মায়ানমারেইয়াঙ্গনে শনি ও রবিবার দ্বন্দ্ব এড়ানো ও পরিবেশ সচেতনতা সংক্রান্ত বিশ্বজোড়াপ্রয়াস ‘সম্বাদ’-এর দ্বিতীয় অধিবেশন আয়োজিত হয়।
বিবেকানন্দকেন্দ্র ২০১৫’র সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন ধর্ম ও ঐতিহ্যের অংশগ্রহণে এই অতুলনীয়সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনটির আয়োজন করেছিল নতুন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী সেই অধিবেশনেভাষণ দিয়েছিলেন।
সম্বাদেরদ্বিতীয় অধিবেশনে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বজুড়ে নানা সমাজ এখনবিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন, যেগুলির মধ্যে আছে :
কিকরে দ্বন্দ্ব এড়ানো যায়?
জলবায়ুপরিবর্তনের মতো বিশ্বজোড়া সংকটের মোকাবিলা কিভাবে করা যায়?
কিকরে শান্তি ও সম্প্রীতি নিয়ে বাস করার পাশাপাশি নিজেদের জীবনকে সুরক্ষিত রাখা যায়?
তিনিবলেন, এইসব প্রশ্নের উত্তর অণ্বেষণের প্রয়াস যে মানবতার সুদীর্ঘতম চিন্তাভাবনার ঐতিহ্যের নেতৃত্বে হবে, যার শিকড়বিভিন্ন ধর্মে, সভ্যতায় এবং আধ্যাত্মিকতার বিভিন্ন ধারায় প্রোথিত, সেটাইস্বাভাবিক।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, তিনি হলেন “সেই সুপ্রাচীন ভারতীয় পরম্পরার সন্তান, যা কঠিন সব বিষয়েই সংলাপেদৃঢ় বিশ্বাসী”। তিনি বলেন, ‘তর্কশাস্ত্র’-এর মতো প্রাচীন ভারতীয় চিন্তাধারাটি, মতবিনিময় ও দ্বন্দ্ব এড়ানোর আদর্শহিসাবে সংলাপ ও বিতর্কের ওপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছিল।
ভারতীয়পুরাণ থেকে শ্রীরাম, শ্রীকৃষ্ণ, ভক্ত প্রহ্লাদ ও ভগবান বুদ্ধ-এর উদাহরণ টেনেপ্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের প্রত্যেকের কর্মের উদ্দেশ্য ছিল - ধর্মকে উচ্চে তুলেরাখা, আর এটাই ভারতীয়দের সেই প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছে ।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, ‘সম্বাদ’ বা ‘সংলাপ’ হ’ল, বিশ্বের নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ এবং নানাজাতি ও সমাজের মধ্যে দ্বন্দ্বের বীজ বপনকারী গভীরচারী ধর্মীয় রূপ ও সংস্কারকেছিন্ন-ভিন্ন করার একমাত্র উপায়।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, যদি মানুষ প্রকৃতিকে লালন-পালন না করে, তা হলে প্রকৃতি জলবায়ু পরিবর্তনেরমধ্য দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। পরিবেশ সংক্রান্ত বিধি ও নিয়ন্ত্রণ যে কোনওআধুনিক সমাজে আবশ্যক হলেও প্রকৃতিকে নেহাতই অপকৃষ্ট সুরক্ষা যোগায়, বলে মন্তব্যকরে প্রধানমন্ত্রী ‘সমন্বয়মূলক পরিবেশ সচেতনতা’র আহ্বান জানান।
মানুষকেপ্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা করতে হবে, প্রকৃতিকেশোষণের উৎস হিসাবেই কেবল দেখলে চলবে না বলে প্রধানমন্ত্রী সুদৃঢ় মত ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, “একবিংশ শতাব্দীর আন্ত-সংযুক্ত ও আন্তঃনির্ভর পৃথিবী যদিও সন্ত্রাস থেকেজলবায়ু পরিবর্তনের বিশ্বজোড়া নানা চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তবে এর সমাধানসংলাপ ও বিতর্কের মতো এশিয়ার প্রাচীনতম পরম্পরার মধ্য দিয়েই পাওয়া যাবে বলে আমিপ্রত্যয়ী”।
Shared my message for the 2nd edition of 'Samvad- Global Initiative on Conflict Avoidance and Environment Consciousness', held in Yangon.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 5, 2017
Talked about issues such as avoiding conflicts, addressing climate change and furthering peace.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 5, 2017
Asia’s oldest traditions of dialogue and debate can give the answers to several global challenges such as terrorism and climate change.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 5, 2017