, রান্নার গ্যাস সংযোগ থাকে, প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুৎ ও এলইডি বাল্ব, প্রত্যেক মা ও শিশুর টিকাকরণ সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। এই অভিযানের মাধ্যমে এ বছর ১৫ আগস্টের মধ্যে রাজস্থানেরও দেড় হাজার গ্রামে এই প্রকল্পগুলির কাজ সম্পূর্ণ হবে।

 

বন্ধুগণ, ‘সকলের সাথে সকলের উন্নয়ন’ মন্ত্রকে সম্বল করে দেশের প্রত্যেক অংশে গ্রাম ও শহরে উন্নয়নের আলো পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশের ১০০টি বড় শহরে দ্রুতগতিতে স্মার্টসিটি ব্যবস্থা বিকশিত করা হচ্ছে। এই একশোটি শহরের মধ্যে রয়েছে আমাদের জয়পুর, উদয়পুর, কোটা এবং আজমের-এর মতো শহর। এই শহরগুলির সড়ক- মহাসড়ক, গলিপথ, ট্রাফিক ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত সকল ক্ষেত্রে স্মার্ট করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার সাত হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ মঞ্জুর করেছে। রাজস্থান সরকার এই প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।

 

বন্ধুগণ, আজ যে কাজ হচ্ছে তা আগেও হতে পারত। পূর্ববর্তী সরকারগুলির দৃষ্টিভঙ্গী কেমন ছিল, তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন। তাদের সেই দৃষ্টিভঙ্গীর ফলেই আপনারা তাদের সংস্কৃতিকে নস্যাৎ করেছেন এবং বিজেপি-কে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা নতুন ভারতের সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছি। ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হবে কিন্তু তার আগেই আগামী বছর মার্চ মাসে রাজস্থান রাজ্য গঠনের ৭০ বছর পূর্ণ হবে। রাজস্থানের উন্নয়ন ছাড়া নতুন ভারত নির্মাণ সম্ভব নয়। সেজন্য আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজ আপনাদের রাজ্যে নতুন রাজস্থান নির্মাণের সোনালী সুযোগ ব্যবহারের মাধ্যমেই আপনারা রাষ্ট্র নির্মাণের পথে এগিয়ে যাবেন।

 

বন্ধুগণ, এ বছর দেশের জন্য সর্বোচ্চ বলিদান প্রদানকারী পরমবীর চক্র বিজেতা শহীদ পীরু সিং শেখাওয়াতেরও জন্ম শতবর্ষ। কিছুদিন পর তাঁর আত্মবালিদানের ৭০ বছর পূর্ণ হবে। এই মহান বীরকে আমার শত শত প্রণাম। এরকম বীরদের আত্মবলিদান শৌর্য ও দেশভক্তির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা আজ বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এক্ষেত্রেও আমাদের বিরোধীরা অদ্ভুত আচরণ করছেন। সরকারের সমালোচনা পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু তাঁরা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলার পাপ করছেন। আগে এরকম কখনও হয়নি। রাজস্থানের জনগণ তথা দেশবাসী এ ধরণের হীন রাজনীতিকে কখনও ক্ষমা করবেন না।

 

বন্ধুগণ, যাঁরা শুধু পরিবারবাদের সংরক্ষণ ও বংশ পরম্পরায় রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার রাজনীতি করতে অভ্যস্ত। কিন্তু আমাদের দেশ রক্ষা এবং আত্মাভিমানকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত অটুট, আমাদের নীতি স্পষ্ট। সেজন্য যুগ যুগ ধরে আটকে থাকা ভূতপূর্ব সৈনিকদের ‘এক পদ, এক পেনশন’-এর দাবি আমরা দায়িত্ব নিয়ে সমাধান করেছি।

 

ভাই ও বোনেরা, দেশ আজ একটি নতুন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে, একটি নতুন লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি, অনেক কঠিন সমস্যা আমরা দূর করেছি আর বাকিগুলি সমাধানের পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনাদের সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের প্রতিটি সংকল্প সিদ্ধ করার ক্ষেত্রে সরকার সফল হবে। আজ যে প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হ’ল, সেগুলির জন্য আমি রাজস্থানের জনগণকে আরেকবার শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি। আপনারা সবাই আমার সঙ্গে বলুন –

 

ভারতমাতা কি জয়!

ভারতমাতা কি জয়!

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to attend Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 22, 2024
PM to interact with prominent leaders from the Christian community including Cardinals and Bishops
First such instance that a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India

Prime Minister Shri Narendra Modi will attend the Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) at the CBCI Centre premises, New Delhi at 6:30 PM on 23rd December.

Prime Minister will interact with key leaders from the Christian community, including Cardinals, Bishops and prominent lay leaders of the Church.

This is the first time a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India.

Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) was established in 1944 and is the body which works closest with all the Catholics across India.