প্রসূতিমা, নবজাতক এবং শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সহযোগিতা মঞ্চের (পিএমএনসিএইচ) একপ্রতিনিধিদল আজ এখানে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।প্রতিনিধিদলে ছিলেন চিলির ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট তথা পিএমএনসিএইচ পর্ষদের ভবিষ্যৎসভাপতি ডঃ মিশেল ব্যাকলেট এবং ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী শ্রীমতীপ্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এছাড়াও, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ওপরিবারকল্যাণ মন্ত্রী শ্রী জে পি নাড্ডা এবং পিএমএনসিএইচ মঞ্চের তিন বিশিষ্টকর্মকর্তা শ্রী এ কে চৌবে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য ওপরিবারকল্যাণ সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান। আগামী ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখেনয়াদিল্লিতে মঞ্চের এ বছরের যে বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতে যোগদানের জন্যপ্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্দেশ্যেই তাঁদের আজকের এই সাক্ষাৎকার। বিভিন্নদেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন এই সম্মেলনে। এছাড়াওতাতে অংশগ্রহণ করবেন দেশ-বিদেশের ১,২০০ জন প্রতিনিধি। বিশ্বের ৯২টি দেশ এবং ১হাজারেরও বেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে গড়ে উঠেছে পিএমএনসিএইচ নামের এই বিশ্বমঞ্চটি। শ্রী মোদী এই মঞ্চের পৃষ্ঠপোষকতার আমন্ত্রণ সানন্দে গ্রহণ করেন। মঞ্চেরএকটি লোগোও প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
ডঃমিশেল ব্যাকলেট এই বিশ্ব মঞ্চের উদ্দেশ্য ও কর্মপ্রচেষ্টা ব্যাখ্যা করে তারকাজকর্ম কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে সম্পর্কে প্রস্তাব ও পরামর্শ পেশ করারজন্য আবেদন জানান শ্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। তিনি বলেন, নারী ক্ষমতায়ন এবং শিশু ওকিশোরদের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে মঞ্চের কাজকর্মকে আগামীদিনে আরও প্রসারিত করারচিন্তাভাবনা রয়েছে তাঁদের। তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বেসরকারিক্ষেত্রের সঙ্গে সহযোগিতাক্রমে মহিলাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সম্পর্কিত কর্মসূচির রূপায়ণসম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের দরিদ্র ও গর্ভবতীমহিলাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি বিধানের জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সমষ্টিগতভাবেবিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনও ঐ সময় এগিয়ে এসেছিল তাদের এই কর্মপ্রচেষ্টায় সহযোগিতাপ্রসারের লক্ষ্যে।
শ্রীমোদী প্রতিনিধিদলকে বলেন যে অংশগ্রহণের মাধ্যমেই অংশীদারিত্বের প্রসার ঘটে। তাইপুষ্টি, বিয়ের সঠিক বয়স, প্রাক্-প্রসব এবং প্রসব-পরবর্তীকালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ সম্পর্কিত কর্মপ্রচেষ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে জোটবদ্ধভাবেকাজ করে যেতে হবে। বিশেষত, তরুণ ও যুবকরা উৎসাহের সঙ্গেই এই কাজে এগিয়ে আসতেপারেন। আর এইভাবেই নারী, শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালে উপনীত কিশোরীদের কাছে কর্মসূচিরখুঁটিনাটি বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিঅবলম্বনে একটি অনলাইন ক্যুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী। সফলপ্রতিযোগীদের আগামী ডিসেম্বরের সম্মেলনে পুরস্কৃত করারও প্রস্তাব দেন তিনি।