প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কেরলে বন্যার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। পর্যালোচনা বৈঠকের পর রাজ্যে বন্যা কবলিত কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি তিনি আকাশপথে পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী কে জি আলফোন্স ও উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিকগণ।

বন্যায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে জীবন ও সম্পত্তিহানিতে প্রধানমন্ত্রী গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পিনারাই বিজয়ন ও উচ্চ পদস্থ রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।

পর্যালোচনা বৈঠকের পর, প্রধানমন্ত্রী কেরলের জন্য ৫০০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তাদানের কথা ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী গত ১২ তারিখ রাজ্যের জন্য যে ১০০ কোটি টাকা সহায়তাদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন, এই অর্থ তার অতিরিক্ত। প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, রাজ্যের অনুরোধের প্রেক্ষিতে খাদ্যশস্য, ওষুধপত্র সহ যাবতীয় ত্রাণ-সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা এককালীন সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

|

সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও উপভোক্তাদের সময় মতো ক্ষতি পূরণ দেওয়ার জন্য বিশেষ মূল্যায়ন শিবির আয়োজন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিমা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেন। কৃষিজীবীদের ফসল বিমা যোজনার আওতায় প্রাপ্য অর্থ আগাম মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষকে (এনএইচএআই) অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কগুলি মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে রাজ্য সরকারকে সম্ভাব্য সব ধরণের সহায়তা দিতে জাতীয় তাপবিদ্যুৎ নিগম (এনটিপিসি) এবং পিজিসিআইএল – এর মতো কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিধ্বংসী বন্যায় যেসব গ্রামবাসীর কাঁচা বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে, তাঁদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণ) আওতায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাড়ি দেওয়া হবে।

২০১৮-১৯ – এর শ্রম বাজেটে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের আওতায় ৫ কোটি ৫০ লক্ষ শ্রম দিবস মঞ্জুর করা হয়েছে। এই প্রকল্প খাতে রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী শ্রম দিবস বাড়ানোর যে কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে রাজ্যকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

|

সুসংহত বাগিচা উন্নয়ন মিশনের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যানে চারাগাছ পুনঃরোপণের জন্য কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় সরকার কেরলের বন্যা পরিস্থিতির উপর নিরবচ্ছিন্ন ও সতর্ক নজর রেখে চলেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে যাবতীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কিরেণ রিজিজু’র সঙ্গে কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী শ্রী কে জে আলফোন্স সহ একটি উচ্চ স্তরীয় কেন্দ্রীয় দল গত ২১ জুলাই রাজ্যের বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত দুই জেলা আলাপুম্মা ও কোট্টায়ম পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গেও তাঁদের কথা হয়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং – এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী শ্রী কে জে আলফোন্স সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের একটি দল গত ১২ই আগস্ট রাজ্যের বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির পরিস্থিতি আকাশপথে পরিদর্শন করেন। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন সংস্থা বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য এবং অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে, সে বিষয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কথা হয়। জাতীয় বিপর্যয় ত্রাণ তহবিল থেকে আগাম ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষণা করেন।

রাজ্য সরকারের গত ২১ জুলাই জমা দেওয়া স্মারকপত্র অনুযায়ী একটি কেন্দ্রীয় দল গত ৭ – ১২ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে সেখানকার ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখেন।

|

রাজ্যে উদ্ধার ও অনুসন্ধানের কাজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ৫৭টি দলের প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন কর্মী ৪৩৫টি নৌকার সাহায্যেত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য পরিচালনার জন্য বিএসএফ, সিআইএসএফ সহ আরএএফ – এর ৫টি করে কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে।

ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে রাজ্যকে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ-বাহিনী ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। ৩৮টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। এছাড়াও, বন্যা দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজে ২০টি যুদ্ধ বিমান কাজে লাগানো হচ্ছে। সেনাবাহিনী ৭৯০ জন প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়ে গঠিত ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্কফোর্সের ১০টি দলকে কাজে লাগাচ্ছে। নৌ-বাহিনীর ৮২টি দল নিরন্তর কাজ করে চলছে। উপকূল রক্ষী বাহিনী ও ৪২টি দল, দুটি হেলিকপ্টার ও ২টি জাহাজ মোতায়েন করেছে।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনী একযোগে গত ৯ আগস্ট থেকে প্রায় ৭ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে এসেছে। এছাড়া, ৮৯১ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

অপ্রত্যাশিত এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসা করেন। জলবন্দী মানুষজনকে দ্রুত উদ্ধারের ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে যাবতীয় সহায়তা দিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Swiss packaging firm SIG commits to invest Euro 100 million more in India

Media Coverage

Swiss packaging firm SIG commits to invest Euro 100 million more in India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister meets members of various delegations who represented India in various countries
June 10, 2025
QuotePM commends the Delegations for championing India’s Stand on Terrorism

Prime Minister Shri Narendra Modi met the members of various delegations who represented India in different countries at his official residence in New Delhi today. These representatives played a crucial role in elaborating India’s commitment to peace and the need to eradicate the menace of terrorism. Shri Modi commended the delegations for their dedication in advancing India's voice on global platforms.

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

In a post on X, he wrote:

“Met members of the various delegations who represented India in different countries and elaborated on India's commitment to peace and the need to eradicate the menace of terrorism. We are all proud of the manner in which they put forward India's voice.”