পরিবর্তনবিরোধী মানসিকতার শিকার না হয়ে নতুন ভারত গঠনের কাজে পূর্ণ উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ারজন্য আজ তরুণ আইএএস আধিকারিকদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নতুনভারতের স্বপ্ন সফল করে তুলতে তাঁদের উচিৎ প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করেতোলা।
২০১৫ ব্যাচেরআইএএস আধিকারিকদের এক সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এঁদের সকলেরই এখনসহ-সচিব হিসাবে কাজের সূচনাকাল। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, ভারত এতদিনেউন্নয়নের অনেকটা পথই অতিক্রম করতে পারত। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অথচ, ভারতের পরে স্বাধীনতালাভ করেছে এমন অনেক দেশ রয়েছে, যাদের ভারতের থেকেও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেহয়েছিল। কিন্তু উন্নয়নের নতুন নতুন মাত্রায় ঐ দেশগুলি পৌঁছে গেছে ইতিমধ্যেই।
শ্রী মোদীবলেন, পরিবর্তন তথা রূপান্তর সম্ভব করে তুলতে প্রয়োজন দৃঢ়তা ও বলিষ্ঠতার। কিন্তুপ্রশাসনিক ব্যবস্থাকে যদি জোরদার করে তোলা না যায়, তা হলে আধিকারিকদের কাছ থেকেআশানুরূপ কাজ লাভ করা সম্ভব হয় না। সমগ্র ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে দেওয়ার জন্যপ্রয়োজন সচল পরিবর্তনের।
প্রধানমন্ত্রীবলেন, কেন্দ্রের সহ-সচিবদের এই তিন মাসের কর্মসূচির প্রভাব রয়েছে যথেষ্ট। পরবর্তীতিন মাসে তরুণ আধিকারিকদের উচিৎ তাঁদের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সঙ্গে খোলাখুলিভাবেআলোচনা ও মতবিনিময় করা। কারণ, তাতে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা এবং তা বাস্তবায়নেরউদ্যোগ ও কর্মশক্তির মধ্য দিয়ে লাভবান হবে সমগ্র প্রশাসনিক ব্যবস্থাটি। শুধু তাইনয়, সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে করে এই ব্যবস্থা এগিয়ে যাবে আরও বহুদূর।
ইউপিএসসি’রফলাফল বেরনোর দিন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত তাঁদের জীবনচক্রের কথা স্মরণ করারআহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সময়কালের মধ্যে অনেক চ্যালেঞ্জেরইতাঁদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। তাই, এখন যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তাকে কাজেলাগিয়ে সমগ্র প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব করে তুলতে হবে। আরএইভাবেই পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগবে সাধারণের মানুষের জীবনযাত্রাতেও।
এদিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন – কেন্দ্রীয় কর্মী, জনঅভিযোগ এবং পেনশন দপ্তরেরপ্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং সহ অন্যান্য বরিষ্ঠ আধিকারিকরাও।