আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ সারা দিন আমি পাঞ্জাবে ছিলাম। দিল্লিতে পৌছে আমার মনে হল, আপনাদের সকলের সঙ্গে কথা বলা দরকার। আজ সুপ্রিম কোর্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন, যার বহু বছরের ইতিহাস রয়েছে।
সারা দেশ চাইছিল, এই মামলার রোজ শুনানি হোক। সেটাই হয়েছিল। আর আজ তার রায়দান হল। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলা বিচারপ্রক্রিয়া আজ শেষ হল।
বন্ধুগণ,
সারা বিশ্ব জানে পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে আছে। আজ পৃথিবী জানলো, আমাদের গণতন্ত্র কতটা প্রাণশক্তিতে ভরপুর ও শক্তিশালী।
আজকের রায়দানের পর যেভাবে সমাজের প্রতিটি অংশ, প্রত্যেক সম্প্রদায়, প্রত্যেক ধর্ম , গোটা দেশ তাকে দুহাত বাড়িয়ে স্বীকার করে নিল, তার থেকে ভারতের প্রাচীন ভাবনা, সংস্কৃতি , ঐতিহ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিফলিত হয়েছে।
আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ভারতের পরিচয়- তার বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যর মধ্য দিয়ে। আজ সেই ভাবনাটি স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠল। হাজার বছর পরও ভারতের বৈচিত্রের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, তা কেউ চাইলেই বুঝতে পারবেন।
বন্ধুগণ, আজ ভারতীয় বিচারব্যবস্থার স্বর্ণ দিবস।
অযোধ্যার উপর শুনানীর প্রক্রিয়ায়, সর্বোচ্চ আদালত ধৈর্য ধরে প্রত্যেকের বক্তব্য শুনেছে, আর তারপর সর্বসম্মতভাবে রায় দিয়েছে।
এই কাজটি খুব সহজ নয়।
সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানিতে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি দেখিয়েছে। আর সেই কারণেই আদালত, মাননীয় প্রধানবিচারপতি, আমাদের বিচারব্যবস্থা প্রশংসার যোগ্য।
বন্ধুগণ,
আজ ৯ নভেম্বর।
আজকের দিনেই বার্লিন পাঁচিলের পতন হয়।
দুটি বিপরীত চিন্তাধারা একজোট হয়ে নতুন শপথ নিয়েছিল।
আজ , ৯ নভেম্বর, করতারপুর করিডোরের সূচনা হল। এখানে ভারতের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের পক্ষেও উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আর আজ অযোধ্যা মামলার রায়দানের মধ্যে দিয়ে , এই দিন- ৯ নভেম্বর আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার শক্তি জুগিয়েছে এবং একসঙ্গে প্রগতির পথে যাবার পথ দেখিয়েছে।
আজকের দিনের বার্তা হল একতার, একসঙ্গে চললেই আমরা জয়লাভ করতে পারবো।
এই বিষয়ে কারো মনে যদি বিন্দুমাত্র তিক্ততা থাকে, তাহলে সময় এসেছে তাকে বিদায় জানানোর।
নতুন ভারতে ভয়, তিক্ততা , নেতিবাচক চিন্তার কোন স্থান নেই।
বন্ধুগণ,
আজকের এই রায়দানের মধ্যে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এই বার্তা দিল যে, কঠিন সব সমস্যার সমাধানও সংবিধান মেনেই আইনসঙ্গতভাবে করা সম্ভব।
এই রায়ের মাধ্যমে আমরা এটা শিখলাম, কোন কিছুতে দেরি হলেও ধৈর্য ধরতে হয়। তাহলেই সকলের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।
প্রতিটি পরিস্থিতিতে আমাদের ভারতের সংবিধানের উপর আস্থা রাখা জরুরী, ভারতের বিচার ব্যবস্থায় আমাদের বিশ্বাস অটুট থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বন্ধুগণ,
সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়দান, নতুন প্রভাতের সূচনা করলো।
অযোধ্যা বিতর্ক অনেক প্রজন্মের উপর প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু আজকের রায়ের পর আমরা শপথ নেবো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নতুন উদ্দীপনায় নতুন ভারত গড়ার কাজে নিয়োজিত করবে।
আসুন, আমরা নতুন ভাবে শুরু করি।
আসুন , আমরা নতুন ভারত গড়ি।
আমাদের বিশ্বাস আর বিকাশের ভিত্তি হবে, সেই দায়বদ্ধতা, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবেন না।
আমাদের সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হবে, সকলের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে , সকলের আস্থা অর্জন করে এগিয়ে চলতে হবে।
বন্ধুগণ, সর্বোচ্চ আদালত রাম মন্দির বানানোর জন্য যে সিদ্ধান্তর কথা বলেছে সেই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের সব নাগরিকের দেশ গড়ার কাজের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল।
নাগরিক হিসেবে, দেশের আইন মেনে চলা, নিয়ম কানুন অনুসরণ করার দায়িত্ব আমাদের উপর ন্যস্ত হল।
সমাজে প্রতিটি ভারতীয়কে , নিজস্ব দায়িত্ব কর্তব্য অবশ্যই পালন করতে হবে। দেশের বিকাশের জন্য আমাদের মধ্যে যে সৌহার্দ্য, বন্ধুত্বের সম্পর্ক, ঐক্যবোধ ও শান্তি রয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমরা ভারতীয়রা একসঙ্গে কাজ করবো, এক পথে চলবো।
জয় হিন্দ!!!
अयोध्या फैसले पर संबोधन- आज सुप्रीम कोर्ट ने एक ऐसे महत्वपूर्ण मामले पर फैसला सुनाया है, जिसके पीछे सैकड़ों वर्षों का एक इतिहास है।पूरे देश की ये इच्छा थी कि इस मामले की अदालत में हर रोज़ सुनवाई हो, जो हुई, और आज निर्णय आ चुका है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) November 9, 2019
फैसला आने के बाद जिस प्रकार हर वर्ग ने, हर समुदाय ने, हर पंथ के लोगों ने,
— PMO India (@PMOIndia) November 9, 2019
पूरे देश ने खुले दिल से इसे स्वीकार किया है, वो भारत की पुरातन संस्कृति,
परंपराओं और सद्भाव की भावना को प्रतिबिंबित करता है: PM @narendramodi
भारत की न्यायपालिका के इतिहास में भी आज का ये दिन एक स्वर्णिम अध्याय की तरह है।
— PMO India (@PMOIndia) November 9, 2019
इस विषय पर सुनवाई के दौरान सुप्रीम कोर्ट ने सबको सुना, बहुत धैर्य से सुना और सर्वसम्मति से फैसला दिया: PM @narendramodi