প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, আজ সক্রিয় প্রশাসন ও সময়োচিত রূপায়ণের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক মাল্টিনোডাল মঞ্চ, ‘প্রগতি’র মাধ্যমে ২৭তম আলাপচারিতায় পৌরহিত্য করেন।
এর আগের ২৬টি প্রগতি বৈঠকে ১১ লক্ষ কোটি টাকার মোট বিনিয়োগের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়েও পর্যালোচনা হয়।
আজকের ২৭তম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রেল, সড়ক ও শক্তি ক্ষেত্রে আট-টি পরিকাঠামো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। এই প্রকল্পগুলি বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, মহারাষ্ট্র, ওড়িষা, চন্ডীগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লী, গুজরাট, রাজস্হান, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও অরুনাচলপ্রদেশে রূপায়িত হচ্ছে।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে চালু জেলা/রেফারেল হাসপাতালগুলির সঙ্গে যুক্ত নতুন মেডিকেল কলেজ স্হাপনের কাজও পর্যালোচনা করেন। কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্হ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে, একথা উল্লেখ করে। প্রধানমন্ত্রী দ্রুত স্বাস্হ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৮’র ১৪ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত চলা গ্রাম স্বরাজ অভিযানে দেশের ১৬০০০ হাজারের বেশি গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের সাতটি প্রধান কর্মসূচি রূপায়ণে বিপুল সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নকামী জেলাগুলির ৪০০০০-এর বেশি গ্রামে, গ্রাম স্বরাজ অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। তিনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের ১৫ অগাস্টের মধ্যে সম্ভাব্য সর্বশ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনের লক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনায় কাজের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ৪ কোটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের উচ্চাকাঙ্খী লক্ষপূরণে সর্বতোভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।