প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বারাণসীতে ৩৩৫০ কোটি টাকা মূল্যের বিকাশমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন। স্বাস্হ্যবিধান, স্মার্ট সিটি, যোগাযোগ ব্যবস্হা, বিদ্যুৎ, আবাসন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এই প্রকল্পগুলি রূপায়িত হবে। উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী রাম নায়েক, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন।
প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী বারাণসীর শহীদ রমেশ যাদবকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রমেশ যাদব শহীদ হন পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী আক্রমনে। বারাণসীর নিকটবর্তী আওরে গ্রামে একটি জনসভার ভাষনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার উন্নয়নে গতি আনতে দুটি উপায়ে কাজ করছে। প্রথম পদ্ধতিতে মহাসড়ক, রেল ইত্যাদির মতো পরিকাঠামো গঠন, অন্য উপায়ে উন্নয়নের সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর বিষয়টি সুনিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, এই লক্ষ্যপূরণের জন্য বাজেটে বেশকিছু ঘোষনা করা হয়েছে।
আজকের অনুষ্ঠানে উন্মোচিত প্রকল্পগুলির সম্বন্ধে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারাণসীকে নতুন ভারতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে বারাণসীর ডিজেল ও লোকোমোটিভ ওয়ার্কস-এ আজ একটি লোকোমোটিভ ট্রেনের যাত্রা সূচনা করা হয়েছে এবং তিনি বলেন, মেক ইন ইন্ডিয়ার আওতায় এই উদ্যোগটি ভারতীয় রেলের ক্ষমতা সম্প্রসারণ ও গতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, গত সাড়ে চার বছরে রেলকে রূপান্তরিত করতে বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভারতের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যেটি দিল্লী-বারাণসী রুটে চলবে, তেমনই একটি পদক্ষেপ। তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলি কেবল পরিবহন ব্যবস্হাকে সহজতর করে তুলবে না, বরং বারাণসী, পূর্বাঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের শংসাপত্র দেন। আইআইটি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পেরোনোর বিষয়ে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশও করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার কেন্দ্র এবং লেহেরতারার ভাবা ক্যানসার হাসপাতাল বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড় ও অন্যান্য পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলি থেকে আসা রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্হা প্রদান করবে।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ পরিবার এই প্রকল্প থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নীধি যোজনার বিষয়েও বক্তব্য রাখেন এবং বলেন, এটি উত্তরপ্রদেশের প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ দরিদ্র কৃষককে উপকৃত করবে।
গরু ও বাছুরদের সংরক্ষণ, রক্ষা ও বিকাশের জন্য চালু করা রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বারাণসীতে শিলান্যাস হওয়া প্রত্যেকটি প্রকল্পই সঠিক সময়ে সমাপ্ত করা হয়েছে।
এরপর তিনি দিব্যাঙ্গজনদের সহায়ক যন্ত্র বিতরণ করেন।
ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তাও জানান প্রধানমন্ত্রী।